ন্যায়বান রেফারির অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমস্যা কি?
18 Sep, 2013
বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির পেছনে বিচারকদের দায় আছে উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, জজ সাহেবরা রায় ঘোষণার পর ১৬ মাস দেরি করেছেন পূর্ণাঙ্গ রায় দিতে। জামায়াতের রায়তো সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দিয়েছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিচারপতি খায়রুল হকের দেয়া রায়ের মূল স্পিরিট কেউ গ্রহণ করেনি। এখন তাদের উচিত স্বপ্রণোদিত হয়ে (সুয়োমোটো) সংকট উত্তেরণের পথ বলে দেয়া। মানবজমিন অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের পর তাদের নিষিদ্ধ করতে আইন পাস করতে গড়িমসি করছে সরকার। আর তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে রায় প্রকাশের আগেই সংবিধান সংশোধন করে ফেললেন!। নির্বাচন কমিশন আজ্ঞাবহ না হলে এখনতো তাদের বলা উচিত জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল বিষয়ে আইন নেই। ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থনগর হাসপাতালের নিজ কার্যালয়ে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ফেলানী হত্যাকাণ্ডের অন্যায় বিচারের প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনের রাস্তার নাম 'কিশোরি ফেলানী সড়ক' করার জোর দাবি জানান। এ সময় তিনি কথা বলেন, আগামী নির্বাচনের ব্যবস্থা, দেশের সার্বিক রাজনীতি ও উন্নয়নের নানা অনুসঙ্গ নিয়ে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারে নির্বাচিত ব্যাক্তিদের কথা বলা হচ্ছে। জজ সাহেবরা তো নির্বাচিত না। কিন্তু তাদের ওপর মানুষের বিশ্বাস আছে। আমেরিকাতে জজ সাহেবদেরকেও সংসদের মাধ্যমে পাশ করিয়ে নিতে হয়। সেখানে জজ হওয়ার আগে তাদের বায়োডাটা সংসদে পেশ করা হয়। তারপরও যদি প্রয়োজন হয়, পার্লামেন্টের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে পারলে নির্দলীয় ব্যাক্তিরাওতো সেখান থেকে নির্বাচিত হতে পারেন। আজকে ৬৫ শতাংশ সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী। তারা ভোট কিনতে পেরেছেন বলে সম্মানিত হয়ে গেলেন। আর অন্যকেউ সম্মানিত না? গণতান্ত্রিক না? এটা হতে পারে না। সবাইকে যুক্তিবাদী হতে হবে। একজন নির্বাচিত হলেই তিনি গণতান্ত্রিক হয়ে যান না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মানেটা হল আসলে একজন ন্যায়বান রেফারি। শেখ হাসিনাতো নিশ্চয়ই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চান। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জিতবে না এই ভয় কেন? জয়ের জরিপ অনুসারে তারা নাকি জিতে যাবেন তাহলে একটা ন্যায়বান রেফারির অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের সমস্যা কি?
__._,_.___