প্রতিদিনই পুলিশের সাথে সংঘর্ষে শিবির কর্মিরা তাদের ভাষায় শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করছেন। আজও মারা গেছে ৫ জন। তাদের ভাষায় তারা ইসলামী নেতাদের বাঁচাতে জান দিচ্ছেন। তাতে জান্নাত সুনিশ্চিত। তাদের জন্য একটা প্রশ্ন- নিজামি, সাঈদি, কাদের মোল্লা, সাকা, মুজাহিদী, গোলাম আযম, মীর কাশেম, এদের পুত্ররা কোথায়? তারা কোথায়?
এরা প্রায় সবাই লন্ডনে। একটু খোঁজ নাও, কথার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে যাবে। তারা লন্ডনে বসে নিরাপদে ভোগ বিলাসে জীবন যাপন করে। তাদের বাপেরা নিজের ছেলেদের ইসলামের (!) রাস্তায় পাঠায় নাই। এদের কেউ মাদ্রাসায় পড়ে নাই। পাচ কলেমা জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। অথচ এদের জন্য মাথা ধোলাই করা সন্তান হারিয়ে বুক খালি হচ্ছে মায়েদের, বাবার কাঁধে উঠছে সন্তানের লাশ। অন্যের মাথায় লবন রেখে বড়ই এর চাইতে ভালো ভাবে আর কেউ কোনদিন খেতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
আবার তোরা মানুষ হ।
এরা প্রায় সবাই লন্ডনে। একটু খোঁজ নাও, কথার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে যাবে। তারা লন্ডনে বসে নিরাপদে ভোগ বিলাসে জীবন যাপন করে। তাদের বাপেরা নিজের ছেলেদের ইসলামের (!) রাস্তায় পাঠায় নাই। এদের কেউ মাদ্রাসায় পড়ে নাই। পাচ কলেমা জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। অথচ এদের জন্য মাথা ধোলাই করা সন্তান হারিয়ে বুক খালি হচ্ছে মায়েদের, বাবার কাঁধে উঠছে সন্তানের লাশ। অন্যের মাথায় লবন রেখে বড়ই এর চাইতে ভালো ভাবে আর কেউ কোনদিন খেতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
আবার তোরা মানুষ হ।
On Saturday, December 14, 2013 1:59 PM, Anis Ahmed <anis.ahmed@netzero.net> wrote:
শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে নির্বাচনের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের: আনন্দবাজার
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অগ্নিগর্ভ উল্লেখ করে বাংলাদেশে কার্যকর ভূমিকা নিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ দিচ্ছে ভারত। বাংলাদেশ প্রশ্নে হোয়াইট হাউসের অবস্থানে হতাশ ভারত। পরিস্থিতিকে গুরুতর বিবেচনা করে কোনো আড়াল না রেখেই ভারতের হতাশার কথা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে বলে শনিবার ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
আনন্দবাজার লিখেছে, কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো সক্রিয় সহযোগিতার পদক্ষেপ আমেরিকা করেনি বলেই মনে করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারি সূত্রের দাবি, আমেরিকা মনে করে জামায়াতে ইসলামী জঙ্গিবাদের সমর্থক নয়। তাই রাজনৈতিক পরিসরে তাদের জায়গা দিলে, মৌলবাদী তালিবানপন্থীদের সঙ্গে লড়াইয়ে লাভ হবে। হোয়াইট হাউস থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফোনও গিয়েছে। তাকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, বিএনপির কথা মেনে পদত্যাগ করে, সরকার ভেঙে দিয়ে ভোটে যাওয়ার জন্য।
আনন্দবাজার জানায়, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংহ তার সদ্যসমাপ্ত যুক্তরাষ্ট্র সফরে সে দেশের পররাষ্ট্র সচিব ওয়েন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সাউথ ব্লক যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বকে স্পষ্ট জানিয়েছে, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার প্রশ্নে পশ্চিম বিশ্বের উচিত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক এবং হিংসামুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করা।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে বিতর্কের সময় থেকেই আমেরিকার বিরাগভাজন হাসিনার আওয়ামী লীগ। এ কথাও আমেরিকা মনে করে, বিএনপি তাদের নীতির প্রতি অনেকটাই বিশ্বস্ত। তারা ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের বাজারে ঢোকা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সহজ হবে। রণকৌশলগত প্রশ্নেও বিএনপি জোট এই মুহূর্তে আমেরিকার পক্ষে কাম্য।
আনন্দবাজারের ভাষায়, কিন্তু জামায়াতের হিংসাত্মক কাজের জন্য দেশের পরিস্থিতি যে ক্রমশই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, সে কথাই আলোচনার মাধ্যমে আমেরিকাকে বোঝানোর চেষ্টা করছে নয়া দিল্লি। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরুদ্দিন জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কথা হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিকে দেখা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কায় ভারতও। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কথায়, আমরা এ কথা বিশ্বাস করি যে একটি গণতান্ত্রিক দেশের মানুষ হিসেবে বাংলাদেশি রাজনীতিকরা তাদের মতপার্থক্য কথার মাধ্যমেই মেটাবেন।
আনন্দবাজার লিখেছে, মুখে এ কথা বললেও বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কা নয়া দিল্লির রয়েছেই। তা ছাড়া যে সুবিপুল পুঁজি ইসলামিক ব্যাংকের মাধ্যমে জামায়াতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনের হাতে গিয়েছে, তার কুপ্রভাব সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী সংগঠনও এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে। তবে ৫ হাজার বাড়তি বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন হয়েছে। সীমান্তের যেখানে কাঁটাতার নেই সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অনিল গোস্বামী দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতি জানিয়েছেন। ব্যবস্থা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার নির্দেশে রাজ্য পুলিশের ডিজি সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংহ ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটে ভারতের কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের সঙ্গে দেখা করেন। সুজাতা সিংহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেয়া এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে এরশাদ সাংবাদিকদের জানান।
আনন্দবাজার লিখেছে, কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো সক্রিয় সহযোগিতার পদক্ষেপ আমেরিকা করেনি বলেই মনে করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারি সূত্রের দাবি, আমেরিকা মনে করে জামায়াতে ইসলামী জঙ্গিবাদের সমর্থক নয়। তাই রাজনৈতিক পরিসরে তাদের জায়গা দিলে, মৌলবাদী তালিবানপন্থীদের সঙ্গে লড়াইয়ে লাভ হবে। হোয়াইট হাউস থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফোনও গিয়েছে। তাকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, বিএনপির কথা মেনে পদত্যাগ করে, সরকার ভেঙে দিয়ে ভোটে যাওয়ার জন্য।
আনন্দবাজার জানায়, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংহ তার সদ্যসমাপ্ত যুক্তরাষ্ট্র সফরে সে দেশের পররাষ্ট্র সচিব ওয়েন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সাউথ ব্লক যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বকে স্পষ্ট জানিয়েছে, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার প্রশ্নে পশ্চিম বিশ্বের উচিত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক এবং হিংসামুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করা।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে বিতর্কের সময় থেকেই আমেরিকার বিরাগভাজন হাসিনার আওয়ামী লীগ। এ কথাও আমেরিকা মনে করে, বিএনপি তাদের নীতির প্রতি অনেকটাই বিশ্বস্ত। তারা ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের বাজারে ঢোকা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সহজ হবে। রণকৌশলগত প্রশ্নেও বিএনপি জোট এই মুহূর্তে আমেরিকার পক্ষে কাম্য।
আনন্দবাজারের ভাষায়, কিন্তু জামায়াতের হিংসাত্মক কাজের জন্য দেশের পরিস্থিতি যে ক্রমশই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, সে কথাই আলোচনার মাধ্যমে আমেরিকাকে বোঝানোর চেষ্টা করছে নয়া দিল্লি। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরুদ্দিন জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কথা হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিকে দেখা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কায় ভারতও। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কথায়, আমরা এ কথা বিশ্বাস করি যে একটি গণতান্ত্রিক দেশের মানুষ হিসেবে বাংলাদেশি রাজনীতিকরা তাদের মতপার্থক্য কথার মাধ্যমেই মেটাবেন।
আনন্দবাজার লিখেছে, মুখে এ কথা বললেও বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কা নয়া দিল্লির রয়েছেই। তা ছাড়া যে সুবিপুল পুঁজি ইসলামিক ব্যাংকের মাধ্যমে জামায়াতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনের হাতে গিয়েছে, তার কুপ্রভাব সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী সংগঠনও এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে। তবে ৫ হাজার বাড়তি বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন হয়েছে। সীমান্তের যেখানে কাঁটাতার নেই সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অনিল গোস্বামী দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতি জানিয়েছেন। ব্যবস্থা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার নির্দেশে রাজ্য পুলিশের ডিজি সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংহ ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটে ভারতের কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের সঙ্গে দেখা করেন। সুজাতা সিংহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেয়া এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে এরশাদ সাংবাদিকদের জানান।
সূত্র: আনন্দ বাজার
__._,_.___