ঢাকা : বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্টের রাষ্টদূত ড্যান মজীনা বলেছেন, তার বিশ্বাস ডিজিটাল বিপ্লব বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন 'সোনার বাংলা' বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। তিনি আজ সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন কর্মসূচি সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।প্রযুক্তিই বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করার চাবিকাঠি একথা উল্লেখ করে ড্যান মজীনা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ডিজিটাল যুগে অনেক বড় বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে ৬৪টি জেলার ৪,৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদের সবক'টি ডিজিটাল নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশীরা ইতোমধ্যেই সরকারের প্রধান সেবাসমূহ বিশেষ করে ভূমি নামজারী, জন্ম নিবন্ধন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনসহ বিভিন্ন সেবা খাতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রবেশাধিকার লাভ করেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি এই মৌলিক সেবাসমূহ প্রদানের বিষয়টিকে আরো সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলেছে। বাংলাদেশের এই অগ্রগতি অত্যন্ত চমৎকার বলে মার্কিন রাষ্টদূত উল্লেখ করেন।বাংলাদেশ ইতিহাসের অংশ হয়ে উঠছে উল্লেখ করে ড্যান মজীনা বলেন, এ মহান জাতি উদ্যম ও সৃষ্টিশৈলীর সঙ্গে বৈশ্বিক পরিবর্তন ও বিপ্লবে সামিল হচ্ছে, যা ডিজিটাল প্রযুক্তির শক্তি দ্বারা চালিত।
তিনি বলেন ,আমেরিকা বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নে অংশীদার হওয়ায় এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডিজিটাল উদ্ভাবকদের জন্য এ ক্ষুদ্র অনুদান সম্ভবপর করছে এজন্য তিনি আনন্দিত।আমেরিকান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফ্ট, ডেল, ইন্টেল এবং আরো অন্যান্য সংগঠন যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে তাদের প্রতি অভিন্দন জানিয়ে মার্কিন রাষ্টদূত বলেন, বাংলাদেশী-আমেরিকান এবং আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ থেকে পড়াশোনা করে আসা বাংলাদেশীরা উভয় দেশর মধ্যে ডিজিটাল সংযোগ গড়ে তুলতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখছে।ডিজিটাল সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড থেকে সাতটি ক্ষুদ্র অনুদান প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে ওঠার পথে আরো সাতটি ধাপ এগিয়ে গেল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ড্যান মজীনা বলেন, 'ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে আরো কর্মক্ষম বাংলাদেশ, আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বাংলাদেশ, আরো ন্যায়সঙ্গত বাংলাদেশ, আরো অধিকতর শক্তিশালী ও সমৃদ্ধতর বাংলাদেশ।'ডিজিটাল প্রযুক্তি মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন , 'যেখানে সকলের নিকট নিজ পরিবারের জন্য নিরাপদ আশ্রয়, পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য, ভালো স্বাস্থ্যসেবা ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের সুযোগ থাকবে।'
- See more at: http://www.khabor.com/?p=9334#sthash.sFJXyMaG.dpuf__._,_.___