Banner Advertiser

Sunday, November 10, 2013

[mukto-mona] Fw: [notun_bangladesh] অর্থনীতি ॥ ১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৩তম, ভারত ১০৬তম





On Saturday, November 9, 2013 12:28 AM, Gonojagoron Moncho <projonmochottar@gmail.com> wrote:
 



অর্থনীতি ॥ ১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৩তম, ভারত ১০৬তম
ড. আর. এম. দেবনাথ
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশে এখন অনেক খবর আছে। বড় খবর পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-মজুরি বৃদ্ধির খবর। খবর আছে গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর। হরতালজনিত ব্যবসায়িক ক্ষয়-ক্ষতির খবর আছে। মূল্যবৃদ্ধির খবর আছে। এছাড়া প্রতিদিনই নানা ধরনের খবর ছাপা হচ্ছে যার অর্থনৈতিক গুরুত্ব কোনভাবেই কম নয়। পোশাক কারখানায় দেখা যাচ্ছে অনেক দিন লড়ালড়ির পর মজুরি বোর্ড সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করেছে ৫৩০০ টাকা। এটা মালিকরা মানতে রাজি নন। তাঁরা হুমকি দিচ্ছেন তাঁদের কথামতো মজুরি ঠিক করা না হলে কারখানা সব বন্ধ করে দেবেন। কারণ তাঁরা 'মৃত্যুর' দ্বারপ্রান্তে। 'লোকসান' দিতে দিতে ফতুর। অথচ আমরা চোখের সামনে দেখতে পারছি অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িকভাবে 'মৃত্যুপথযাত্রী' সেলাই কারখানার মালিকদের মধ্যে যাঁরা একটা কারখানার মালিক ছিলেন তাঁদের বিপুলসংখ্যক লোক ৫-১০টা কারখানার মালিক হয়েছেন। তাঁদের সহায় সম্পদ দেশের বাইরে 'বিসমিল্লাহ' নামীয় পোশাক সেলাই শিল্পী ব্যাংকের ১২০০ কোটি টাকা নিয়ে বিদেশে ভেগে গেছেন। আরেক পোশাকশিল্পী 'হলমার্ক তানভীর' ব্যাংকের ৩৫০০ কোটি টাকা মেরে দিয়েছেন। কথা বাড়াব না। কথায় কথা বাড়বে। প্রয়াত সাইফুর রহমানের মন্তব্যও টেনে আনব না। আনব না মুহিত সাহেবের মন্তব্যের কথা। এসব না এনে শুধু এটুকুই বলব 'দর্জিশিল্পী' ভাইরা, গরিব শ্রমিকদের স্বার্থের কথা একটু ভাবুন। নিজের ধন-সম্পত্তি করুন, সংসদ দখল করুন, পাশাপাশি শ্রমিকদের বাঁচতে দিন। ওয়েজ বোর্ডের মজুরি মেনে নিয়ে শান্তি স্থাপন করুন। পরে আসে গ্রামীণ ব্যাংকের কথা। এই ব্যাংকটির কোন 'বাবা-মা' নেই। এটি দেখভালের কেউ নেই অথচ সব ব্যাংকের আছে, ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আছে, সমবায় প্রতিষ্ঠানের আছে, বীমা কোম্পানিগুলোর আছে, নন-ব্যাক ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলোর আছেÑসবারই নিয়ন্ত্রক (রেগুলেটির অথরিটি) প্রতিষ্ঠান বা 'বাবা-মা' আছে। অথচ গ্রামীণ ব্যাংকের নেই। অদ্ভুত দেশ। সবার আছে- গ্রামীণের নেই। এটি এখন হয়েছে। সরকার বাংলাদেশ ব্যাংককে এই দায়িত্ব দিয়েছে। অনেকেই নাখোশ হবেন, বিশেষ করে যাঁরা আইনের উর্ধে, নিয়ন্ত্রণের উর্ধে থাকতে চান। মজার দেশ, মিডিয়ার একটা প্রভাবশালী অংশ কওমী মাদ্রাসাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়, কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংককে নয়। কথা এখানেও বাড়ালাম না। কারণ রয়েছে খারাপ খবর হরতালের। হরতালের মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। গরিব সিএনজিওয়ালার অটোরিকশা পোড়ানো হচ্ছে। ককটেলে ডজন ডজন নিরীহ মানুষের শরীর পুড়ে ঝলসে যাচ্ছে। বাস পুড়ছে। রাজনৈতিক কর্মীরা মরছেন। কই কোন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর ছেলেমেয়ে তো মরছে না। কই তাদের লেখাপড়ার তো ক্ষতি হচ্ছে না। তারা তো দেশের বাইরে তাদের খাওয়া পরার অসুবিধা নেই। কিন্তু এই যে নিরীহ মধ্যবিত্ত যে কারও কাছে হাত পাততে পারে না তার কী হবে? ওর প্রাণ ওষ্ঠাগত। প্রাণ ওষ্ঠগত শ্রমিকের, প্রাণ যায় যায় নিম্নবিত্তের, প্রাণ যায় যায় বেকারের। চালের দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ থেকে ৭ টাকা। সবজির দাম বেড়েছে দশ-বিশ শতাংশ। অথচ এখন চালের দাম, সবজির দাম কমার কথা। হরতালে সরবরাহ বিঘিœত হওয়ায় এসবের দাম বেড়েছে। ভোক্তারা মারা যাচ্ছে। মারা যাচ্ছে উৎপাদক কৃষকরাও। ঢাকার আশপাশ অঞ্চলে এখন সবজি চাষ হয়। এখন সবজির মৌসুম। সবজি কেনার লোক নেই। ঢাকার পাইকাররা সেখানে যাচ্ছেন না। মাল ঢাকায় আসবে কিভাবে? উত্তরবঙ্গের ট্রাক-বাসের মাইলের পর মাইল লাইন। হরতালে সব আটকাÑ ফেরিতে উঠতে পারছে না। রফতানির মাল ঢাকার আটকা। চট্টগ্রাম যেতে পারছে না। আমদানির মাল খালাস হচ্ছে না। দেশ ও দেশের মানুষ এর চূড়ান্ত মূল্য দিচ্ছে। কিসের জন্য? নির্বাচনের জন্য। মূল্য দিচ্ছে নিরীহ সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। পাবনার সাঁথিয়ায় ঘরবাড়ি তছনছ করা হয়েছে। মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে। কেন? হিন্দুরা তো সাতে-পাঁচে নেই। তাদের মধ্যে তো দাউদ ইব্রাহিম নেই, বাংলাদেশে তো তাদের মধ্যে হিন্দু হরকত-উল-জিহাদ নেই। ধমক মারলে হিন্দু পালায়। তবে কেন বার বার নির্বাচনের সময়, নির্বাচনের পরে, যখন তখন এই নির্জীব, নির্বীর্য, বৈষ্ণব হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে দেশের লজ্জা বাড়ানো হচ্ছে? এসবই খারাপ খবর। অত্যন্ত খারাপ খবর। কিছুসংখ্যক লোকের ক্ষমতালিপ্সার জন্য এই জঘন্য অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বিনা বিচারে। ২০০১ সালের পর ১২ বছর কেটে গেছে। তখনকার নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, গণধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের দেশত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায় কী কারও বিচার হয়েছে? আমার জানা নেই।
এতসব খারাপ খবরের পরও কিছু ভাল খবর আছে তা নিয়ে আমাদের বাঁচতে ইচ্ছে করে। অবশ্য এর কোন প্রচার নেই। মিডিয়ার বৃহদংশের কাছে এসবের কোন খবর নেই। কেনÑ এটা আমার জানা নেই। যেমন ধরা যাক চালের কথা। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। সারা বিশ্ব বলছে বাংলাদেশ একটি মডেল অথচ এই কথাটা অকপটে স্বীকার করার মতো ঔদার্য আমাদের একশ্রেণীর মিডিয়ার নেই। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে আবাদি জমির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে ১৫-২০ শতাংশ। বাড়িঘর নির্মাণ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, অবকাঠামো তৈরি, শিল্পকারখানা নির্মাণ ইত্যাদির কারণে আবাদি জমি হ্রাস পেয়েছে। তারপরও চাল-গমের, ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে তিনগুণেরও বেশি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এটা সম্ভব হয়েছে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও আমেরিকার প্রেসক্রিপশন অগ্রাহ্য করার ফলে। সার, বীজ, তেল, কীটনাশক, সেচের জল, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদিতে উদারভাবে ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। কৃষকরাও উজাড় করে দিয়েছে সরকারকে। ওদিকে আবার গরিব কৃষকের 'পোলারা' পাঠাচ্ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। অথচ এই কৃষকদের কেউ মূল্যায়ন করতে চায় না। বড়ই মজার বিষয়। কিছুদিন আগের খবর। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলছে, ধনীদের ওপর অধিকতর কর বসাতে হবে। বিপ্লবাত্মক কথা। কমিউনিস্টদের মতো কথা। তারা সাধারণভাবে বলে সরকারের খরচ কমাও, ভর্তুকি কমাও, লোকসানী কারবার বন্ধ কর ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন তারা বলছে আয় বাড়াওÑ ধনীদের 'ট্যাক্স' কর। বাংলাদেশ যা ভাবে, আইএমএফ তা ভাবে দু'দিন পর। এ কথা কে বলবে কাকে। জ্ঞানপাপীদের এসব বলে বলে আর কাহিল হতে চাই না। ধরা যাক গড় আয়ুর কথা, ধরা যাক অপুষ্টির কথা, ধরা যাক শিশু মৃত্যুর কথা, ধরা যাক স্যানিটেশন প্রাপ্তির কথাÑ সবকিছুতেই বাংলাদেশ এখন উপমহাদেশে শীর্ষে। ভারতের চেয়ে ভাল অবস্থা আমাদের। ভারতের 'পার্চেজিং পাওয়ার প্যারিটি' (পিপিপি) বাংলাদেশের দ্বিগুণ, তাদের জিডিপি ১৯৯৫ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সময়ে গড়ে বাংলাদেশের তুলনায় প্রতিবছর বৃদ্ধি পেয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ হারে। তার পরও বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। এটা জানা গেছে আন্তর্জাতিক এক জরিপে। জরিপটা করা হয় ১৪২টি দেশের ওপর। এতে বাংলাদেশের স্থান ১০৩তম, আর ভারতের ১০৬তম। কি বোঝা গেল? ভারত অর্থনৈতিকভাবে আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। সামরিকভাবেও তাই। তাদের ব্যবসায়ীরা শক্তিশালী, আমলারা শক্তিশালী। বলা হয় তাদের দেশপ্রেমও নাকি বেশি। তারপরও দেখা যাচ্ছে আমরা এগিয়ে। কই, অকপটে তো কেউ এসব কথা স্বীকার করতে চায় না। 'মজেনা ভ্রাতা' খারাপ কথা বললে এটা হয় শিরোনাম। কিন্তু অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা কেউ বলে না। স্বীকার করে না। অর্থনীতির ওপর লেখে না। লিখতে চায় না। অর্থনীতিবিদরা লেখেন রাজনীতির ওপর। বাংলার শিক্ষক, ইতিহাসের শিক্ষক, ইংরেজীর শিক্ষক, আইনের শিক্ষকÑ সবার লেখাতেই শুধু রাজনীতি। কত সহজ তাই না! কেউ যার যার বিষয়ে লেখেন না। অথচ পাকিস্তান আমলে তা হতো। সোনার বাংলায় রাজনীতি এত সস্তা হয়েছে যে সবাই রাজনীতি নিয়ে লেখে। সবাই ছবক দেয়। অর্থনৈতিক পারফরমেন্স কারও নজরে পড়ে না, কেউ লেখে না। মজার দেশই বটে। ১৯৮০-৮৫-৯০ সালের দিকে ১০০ টাকা দিয়ে ভারতীয় ৪০-৪২ টাকা পাওয়া যেত 'হুন্ডিতে'। এখন পাওয়া যায় ৭৫-৮০ টাকা। এই শক্তির কথা কেউ লেখে না, বলেও না। অর্থনীতির অধ্যাপকরা রবীন্দ্রসঙ্গীত করেন, রবীন্দ্র চর্চা করেন। আর বড়রা তো আইএমএফ, বিশ্ব্যব্যাংক, ফাও ইত্যাদিতে। মাঝে মাঝে দেশে আসেন বুঝতে তরুণরা কী 'ভাবছে' বুঝতে। মজার দেশই বটে। আমাদের অজান্তে যে দেশে বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন হচ্ছে, সরকার যে একের পর দিগন্ত উন্মোচন করে চলেছে তার কথা কারও মুখে নেই। তবে আমার সাবধানবাণী আছে। সব ঠিক আছে। আত্মতুষ্টির কোন সুযোগ নেই। কিসিঞ্জার থেকে মজেনা, মজেনা থেকে বাংলাদেশীয় মজেনারা কী বলছেন তার দিকে তাকানোর কোন প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন আরও অন্তর্দৃষ্টি। আমাদের বড় বড় পারফর্মেন্সের পরও কিন্তু একথা সত্যি ৪-৫ কোটি লোক অর্ধাহারে-অনাহারে। তাও স্বাধীনতার ৪০-৪২ বছর পর। আমাদের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল পশ্চাৎপদ। আমাদের শিশুরা ভারতের শিশুদের তুলনায় অধিকতর ভাল হলেও তাদের অপুষ্টি কাম্য নয়। আমাদের জনগোষ্ঠীর বিরাট একটা অংশ এখনও মাছ, মাংস, দুধ-ডিম খেতে পায় না। এমন কি প্রয়োজনীয় সবজিও পায় না। ধনবৈষম্য কিন্তু মারাত্মক। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক দেশে আছে। আবার মাসিক ১০,০০০ টাকা রোজগারের লোক কিন্তু খুবই কম। এসব বাস্তবতাও আমাদের সামনে রাখতে হবে। সবকিছু কিন্তু আমাদের ঠিক নয়। আন্তর্জাতিক মূল্যয়ন দরকার। তবে এই মূল্যায়ন ধরে এগুলে চলবে না। মূল্যায়নটি হতে হবে নিজস্ব মূল্যায়ন।

লেখক : সাবেক প্রফেসর, বিআইবিএম





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___