Banner Advertiser

Wednesday, August 14, 2013

[mukto-mona] Re: Bangabandhu Mujib

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে আমরা তাঁর ঋন শোধ করতে পারি -
- জয় বাংলা -- জয় বঙ্গবন্ধু

On 15/08/2013, Asoke Bose <anjbose@hotmail.com> wrote:
> I have pasted one review of Mujib's unfinished auto biography posted in
> Muktomona.
> Asoke Bose
>
>
>
>
>
> অসমাপ্ত
> আত্মজীবনী
>
> লিখেছেন: তানভী বিভাগ: ইতিহাস তারিখ: ২৮ শ্রাবণ ১৪২০ (আগস্ট ১২, ২০১৩)
>
>
>
>
>
>
> বই প্রিভিউঃ
>
> অসমাপ্ত আত্মজীবনী
>
> লেখকঃ- শেখ মুজিবুর রহমান
>
>
> (পুরো লেখাটাতে আমি একবারও জাতির জনক বা বঙ্গবন্ধু সম্ভাষণ ব্যবহার না করার
> চেষ্টা করব.. কারন পুরো লেখাটাতেই আমি তাকে শুধুমাত্র এ বইয়ের লেখক হিসেবেই
> দেখতে চাই)
>
>
> এ বইটা মুলত ১৯৩৮/৩৯ -১৯৫৫ পর্যন্ত
> সময়কালের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে
> লেখা। এছাড়া শুরুতে লেখকের
> গ্রামের বাড়ি, জন্মবৃত্তান্ত, বংশ,
> ও তরুন কালের কিছু
> ঘটনা পাঠকের সুবিধার্থে লেখক
> দিয়েছেন। বইটা ঠিক ডায়েরী
> না। ১৯৬৭ সালে কারাগারে
> থাকাকালীন তিনি এই বই
> লেখা শুরু করেন।
> তাই এটিকে লেখকের প্রত্যক্ষ
> স্মৃতিচারনমূলক আত্মজীবনীই বলা যায়। বইটি
> শ্রুতি লিখন বা অনুলিখনের
> মাধ্যমে অন্য কারো হাতে
> লিপিবদ্ধ নয় বরং লেখক
> নিজেই জেলখানায় বসে নিজের স্মৃতি
> থেকে বইটি রচনা করেন।
> তার দুই মেয়ে শেখ
> হাসিনা এবং শেখ রেহানা
> শুধুমাত্র প্রকাশের আগে কিছু ভাষাগত
> সম্পাদনা করেন। এছাড়া তথ্যগত
> কোন সম্পাদনা করা হয়নি বলেই
> উল্লেখিত রয়েছে।
>
>
> ১৯৩৮/৩৯-১৯৫৫ এর
> সময়কার রাজনীতি সম্পর্কে আমি খুব বেশি
> কিছু জানিনে বলে বইটির
> রিভিউ করতে গিয়ে আমি
> ঐ সময়কার সরাসরি মাঠ পর্যায়ের
> রাজনীতির অংশটুকু নিয়ে খুব বেশি
> কিছু লিখব না।
> এরচে বরং লেখকের রাজনৈতিক
> চিন্তা ভাবনা, দেশভাবনা, বিভিন্ন
> রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে লেখকের চিন্তাভাবনা
> মতামত ও ছোটখাট কিছু
> বিতর্ক নিয়ে লেখার চেষ্টা
> করব। যেহেতু বইয়ের প্রধানতম
> অংশটুকুই আমি অনেক খানি
> উহ্য রাখার চেষ্টা করব
> বলতেসি (যেটা প্রায় অসম্ভব!) তাই এই
> লেখাটাকে সরাসরি রিভিউ হিসাবে
> না দেখাই ভালো। তারচে
> বরং এটাকে আমরা পাঠকের
> নিজস্ব চিন্তা ভাবনা হিসাবেই
> দেখি!
>
>
> আর লেখার ক্ষেত্রে আমি
> টানা এক প্যরাগ্রাফে বা
> গদ্য আকারে লিখে যাওয়ার
> চেয়ে পয়েন্ট আকারে লিখে যাওয়াটাকে
> প্রাধান্য দিব। কারন গদ্য
> আকারে লিখতে গেলে ধারাবাহিকতা
> বজায় রাখা আবশ্যক। সে
> তুলনায় পয়েন্ট আকারে লিখলে আমি
> যেকোন পয়েন্টেই বইয়ের যেকোন বিষয়
> তুলে আনতে পারব। তাই
> সেক্ষেত্রে আরেকটা গুরুত্বপুর্ন কথা
> বলে দিতে চাই যে,
> পয়েন্ট গুলাকে আলাদা গুরুত্ব
> দেবার দরকার নেই। শুধু
> মাত্র চিহ্নিত করার জন্যই সংখ্যা
> গুলো ব্যবহার করব। সংখ্যা গুলোর
> আলাদা কোন গুরুত্ব থাকবে
> না।
>
>
> যাহোক! এবার শুরু করি!
>
>
>
> ১- প্রথমেই বইটার লেখনি নিয়ে
> কিছু বলা যাক। খুব
> জটিল কিছু সময়ের রাজনৈতিক
> পরিক্রমা আর রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে
> নিয়ে এক নিবেদিত প্রাণ
> রাজনীতিবিদের লেখা এই বই।
> কিন্তু মজার ব্যপার
> হচ্ছে পুরো বইটা অত্যন্ত
> সহজ সরল ভাষায় লেখা।
> কোন ভারী ভারী কথাবার্তা
> বা উপদেশমূলক বাণী দেয়ার চেষ্টা
> করেন নাই। অত্যন্ত সহজ
> ভাষায়, বলা যায় একরকম
> নির্লিপ্ত আবেগ বর্জিত ভাষায়
> পুরো ঘটনা প্রবাহ লিখে
> গেছেন। কিছু জায়গায় ঘটনার
> প্রয়োজনে কিছু আবেগতাড়িত কথাবার্তা
> এসেছে। কিন্তু সেটার পরিমান
> খুব বেশি নয়। আর
> ভাষা অত্যন্ত সাবলীল, পড়তে কোন অসুবিধা
> হয় না, বিরক্তও লাগে
> না।
>
>
> ২- এবার লেখকের বংশ
> পরিচয় নিয়ে কিছু কথাবার্তা
> বলা যাক। কোথায় কবে
> কিভাবে জন্ম সেসব বিস্তারিত
> ব্যপারে না যাই। যে
> কথা বলতে চাই সেটা
> হচ্ছে এ বই
> পড়ার আগ পর্যন্ত আমার
> একটা ভ্রান্ত ধারনা ছিল। সেটা
> বেশ অনেকদিন আগে কোথায় যেন
> একটা লেখা পড়ে হয়েছিল।
> ধারনাটা হলো এই যে
> শেখ মুজিবুর রহমান ও তার
> পরিবার বংশগত ভাবে পাঠান
> ছিল। তার পূর্বপুরুষগণ এ
> দেশের অধিবাসী ছিলেন না বরং
> দেশবিভাগের পর তারা পুর্ববাংলায় এসে থাকতে
> শুরু করেন, এবং এটা
> নাকি দেশ বিভাগের একটা
> প্লাস পয়েন্ট (এই অদ্ভুত কথাটা
> ঠিক কোথায় পড়সিলাম মনে
> পড়তেসে না!! :/ )! কিন্তু এ বই
> পড়ার পর জানতে পারলাম
> এই যে লেখকের বংশের
> গোড়াপত্তনকারী শেখ বোরহানউদ্দিন কবে
> থেকে পুর্ববাংলায় লেখকের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায়
> এসে বসবাস করতে থাকেন
> তার কোন আদি ইতিহাস
> পাওয়া যায় না… যে
> টুকু স্মৃতি অবশিষ্ট ছিল
> তা হচ্ছে প্রায় দুইশত
> বছরের (লেখকের লেখনির সময়
> থেকে) পুরাতন কিছু দালান।
> অর্থাৎ ইংরেজ আমলেরও বহু
> পূর্ব থেকেই তার বংশের
> বাংলায় বসবাস এবং এর
> সাথে দেশ বিভাগের কোন
> সম্পর্ক নাই!
>
>
> ৩- এই বইয়ে সবচেয়ে
> বেশি বার যার কথা
> এসেছে তিনি হোসেন শহীদ
> সোহরাওয়ার্দী। প্রায় পুরো বইয়েই
> লেখক তাকে শহীদ সাহেব
> বলে সম্বোধন করে গেছেন। সোহরাওয়ার্দী
> ছিলেন একাধারে লেখকের রাজনীতিতে আসার
> প্রেরণা, রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এবং পরম শ্রদ্ধার
> পাত্র। এ বই পড়ার
> আগে আমার সোহরাওয়ার্দীকে নিয়েও
> বেশ ভ্রান্ত ধারনা ছিল যে
> তিনি পাকিস্তানপন্থী রাজনীতিবিদ ছিলেন, সাধারন মানুষের
> সাথে তার দূরত্ব ছিল,
> তিনি চান নাই যে
> পাকিস্তান ভাঙুক এবং তিনি
> ছিলেন একজন বিতর্কিত রাজনীতিবিদ।
> এ বই পড়ে সোহরাওয়ার্দী
> সম্পর্কে বেশ অনেকখানি ধারনা
> পাওয়া যায়। এবং সেটা
> পজেটিভ ধারনাই। তবে লেখক যেহেতু
> রাজনৈতিক ভাবে সোহরাওয়ার্দীর দ্বারা
> অনুপ্রাণীত, তাই লেখায় ঋণাত্নক
> কথা বার্তা আসবেনা সেটাই
> স্বাভাবিক। আর যেহেতু শুধুমাত্র
> ১৯৫৫ পর্যন্তই এই বইয়ের ব্যপ্তিকাল
> তাই পরের ঘটনা প্রবাহ
> এবং তাতে সোহরাওয়ার্দীর ভূমিকাও
> আর জানা যায় না।
> শুধু উনাকে নিয়ে লিখেই
> এ বইয়ের রিভিউ শেষ
> করে দেয়া যায়! তাই
> উনাকে নিয়ে বেশি দূর
> লিখব না……
>
>
> ৪- লেখকের রাজনৈতিক জীবনের
> শুরু মোটামুটি ১৯৩৮ সালের দিকে
> (১৮ বছর বয়স) যখন
> সোহরাওয়ার্দী তাদের স্কুল পরিদর্শনে
> আসেন তখন থেকে। তবে
> সরাসরি তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে
> পড়েন ১৯৪১ সালে তার
> মেট্রিক পরীক্ষার পর থেকে। ৪৩
> এর দূর্ভিক্ষের সময় লেখক পুরোপুরি
> মাঠ পর্যায়ের কর্মী হিসাবে নিজেকে
> নিয়োজিত করেন। রাজনীতি করতে
> গিয়ে পরিবার থেকে কখনোই
> বাধাপ্রাপ্ত হন নাই। বরং
> তার বাবা তাকে সবসময়
> উৎসাহ যোগাতেন এবং স্ত্রীর
> কাছ থেকেও কখনো পিছুটান
> পেতে হয় নি। তার
> বাবা তাকে বলেছিলেন,
>
>
> "বাবা রাজনীতি কর
> আপত্তি করব না, পাকিস্তানের
> জন্য সংগ্রাম করছ এ তো
> সুখের কথা, তবে লেখাপড়া
> করতে ভুলিও না। লেখাপড়া
> না শিখলে মানুষ হতে
> পারবে না। আর একটা
> কথা মনে রেখ,' sincerity of purpose and honesty of purpose'থাকলে জীবনে পরাজিত
> হবানা।"
>
>
> ৫- এরপর বলতে হয়
> শেরে বাংলা এ কে
> ফজলুল হকের কথা। পুরো
> বইয়ে লেখক তাকে হক
> সাহেব বলে সম্বোধন করে
> গেছেন। আরো অনেকবার ফজলুল
> হকের কথা এ লেখায়
> আসবে। তবে তৎকালীন সময়ে
> শেরে বাংলার জনপ্রিয়তা কিরুপ
> ছিল সেটা বোঝাতে একটা
> কথা উল্লেখ না করলেই
> নয়।
>
>
> একদিনের কথা মনে আচ্ছে,
> আব্বা ও আমি রাত
> দুইটা পর্যন্ত রাজনীতির আলোচনা করি। আব্বা
> আমার আলোচনা শুনে খুশি
> হলেন। শুধু বললেন, শেরে
> বাংলা এ.কে. ফজলুল
> হক সাহেবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তিগত আক্রমণ
> না করতে। একদিন আমার
> মা-ও আমাকে বলেছিলেন,"বাবা যাহাই
> কর, হক সাহেবের বিরুদ্ধে
> কিছুই বলিও না।" শেরে
> বাংলা মিছি মিছিই 'শেরে
> বাংলা' হন নাই। বাংলার
> মাটিও তাকে ভালোবেসে ফেলেছিল।
> যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে
> কিছু বলতে গেছি, তখনই
> বাধা পেয়েছি। একদিন আমার মনে
> আছে একটা সভা করছিলাম
> আমার নিজের ইউনিয়নে, হক
> সাহেব কেন লীগ
> ত্যাগ করলেন, কেন পাকিস্তান
> চাননা এখন? কেন তিনি
> শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সাথে মিলে মন্ত্রীসভা
> গঠন করেছেন? এই সমস্ত আলোচনা
> করছিলাম, হঠাৎ একজন বৃদ্ধ
> লোক যিনি আমার দাদার
> খুব ভক্ত, আমাদের বাড়িতে
> সকল সময়েই আসতেন, আমাদের
> বংশের সকলকে খুব শ্রদ্ধা
> করতেন- দাঁড়িয়ে বললেন,"যাহা কিছু
> বলার বলেন, হক সাহেবের
> বিরুদ্ধে কিছুই বলবেন না।
> তিনি যদি পাকিস্তান না
> চান, আমরাও চাই না।
> জিন্নাহ কে? তার নামও
> তো শুনি নাই। আমাদের
> গরিবের বন্ধু হক সাহেব।"
> এ কথার পর আমি
> অন্যভাবে বক্তৃতা দিতে শুরু করলাম।
> সোজাসুজিভাবে আর হক সাহেবকে
> দোষ দিতে চেষ্টা
> করলাম না। কেন পাকিস্তান
> আমাদের প্রতিষ্ঠা করতেই হবে তাই
> বুঝালাম। শুধু এইটুকু না,
> যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে
> কালো পতাকা দেখাতে গিয়েছি,
> তখনই জনসাধারণ আমাদের মারপিট করেছে।
> অনেক সময় ছাত্রদের নিয়ে
> পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি,
> মার খেয়ে।
>
>
> এ ছিল পুর্ব বাংলায়
> এ.কে. ফজলুল হকের
> জনপ্রিয়তা।
>
>
> ৬- এ ফাঁকে আরেকটা
> কথা বলে নেই। লেখক
> পুরো বইতেই এরকম অমায়িক
> আচরণ বজায় রেখেছেন। তার
> সাথে অনেক সময়ই অনেকের
> মতের মিল হয় নাই,
> অনেকের সাথেই ভুল বোঝাবুঝি
> হয়েছে। কিন্তু কারো নামেই
> তিনি পুরো বইয়ে বাজে
> কথা বলেননি। কোন নেগেটিভ কথা
> বলতে হলেও আগে যথাযোগ্য
> শ্রদ্ধা আর সম্মান দেখিয়ে
> যথেষ্ট পরিমান ব্যখ্যা করে
> তবেই বলেছেন। যেমন উপরের পয়েন্টের
> কাহিনীটুকু লেখকের না দিলেও
> চলত! পাবলিকের কাছে দাবড়ানি দৌড়ানি
> খাইসেন সে কথা এভাবে
> না বললেও কোন ক্ষতি
> ছিল না। কিন্তু তিনি
> হক সাহেবের প্রতি সম্মান ও
> শ্রদ্ধার যায়গাটুকু বোঝানোর জন্যই এই কাহিনীটুকু
> লিখে দিয়েছেন।
>
>
> ৭- একটা মজার ব্যপার
> এই যে পাকিস্তান আন্দোলনের
> সাথে লেখক ওতপ্রত ভাবে
> জড়িত ছিলেন, পাকিস্তান গড়ার
> লক্ষ্য নিয়েই তার রাজনৈতিক
> জীবন শুরু কিন্তু পুরা
> বইয়ের কোথাও পাকিস্তানের জনক,
> পাকিস্তান আন্দোলনের নেতা মোহাম্মদ আলী
> জিন্নাহ সম্পর্কে কোন কথা নাই!
> অল্প যা-ও কিছু
> আছে তা-ও সরাসরি
> লেখকের কথা না এবং
> পজেটিভ কিছু না। যেমন
> শেরে বাংলা মুসলিম লীগ
> ছেড়ে দেয়ার পর মুজিব
> নিজে একবার উনার কাছে
> গিয়েছিলেন উনাকে মুসলিম লীগে
> ফেরত আসার জন্য। তখন
> শেরে বাংলা মুজিব সহ
> আরো যে কয়জন সাথে
> গিয়েছিল তাদের নিয়ে খেতে
> বসে বলেন," আমি কি
> লীগ ত্যাগ করেছি? না,
> আমাকে বের করে দেয়া
> হয়েছে? জিন্নাহ সাহেব আমাকে ও
> আমার জনপ্রিয়তাকে সহ্য করতে পারেন
> না। আমি বাঙালি মুসলমানদের
> জন্য যা করেছি জিন্নাহ
> সাহেব সারা জীবনে তা
> করতে পারবেন না।
> বাঙালিদের স্থান কোথাও নাই,
> আমাকে বাদ দিয়ে নাজিমুদ্দীনকে
> নেতা করার ষড়যন্ত্র।" কথায়
> কথায় তিনি আরো বলেন,"১৯৪০ সালের লাহোর
> প্রস্তাব কে করেছিল, আমিই
> তো করেছিলাম! জিন্নাহকে চিনত কে?" এতে
> বোঝা যায় যে জনসাধারনের
> সাথে জিন্নাহের তেমন কোন সংযোগ
> ছিল না। এমনকি মুজিব
> নিজেও পাকিস্তান দাবীর প্রেক্ষিতে সোহরাওয়ার্দীকে
> নেতা মেনেই আন্দোলন করে
> গেছেন, জিন্নাহকে নিয়ে তার মাথাব্যথা
> ছিল বলে পুরো বইয়ে
> একবারও মনে হয় নাই!
>
>
> ৮- সোহরাওয়ার্দীকে নিয়ে লেখকের আরেকটা
> ভালো উক্তি তুলে দেই…
>
>
>
> শহীদ সাহেব ছিলেন উদার,
> নীচতা ছিলনা, দল মত
> দেখতেন না, কোটারি করতে
> জানতেন না, গ্রুপ করারও
> চেষ্টা করতেন না। উপযুক্ত
> হলেই তাকে পছন্দ করতেন
> এবং বিশ্বাস করতেন। কারণ, তার
> আত্মবিশ্বাস ছিল অসীম। তার
> সাধুতা,নীতি, কর্মশক্তি ও
> দক্ষতা দিয়ে মানুষের মন
> জয় করতে চাইতেন। এ
> জন্য তাকে বারবার অপমানিত
> ও পরাজয়বরণ করতে হয়েছে।
> উদারতা দরকার, কিন্তু নীচ
> অন্তঃকরণের ব্যক্তিদের সাথে উদারতা দেখালে
> ভবিষ্যতে ভালর থেকে মন্দই
> বেশি হয়, দেশের ও
> জনগণের ক্ষতি হয়।
>
>
> ৯- বাঙালির স্বভাব নিয়ে লেখকের
> একখানা কড়া উক্তি শেয়ার
> না করে পারছি না…
>
>
>
> আমাদের বাঙালির মধ্যে দুইটা দিক
> আছে। একটা হল 'আমরা
> মুসলমান, আরেকটা হল, আমরা
> বাঙালি।' পরশ্রীকাতরতা এবং বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের
> রক্তের মধ্যে রয়েছে। বোধহয়
> দুনিয়ার কোন ভাষায়ই এই
> কথাটা পাওয়া যাবে না,'পরশ্রীকাতরতা'। পরের
> শ্রী দেখে যে কাতর
> হয় তাকে 'পরশ্রীকাতর' বলে।
> ঈর্ষা, দ্বেষ সকল ভাষায়ই
> পাবেন, সকল জাতির
> মধ্যেই কিছু কিছু আছে,
> কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে আছে পরশ্রীকাতরতা।
> ভাই, ভাইয়ের উন্নতি দেখলে খুশি
> হয় না। এই জন্যই
> বাঙালি জাতির সকল রকম
> গুণ থাকা সত্ত্বেও জীবনভর
> অন্যের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে।
> সুজলা, সুফলা বাংলাদেশ সম্পদে
> ভর্তি। এমন উর্বর জমি
> দুনিয়ার খুব অল্প দেশেই
> আছে। তবুও এরা গরিব।
> কারণ যুগ যুগ ধরে
> এরা শোষিত হয়েছে নিজের
> দোষে। নিজকে এরা চেনে
> না, আর যতদিন চিনবে
> না এবং বুঝবে না
> ততদিন এদের মুক্তি আসবে
> না অনেক সময় দেখা
> গেছে,একজন অশিক্ষিত লোক
> লম্বা কাপড়,সুন্দর চেহারা,
> ভাল দাড়ি, সামান্য আরবি
> ফার্সি বলতে পারে, বাংলাদেশে
> এসে পীর হয়ে গেছে।
> বাঙালি হাজার হাজার টাকা
> তাকে দিয়েছে একটু দোয়া পাওয়ার
> লোভে। ভাল করে খবর
> নিয়ে দেখলে দেখা যাবে
> এ লোকটা কলকাতার কোন
> ফলের দোকানের কর্মচারী অথবা ডাকাতি বা
> খুনের মামলার আসামী। অন্ধ
> কুসংস্কার ও অলৌকিক বিশ্বাসও
> বাঙালির দুঃখের আর একটা
> কারন।
>
>
> ১০- লেখক খুব সুন্দর
> করে তার ভ্রমন কাহিনী
> লিখে গেছেন। পুরো বইয়ে
> তিন চারবার তার বিভিন্ন
> স্থানে ভ্রমনের বিবরন এসেছে। উনি
> খুব গুছিয়ে বেশ কিছু খুটিনাটি
> সহ ভ্রমন কাহিনী গুলো
> লিখেছেন। এক দুটোর কথা
> পরের দিকে বলা যেতে
> পারে…
>
>
> ১১- ভাষা আন্দোলনের সময়ে
> প্রবেশ করছি আমরা। সরাসরি
> লেখকের লেখনি থেকে তুলে
> দেই,
>
>
> বাংলা পাকিস্তানের শতকরা ছাপ্পান্ন ভাগ
> লোকের মাতৃভাষা। তাই বাংলাই একমাত্র
> রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিত। তবুও
> আমরা বাংলা ও উর্দু
> দুইটা রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করেছিলাম।
> পাঞ্জাবের লোকেরা পাঞ্জাবি ভাষা
> বলে, সিন্ধুর লোকেরা সিন্ধি ভাষায়
> কথা বলে, সীমান্ত প্রদেশের
> লোকেরা পশতু ভাষায় কথা
> বলে, বেলুচরা বেলুচি ভাষায় কথা
> বলে। উর্দু পাকিস্তানের কোন
> প্রদেশের ভাষা নয়, তবুও
> যদি পশ্চিম পাকিস্তানের ভায়েরা
> উর্দু ভাষার জন্য দাবি
> করে, আমরা আপত্তি করব
> কেন? যারা উর্দু ভাষা
> সমর্থন করে তাদের একমাত্র
> যুক্তি হল উর্দু 'ইসলামিক
> ভাষা'। উর্দু
> কি করে যে ইসলামিক
> ভাষা হল আমরা বুঝতে
> পারলাম না।
>
> দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা বিভিন্ন
> ভাষায় কথা বলে। আরব
> দেশের লোকেরা আরবি বলে।
> পারস্যের লোকেরা ফার্সি বলে,
> তুরষ্কের লোকেরা তুর্কি ভাষা
> বলে, ইন্দোনেশিয়ার লোকেরা ইন্দোনেশিয়ান ভাষায়
> কথা বলে, মালয়শিয়ার লোকেরা
> মালয় ভাষায় কথা বলে,
> চীনের মুসলমানরা চীনা ভাষায় কথা
> বলে। এ সম্বন্ধে অনেক
> যুক্তিপুর্ণ কথা বলা চলে।
> শুধু পূর্ব পাকিস্তানের ধর্মভীরু
> মুসলমানদের ইসলামের কথা বলে ধোঁকা
> দেওয়া যাবে ভেবেছিল, কিন্তু
> পারে নাই।
>
>
> ১২- এই ঘটনা প্রবাহে
> এবার দৃশ্যপটে মাওলানা ভাসানীর আগমন। সম্ভবত ১৯৪৮
> এ মাওলানা ভাসানী আসাম ছেড়ে
> বাংলায় চলে আসেন (বইয়ে
> কোন নির্দিস্ট সময় বলা নেই)।
>
>
> ১৩- আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠাকালীন
> ঘটনা। ১৯৪৯ সালের সম্ভবত
> জুন-জুলাইয়ের দিকের ঘটনা। লেখক
> তখন জেলে। এর মধ্যেই
> মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে মানুষের
> অসন্তোষ বেড়ে গেছে। নতুন
> বিরোধী রাজনৈতিক দল সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা
> দেখা দিয়েছে। তখন ২৩ জুন
> ঢাকায় পুরানো লীগ কর্মী
> ও অন্য অনেক নেতা
> কর্মীদের সম্মেলন ডাকা হয়। শেরে
> বাংলা এ.কে. ফজলুল
> হক, ভাসানী, আল্লামা মাওলানা রাগীব আহসান, এমএলএ
> দের ভিতর থেকে জনাব
> খয়রাত হোসেন, বেগম আনোয়ারা
> খাতুন, আলী আহমদ খান
> ও হাবিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে
> ধনু মিয়া এবং বিভিন্ন
> জেলার অনেক প্রবীণ নেতাও
> যোগ দিয়েছিলেন এ সম্মেলনে। তাদের
> সকলের সম্মতিক্রমে নতুন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান
> গঠন করা হয় যার
> নাম দেয়া হয় 'পূর্ব
> পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ'।
> এই প্রতিষ্ঠার কাহিনী বলার আমার
> কোন দরকার নাই। তবে
> যে কথার অবতারনা করার
> জন্য এ পয়েন্ট সেটাতে
> আসি। জেলে বসে দল
> প্রতিষ্ঠার খবর পেয়ে লেখকের
> মানসিক প্রতিক্রিয়া ছিল এমন,
>
>
> আমি মনে করেছিলাম, পাকিস্তান
> হয়ে গেছেসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দরকার নাই। একটা
> অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে, যার একটা
> সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে। ভাবলাম, এখনো
> সময় আসে নাই, তাই
> বাইরে যারা আছেন তারা
> চিন্তা ভাবনা করেই করেছেন।
>
>
>
> ১৪- সৈয়দ নজরুল ইসলাম,
> কামারুজ্জামান, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর
> আলী আর খন্দকার মোশতাক
> আহমেদ এর কথা পুরো
> বইয়ে এসেছে আলাদা ভাবে
> একবার কি দুবার। যার
> অর্থ দাঁড়ায় এই বইয়ের সময়কাল
> পর্যন্ত (১৯৫৫) এই কজনের
> সাথে লেখকের সরাসরি সম্পর্ক
> ছিল না। উনারা লেখকের
> সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হন
> আরো পরে। আমি পুরো
> বইয়ে আকুপাকু করে তাজউদ্দীনের নাম
> খুঁজে গেছি। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহে
> লেখকের সাথে তিনি ছিলেন
> না বলে বইয়েও তাঁর
> কথা খুব একটা আসেনি।
> পুরো বইয়ের মধ্যে শুধু
> এই ব্যপারটাই আমার জন্য খানিক
> হতাশাজনক ছিল!! তবে যে
> একটা ঘটনা এসেছে তা-ই অন্যদের তুলনায়
> আলাদা এবং স্পেশাল ছিল।
>
>
> ১৫- এইটুকু একটা বইয়ের
> প্রায় অর্ধেক অংশ লেখক
> জেলে পার করেছেন! এই
> বই লিখেছেনও জেলে বসে! পুরো
> বইয়ে কয়বার তার জেলে
> যাবার কথা আছে তা
> মনে রাখার দুঃসাহস করতে
> পারিনি! এই জেল জীবন
> ও রাজনৈতিক জীবনের কারনে পরিবারকে
> সময় দিতে পেরেছেন খুব
> অল্পই। এ প্রেক্ষিতে একটা
> ঘটনা উল্লেখ না করলেই
> না। বইয়ের ব্যাক কভারে
> এ ঘটনাটা আলাদা ভাবে
> দেয়া আছে,
>
>
> একদিন সকালে আমি ও
> রেণু (লেখকের স্ত্রী) বিছানায়
> বসে গল্প করছিলাম। হাচু(হাসিনা) ও কামাল নিচে
> খেলছিল। হাচু মাঝে মাঝে
> খেলা ফেলে আমার কাছে
> আসে আর আব্বা আব্বা
> বলে ডাকে। কামাল চেয়ে
> থাকে। এক সময় কামাল
> হাচিনাকে বলছে,"হাচু আপা
> হাচু আপা তোমার আব্বাকে
> আমি একটু আব্বা বলি।"
> আমি আর রেণু দুজনেই
> শুনলাম। আস্তে আস্তে বিছানা
> থেকে উঠে যেয়ে ওকে
> কোলে নিয়ে বললাম,"আমি
> তো তোমারও আব্বা।" কামাল
> আমার কাছে আসতে চাইত
> না। আজ গলা ধরে
> পড়ে রইল। বুঝতে পারলাম,
> এখন আর ও সহ্য
> করতে পারছে না। নিজের
> ছেলেও অনেক দিন না
> দেখলে ভুলে যায়! আমি
> যখন জেলে যাই তখন
> ওর বয়স মাত্র কয়েক
> মাস।
>
>
> ১৬- লেখকের ১৯৫২ সালের
> সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে চীনে শান্তি সম্মেলনে
> যোগদান এবং পুরো চীন
> ভ্রমন নিয়ে খুব সুন্দর
> ভ্রমন কাহিনী লেখক লিখে
> গেছেন। লিখতে গেলে পুরোটাই
> তুলে দিতে হয়… শুধু
> একটা ছোট ঘটনা তুলে
> দেই। ২রা অক্টোবর শান্তি
> সম্মেলনের দিনে। ৩৭৮জন সদস্য
> সাইত্রিশটা দেশ থেকে এসেছে।
> বিভিন্ন দেশের নেতারা বক্তব্য
> দিচ্ছেন। পূর্ব পাকিস্তান থেকে
> লেখক এবং আতাউর রহমান
> খান বক্তব্য দিলেন। লেখক বাংলায়
> বক্তৃতা করলেন। আতাউর রহমান
> খান সেটা ইংরেজি করে
> দিলেন। এ নিয়ে লেখক
> বলছেন,
>
>
> … ইংরেজি থেকে চীনা,রুশ ও স্পেনিশ
> ভাষায় প্রতিনিধিরা শুনবেন। কেন বাংলায় বক্তৃতা
> করব না? ভারত থেকে
> মনোজ বসু বাংলায় বক্তৃতা
> করেছেন। পূর্ব বাংলার ছাত্ররা
> জীবন দিয়েছে মাতৃভাষার জন্য। বাংলা পাকিস্তানের
> সংখ্যাগুরু লোকের ভাষা। কবিগুরু
> রবীন্দ্রনাথকে না জানে এমন
> শিক্ষিত লোক চীন কেন
> দুনিয়ায় অন্যান্য দেশেও আমি খুব
> কম দেখেছি। আমি ইংরেজিতে বক্তৃতা
> করতে পারি। তবু আমার
> মাতৃভাষায় বলা কর্তব্য। আমার
> বক্তৃতার পরে মনোজ বসু
> ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে
> ধরে বললেন, "ভাই মুজিব, আজ
> আমরা দুই দেশের লোক,
> কিন্তু আমাদের ভাষাকে ভাগ
> করতে কেউ পারে নাই।
> আর পারবেও না। তোমরা
> বাংলা ভাষাকে জাতীয় মর্যাদা
> দিতে যে ত্যাগ স্বীকার
> করেছ আমরা বাংলা ভাষাভাষী
> ভারতবর্ষের লোকেরাও তার জন্য গর্ব
> অনুভব করি।
>
>
> এই সম্মেলনেই লেখকের সাথে দেখা
> হয় রুশ লেখক অ্যাসিমভের
> (যা মনে হল আইজাক
> অ্যাসিমভের কথাই লেখক বলসেন!
> ) আরো দেখা হয় তুরস্কের
> কবি নাজিম হিকমতের সাথে।
>
>
> ১৭- চীন আর চীন
> ভ্রমন নিয়ে লেখার শেষ
> পর্যায়ে লেখকের সমাজতন্ত্রের প্রতি
> অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে। লেখক
> বলেন,
>
>
> আমি নিজে কমিউনিস্ট নই।
> তবে সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং পুঁজিবাদী
> অর্থনীতিতে বিশ্বাস করি না। একে
> আমি শোষণের যন্ত্র হিসাবে
> মনে করি। এই পুঁজিপতি
> সৃষ্টির অর্থনীতি যতদিন দুনিয়ায় থাকবে
> ততদিন দুনিয়ার মানুষের উপর থেকে শোষণ
> বন্ধ হতে পারে না।
> পুঁজিপতিরা নিজেদের স্বার্থে বিশ্বযুদ্ধ লাগাতে বদ্ধ পরিকর। নতুন
> স্বাধীনতাপ্রাপ্ত জনগণের কর্তব্য বিশ্ব
> শান্তির জন্য সংঘবদ্ধভাবে চেষ্টা
> করা। যুগ যুগ ধরে
> পরাধীনতার শৃঙ্খলে যারা আবদ্ধ ছিল
> , সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যাদের সর্বস্ব
> লুট করেছে- তাদের প্রয়োজন
> নিজের দেশকে গড়া ও
> জনগণের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক মুক্তির
> দিকে সর্বশক্তি নিয়োগ করা। বিশ্বশান্তির
> জন্য জনমত সৃষ্টি করা
> তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
>
>
> ১৮- এরপরেই আসে ১৯৫৪
> এর নির্বাচন ও যুক্তফ্রন্ট। ১৯৫৩তে
> এ কে ফজলুল হক
> সরাসরি আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। আওয়ামীলীগে
> থাকা এক পক্ষ তখন
> যুক্তফ্রন্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র
> করতে থাকল। ভাসানী স্পষ্ট
> ভাষায় লেখক কে জানিয়ে
> দেন যে হক সাহেব
> সরাসরি আওয়ামীলীগে আসলে তবেই তাকে
> গ্রহন করা হবে, অন্য
> দল করলে তার সাথে
> যুক্তফ্রণ্ট করা চলবে না।
> এ ঘটনার পরবর্তী প্রবাহ
> বর্ননা করতে গিয়ে লেখক
> বেশ কয়েকবার ভাসানীর কিছু কাজের উপর
> বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। প্রথমে
> যুক্তফ্রন্টের তীব্র বিরোধিতা করলেও
> পরে ভাসানী সোহরাওয়ার্দী বা
> লেখকের মতামত না নিয়েই
> যুক্তফ্রন্ট করার জন্য ফজলুল
> হকের সাথে একমত হয়ে
> দস্তখত করে ফেলেন। এরপর
> কিছু অযাচিত অদ্ভুৎ ও
> পরগাছা ধরনের দলের উদ্ভব
> ঘটে… যারা বিভিন্ন ভাবে
> যুক্তফ্রন্টের সাথে যুক্ত হয়ে
> পড়ে।
>
>
> ১৯- সেই পাকিস্তান আমল
> থেকেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একই
> ধুয়া চলে আসছে! তখন
> ধুয়া তুলত মুসলিম লীগ!
> সে বেলায় দলের নামের
> সাথে মুসলিম যুক্ত থাকলেও
> আওয়ামী মুসলিম লীগ 'ভারতের
> চর', হিন্দুদের দালাল এসব অপবাদ
> থেকে মুক্তি পায় নাই!
> যদিও শেষমেশ এ ধুয়াতে
> খুব বেশি লাভ হতো
> না!
>
>
> ২০- যাহোক… যুক্ত ফ্রন্ট
> হবার পর থেকে আরো
> নানাবিধ কিছু গন্ডগোলের ভেতর
> দিয়ে কাহিনী প্রবাহ আগাতে
> গিয়ে হঠাৎ করেই লেখা
> শেষ হয়ে যায়। অর্থাৎ
> হয় লেখক এর পরে
> আর লেখার সুযোগ পাননি
> অথবা তার লেখার খাতা
> পরে হারিয়ে গেছে। … আমার লেখাও বইয়ের
> মতই হঠাৎ করেই শেষ
> হতে চলল!!
>
>
> পুরোটা আবার পড়ে বেশ
> ভালো বুঝতে পারছি যে
> এটা মোটেও রিভিউ গোত্রের
> কিছু হয় নাই! হয়ত
> এটা বইটা পড়ার জন্যে
> পাঠককে আগ্রহীও করে তুলবে না।
> কিন্তু এই বইয়ের রিভিউ
> কিভাবে করা সম্ভব তা
> আমার জানা নাই! রিভিউ
> করতে গেলে বাংলা রচনার
> মত সোজা সোজা কিছু কথা বার্তা
> চলে আসবে যে,
> লেখক অতি মহান নেতা ছিলেন, আজীবন মানুষের তরে কাজ করে গেছেন, জেল খেটেছেন
> বহুবার… তার এই বইটা পরে আমরা অনুপ্রানিত হব, ইত্যাদি
> ইত্যাদি!! তাই ও ধরনের
> কিছু লেখার থেকে বই
> থেকে সরাসরি কিছু ঘটনা
> বা লেখকের উক্তি তুলে
> দেয়াটা বেশি কাজের বলে
> মনে করেছি।
>
>
> তবে বইটা পড়ে ব্যক্তি
> মুজিবকে হয়তো অনেকখানিই উদ্ধার
> করা যায়। তার রাজনৈতিক
> চিন্তা ভাবনা, সংগ্রাম সবকিছুরই
> অনেক ধারনা পাওয়া যায়।
> যে পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য যেই মুসলিম
> লীগে সমর্থন করে আন্দোলন
> করেছিলেন পরে সেই মুসলিম
> লীগের অত্যাচার এবং দুঃশাষনের বিরুদ্ধে
> প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিরোধী
> দল গঠন করলেন এবং
> হয়ে গেলেন মুসলিম লীগ
> আর পাকিস্তানের সর্বোচ্চ শত্রু!
>
>
>
>
>
>


--
---------- --- Please ignore or spam if feel unwanted -------------

-----------------ভালো না লাগলে আমার ঠিকানাটি spam করে দিন -------

*আমার তথ্যসহ ফাইল দেখতে এখানে মাউস ক্লিক করুন CLICK HERE TO SEE MY PUBLIC
FILES* <http://sites.google.com/site/akhtarudduza>


thanks and best regards
Engr Akhtarudduza


------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190Yahoo! Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo! Groups is subject to:
http://docs.yahoo.com/info/terms/