জয় হতে পারে রাজনীতির রোল মডেল - বাংলানিউজকে শেখ রেহানা
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম , 09 Aug 2013
Interview of Sheikh Rehana
http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=qkO75ETdW2I
রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার ইচ্ছে নেই
তবে কখন কি করবেন তা পরিস্থিতিই বাতলে দেবে বলে মনে করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। তাই পরিস্থিতির বাধ্যবাধকতাকে নিয়তি মানার মানসিক প্রস্তুতি আছে তার।
সম্প্রতি লন্ডনে বাংলানিউজকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধুতনয়া এ কথা বলেন।
বাংলানিউজের সঙ্গে দীর্ঘ কথোপকথনে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ ছাড়াও সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন শেখ রেহানা। বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়কে বিশ্লেষণ করেন দেশ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে। মেলে ধরেন নিজের সংগ্রামী জীবন আর রাজনৈতিক দর্শনের পাতা। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি আর প্রত্যাশার খেরোখাতার পাতা উল্টে যান সাবলীল ছন্দে। রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও তার বক্তব্যে ফোটে দূরদর্শী রাজনীতিকের ছাপ।
রাজনীতিতে আসছেন কি না-
এমন সময়োপযোগী প্রশ্নের মুখে শেখ রেহানার অকপট জবাব, রাজনীতির কারণেই বাবাসহ পুরো পরিবার হারিয়েছি। আমার সঙ্গে বেঁচে থাকা একমাত্র বোন আছেন সক্রিয় রাজনীতিতে। পালন করছেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। সুতরাং আমি তো রাজনীতির বাইরে নই। শুধু আমি নই, বাংলাদেশের কোন মানুষই রাজনীতির বাইরে নেই। গ্রাম-গঞ্জে হাট-বাজারে যেখানেই যান সেখানেই তো রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা, আড্ডা। সুতরাং রাজনীতির বাইরে আমরা কেউই নেই।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ পূর্ববর্তী সদা চঞ্চল, মাথায় বেনী দুলিয়ে ছুটে বেড়ানো কিশোরী রেহানাকে পরিস্থিতিই আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, ভবিষ্যতেও পরিস্থিতির সিদ্ধান্তকেই নিজের নিয়তি হিসেবে মেনে নেবো। তবে আপাতত আমি যেভাবে আছি সেভাবেই থাকতে চাই। মানুষের সম্মান পাই বা গালি খাই, অসুবিধা নেই। আমি এভাবেই থাকতে চাই।
এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউতে শেখ রেহানা জানান, মানুষের সম্মান ও ভালোবাসা যেমন পেয়েছেন অফুরন্ত, তেমনি অনেকের গালিও খেয়েছেন তিনি। চোর, ঠকবাজ বলেও তার নামে অপপ্রচার চালিয়েছেন কেউ কেউ। প্রথমদিকে এ নিয়ে অভিমান হতো, বয়সের কারণে সেই অভিমানও এখন আর হয় না।
মানুষ চায় বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার
সম্প্রতি দেশে এসেই রাজনৈতিক আলোচনা জমিয়ে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয়। তার সাম্প্রতিক তৎপরতা ভিমরুলের চাকে ঢিলের মত বিরোধীদের আঘাত করেছে মনে করেন শেখ রেহানা।
এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউটিতে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে মানুষ তার উত্তরাধিকার দেখতে চায়। এটি তো আমাদের কোন অপরাধ নয়।
এ প্রসঙ্গে নিজের মেয়ে টিউলিপের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ব্রিটেনেও অনেক বয়স্ক মানুষ যখন টিউলিপকে কাছে পান, তখন পাশে বসিয়ে তাকে ভাত খাওয়ান, একটু ছুঁয়ে দেখতে চান বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারকে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারকে যদি কেউ এখন নিজেদের জন্যে হুমকি মনে করে অস্বস্তিতে ভোগেন তাহলে আমাদের কিইবা করার আছে।
জয় হতে পারে রোল মডেল
এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউতে শেখ রেহানা বলেন, জয় যদি রাজনীতিতে আসে তাহলে রাজনীতির প্রতি এ সময়ের মেধাবী প্রজন্মের আকর্ষণ বাড়বে বলেই মনে করি। মেধাবী প্রজন্মকে রাজনীতিমুখী করতে জয়ের মত তরুণরা রোল মডেলের ভূমিকা রাখতে পারে। এটিকে, আমাদের উৎসাহিত করা উচিত।
তিনি বলেন, আজকের এই আধুনিক যুগে বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে দেশপ্রেমিক, শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা এখন সময়ের দাবি। এই দাবিকে যারা উপেক্ষা করবেন, দেশবাসীর সামনে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, জয়ের বয়স এখন ৪২। ভালো-মন্দ বুঝার বয়স হয়েছে তার। সে তার মাকে সাহায্য করতে বাংলাদেশে গেছে। ২/১টি সভায় এক কি দু'টো মন্তব্য করেছে, এতেই যদি এত তোলপাড়, তাহলে রাজনীতিতে জয়ের এরচেয়ে বেশি সম্পৃক্ততা বিরোধীদের কি অবস্থায় নিয়ে যাবে?
রেহানা বলেন, রাজনীতি করার অধিকার তো সবার রয়েছে। রাজনৈতিক পরিবার বা প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হওয়ার কারণে কেউ তো নিজের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে না।
ক্ষমতা হলো নাট্যমঞ্চ
সন্তানদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় নিজের শ্রদ্ধাবোধের কথা উল্লেখ করে শেখ রেহানা বলেন, সন্তানরা কি করবে তা নিজেরাই ঠিক করবে, আমি তাদের এই স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
এ প্রসঙ্গে আরো একবার তিনি নিজের মেয়ে টিউলিপের ব্রিটিশ রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার উদাহরণ টেনে বলেন, টিউলিপকে আমি বলেছিলাম- রাজনীতি কেন, শিক্ষকতাও তো করতে পারো। কিন্তু তার রাজনীতির প্রতি আকর্ষণ। আমিও মেনে নিয়েছি। শেখ রেহানা বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি যে, রাজনীতি এবং ক্ষমতার আলো ও অন্ধকার দু'টো দিকই তারা ভালো বুঝে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর গণভবণে নিজের ও বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্তানদের উদ্দেশ্যে দেওয়া তার একটি উপদেশের কথা উল্লেখ করে শেখ রেহানা বলেন, ওইদিন আমি তাদের বলেছিলাম, দেখো ক্ষমতা হলো একটি নাট্যমঞ্চ। এই মঞ্চের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করো না। তারা আমার কথা রেখেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের দুই টার্মের মেয়াদকালে তারা ক্ষমতার কাছাকাছিও যায়নি।
ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করে পদ চাই না
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর এই পদে তার প্রার্থিতা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক খবরের কথা উল্লেখ করে শেখ রেহানা বলেন, কোন কোন সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরুলো- আমি নাকি রাষ্ট্রপতি হচ্ছি। কোথায় রাষ্ট্রপতি পদ আর কোথায় আমি। রাষ্ট্রপতি পদ কি এত ছেলেখেলা। আওয়ামী লীগের একটি পদ বা একজন এমপি হওয়া নিয়েও যদি আলোচনা সমালোচনা হতো তাহলেও একটি কথা ছিল। কিন্তু তা নয়, একলাফে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানিত পদ রাষ্ট্রপতি পদে আমার প্রার্থিতার গুজব ছড়ানো হলো। আসলে সর্বোচ্চ এই পদের মর্যাদা যারা বুঝেন না, তারাই একমাত্র এটি করতে পারেন।
তিনি বলেন, দলের জন্য ত্যাগ-তীতিক্ষার পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ তাদের বঞ্চিত করে আমি কোন পদ-পদবী গ্রহণ করবো, এমন প্রশ্নই উঠে না। আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, আমি এটি পারি না। আমি শুধু আমার সাধ্যানুযায়ী মানুষকে সাহায্য করে যেতে চাই।'
ক্ষমতার চেয়ার মানুষকে বদলে দেয়
শেখ রেহানা বলেন, ক্ষমতার চেয়ার অনেক সময় অনেক মানুষকে বদলে দেয়, আমি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন। আমি বদলাতে চাই না। কোন ক্ষমতাই বঙ্গবন্ধুর সন্তানদের বদলাতে পারে না। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। জনগণের মধ্যে থেকে তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আমার বাবা হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের জনক। আমরা সেই বঙ্গবন্ধুর সন্তান, জনগণের মধ্যে এখনও আমরা খুঁজে ফিরি আমাদের মা-বাবা ও পরিবার সদস্যদের, সেই জনগণের ভালবাসা নিয়েই জীবনের বাকি সময়টুকুও পাড়ি দিতে চাই।
বঙ্গবন্ধুর মেয়ে হওয়াই জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া
কোন ক্ষমতা বা পদ-পদবীর প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে শেখ রেহানা বলেন, আমাদের জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যা। এই লন্ডনেও যখন রাস্তায় বের হই, তখন দেখি বিভিন্ন বর্ণের অনেকেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে সম্মান করছে। সঙ্গে নিয়ে একটি ছবি তুলতে চাইছে। এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে আমাদের।
নমিনেশনের জন্যে তদবিরে আসেন অনেকে
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দানে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন- এমন গুজব সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমার ভূমিকা রাখার তো কোন সুযোগ দেখি না এ বিষয়ে। দলের প্রেসিডিয়াম আছে, পার্লামেন্টারি বোর্ড আছে। তারাই এ বিষয়টি দেখেন।
তবে তিনি স্বীকার করেন, অনেকেই নমিনেশন পাইয়ে দিতে তার কাছে তদবিরের জন্যে আসেন। প্রার্থী খুবই ভালো, এলাকায় জনপ্রিয় এসব সার্টিফিকেট দিয়ে কেউ যখন রেহানার কাছে তদবিরের অনুরোধ করেন, তখন তার উত্তর হয়- জনপ্রিয়, যোগ্য ও ভালো হলে তদবিরের কি প্রয়োজন।
সংগ্রহে থাকা সব খবর যায় শেখ হাসিনার কাছে
তিনি বলেন, কোন তদবির নয়, দলীয় এমপিদের কাজকর্ম, এলাকার জনগণের কাছে এমপি বা আগ্রহী প্রার্থীদের অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ে কোন খবর সংগ্রহে থাকলে তা অবশ্য নিয়মিত জানাই আপাকে।
কোন এমপি'র নেতিবাচক ভূমিকার কারণে পার্টির দুর্নাম হচ্ছে, এমন খবর সংগ্রহে থাকলে তাও সঙ্গে সঙ্গে বোনের কানে পৌছে দেন তিনি। কেউ কোন জনপ্রিয় প্রার্থীর নমিনেশনের তদবিরের জন্যে সুপারিশ করলে এ বিষয়টিও বোন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে তিনি জানান বলে বাংলানিউজকে অবহিত করেন শেখ রেহানা।
নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাতেও পিছপা হই না
পার্টি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোন প্রার্থীকে নমিনেশন দেওয়া হচ্ছে, এমনটি দেখলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পিছপা হন না শেখ রেহানা। তার দাবি, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে এই অধিকারটুকু তো নিশ্চয়ই আমি ভোগ করতে পারি।
এ প্রসঙ্গে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে একজন প্রার্থীর নমিনেশনের উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে পার্টির চেতনা বিরোধী অবস্থানে থাকার পরও পার্টি যখন ওই ব্যক্তিকে নমিনেশন দিচ্ছিল, তখন আমি বলেছি- শেষ পর্যন্ত এই লোক আওয়ামী লীগের নমিনেশন পাচ্ছে? তাকে নমিনেশন দেওয়ার চেয়ে এ আসনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ই ভালো। এমনটি বলে ওইদিন তিনি ৩২ নম্বর থেকে অভিমান করে বেরিয়ে এসেছিলেন বলে জানালেন শেখ রেহানা।
কে ছিলেন সেই প্রার্থী এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্য তিনি ওই প্রার্থীর নাম বলতে চাননি।
শুধু বলেন, ভদ্রলোক এখন আর জীবিত নেই, দরকার নেই তার নাম বলার। তাছাড়া আমি যদি এখন ওই ব্যক্তির নাম বলি, তাহলে আমাদের নেতারা বলবেন- রেহানা আমাদের বিরুদ্ধে পলিটিক্স করছে।
বিপদগ্রস্তদের সহযোগিতা করতে চাই
শেখ রেহানা জানান, বোন প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে তিনি বিপদগ্রস্ত মানুষদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেন। ঢাকায় গেলে পত্র-পত্রিকায় বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্যের আবেদনের খবরের কাটিং নিয়মিত সংগ্রহ করে এ বিষয়ে কিছু করার অনুরোধ করেন তিনি বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। প্রধানমন্ত্রীও কোন কোন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন।
শেখ রেহানা বলেন, এগুলো আমি নীরবেই করে যাই, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে কাউকে জানতে দেই না, মিডিয়ার খবর হিসেবেও তৈরি করি না এসব ইস্যুকে। বাংলানিউজের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি ঈদের শুভেচ্ছাও জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা।
দল বিরোধী অপপ্রচার বেড়েছে
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে অভিযোগ তুলে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এই অপপ্রচার এখনও অব্যাহত আছে। সম্প্রতি এর মাত্রা খুবই বেড়েছে।
তিনি বলেন, ভিত্তিহীন, মিথ্যা, অপপ্রচার চালিয়ে জনগণের মধ্যে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা মোকাবেলায় দলকে আরও সচেষ্ট হতে হবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান শেখ রেহানা। বাংলানিউজের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি ঈদের শুভেচ্ছাও জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা।
কেউ থ্রেট মনে করেন না
শেখ রেহানা বলেন, নেতাদের সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। ছোট থেকেই আমি তাদের সম্মান করে আসছি, এটি তারা দেখছেন। কেউ কোন ভুল করলে আস্তে করে সেটাও তাকে ধরিয়ে দেই। আমাকে নেতাদের কেউই থ্রেট মনে করেন না। অনেকেই চান দলে আমি সক্রিয় হই ও নির্বাচনে এমপি হই।
বাংলানিউজ আর্কাইভের জন্য বঙ্গবন্ধুর কিছু দুর্লভ ছবি
সাক্ষাৎকার শেষে বঙ্গবন্ধুর কিছু দুর্লভ ছবি বাংলানিউজ আর্কাইভের জন্য হস্তান্তর করেন শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও পারিবারিক ইভেন্টসের এসব ছবি শীর্ষস্থানীয় নিউজ মিডিয়া বাংলানিউজের আর্কাইভের জন্যই তিনি কপি করে নিয়ে এসেছেন বলে জানান বাংলানিউজ প্রতিনিধিকে। প্রায় সময়ই তিনি বাংলানিউজ ভিজিট করে দেশের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন বলেও জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৩
--
দেশে বিদেশে বাঙ্গালীরা এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ গুনুমুগ্ধ ভক্ত গন
সুখে থাকুন, ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু
শুভেচ্ছান্তে
Engr. Shafiqur Rahman Anu
__._,_.___