Banner Advertiser

Wednesday, October 16, 2013

[mukto-mona] দুর্গাপূজার মিথ, কাহিনি ও সংখ্যালঘুদের উদ্বেগ - চিররঞ্জন সরকার



চিররঞ্জন সরকার

দুর্গাপূজার মিথ, কাহিনি ও সংখ্যালঘুদের উদ্বেগ

অক্টোবর ১৩, ২০১৩

chitro-ranjan21ভয়-ভীতি, শঙ্কা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেও বাঙালি হিন্দুরা দুর্গাপূজা করে। কারণ দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দুর সবচেয়ে বড় উৎসব। আর্যরীতির সঙ্গে বাঙালির সৃজনশীলতা যুক্ত হয়ে দুর্গোৎসব বর্তমান রূপ ধারণ করেছে। আমরা বর্তমানে যেমন পয়লা বৈশাখকে নববর্ষ হিসেবে পালন করি, শরৎ ঋতুর আরম্ভকে আর্যরা তেমনি নববর্ষ হিসেবে গণ্য করতেন। আর্যদের হিসেব অনুযায়ী আশ্বিন মাসের শুক্ল নবমীতে বর্ষা ঋতু পূর্ণ হয়। দশমীতে শরৎ আরম্ভ। আর্যদের নববর্ষ আর বাঙালির দুর্গাপূজা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।

নববর্ষে প্রবেশের আগে সবাই প্রত্যাশা করে নতুন বছরটি সুখে যাবে, সুখে কাটবে, অভীষ্ট সিদ্ধ হবে, মনস্কামনা পূর্ণ হবে। দুর্গাপূজা করা হয় এ কারণে যে, মা দুর্গার কৃপা হলে নববর্ষে আমাদের বিজয় হবে। এ কারণে দশমীর নাম বিজয়া দশমী হয়েছে। এ বিষয়ে একটু বিস্তারিত আলোকপাত করা যাক।

দুর্গা কে? তিনি এক দেবী। দেবী কে? এক শক্তি। শক্তি কী? কর্ম বা কাজ করার ক্ষমতা। আমরা যে কথা বলি, কথা একটা কাজ। দেখি, শুনি, বুঝি এগুলোও কাজ। শক্তি ছাড়া কাজ হয় না। এ শক্তি কথনশক্তি, শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি, বোধশক্তি। এ শক্তির নাম সরস্বতী।

একটি আমগাছের কথা চিন্তা করা যাক। গাছটি আগে ছিল না, নতুন জন্মেছে। এক শক্তি গাছটির জন্ম দিয়েছে। সে শক্তি এক দেব। সে দেবের নাম ব্রহ্মা। গাছটি এতকাল বেঁচে আছে, বেড়েছে। যে শক্তি এ গাছটিকে এতকাল বাঁচিয়ে রেখেছেন, বাড়িয়েছেন, তার নাম বিষ্ণু। একদিন গাছটির ডালপালা-ফুল-ফল থাকবে না, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ একাকার হয়ে যাবে, আমগাছ বলে আর চিনতে পারা যাবে না। তখন গাছটির লয় হয়ে যাবে। যে শক্তি এ লয় ঘটাবেন, তিনি মহেশ্বর।

উল্লেখ্য, সনাতন হিন্দুধর্ম মতে, ব্রহ্মা-সৃষ্টির, কার্য-কারণের তত্ত্বগত ব্যাখ্যায় ঈশ্বরের ট্রিনিটি বা ত্রয়ী অবস্থাকে গ্রহণ করা হয়েছিল। তিনি যখন সৃষ্টি করেন তখন তিনি ব্রহ্মা (সৃষ্টিকর্তা), যখন সৃষ্টি বজায় রাখেন তখন তিনি বিষ্ণু (পালনকর্তা), যখন নতুন সৃষ্টির মানসে জগৎ ধ্বংস করেন ঈশ্বর তখন মহেশ্বর (প্রলয়কর্তা)।

বিশ্বেশ্বরের এই সৃষ্টি, পালন ও প্রলয়কার্যে যে এনার্জি (শক্তি) বা কনসাসনেস (চেতনা) অন্তঃসলিলার মতো বিশ্বজগতের সর্বত্র নিয়ত প্রবাহমান তাকে সনাতনধর্ম প্রকৃতি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে।

শক্তির আসলে কোনো রূপ নেই। লিঙ্গভেদ নেই। কাজের দ্বারা শক্তির পরিচয়। কর্মই তার রূপ। আমরা ভাষা ও ভাবের অনুরোধে কোনো শক্তিকে দেব, কোনো শক্তিকে দেবী বলি; কিন্তু বস্তুত এ ভেদ নেই। কর্ম দ্বারাই দেব-দেবীর পরিচয়। কর্ম দেখেই প্রতিমা কল্পনা।

তাহলে প্রশ্ন আসে, তবু কেন এত দেব-দেবী? এ প্রশ্নটিরও মীমাংসা হওয়া দরকার।

প্রকৃতিতে আমরা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন দেখি। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা এভাবে ছয় ঋতুর পরিবর্তন হচ্ছে। শক্তি ছাড়া এ পরিবর্তন হতে পারে না। সে শক্তি এক দেব। নাম আদিত্য; কিন্তু শীত ঋতুর আদিত্য গ্রীষ্ম আনতে পারে না, গ্রীষ্ম ঋতুর আদিত্য শীত আনতে পারে না।

এটা অনেকটা সরকারি দপ্তরের মতো। যদি ডাক বিভাগের প্রধানকে বলা হয় আমাদের গ্রামে একটি স্কুল বানিয়ে দিন, তিনি বলবেন– সে আমার কাজ নয়। যদি শিক্ষা বিভাগের দেবতাকে গ্রামে একটি নলকূপ বসানোর জন্য বলি, তিনি বলবেন– সে আমার কাজ নয়। সরস্বতীর কাছে ধন চাইলে পাওয়া যাবে না। লক্ষ্মীর উপাসনা করে বিদ্যা চাইলে তিনিও স্রেফ না বলে দেবেন। তাহলে আমরা কী করব?

যিনি পারবেন তার পূজা করব, উপাসনা করব। যিনি যাবতীয় শক্তির সম্মিলন, যিনি সব দেব-দেবীর মিলিত রূপ, তিনি বিশ্বশক্তি। ঋগবেদে এর নাম অগ্নি। আমরা বলি শক্তি। অগ্নির এক প্রসিদ্ধ নাম– জাতবেদ, যা কিছু জন্মেছে তিনি তার সব জানেন, কারণ বিনাশক্তিতে কিছুই জন্মাতে পারে না। তার আরেক নাম 'বিশ্ববিদ', যিনি সমস্ত জানেন, কারণ যা কিছু আছে, যা কিছু ঘটছে সবই শক্তির কর্ম। পুরাণে অগ্নির নাম 'তেজ'। আমরা যাকে শক্তি বলছি তিনি তেজঃ।

দুর্গা অগ্নির মতো, বিশ্বশক্তি। বিশ্ব শব্দের অর্থ সমস্ত। অনেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো (আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় নয় কিন্তু), যেখানে সমস্ত বিদ্যা সম্মিলিত হয়েছে, সমলগ্ন কিংবা সংযুক্ত নয়, একেবারে সম্মিলিত একীভূত। দুর্গা বিশ্বশক্তি। তিনি প্রসন্ন বা খুশি হলে আমাদের সব ইচ্ছাই পূর্ণ করতে পারেন।

হিন্দুধর্মে দেবী দুর্গা পরমা প্রকৃতি ও সৃষ্টির আদি কারণ। হিন্দু পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে তিনি শিবের স্ত্রী পার্বতী, কার্তিক ও গণেশের জননী এবং কালীর অন্যরূপ। দুর্গা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যাবতীয় শক্তির সম্মিলন।

এ প্রসঙ্গে মার্কণ্ডেয় পুরাণে এক উপাখ্যান আছে। একবার দেবাসুরে (দেব বনাম অসুর) তুমুল মারামারি বেঁধেছিল। অসুররা পরাক্রান্ত, তারা নানা আকার ধারণ করতে পারত। এক অসুর বুনো মোষের আকার ধরে দেবতাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এক এক দেবতা যুদ্ধ করতে যান। পরাজিত হয়ে ফিরে আসেন। ইন্দ্র গেলেন, পরাজিত হয়ে ফিরে এলেন। বরুণ গেলেন, তারও ওই দশা। যিনি যান তিনিই পরাজিত হন।

দেবতারা ব্রহ্মাকে সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণু ও মহেশ্বরের কাছে গিয়ে তাদের দুর্দশা বর্ণনা করলেন। বিষ্ণু ও মহেশ্বর ভয়ানক ক্রুদ্ধ হলেন। তাদের সব তেজ বাইরে বেরিয়ে এল। প্রত্যেক দেবতার তেজ বের হয়ে মিলিত হল। এক বিশাল তেজরাজি একত্রিত হল। সেই সম্মিলিত তেজ থেকে এক নারী আবির্ভূত হলেন। তার নাম চণ্ডী বা দুর্গা। তিনি সহজেই মহিষাসুরকে বধ করলেন।

আমরা যে দুর্গার পূজা করি, তিনি যে এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সম্মিলিত শক্তি, তা স্মরণ করার জন্য মহিষমর্দিনী রূপ কল্পিত হয়েছে। দুর্গার দশ হাত দেখেই বোঝা যায় যে, দুর্গা সম্মিলিত শক্তি। দশ হাতে দশ আয়ুধ। আয়ুধ মানে যুদ্ধাস্ত্র। এ আয়ুধ দেখলেই বোঝা যায় তিনি সকল দেবতার সম্মিলন। এক হাতে চক্র বা বিষ্ণুর আয়ুধ। অতএব তিনি বিষ্ণুশক্তি। এক হাতে শূল যা মহেশ্বরের আয়ুধ। অতএব দুর্গা মহেশ্বরী। এক হাতে নাগপাশ, নাগপাশ বরুণের আয়ুধ, অতএব দুর্গা বরুণানী– বরুণের শক্তি ইত্যাদি।

মার্কণ্ডেয় পুরাণের আরেক আখ্যানে বলা হয়েছে, দুর্গা শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামে দুই অসুরকে বধ করেছিলেন। অসুর দুটি নিহত হলে দেবতারা তার স্তব করেছিলেন। এই স্তবে বলা হয়েছে, ''যা দেবী সর্বভূতেষু সৃষ্টি রূপেন সংস্থিতা/নমস্তস্যৈ, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।''

অর্থাৎ তিনি যাবতীয় পঞ্চভৌতিক পদার্থে সৃষ্টিরূপে বিরাজমান, তাকে বারবার নমস্কার। তিনি শক্তিরূপে, সৃষ্টিরূপে, ক্ষুধা-তৃষ্ণা, ক্ষমা, দয়া-মায়ার আধার, তিনি বিশ্ব মা, দুর্গা। তিনি চৈতন্য। তিনিই বিশ্বরূপ। এভাবে অনুপ্রাণিত হয়েই বঙ্কিমচন্দ্র 'বন্দে মাতরম' রচনা করেছিলেন।

বিশ্বশক্তির আধার যিনি, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে যার প্রকাশ তাকে আমরা পূজা করব কী দিয়ে?

শক্তির পূজা মোটেও সহজ কাজ নয়। শক্তি তিন প্রকার: শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক। ভক্তিই তার পূজা, তার প্রিয় কর্ম করাও তার পূজা। আমরা তাকে মাতৃরূপে দেখতে ভালোবাসি। তার পূজাই সার্থক যিনি বিশ্বজননীকে সত্যি সত্যি মা মনে করেন, মায়ের প্রিয় কাজ করেন, তার আজ্ঞা পালন করে সুখী হন। যিনি এ মাকে আনন্দময়ীরূপে দেখতে পান, তিনি ধন্য। তার জন্ম সার্থক।

দুর্গা তাই নিতান্তই বাঙালির দেবী। এ দেবতাকে বুঝতে হলে ভাবপ্রবণ বাঙালির নিজস্ব সংসার বেষ্টন ও অন্দরমহলকে অনুভব করতে হবে।

পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় 'বাঙালির দুর্গোৎসব' নিবন্ধে বলেছেন, ''শক্তিসাধনা ভাবের ও ভক্তিসাধনা রসের ও প্রেমের নহে। আদ্যশক্তিকে মা বলিয়া, মেয়ে বলিয়া এমন বিকাশ কোনো জাতির কোনো সাহিত্যে হয়নি। বাঙালি যেমন গালভরা, বুকপোড়া মা নামে ডাকিয়া তাকে, আব্রক্ষ, তৃণস্তম্ভ পর্যন্ত সকলকে মা বলিয়া মাধুরীমণ্ডিত করিয়া লয়; এমন মাতৃভাবের অভিব্যক্তি আর কোনো জাতি করিতে পারে নাই। মায়ের ঘর-সংসার পাতাইয়া, মায়ের ছেলে হইয়া কেমন করিয়া থাকিতে হয়, তা বাঙালিই শিখিয়াছিল, বাঙালিই পারিয়াছিল। যে মায়ের স্নেহ পায় নাই, কন্যাকে আদর করে নাই, সে বাঙালির দুর্গোৎসব কেমন করে বুঝিবে। বাঙলার মায়ের স্নেহ বোঝা চাই, প্রাণে প্রাণে অনুভব করা চাই, বাঙালির গৃহের কুমারী কন্যার আদর-সোহাগ বোঝা চাই, যত্ন-আবদার জানা চাই, তবে ইষ্ট দেবতার ওপর সেই ভাব আরোপের মহিমা বুঝিতে পারিবে।''

আজকের ঘোর বস্তুগত যুগে এত ভাবময় কথা, এতটা ভাবালুতা বুঝি কিছুটা অলীক মনে হয়; কিন্তু দুর্গাপূজার মূল অনুভবে ও আচরণে খানিকটা ভাবাতিরেক রয়েছে নিশ্চিত। দুর্গাপূজা পালনে বাঙালি হিন্দুর আড়ম্বর দেখে তা সহজেই বোঝা যায়।

বাঙালি হিন্দুদের প্রধানতম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের এই আনন্দলগ্নেও দেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়সহ দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা সীমাহীন আতঙ্কের মধ্যে; নিদারুণ মানসিক কষ্ট ও চাপের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। কোন ইস্যু ঘিরে কখন দেশে সাম্প্রদায়িক তাণ্ডব শুরু হয়ে যায়, তা কে বলবে।

তাদের অভিজ্ঞতায় রয়েছে ২০০১ সালের নির্বাচন ও নির্বাচনোত্তর অত্যাচার-নির্যাতনের দুঃসহ স্মৃতি। গত বছর ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা-সংক্রান্ত একটি ছবি প্রকাশ করার রটনা ঘিরে রামুতে যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে, চলতি বছর জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচারের রায় ঘোষণার পরে এবং বিভিন্ন অজুহাতে পার্বত্য চট্টগ্রামে যেভাবে আদিবাসী গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তাতে দেশে সংখ্যালঘুদের মনে শান্তি-স্বস্তি-নিরাপত্তা বলে কোনো কিছু আর অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না। এক ধরনের ভীতি সবাইকে তাড়িয়ে ফিরছে। বলা তো যায় না, কখন নিগ্রহ-নির্যাতন, অপমান-লাঞ্ছনা নেমে আসে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নিগ্রহ-নির্যাতন অতীতেও ছিল। সংকীর্ণ মৌলবাদী ভাবধারাপুষ্ট একশ্রেণির লোভী মানুষ হিন্দুদের প্রতি সবসময়ই বৈরিতা দেখিয়েছে। কিন্তু গত এক দশক ধরে দেশে হিন্দুদের ওপর যে ধারাবাহিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, তা নজিরবিহীন ও অকল্পনীয়। হামলা, নির্যাতন, অপমান-লাঞ্ছনা, হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘর, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে লুট, অগ্নিসংযোগ, ডাকাতি, ভীতি প্রদর্শন, দেশত্যাগের হুমকি, মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, চাঁদাবাজিসহ নানারকম নিপীড়ন ও নিগ্রহের ধারাবাহিক ঘটনার মধ্য দিয়ে এদেশের সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তোলা হয়েছে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে একটি বিশেষ চিহ্নিত রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকরাই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাগুলো ঘটিয়ে চলছে। অথচ প্রশাসন কখনও-ই আক্রান্ত সংখ্যালঘুদের জান-মাল-ইজ্জতের নিরাপত্তা রক্ষায় তেমনভাবে এগিয়ে আসে না।

প্রতি বছর দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের কতজন ব্যক্তি সাম্প্রদায়িক কারণে আক্রান্ত হয়, কতজনের বাড়িঘর লুটপাট হয়, কতজন নারী ধর্ষিত হয়, কতজন দেশত্যাগে বাধ্য হয়, কতজন সম্পত্তি হারায়, কতগুলো মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়– তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান যাওয়া যায় না। এ পরিসংখ্যান রাখার দায়ও কেউ অনুভব করে না। এখনও অনেককে ক্ষমতাবানদের নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে টিকে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বর্তমানে আমাদের দেশ এমন সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও অসুর কবলিত হয়ে পড়েছে। চারদিকে তাদেরই তাণ্ডব, তাদেরই বিকৃত উল্লাস, আনাগোনা। পরাক্রান্ত মহিষাসুরকে বধ করার জন্য যেমন সকল দেবতাদের সম্মিলিত শক্তি দুর্গার আবির্ভাবের প্রয়োজন হয়েছিল, আজও ঠিক তেমনি সম্মিলিত শক্তির উন্মেষ প্রয়োজন। অসুর নিধনে সম্মিলিত শক্তি দুর্গার কোনো বিকল্প নেই।

চিররঞ্জন সরকার :
 কলামিস্ট।

http://opinion.bdnews24.com/bangla/2013/10/13/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A5-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%93/





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___