Banner Advertiser

Wednesday, September 25, 2013

[mukto-mona] ১৪ বছরের এক বিলেতি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ধর্ষণে সেঞ্চুরিয়ানদের দেশ থেকে আগত এই যুবক



তের নম্বর উপদেশ এবং দেশে দেশে ডুমুরের ফুল

বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০৩:১২ অপরাহ্ন


মিনার রশীদ

যুক্তরাজ্যের সাউথ টাইনসাইড কলেজ। মেরিটাইম শিক্ষায় পৃথিবীর প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। এক সময় এই প্রতিষ্ঠানটিতেই উপমহাদেশের বেশির ভাগ মেরিনার লেখাপড়া করতে যেতেন। এই প্রতিষ্ঠানের এক বাংলাদেশী ছাত্র কয়েক দিন আগে সারা যুক্তরাজ্যে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। ১৪ বছরের এক বিলেতি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ধর্ষণে সেঞ্চুরিয়ানদের দেশ থেকে আগত এই যুবক। এটা নিয়ে সারা যুক্তরাজ্যে হইচই পড়ে গেছে। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত অনেক বাংলাদেশী বর্ণবাদী হামলারও শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশের অন্যরা এ জন্য দায়ী না হলেও ধর্ষণের দায়টি সেখানকার সবাইকেই পোহাতে হচ্ছে। খবরটি পড়ে যতটুকু জানতে পেরেছি, ১৪ বছরের মেয়েটি প্রেগন্যান্ট হয়ে যাওয়াতেই এ বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়েছে। মেয়ের মা মামলা ঠুকে দিয়েছেন। এই কিসিমের গণ্ডগোল আমাদের সময়ে বা তার আগের জমানাতেও হয়েছে। যেসব মেয়ের বয়স, চেহারা ও ফিগার ঠিক থাকত, সেসব বিলেতি মেয়ে উপমহাদেশের এই কিসিমের শিকারিদের জন্য অধরাই থেকে যেত। কিছুটা বয়স্কা এবং বড় বড় সন্তানসহ বেঢপ সাইজের সাদা চামড়ার সিঙ্গেল মহিলারাই এসব শিকারির জন্য অ্যাভেইলেবল থাকত। অর্থাৎ বিলাতের প্রেমের হাটগুলোতে উপমহাদেশের এই প্রেমিকেরা ছিল এক ধরনের 'টোকাই'। সে হাটে মূল সওদাটি মা হলেও অনেক সময় টিনএজ মেয়েটি হয়ে পড়ত মূল্যবান 'ফাও'। তখন মা আর মেয়ের বয়স গড় করলে প্রেমিক পুরুষটির বয়সের সমান হতো। 'কী আনন্দ আকাশে বাতাসে'র মাঝে ছন্দহীন প্রতিশোধ নিয়ে বসত খেয়ালি প্রকৃতি। টিনএজ মেয়েটি অনেক সময় প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ত। ভাগ্য ভালো হলে কেটে পড়া সম্ভব হতো। অবস্থা বেশি বেগতিক হয়ে পড়লে সেই গার্লফ্রেন্ডকেই নাকে খত দিয়ে শাশুড়ি বানাতে হতো। দু-একজন এভাবে বানিয়েছেন। তার পরও বলা যায়, আগের কালের শিকারি বা সোনার ছেলেদের হুঁশজ্ঞান বা বুদ্ধিসুদ্ধি একটু বেশি ছিল। বর্তমান জমানার ছেলেদের আক্কেলজ্ঞান বা বুদ্ধিসুদ্ধিতেও বোধহয় টান পড়েছে। বাপ-দাদার নাম তো ডুবিয়েছেইÑ পুরো স্বদেশবাসীকেও ভয়ানক বিপদে ফেলেছে। কিছু দিন আগে ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল উচ্চশিক্ষার জন্য প্রবাসে যেতে প্রস্তুত ছাত্রদেরকে গুনে গুনে এক ডজন উপদেশ দিয়েছেন। প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা প্রবাসে গিয়ে লোটা-বদনা কিংবা তার বিকল্পগুলো কিভাবে ব্যবহার করবেন দয়ার্দ্র এই শিক্ষক একটু কায়দা করে উপদেশের ডজনে তা-ও ঢুকিয়ে দিয়েছেন। তবে ১৪ বছরের মেয়েদের প্রেগন্যান্ট বানিয়ে ফেলার এই ১৩ নম্বর উপদেশটি রাখতে ভুলে গেছেন। জঙ্গি কেসে আমেরিকায় আটক নাফিসকে নিয়ে আফসোস করলেও এই সোনার ছেলেটির পরিণতি নিয়ে ভবিষ্যতে সামান্য আফসোস হবে বলে মনে হয় না। কারণ এটি তাদের 'আউট অব সিলেবাস'। দেশের মিডিয়াও সঙ্গত কারণেই সংবাদটিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। তবে ১৩ নম্বরের উপদেশটিকে 'টু হুম ইট মে কনসার্ন' হিসেবে আজকের আর্টিকেলটিতে যোগ করলে অপ্রাসঙ্গিক হবে না। সেই সাউথশিল্ডে থাকতে পরিচয় হয়েছিল এক ব্রাদারের সাথে। নাম ছিল তার ব্রায়ান। জেহোভাস উইটনেস নামে খ্রিষ্টধর্মের একটি উপশাখার সদস্য। আশি বা নব্বইয়ের দশকে যেসব মেরিনার সাউথশিল্ডে পেশাগত সনদের জন্য গেছেন তাদের অনেকের সাথেই হয়তো বা এই ব্রায়ানের দেখা হয়েছে। ওর বয়স তখন ৪০ পার হয়ে গেছে। নিজের বাবা-মায়ের প্রতি ব্রায়ানের সেবা ও আনুগত্য দেখে আমরাও অবাক হয়ে যেতাম। আমাদের কোনো পার্টিতে ব্রায়ানকে দাওয়াত দিলে বলত, আমি কি আমার মাকে সাথে নিয়ে আসতে পারি? এমন জমানায় এই ছেলে পেয়ে ওর বাবা-মা যারপরনাই গর্বিত ছিলেন। ওদের চার্চে ব্রাদার-ফাদারদের জন্য বিয়ে করা নিষিদ্ধ ছিল না। তার পরও বিয়ে করছে না। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে বলত, 'অল দ্য লেডিস অ্যারাউন্ড আর করাপটেড।' অর্থাৎ আশপাশের সব মেয়েই নৈতিকভাবে স্খলিত। ওই সময়ের একটি সার্ভে রিপোর্টেও এমন কথা বলা হয়েছিল। একজন ব্রিটিশ নারী নাকি পুরো জীবনে গড়পড়তা আট থেকে দশজন পুরুষকে শয্যাসঙ্গী করে নেয়। আমরা ব্রায়ানকে ঠাট্টা করে বলতাম, সতী নারী তোমাদের এখানে ডুমুরের ফুল হয়ে পড়েছে। কাজেই এটা চাইলে তোমাকে ওয়েস্টে পড়ে না থেকে ইস্টে যেতে হবে ব্রাদার। আমাদের কথা শুনে মাথা নাড়াত ব্রায়ান। ধর্ম ও সমাজ নিয়ে আলোচনায় বসে ও দেখিয়ে দিত, আমাদের জীবনখানা কিভাবে বারোআনা মিছে হয়ে পড়েছে। তখন এ ব্যাপারটি তুলে ধরে আমরা দেখিয়ে দিতাম, ওদের জীবনখানা কেমন করে ষোলআনা মিছে হয়ে গেছে। ব্রায়ানের মতো দু-একজন ব্যতিক্রম কখনোই উদাহরণ হতে পারে না। সাম্প্রতিক এক সংবাদ থেকে জানা গেল, পূর্ব ইউরোপের জর্জিয়ায় কিছু কিনিক নারীদের জন্য সতীত্বের সার্টিফিকেট ইস্যু করছে। এ ধরনের একটি সার্টিফিকেটের জন্য খরচ পড়ে ৬৯ ডলার। আর এই রিপোর্ট তাড়াতাড়ি পেতে চাইলে ডাবল খরচ করতে হবে। সামাজিকভাবে কিছু চার্চ- গ্রুপ এই বিষয়টিকে প্রমোট করছে। আর ব্যক্তিগতভাবে যারা এই সার্টিফিকেট সংগ্রহ করছেন, তাদের বেশির ভাগই হলেন হবু বরদের জননী। শ্বশুরদের চেয়ে এই সার্টিফিকেট সংগ্রহে শাশুড়িদের আগ্রহটি এ ব্যাপারে স্পর্শকাতর, নারী নেত্রীরা একটু নোট করে রাখতে পারেন। সঙ্গত কারণেই ওখানকার নারীবাদী সংগঠনগুলো এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্ল্যাকার্ড হাতে কিনিকটির সামনে দাঁড়িয়ে যারা প্রতিবাদ করছিলেন, তাদের প্রায় সবাই তরুণী। তাদের যৌক্তিক দাবিটি হলো, মেয়েদের জন্য এই টেস্ট থাকলে ছেলেদের জন্য একই ধরনের টেস্ট নেই কেন? এ ধরনের সমাবেশগুলোতে আমাদের দেশে অনেক হৃদয়বান পুরুষকে হয়তো প্ল্যাকার্ড হাতে বা ব্যানারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত। সে ধরনের কোনো জর্জিয়ান মহাপুরুষ সেই প্রতিবাদ সমাবেশটিতে বিলকুল অনুপস্থিত ছিলেন। শাশুড়ি বয়সের কোনো নারী সেখানে চোখে পড়েনি। ওই সমাবেশে যে তরুণীরা দাঁড়িয়েছিলেন, কেন যেন মনে হচ্ছে আরেকটু বয়স হলে তাদের কেউ কেউ এমন সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য ওই কিনিকেই ধরনা দেবেন। পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটিকে প্রকৃতি যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে চায়। প্রকৃতির উৎকৃষ্টতর সৃষ্টি নারীর ওপরই প্রকৃতির প্রত্যাশা একটু বেশি। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানেও জানা গেল, দাম্পত্যজীবনে নারীদের চেয়ে পুরুষেরাই বেশি অবিশ্বস্ত। কাজেই কোনো সমাজে এই নারীকে ঠিক রাখলেই বেয়াড়া পুরুষও ঠিক হবে। তখন প্রকৃতির সবচেয়ে মূল্যবান অ্যাসেট, পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটি ঠিক থাকবে। এইডস রোগের আবির্ভাবকে অনেকেই প্রকৃতির সেই প্রচেষ্টা হিসেবেই দেখে থাকেন। কাজেই দাম্পত্যজীবনের নৈতিক স্বচ্ছতা নিয়ে একটা ক্ষীণ আওয়াজ পশ্চিমা সমাজেও এখন শোনা যাচ্ছে। পশ্চিমা সমাজে এই সতী নারী (সাথে সাথে একই ভাবধারার পুরুষ) যেমন ডুমুরের ফুল হয়ে পড়েছে; একইভাবে ডুমুরের ফুল হয়ে পড়েছে আমাদের সমাজে সৎ পলিটিশিয়ান। পশ্চিমা সমাজের ব্রায়ানদের জন্য আমরা এক ধরনের অনুকম্পা অনুভব করি। তেমনিভাবে ওরাও আমাদের 'জং' মার্কা এমপি এবং আবুল মার্কা মন্ত্রীর জন্য এক ধরনের কষ্ট অনুভব করেন। সে ধরনের একটা দরদ বা গরজ থেকেই জন্ম হয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর মতো কিছু সংস্থা। এর সমালোচকেরা মনে করেন, এভাবে বিদেশী খুদকুঁড়া খেয়ে নিজের দেশকে কখনোই দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হবে না। তার পরও ওরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। টিআইবির একটা রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, বর্তমান সংসদের শতকরা ৯৭ জন সদস্য অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জড়িয়ে গেছেন। সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের সংখ্যা কিংবা এ ব্যাপারে তাদের ভার্জিনিটি হারানোর সুযোগ সঙ্গত কারণেই কম। ফলে টিআইবির এই রিপোর্টের খোঁচাটি সরকারের গায়েই বেশি লেগেছে। ওদের দেশে গিয়ে ওয়াজ-নসিহত করে ওদের নারীদের আমরা সতী বানাতে পারব না। তেমনি আমাদের পলিটিশিয়ানদেরকে এ ধরনের কসরতের মাধ্যমে ওরা সৎ বানাতে পারবে না। এ ব্যাপারে তাদের নিজেদেরও কিছু মতলব থাকে। ওরা চায়, আমাদের নেতানেত্রী ওদেরকে কোনো অনৈতিক সুযোগ দিলেও জীবনের অন্য সব লেনদেনে থাকবে পুরোপুরি স্বচ্ছ। আধিপত্যবাদী মোড়লেরা চায় এমন কিসিমের সৎ নেতৃত্ব। কাজেই অমাদের নেতানেত্রীকে সৎ বানানোর কাজ ওদের ওপর ছেড়ে না দিয়ে এই কঠিন কাজটি নিজেদেরকেই করতে হবে। বাংলাদেশী এক অফিসার জাহাজ থেকে বাড়ি যাচ্ছেন। সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য তার এই আগমন বার্তাটি বাড়িতে গোপন রেখেছেন। এটা শুনে এক ইউরোপিয়ান কলিগ মর্মাহত হয়ে পড়েন। বলেন, 'তোমার এই অ্যাকশন প্ল্যানটি খুবই অন্যায় হচ্ছে। তোমার স্ত্রী অন্য কারো সাথে এনগেজড থাকতে পারে। কাজেই তাকে এভাবে বিব্রত করা অন্যায় হবে। ' বাংলাদেশী এক বধূর জন্য ইউরোপিয়ান নাবিকের দরদটি উপভোগ করে তার এই কথা শুনে মুচকি হাসে। বলে, 'আমাদের জীবনে অনেক অনিশ্চয়তা থাকলেও একটি ব্যাপারে আমরা এখনো শতভাগ নিশ্চিত; ভাগ্য খুব বেশি খারাপ না হলে আমাদের বউরা আমাদেরকে সহজে ছেড়ে যায় না।' ইউরোপিয়ান নাবিককে পাল্টা প্রশ্ন করে, 'ধরো, তোমার স্ত্রীকে ঠিকই আগমন বার্তা পাঠিয়েছ; কিন্তু কোনো কারণে সেই নাগর বাসা থেকে যেতে পারল না। জাহাজ থেকে বাড়ি গিয়ে বাসায় সেই নাগরকে এক্সিডেন্টালি দেখে ফেললে কী করবে? এসব দেশের মানুষের মধ্যে আর যাই থাকুক, ভনিতা একটু কম। কাজেই সহজভাবেই মনের সেই কথাটিও প্রকাশ করে দেয়, আই উইল কিক দ্য অ্যাস অব দ্যাট বাস্টার্ড। অর্থাৎ হারামজাদার পাছায় আচ্ছামতো লাথি দিয়ে তাড়াব। অর্থাৎ, ইউরোপের পুরুষেরা বাস্তব কারণে অনেক উদার হলেও এখনো শতভাগ দাইয়ুস হয়ে পড়েনি। দুই দেশের দু'টি ডুমুরের ফুলে চমৎকার মিল রয়েছে। আমাদের সামাজিক এবং পারিবারিক বিন্যাস ও মূল্যবোধ কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে। কাজেই স্বামীরা নোটিশ দিয়ে কিংবা বিনা নোটিশে যখনই বাড়ি যাক না কেন, এটা নিশ্চিত যে, কোনো নাগরকে অন্তত খাটের ওপরে দেখতে পাবে না। একইভাবে কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো তাদের পলিটিশিয়ান ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সৎ রেখেছে। ফলে তাদের দুর্নীতি দু-একটি ক্ষেত্রে টেবিলের নিচে থাকলেও কোনো ক্ষেত্রেই টেবিলের ওপরে ওঠেনি। অথচ আমাদের দুর্নীতি প্রায় সব টেবিলের ওপরেই উঠে গেছে। সামাজিক সন্ত্রাস ও দুর্নীতির সূচক বা ব্যারোমিটারের পারদটি একটা পয়েন্টে উঠে গেলে সেখান থেকে নামানো কঠিন। দিনবদলের স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসে বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে তছনছ করে ফেলেছে যে, এই অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া পরবর্তী যেকোনো সরকারের পক্ষেই কঠিন হবে। দুর্নীতি, দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি, সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। বিভিন্ন 'চেতনা'র নাম নিয়ে অনেক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বারোটা বাজিয়েছে। ঘরে ঘরে একটি চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য কারো চাকরি হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়ের পর এখন তাদের নাতিদের জন্যও কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। কোটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে দেশের তরুণসমাজ যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনে নামলে প্রধানমন্ত্রী তাদের হুমকি দিয়েছেন। সরকারের দম্ভ আজ এমনভাবে বেড়েছে যে তারা হুমকি ছাড়া কথা বলেন না। এভাবে দেশের প্রশাসনকে সত্যিকার অর্থেই করে ফেলা হয়েছে মেধাহীন ও অথর্ব। দেশের মানুষ হতাশ। নেতা ও কর্মী জোগানোর ফ্যাক্টরিটি বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রায় একই ধরনের। আর কেউ ক্ষমতায় এসে ম্যাজিক দেখিয়ে ফেলবে, এটাও মানুষ আশা করে না। আপাতত বাকশালের আপদটি মানুষ ঘাড় থেকে নামাতে চায়। মুক্ত বাতাসে মানুষ একটু নিঃশ্বাস নিতে চায়। তবে আওয়ামী রাজনীতির মতো কোনো অন্ধ আক্রোশ, অমুক-তমুকের হত্যার প্রতিশোধস্পৃহা ইত্যাদি কম বলে বিএনপির প্রতি দেশের মানুষের আস্থা এখনো একটু বেশি। 'চেতনা'র অনেক ভূতকে আওয়ামী লীগকে খাবার জোগাতে হয়। দেশের মানুষের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার সময় তাদের আসলেই কম। অন্যান্য সামাজিক বা নৈতিক ব্যায়াম প্রায় একই রকম থাকলেও প্রতিশোধস্পৃহা কিংবা বিভিন্ন চেতনায় মনটি কম আচ্ছাদিত থাকে বলে দেশ শাসনে মনোযোগ একটু বেশি দিতে পারে বিএনপি। কাজেই এতবার চুন খেয়ে মুখ পোড়ার পরও বেগম জিয়ার এই দই বা নতুন সরকারের ঘোষণা মানুষকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করেছে। ভবিষ্যতে নতুন ধারার সরকার গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন। এর কিছুটা রূপরেখা প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের বিশিষ্ট ইন্টেলেকচুয়াল ও প্রফেশনালদের নিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষে সংযোজন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের আদলে দক্ষ ও মেধাবী জনশক্তি দিয়ে সরকারি প্রশাসনের মূল কাঠামোটি সাজানো হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বলছে, বিএনপিকে এবার আগের চেয়ে ভালো না হয়ে উপায় নেই। কারণ মিডিয়া থেকে আওয়ামী লীগ যে প্রশ্রয় পেয়েছে বিএনপি তা কল্পনাও করতে পারবে না। কাজেই বিএনপির সামনে একমাত্র উপায় হলো, ভুল যথাসম্ভব কম করা; কোনো ভুল বা গলদ ধরা পড়ার সাথে সাথেই সংশোধন করে ফেলা। আমার মনে হয়, এ জন্য সিস্টেম যা-ই হোক না কেন, সর্বাগ্রে দরকার সর্বোচ্চ ব্যক্তির অদম্য ইচ্ছা। আর ইচ্ছা থাকলে উপায় একটা না একটা বের হয়ে আসবেই। কাজেই আর বড় বড় কথা নয়, আর কোনো চমক নয়। মানুষ দেখতে চায় কিছু কাজ। কাজ না করে শুধু চাপাবাজির মাধ্যমে পার পাওয়ার সময় শেষ হয়ে গেছে। মানুষ আজ অনেক সচেতন। কোনো কিছুই জনগণের কাছ থেকে আড়াল করা সম্ভব নয়। কাজেই ধর্মনিরপেক্ষ 'আবুল' বাদ দিয়ে জাতীয়তাবাদী 'আবুল' দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ কিংবা সংসদ ভরে ফেললে পরিণতি ভিন্ন হবে না। চল্লিশের ওপরে বয়স হয়ে গেলেও সাউথশিল্ডের সেই ব্রাদার নিজের জন্য যেমন নৈতিকভাবে পরিচ্ছন্ন কোনো মেয়ে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। স্বাধীনতার পরে আমাদের দেশটি আজ একই বয়সে উপনীত হলেও যথেষ্ট সংখ্যায় সৎ পলিটিশিয়ান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ যারা পলিটিক্স করেন তারা সৎ থাকেন না। আবার যারা সৎ থাকেন, তারা পলিটিকসে আসেন না কিংবা আসতে পারেন না। কারণ রাজনীতির বিরুদ্ধে ঘৃণা সৃষ্টি করা হয়েছে। কেউ কারো সাথে প্রতারণা করলে আমরা বলিÑ ওহ, আমার সাথে পলিটিক্স করা হচ্ছে। অর্থাৎ 'পলিটিক্স' শব্দটি হয়ে পড়েছে প্রতারণার নামান্তর। জানি না, এই দুষ্টচক্রটি কেমন করে ভাঙা যাবে? কারা ভাঙবে? কিভাবে ভাঙবে? কখন ভাঙবে? এই সুযোগে কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ রাজনীতিকেই সব অনিষ্টের মূল বলে তৃতীয় শক্তি সাজার পরিকল্পনা আঁটেন, স্বপ্ন দেখেন। সুশীল সুবিধাবাদীদের সেই স্বপ্ন জাতির জন্য একবার দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। সর্বশেষ কথাটি হলো, লেফট-রাইট যাই করি না কেনÑ রাজনীতিবিদদের দিয়েই দেশ চালাতে হবে। কাজেই সৎ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে সঠিক রাস্তা ধরেই। কারণ বেঠিক পথে কখনোই সৎ ও সাহসী মানুষ আসে না। এই বাঁকা পথে যারা আসেন, তাদের বেশির ভাগই সুযোগ সন্ধানী ও সুবিধাবাদী। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ক্ষমতার জন্য উতলা কোনো নেতৃত্ব বর্তমান সময়ে কাম্য নয়। অনেক নেতাকে দেখে মনে হচ্ছে, তারা একধরনের দাঁড়িয়াবান্ধা খেলা খেলে মঞ্জিলে মকসুদে পৌঁছতে চাচ্ছেন; কিন্তু পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে পুরো হা-ডু-ডু খেলাটি খেলেই তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে। অনুমিত হচ্ছে যে, দিল্লি, লন্ডন বা ওয়াশিংটন থেকে এক ডজন উপদেশ আসছে এ ধরনের দাঁড়িয়াবান্ধা খেলাটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য; কিন্তু এসব পরামর্শদাতার ডজনখানেক পরামর্শের পরে জনগণের তের নম্বর কামনাটি হলো নেতৃত্বের পক্ষ থেকে হা-ডু-ডু বলে একটা ডাক দেয়া। কাজেই গণতন্ত্রের এই হা-ডু-ডু খেলার জন্য সহ-খেলোয়াড়দের কোনোভাবেই নিস্তেজ করা যাবে নাÑ যেকোনো মূল্যে উজ্জীবিত রাখতে হবে। দরকার পড়লে ভীতু নন্দলালদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে হবে। নতুনদের সামনে এগিয়ে আসতে হবে। ময়দান এতটুকু প্রস্তুত হয়ে আছে যে, ঠিকভাবে হা-ডু-ডু বলে ডাক দিলেই বাকি কাজটুকু জনগণই করবে। ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে এই হা-ডু-ডু বলে হাঁক দেয়ার নেতৃত্ব সময়ই বের করে দেয়। এবারো সম্ভবত তার অন্যথা হবে না। minarrashid@yahoo.com


    __._,_.___


    ****************************************************
    Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
    Call For Articles:

    http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

    http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

    ****************************************************

    VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

    ****************************************************

    "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
                   -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




    Your email settings: Individual Email|Traditional
    Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
    Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
    Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

    __,_._,___