Dear Readers,
1. This news-article clearly tells us that Bangladesh Government can STOP killing, arson, and unrest.
2. Let there be more and more 'Comb Operations' all over Bangladesh - everyday if needed.
3. I thank (from my heart) the Government of Bangladesh for bringing peace in Satkhira.
4. We don't want 'Power Hungry' dirty politicians to destroy our beloved motherland.
5. Most of the Bangladeshi citizens (I believe 99% of them) want peace there.
With best regards,
Muktijoddha Dr. Emarat Hossain Pannah (USA)
================================================================================
যৌথ অভিযানের পর শান্ত হয়ে আসছে সাতক্ষীরা
পুলিশের বাধার মুখে রাস্তায় নেই অবরোধকারীরা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযানে শান্ত হয়ে আসছে আতঙ্কিত ও অবরুদ্ধ সাতক্ষীরার জনপদ। ১৮ দলের পঞ্চম দফার অবরোধ সাতক্ষীরার কোথাও তেমনভাবে পালিত হচ্ছে না। সকালের দিকে দু'-এক স্থানে অবরোধকারীরা রাস্তায় দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও পুলিশের ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে তারা মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়। যৌথ বাহিনীর অভিযানে অনেকটা অবরোধ মুক্ত সাতক্ষীরা। দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক ছাড়া সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে সাতক্ষীরায়। মাঠে নেই জামায়াত-শিবির। জেলার জামায়াত-শিবিরের ক্যান্টনমেন্ট নামে পরিচিত সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি এলাকা এখন জামায়াত-শিবির শূন্য। শুধু আগরদাঁড়ি নয়, জেলা সদরের বৈকারী, কুশখালি, ঘোনা, ঝাউডাঙ্গা, বল্লী, লাবসা, আলিপুর, ভোমরা, বাঁশদহা, ফিংড়ি, কলারোয়ার দেয়াড়া, যুগিখালি, লাঙ্গলঝাড়া, ব্রজাবক্স, তালার কুমিরা, জেয়ালা নলতা, ইসলামকাটি, খলিষখালি, পাটকেলঘাটা, তালা সদর, নগরঘাটা, আশাশুনির বুধহাটা, কুল্যা, প্রতাপনগর, আনুলিয়া, খাজরা, বড়দল, দরগাহপুর, কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর, কৃষ্ণনগর, মৌতলা, ভাড়া শিমলা, নলতা, পাউখালি, সাতপুর, দেবহাটার নারকেলি, সখিপুর, গাজীরহাট, নাংলা, দেবহাটা সদর, গড়ানবাড়িয়া, শ্যামনগরের কাশিমাড়ি, বুড়িগোয়ালিনী, জয়নগর, আটুলিয়া, রমজাননগর, ভেটখালি, গাবুরা, কৈখালি, ঈশ্বরীপুর, ভুরুলিয়া, খানপুরসহ বিভিন্ন জামায়াত অধ্যুষিত এলাকায়ও মাঠে নেই জামায়াত-শিবির। এসব এলাকার জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে মাঠ ছাড়া হলেও জামায়াত-শিবির চোরা গোপ্তা হামলা অব্যাহত রেখেছে। হামলার ভয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী এখনো ঘরে ফিরতে পারছেন না। আতঙ্কিত ছিল জেলার প্রতিটি এলাকার সাধারণ মানুষ। এছাড়া জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও চরম আতঙ্কিত ও শঙ্কিত ছিল। রাস্তা কেটে, গাছ কেটে, বাড়িঘরে আগুন দিয়ে, কুপিয়ে ও পিটিয়ে মানুষ হত্যা করে চরম নৈরাজ্য ও তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির। অবরোধ কর্মসূচি ১৮ দলীয় হলেও বিএনপি'র শীর্ষ নেতাদেরকে মাঠে পাওয়া গেছে খুব কম। জামায়াত-শিবির ছাড়া ১৮ দলের কোন শরীক দলকে অবরোধ কর্মসূচিতে মাঠে দেখা যায়নি। জামায়াত-শিবিরের কাছে গৃৃৃৃৃৃৃৃহবন্দি হয়ে পড়েছিল জেলার ২০ লক্ষ মানুষ। জরুরী প্রয়োজনেও কেউ এ সময় বাইরে বের হতে পারেননি। এলাকাবাসী, পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ বলেন, চলতি সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর সাতক্ষীয় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির। তাদের হামলায় গত ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১৫ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী। শত শত ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে জামায়াত-শিবির। সড়কের দু'ধারে লাগানো শত শত গাছ কেটে বিরাণ ভূমিতে পরিণত করেছে স্বাধীনতাবিরোধী এ চক্র। রাস্তা কেটে একাত্তরের মতো যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে রাখে গ্রামের পর গ্রাম। এ অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করতে জেলায় ১৫ ডিসেম্বর রাত থেকে শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান। অভিযানের পর থেকে সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। জেলার শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষ এসব সহিংস ঘটনা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
এদিকে জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক এ্যাড:আজিজুর রহমান জানান সরকার দলীয় ক্যাডার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে তাদের ২১ জন নেতাকর্মী। এছাড়া যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় এসব ক্যাডাররা ভাংচুর ও লুটপাট অগ্নিসংযোগ করেছে শতাধিক জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীর বাড়ী। গ্রেফতার ও হামলার ভয়ে ঘরছাডা হয়েছে শত শত নেতাকর্মী। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ডা: শহিদুল আলম জানান বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দেলন বাধাগ্রস্ত করতে সরকার সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। তারা কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুর মোহাম্মদের বাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীরদের বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট অগ্নিসংযোগ করেছে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির জানান, জামায়াত-শিবিরের অত্যাচার-নির্যাতনে জেলার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ায় যৌথ বাহিনী সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছে। ২১ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৫৭ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী এবং নাশকতার সাথে জড়িত। পুলিশ সুপার বলেন, সাতক্ষীরার মানুষ সবাই সন্ত্রাসী নয়। মুষ্টিমেয় কতিপয় সন্ত্রাসীর কাছে জেলার একটি বৃহত্ জনগোষ্ঠি জিম্মি হয়েছিল।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ বলেন, চলতি সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর সাতক্ষীয় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির। তাদের হামলায় গত ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১৫ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী। শত শত ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে জামায়াত-শিবির। সড়কের দু'ধারে লাগানো শত শত গাছ কেটে বিরাণ ভূমিতে পরিণত করেছে স্বাধীনতাবিরোধী এ চক্র। রাস্তা কেটে একাত্তরের মতো যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে রাখে গ্রামের পর গ্রাম। এ অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করতে জেলায় ১৫ ডিসেম্বর রাত থেকে শুরু হয়েছে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান। অভিযানের পর থেকে সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। জেলার শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষ এসব সহিংস ঘটনা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
এদিকে জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক এ্যাড:আজিজুর রহমান জানান সরকার দলীয় ক্যাডার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে তাদের ২১ জন নেতাকর্মী। এছাড়া যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় এসব ক্যাডাররা ভাংচুর ও লুটপাট অগ্নিসংযোগ করেছে শতাধিক জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীর বাড়ী। গ্রেফতার ও হামলার ভয়ে ঘরছাডা হয়েছে শত শত নেতাকর্মী। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ডা: শহিদুল আলম জানান বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দেলন বাধাগ্রস্ত করতে সরকার সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। তারা কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুর মোহাম্মদের বাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীরদের বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট অগ্নিসংযোগ করেছে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির জানান, জামায়াত-শিবিরের অত্যাচার-নির্যাতনে জেলার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ায় যৌথ বাহিনী সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছে। ২১ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৫৭ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী এবং নাশকতার সাথে জড়িত। পুলিশ সুপার বলেন, সাতক্ষীরার মানুষ সবাই সন্ত্রাসী নয়। মুষ্টিমেয় কতিপয় সন্ত্রাসীর কাছে জেলার একটি বৃহত্ জনগোষ্ঠি জিম্মি হয়েছিল।
__._,_.___