Banner Advertiser

Thursday, October 31, 2013

[mukto-mona] হাসিনা-খালেদা ফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় বিব্রত বিএনপি !!!!!!



হাসিনা-খালেদা ফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় বিব্রত বিএনপি
বিএনপি নেতারা এখন এ নিয়ে নানান কথা বলছেন
বিভাষ বাড়ৈ ॥ গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর ফোনালাপ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে এ নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা। শহর থেকে গ্রাম এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও তোলপাড়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে নৈশভোজে বার বার আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়া আর বিরোধী নেত্রীর একগুয়েমি মনোভাবের চিত্র প্রকাশ হয়ে পড়ায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বিরোধী দল বিএনপি। রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক অবস্থানের পরেও বিরোধী নেত্রীর নেতিবাচক অবস্থান জনমনে অসন্তোষের জন্ম দেয়ায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে দলটির নেতারা এবার ফোনালাপ মিডিয়ায় প্রকাশের আইনি ব্যাখ্যা দেয়ার শুরু করেছেন। ফোনালাপের আধাঘণ্টার মধ্যে দলের নানা খ-িত তথ্য প্রকাশ করে কিছুটা বাহবা নেয়ার চেষ্টা করলেও পুরো তথ্য প্রকাশ হওয়ায় বিব্রত বিএনপি 'ফোনালাপ প্রকাশ'কে বেআইনী, নৈতিতকা বর্জিত বলে চালিয়ে দেয়ায় কৌশল নিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজের আমন্ত্রণ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে দেশজুড়ে বেশ সমালোচিত হয়েছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী। একই সঙ্গে বিরোধী নেত্রীর ঝগড়াটে মনোভাব বিতর্কের মুখে পড়ায় বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন দলটির নেতারা। 
জোট-মহাজোটের নেতারা, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে সংলাপের ভবিষ্যত নিয়ে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজের আমন্ত্রণ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে দেশজুড়ে বেশ সমালোচিত হয়েছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী। সাধারণ মানুষের মনে বিরোধী দলের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন জেগেছে। বিশেষ করে বিরোধীদলীয় নেতার বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক সাড়া দেয়ার পরও হরতাল অব্যাহত রাখায় খালেদা জিয়া কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় রাজনীতির হিসাব-নিকাশে এগিয়ে রয়েছেন শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে সামনের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সবাই। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, টেলিফোনে কথা বলে সারাদেশের মানুষের প্রশংসা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই তিনি এ ধারা অব্যাহত রাখবেন। এখন তিনি খালেদা জিয়ার টেলিফোনের অপেক্ষায় থাকবেন। জানা গেছে, বিরোধীদলীয় নেত্রীর সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে প্রথম ফোনালাপের কিছু অংশ প্রকাশ করে কয়েকটি সংবাদপত্র। তখন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন যে, যেহেতু বিরোধীদলীয় নেত্রীর দফতর থেকে এ ফোনালাপের আংশিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেহেতু পূর্ণাঙ্গ কথপোকথনটি প্রকাশ করা হবে। তথ্যমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর বিএনপির পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া জানান হয়নি। এমন অবস্থায় সরকারকে বিব্রত করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এটি ফাঁস করা হয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে সাধারণ মানুষও বলছেন, যে পক্ষই ফাঁস করুক না কেন, দুই নেত্রীর মধ্যকার কথপোকথনের বিষয়টি জানার জন্য জনগণের মধ্যে যে কৌতূহল ছিল এবং সারাদেশে যে মিথ ছড়িয়ে পড়েছিল- এর অবসান হয়েছে। দুই নেত্রী তাদের এ ফোনালাপে এমন কিছু বলেননি- যা নতুন এবং অত্যন্ত গোপনীয় কিংবা দেশের সার্বভৌমত্ব বা নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট। সুতরাং যারা রাজনীতিতে স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী তাদের এতে নাখোশ হওয়ার কোন কারণ নেই। অন্যদিকে এ ব্যক্তিগত ফোনালাপের মাধ্যমে দুই নেত্রী নিজেদের স্বরূপ খানিকটা হলেও উন্মোচন করেছেন বলেও মনে করা হয়। সাধারণভাবে ব্যক্তি শেখ হাসিনা সম্পর্কে দেশের ডানপন্থী কিছু বুদ্ধিজীবী যেসব নেতিবাচক কথা সব সময় বলার চেষ্টা করেন কিংবা বাইরে কোন রাজনৈতিক সমাবেশে তিনি যেভাবে শক্ত অবস্থান নিয়ে কথা বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথপোকথনে তার কোন স্থান ছিল না। তার পুরো অবস্থান ছিল নমনীয় ও সহনশীল মনোভাবের। 
বিরোধী নেত্রীর উগ্রমনোভাবের পরেও সরকার প্রধান হিসেবে তিনি কথা বলেছেন অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। আর বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার কথায় দায়িত্বশীলতার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। কেবল তাই নয়, আপনি আগে ফোন করেননি, মিথ্যা কথা বলছেন, কিংবা 'আরও আগে কেন তাকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি' খালেদা জিয়ার এ ধরনের আক্রমণাত্মক প্রশ্নের জবাবেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা যখন 'দুঃখিত' বলছেন এবং হরতাল প্রত্যাহার করে নিমন্ত্রণ করছেন, ব্যক্তিগতভাবে একাধিকবার অনুরোধ করছেন তখনও খালেদা জিয়ার জবাব ছিল অনাকাঙ্খিত। ফোনালাপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আলোচনার ঝড় ওঠে। সবাই দুই নেত্রীর পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে নানাধর্মী মূল্যায়ন করতে থাকেন, মন্তব্য করেন। যা চলছে এখানও সমানতালে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে বিরোধীদলীয় নেতার ঝাঁজালো বক্তব্যকে শালীনতাবিবর্জিত বলেও মন্তব্য করেন অনেকে। অধিকাংশই বলছেন, পুরো সময় বিরোধী নেত্রী ছিলেন উগ্র ও ঝগড়াটে মানোভাব নিয়ে। কেউ কেউ বলছেন, বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা খালেদা জিয়াকে 'দেশনেত্রী' বলে থাকেন, কিন্তু খালেদার বক্তব্য ও আচরণে দেশনেত্রীসুলভ কোন ছায়া পরিলক্ষিত হয়নি। বরং যেটা মনে হয়েছে, খালেদা জিয়া 'আপসহীন'- তবে সেটা জনগণের স্বার্থে নয়, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বার্থে। ফোনালাপে খালেদা জিয়া বলেছেন যে, 'কেন ১৫ আগস্ট কি কেউ জন্মাতে পরে না? ১৫ আগস্ট আমার জন্মদিন। আমি কেক কাটবই।' সাধারণ মানুষ বলছেন, খালেদার এ বিতর্কিত জন্মদিন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বহু কথা হয়েছে, এ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে ১৫ আগস্টের মতো একটি দিনকে নিয়ে এ ধরনের মনোভাব হতাশ করেছে সাধারণ মানুষকে। ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলা নিয়ে বিরোধী নেত্রীর আক্রমণাত্মক মনোভাবও সমালোচিত হচ্ছে সচেতন মহলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রকিব নামে একজন বলছেন, ২১ আগস্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কথার পর খালেদা জিয়ার উত্তর ছিল, 'গ্রেনেড হামলা আপনারাই করিয়েছেন, আমরা করিনি, আপনারাই করেছেন। গ্রেনেড হামলার পেছনে আপনারা।' এরপর আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাস ধরে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি একের পর এক আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে গেছেন খালেদা জিয়া। যে সঙ্কট নিয়ে এ আলোচনার সূত্রপাত, তা নিয়ে কয়েক মিনিট কথা হয়েছে তাদের মধ্যে। সেখানেও ঝগড়াটে মনোভাব দেখিয়ে গেছেন বিরোধীদলীয় নেতা। গত কদিন ধরেই টক অব দ্য কান্ট্রি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার টেলিসংলাপ। দুই নেত্রীর টেলিফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রচারের পর থেকেই শুরু হয় তোলপাড়। এদিকে প্রথমদিন টেলিফোন আলাপের খ-িত অংশ সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করে বাহবা নেয়ার চেষ্টা করলেও এখন সমালোচনার মুখে পড়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, এ ঘটনা নীতিবহির্ভূত, শিষ্টাচারবিবর্জিত ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি আইন ভঙ্গ হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এ প্রচার তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারার পরিপন্থী। এভাবে কোন টেলিফোন আলাপ রেকর্ড করা ওই ধারা অনুযায়ী আইনবিরোধী। দুই পক্ষের সম্মতি ছাড়া ওই কথোপকথন প্রকাশ 'নৈতিকতার মানদ-ে' অনুচিৎ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ। মওদুদ একই সঙ্গে দাবি করেন, এতে বেগম খালেদা জিয়া অনেক পয়েন্টে বিজয়ী হয়েছেন।
তবে বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার যে টেলিকথোপকথন গণমাধ্যমে এসেছে, তা সরকার প্রকাশ করেনি। অবশ্য রাষ্ট্রীয় এ সংলাপ জনগণের সম্পত্তি। এ সম্পর্কে জানার অধিকার জনগণের রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় ফোনালাপ। এটি দেশ, জাতি, সংবিধান, রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে ফোনালাপ। দুই নেত্রীর ফোনালাপ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর এখন বিএনপির প্রতিক্রিয়াকে তাদের 'বিব্রত বোধ' এর প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের প্রতিক্রিয়াকে 'দুর্ভাগ্যজনক' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'উনি (মির্জা ফখরুল) শিষ্টাচারের কী সংজ্ঞা জানেন, তা আমরা জানি না। শিষ্টভাবে যে আচরণ করা হয় তাকেই শিষ্টাচার বলে। ফোনালাপ প্রকাশের মধ্য দিয়ে শিষ্টাচারে ব্যত্যয় ঘটল কিভাবে? সুরঞ্জিত বলেন, আসলে বক্তব্য বেরিয়ে যাওয়ায় বিরোধী দল বিব্রত বোধ করছে। সেদিন বিরোধীদলীয় নেত্রীর বক্তব্যে সৌজন্যের অভাব ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গোটা আলাপচারিতার সময় তার (বিএনপি চেয়ারপার্সন) কথা ছিল অগণতান্ত্রিক, অসৌজন্যমূলক ও শিষ্টাচার বহির্ভূত। তার কাছ থেকে সারাদেশের মানুষ আরো দায়িত্বশীল বক্তব্য প্রত্যাশা করে। উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে বিএনপিকে 'শিক্ষা' গ্রহণের উপদেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের এ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী উভয়ই সংসদের নেতা। তারা কেবল জাতীয় নয়, সাংবিধানিক নেতাও বটে। তাদের বক্তব্য সকলের কাছে অনুসরণীয়। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আগামীতে যেন আমরা আরও সাবধান হই, দায়িত্বশীল আচরণ করি। ফোনালাপের রেকর্ড প্রকাশিত না হলে তা নিয়ে 'বিভ্রান্তি'র সুযোগ ছিল বলেও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা। ৩৭ মিনিট তাঁরা ফোনে কথা বলেছেন। তাঁদের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বর্তমানে সৃষ্ট রাজনৈতিক সঙ্কট। যদি তাদের আলাপচারিতা প্রকাশ না হত, তাহলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ ছিল। জাতীয় স্বার্থে জনস্বার্থে সরকার ও বিরোধী দল যদি কোন আলোচনা করেন, তাহলে একটি গণতান্ত্রিক দেশে অবশ্যই তা জনগণের জানার অধিকার রয়েছে।
aamra technologies



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___