Mr. Mohammad Hossain
1. As I have read in history, a section of NSF supported all party
students' 11-point demands (Sarbadaliya Chhatra Sangram Parishad).
NSF's Nazim Kamran Choudhury (GS-DUCSU during 11-point
movement) and Mahbubul Haque Dolon signed on behalf of this
section of NSF.
2. For your concern " I have no idea what Mr. Kader Siddiqi/ Bangabir Kader
Siddiqui tried to spread " please note that this discussion thread is not
about Bongobir Kader Siddiqui's heroism during 1971 liberation
war. Please read :
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অপপ্রচার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম হত্যা -
[ http://www.khabor.com/?p=7803 ] in this context.
[ the author writes: "এদের মধ্যে একজন হলেন মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়ে
বর্তমানে মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি সোচ্চার টাঙ্গাইলের কাদের সিদ্দিকী।
কাদের সিদ্দিকিকে নিয়ে এর আগেও আমি লিখেছি। কারণ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে অনেক কাছে
থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের তত্কালীন সভাপতি, ৭১ মুক্তিযুদ্ধে
কাদেরিয়া বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নুরুল ইসলাম নুরু ভাইয়ের মাধ্যমে আমার পরিচয় হয়
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাথে। একসময়ে বঙ্গবন্ধুর স্নেহের পুত্র বলে দাবিদার টাঙ্গাইলের বাকশাল
গভর্নর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কাছ থেকে নুরু ভাই সম্পর্কিত একটি প্রশ্ন রেখেছিলাম। কিন্তু
তিনি আমার সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মিডিয়ায় বিভিন্ন লেখায় একের পর এক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক
দল আওয়ামী লীগ ও তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অপপ্রচার, মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন।
কাদের সিদ্দিকীর কাছ থেকে এধরনের অশালীন ও আক্রমানত্মক বক্তব্য কখনই আশা করা যায় না।
তিনি নাকি আবার নিজেকে বঙ্গবন্ধুর স্নেহের পুত্র হিসেবেও দাবি করেন। ...... .......
সৈয়দ নুরুল ইসলামের নামটাই বা কেন অতো ছোটো করে লিখলেন? যতটুকু জানি পাহাড়ের যুদ্ধে
সৈয়দ নুরুল ইসলামের স্থান ছিল আপনার পরেই। এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ যোদ্ধা সম্পর্কে কিছুই
লিখলেন না? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কিছু? শ্রদ্ধেও কাদের সিদ্দিকী সার, একটা কথা
আজ আমার খুব বেশি করে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, ১৫ আগস্টের পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নেওয়ার
জন্য গড়ে উঠা পাহাড়ের যুদ্ধে কামাল ভাইয়ের একনিষ্ট সহচর ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি,
এমনকি আপনারও অত্যন্ত প্রিয় ও স্নেহের মানুষ বলে পরিচিত সৈয়দ নুরুল ইসলামকে কে, কারা
এবং কেন হত্যা করা হয়েছিল সেদিন? বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর পুত্র বলে দাবিদার
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কাছে এই উত্তরটুকু পাওয়ার আশা কি আমি করতে পারি না`?"....
....... " --- মহিবুল ইজদানী খান :
Thanks for your patience;
Syed Aslam
2013/9/4 Mohammad Hossain <mhossain52@yahoo.com>
1970 election was a move to achieve our rights to achieve a political gain on the basis of population of Pakistan means sharing of budgets/power/jobs/ etc and obtain our own currency which were supported by 99% of Bangladeshi, 11b points demand mass movement(all parties except Jamat/ Muslim Leaguse, all student fronts except NSF, Islami shibir) and AL lead the movement based on 6 points demands. Anti Pakistani movement was so high/successful that all regardless of age, political views, labours, farmers, women folks of the then East Pakistani fought against the Pakistani Rulers which eventually turned out as the fight to create an independent state. The creation of BD was the result of all out national movement(all party move except Jamat and Muslim League). When Sheik Mujibar Rahman was in a power sharing meeting with the then PAk President Gen Yahia Khan in Dhaka who betrayed our leader and asked the army to attack Bengalis on the night of 23rd March 1971. I have no idea what Mr. Kader Siddiqi/ Bangabir Kader Siddiqui tried to spread. He had a very heroic role in the war, all knew about it.
Sent: Monday, September 2, 2013 6:19:19 PM
Subject: [KHABOR] বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অপপ্রচার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম হত্যা ...... Reply to Mr. Mohammad Jubair !
Mr. Mohammad Jubair
You are wrong. Please do some homework before making some arbitary comments without knowing the actual history: See the tables below:
You bet!!!!!!! Jamat was the 2nd majority at 70's election with 6% and 3% of the the total votes castin the national and provincial assembly respectively.Interestingly enough, "How did you forgot about Muslim League, Nazam- e-Islam, PDP..."in their actual performance in 1970 national and provincial elections ....!!!!!!
Syed AslamPS: ধর্ম ব্যবসায়ী বকধার্মিকরা অধর্মের কাজ করে আমাদের শোনায় ধর্মের বাণী। আমরা ধর্মবিরোধী নই। মুসলমান হিসেবে আমরা সবাই আল্লাহর একাত্দবাদে বিশ্বাসী। ফরজ নামাজ আদায় করি প্রতিদিন পাঁচবার। তবে আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতির করার বিরোধী। ধর্মকে ব্যবহার করে ব্যবসা করার বিরোধী। আজ রাজাকার-আলবদর- আলশামস ও তাদের প্রতিভূরা নিরীহ শান্ত বাঙালিদের ধর্মীয় কুসংস্কারের ক্যাপসুল খাইয়ে উন্মত্ত করে তুলতে চাচ্ছে। উন্মত্ততা থেকে আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। আমরা চাই একটি সুখী-সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ। আমরা চাই একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের অবিলম্বে ফাঁসি চাই। আমরা চাই রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ। [ মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু ]Also read:অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাইমহিবুল ইজদানী খান ডাবলু
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
to: chottala@yahoogroups.com date: Mon, Sep 2, 2013 at 8:36 AM subject: RE: [chottala.com] বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অপপ্রচার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম হত্যা Mr. Aslam
You are wrong.
Jamat was not 2nd majority at 70's election , not even close to any minor party...
How did you forgot about Muslim League, Nazam- e-Islam, PDP...
Jashod was not make up of Jamat and its supporters. LOL
Mr. Aslam
Go to Indian border(only border with Bangladesh) they will shoot at you at like a Spiro or simply call you a Goro chur.
Come to Bangladesh, we will welcome you as Bangladeshi only if you respect the religion of majority along with religion of minority.
From: Syed.Aslam3@gmail.com
To: chottala@yahoogroups.com
Date: Sat, 31 Aug 2013 01:52:18 -0400
Subject: [chottala.com] বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অপপ্রচার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম হত্যাবঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অপপ্রচার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম হত্যা - See more at: http://www.khabor.com/?p=7803#sthash.VimcbUb9.dpuf
মহিবুল ইজদানী খান : ৭০ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্টতা পেলেও তত্কালীন পূর্ব পাকিস্থানের প্রায় প্রতিটি আসনে জামায়তে ইসলামের অবস্থান ছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয়। পরবর্তীতে জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানের পক্ষে অবস্থান নেয়। তারা পাকিস্থানকে টিকিয়ে রাখার জন্য সৃষ্টি করে রাজাকার, আলবদর, আলসামসসহ বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনী। এসকল বাঙালী বাহিনী পাকিস্থানীদের সাথে হাত মিলিয়ে হত্যা করে লক্ষ্য লক্ষ্য বাঙালীকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এরাই আবার আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী নুতন প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল জাসদের ছত্র ছায়ায় এসে আস্থানা গাড়ে এবং নানা ধরনের ধংসাত্মক কাজে সক্রিয় হয়। কারণ এইসময় তাদের আওয়ামী লীগ বিরোধী একটি স্তম্বের প্রয়োজন ছিল। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একশতভাগ বাঙালী ঝাপিয়ে পড়েনি। জামায়াত ও মুসলিম লীগসহ ইসলামপন্থী দলগুলো পাকিস্থানকে টিকিয়ে রাখার জন্য বাঙালীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলো।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জামায়াতে ইসলাম হটাত করেই আবার সক্রিয় হয়ে উঠে। কারণ এইসময় ক্ষমতায় এসে প্রথমে খন্দকার মোস্তাক তারপর জেনারেল জিয়াউর রহমান ও সবশেষে জেনারেল হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ পাকিস্থানী কায়দায় বাংলাদেশে রাজনীতির নুতন সূত্রপাত করেন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে দুরে সরে এসে ধর্মীয় রাজনীতিকে তারা জনগনের মাঝে প্রচারের মধ্য দিয়ে এক মিথ্যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা শুরু করেন। জাতিকে এই ভুল পথে পরিচালনার জন্য দায়ী জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ, রাজাকার ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি।জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জামায়াত ও মুসলিম লীগ নেতাদের নিজ নিজ স্বার্থে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন। ৭০ নির্বাচন ও পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা একদিন পাকিস্থানকে রক্ষার্থে বাঙালীদের বিপক্ষে অবস্থান করেছিল তারা এই দুই জেনারেলের সহযোগিতায় আবার রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ করে নেয়। এরা কখনো বাংলাদেশ চায়নি অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে খালেদা জিয়া এদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। ভবিষ্যতে যদি কোনদিন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার সুযোগ পান তাহলে যুদ্ধপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়ে এসকল রাজাকারদের মুক্ত করে মন্ত্রিত্বের আসনে আবারও হয়তো বসাবেন। ৭০ নির্বাচনে যে জামায়াতে ইসলামীর ভোটের সংখা ছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে এখন এরাই বিএনপিকে স্তম্ব করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে এক কাতারে এসে দাড়িয়েছে।পচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে যাদের জন্ম তাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার কথা নয়। কারণ সামরিক ছাউনী থেকে প্রতিষ্ঠিত নুতন রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ সুবিধাবাদী বামপন্থী রাজনীতিবিদ, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী আমলা ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি রাজাকারদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়াতে এরা নিজেদের স্বার্থে ইতিহাসকে বিকৃত করে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ক্ষমতায় এসে সাথে সাথে স্বাধীনতার ইতিহাসের পাতায় আঘাত করে। স্বাধীনতার ইতিহাসকে নিয়ে নানা মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। এইসময় তারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিয়েও নানা কাল্পনিক গল্প প্রচার করে যার কোনো বাস্তবতা ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ এসকল স্বাধীনতার শত্রুদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন। তারা নিজেদের স্বার্থে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বিভক্ত করেছেন, মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে জনগনকে বিভ্রান্ত করেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামকে প্রশ্নাতীত করেছেন। এদের এই মিথ্যা অপপ্রচার কখনো থেমে থাকেনি বরং নুতন নুতন মিথ্যাচারীরা এসে এই কাতারে সামিল হয়েছে। এমনকি কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধাও নিজেদের স্বার্থে এসকল অপপ্রচারে এসে সামিল হয়েছেন। এরা এখন মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের আদর্শের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে।এদের মধ্যে একজন হলেন মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়ে বর্তমানে মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি সোচ্চার টাঙ্গাইলের কাদের সিদ্দিকী। কাদের সিদ্দিকিকে নিয়ে এর আগেও আমি লিখেছি। কারণ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে অনেক কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের তত্কালীন সভাপতি, ৭১ মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নুরুল ইসলাম নুরু ভাইয়ের মাধ্যমে আমার পরিচয় হয় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাথে। একসময়ে বঙ্গবন্ধুর স্নেহের পুত্র বলে দাবিদার টাঙ্গাইলের বাকশাল গভর্নর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কাছ থেকে নুরু ভাই সম্পর্কিত একটি প্রশ্ন রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি আমার সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মিডিয়ায় বিভিন্ন লেখায় একের পর এক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অপপ্রচার, মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। কাদের সিদ্দিকীর কাছ থেকে এধরনের অশালীন ও আক্রমানত্মক বক্তব্য কখনই আশা করা যায় না। তিনি নাকি আবার নিজেকে বঙ্গবন্ধুর স্নেহের পুত্র হিসেবেও দাবি করেন।একসময়ের সক্রিয় আওয়ামী লীগার মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান ও সুর পাল্টানোর কারণ হলো তিনি আজ আওয়ামী লীগ থেকে বিতাড়িত। টাঙ্গাইলের জাতীয় সংসদের পদও তিনি হারিছেন। টাঙ্গাইলের মানুষ এখনো ভুলেনি দেশ স্বাধীনতার পর সেখানকার ভয়ংকর কার্যকলাপের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু সরকারের দেওয়া মোহাম্মদপুর বাবর রোডের এক দ্বিতল অট্টালিকায় বসবাস করলেও টাঙ্গাইলের রাজনীতি নিয়ে কাদের সিদ্দিকী মাথা ঘামাতেন একটু বেশি। একসময়ের টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কাদের সিদ্দিকিকে হারিয়ে জয়লাভ হওয়া আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত মোমিন শাহজাহান ভাই এবেপারে নিশ্চই আরো ভালো জানবেন। কাদের সিদ্দিকীর মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ও তার অতীত নিয়ে এইমুহুর্তে শাহজাহান ভাইয়ের এগিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ শাজাহান ভাই ভালো করেই জানেন স্বাধীনতার পরবর্তীতে ঐসময় টাঙ্গাইলে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কি কি ঘটনা ঘটেছিল।বাংলাদেশের সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি রাজাকারদের মতো হটাত করে মিথ্যা ইতিহাস প্রচারে মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর এই অবস্থানের পেছনে নিশ্চই কোনো স্বার্থ লুকিয়ে আছে। কর্নেল অলি একসময় বলেছিলেন বিএনপি রাজাকারদের সাথে ও পরিবারতন্ত্রের মুল্য দেওয়াতে তার দল এল ডি পি হবে বিএনপির ত্রাস। অথচ আজ তিনি সবকিছু পাল্টিয়ে ক্ষমতা পাওয়ার আশায় আবার সেই বিএনপির কোলে এসে বসেছেন। ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগের আমলে কাদের সিদ্দিকীর ঠিকাদারী বানিজ্যে ঘাটতি ধরাতে ও দল থেকে বিতাড়িত হওয়ার কারণে জেনারেল জিয়াকে মুক্তিযুদ্ধের হিরো বানিয়ে রাজাকারদের পাশে বসে হয়তো তিনি ভবিষ্যতে কিছু পাওয়া কিংবা কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তা না হলে নিজেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল দাবি করে কখনো জেনারেল জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক ও রাজাকারদের মতো বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করবেন কেন? কেনই বা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধর্ম নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে নিজেকে সোচ্চার করবেন? সত্যি ইতিহাস কি অদ্ভুত।জামায়াত ও রাজাকার ও বিএনপির সাথে সুর মিলিয়ে একসময়ের মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর সর্বশেষ মিথ্যাচার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মসজিদে নাকি গান বাজবে। বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও ৯১ পরবর্তীতে জনগনকে বিভ্রান্ত করতে গিয়ে বলেছিলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মসজিদে মসজিদে উলোধনী শুরু হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে দুবার, কিন্তু এখন পর্যন্ত মসজিদে উলোধনী হতে আমরা দেখিনি। বিএনপি নেত্রীর সাথে সুর মিলিয়ে আজ কাদের সিদ্দিকী ধর্ম ভিরু বাঙালী জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। বলছেন আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় গেলে মসজিদে নাকি আজানের পরিবর্তে বাজবে গান। কি জঘন্য মিথ্যাচার! ঠিক একইভাবে সাবেক আমলা ও মন্ত্রী বিএনপি নেতা এম কে আনওয়ারও সেদিন বললেন আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় গেলে মসজিদের আজান না কি বন্ধ হয়ে যাবে? মিথ্যাচারের সকল সীমানা তারা অতিক্রম করেছেন বলতে হয়।সম্প্রতি পচাত্তরের পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নেওয়ার জন্য পাহাড়ের যুদ্ধ নিয়ে বেশ কয়েকজন যোদ্ধার নাম তুলে ধরেছেন কাদের সিদ্দিকী। বন্ধু নসুর নাম লিখতে ভুলে গিয়ে তার সম্পর্কে পরবর্তীতে লিখেছেন বয়স হওয়ার জন্য নাকি তার নাম উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন। নসু আমার বন্ধু। একসময় সুইডেন বেড়াতে এসে আমার বাসায়ও এসেছিল। নশুকে আমি চিনি সেই বাহাত্তর থেকেই। সুইডেনে এসে পাহাড়ের যুদ্ধের অনেক কথায় আমার সাথে আলাপ করেছে নসু। এখানে কাদের সিদ্দিকীর কাছে আমার প্রশ্ন নশুকে নিয়ে নয়। সেদিনের সেই পাহাড়ের যুদ্ধের আরো অনেক বড় বড় প্রধান বেক্তির নাম আপনি গোপন করে গেলেন কেন? তার পেছনে নিশ্চই কোনো কারণ আছে? নাকি এটাও বয়সেরই দোষ? আপনার কি মনে নেই আব্দুস সামাদ পিন্টু, আব্দুর রউফ শিকদার, মোহাম্মদ ইউনুস, মোবারক হোসেন সেলিমের কথা? সৈয়দ নুরুল ইসলামের নামটাই বা কেন অতো ছোটো করে লিখলেন? যতটুকু জানি পাহাড়ের যুদ্ধে সৈয়দ নুরুল ইসলামের স্থান ছিল আপনার পরেই। এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ যোদ্ধা সম্পর্কে কিছুই লিখলেন না? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কিছু? শ্রদ্ধেও কাদের সিদ্দিকী সার, একটা কথা আজ আমার খুব বেশি করে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, ১৫ আগস্টের পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নেওয়ার জন্য গড়ে উঠা পাহাড়ের যুদ্ধে কামাল ভাইয়ের একনিষ্ট সহচর ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি, এমনকি আপনারও অত্যন্ত প্রিয় ও স্নেহের মানুষ বলে পরিচিত সৈয়দ নুরুল ইসলামকে কে, কারা এবং কেন হত্যা করা হয়েছিল সেদিন? বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর পুত্র বলে দাবিদার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কাছে এই উত্তরটুকু পাওয়ার আশা কি আমি করতে পারি না`?সবশেষে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের কাছে আমার একটা প্রশ্ন, পাহাড়ের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার পরও কি আপনি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকিকে সঠিকভাবে চিনতে পারলেন না? সেদিনের পাহাড়ের যুদ্ধ হটাত করে মাঝ পথে এসে কেন থেমে গেল সে কারণ আমার চেয়ে আপনার ভালো করেই জানা আছে। আজ আপনি যে পথে হাটতে চলেছেন সে পথ আপনার পথ নয়। কাদের সিদ্দিকী, ডক্টর কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না ও হটাত করে রাজনীতির স্বপ্ন দেখা ডক্টর ইউনুসের পথ আপনার জন্য নয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এই দুই রাজনৈতিক দল ছাড়া অন্য কোনো জোটকে জনগণ কখনো গ্রহণ করবে কি না সন্দেহ রয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বকে সামনে রেখেই চলবে বাংলাদেশের ভবিষ্যত রাজনীতি। এই বাস্তবতাকে আমাদের মানতেই হবে।লেখক: মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু, জুরি সদস্য স্টকহলম ইমিগ্রেশন কোর্ট ও স্টকহলম হাই কোর্ট- See more at: http://www.khabor.com/?p=7803#sthash.VimcbUb9.dpuf
__._,_.___