by মুক্তমনা স্কোয়ার
মানুষ স্বপ্নের মাধ্যমে অনেক কিছুই দেখে যা সে ঘুম থেকে উঠার পর মনে করতে পারে না , কিন্তু পরপবর্তিতে বাস্তব জীবনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে একই ঘটনার সম্মুখিন হয় তখন সে ভাবে এই ঘটনা আমি পূর্ব হতেই তো জানতাম ? কিন্তু অনেকেই জানতে পারে না যে সে একই রকম ঘটনা সে স্বপ্নের মাধ্যমে জেনেছে । কিন্তু পুনুর্জন্মাবাদীরা ভাবে এটা সম্ভবত আমার পেছনের জীবনের ঘটনা আর এইধরনেরই মিলে যাবার ঘটনার উপর জরিপ চালায় আবার কিছু বিশেষজ্ঞও , এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর Head of the department, psychiatry Dr. Ian Stevenson এর কথা যিনি সারা পৃথিবী থেকে তিনহাজার এর ও অধিক কেস হিস্ট্রি এর প্রমান করেছিলেন যারা পূর্বকালে ঘটে যাওয়া কিছু কথা সঠিকভাবে বলতে পারে এবং তাদের কথা বাস্তবের সাথে সম্পূর্ন মিলে যায়। আর এভাবেই কাল্পনিক ও সম্পুর্ন ধর্মীয় ভিত্তিহীন এই জন্মান্তরবাদকে বৈজ্ঞানিক ভাবেও প্রমান করার চেষ্টা করে । যদিও সত্যি সত্যি মানুষ স্বপ্নে অতীতের বা ভবিষ্যতের কিছু ঘটনা প্রায় হুবহু দেখে থাকে ।
এখন প্রশ্ন হল কেন মানুষ স্বপ্নে অতীতের বা ভবিষ্যতের কিছু ঘটনা প্রায় হুবহু দেখে থাকে ?? তার কারন হল- আমাদের সাথে চারপাশে ঘটে যাওয়া বাস্তব জীবন হতে আমরা যে লজিক গ্রহন করি তার প্রতিফলন ঘটে ঘুমের সময় অবেচেতন মনে আর তাই মস্তিষ্ক নিজেই কখনও কখনও রাইটার , কখনও ঐতিহাসিক , কখনও জোতিষী হয়ে বিভিন্ন ঘটনা তৈরী করে যার কিছু কিছু অতীতে সত্যিই ঘটেছে বা ভবিষ্যতে ঘটবে । কারন আমাদের চারপাশে বর্তমান পরিস্থিতি হতেই আমাদের মস্তিষ্ক লজিক গ্রহন করে থাকে । আর লজিক গ্রহন করে যেসব বর্তমান ঘটনা হতে, সেসব ঘটনার মত হুবহু অনেক ঘটনাই অতীতে সত্যিই ঘটেছিল বা ভবিষ্যতে ঘটতে পারে কেননা মানুষের নেচার ও পরিস্থিতি সময় এর পরিবর্তনের সাপেক্ষে প্রায় একই থাকে । আর মুসলমানেরা জন্মান্তরে বিশ্বাস করে না তারা বলে তাদের ধর্মে আছে- মানুষ যা স্বপ্ন দেখে তার বেশীর ভাগই মনের তৈরী , কিছু জ্বিন শয়তান মাথায় প্রোগ্রাম ঢুকায় আবার কিছু স্বপ্ন ফেরেশতারা মাথায় ভিশন তৈরি করে । ফেরেশতাদের দেখানো স্বপ্ন অবশ্যই সত্য এবং ভাল হয় আর বাদ বাকী দু প্রকার স্বপ্ন মিথ্যা বেশি হলেও সত্যও যে হতে পারবে না তা বলা নেই । ইহুদি খ্রিষ্টান ধর্মে জন্মান্তরবাদ নেই ।
কিন্তু অন্য ধর্মের জন্মান্তরবাদীরা স্বপ্নে কখনও যদি পোকামাকর জাতীয় কিছু খেয়ে থাকে এবং হালকা স্বাদও বুঝে , এরপর যদি বাস্তব জীবনে কখনও কোন মোরগকে ঐরকম পোকামাকর জাতীয় কিছু খেতে দেখে আর এসময় যদি তার স্বপ্নে দেখা সেই স্বাদটি একটুও অনুভব করতে পারে , তখন সে ভাবে হয়ত আমি পিছনের জীবনে পাপের কারনে মোরগ জাতীয় কিছু একটা ছিলাম নয়ত আমি আমার সামনে থাকা এই মোরগের পোকামাকর জাতীয় কিছু খাওয়ার স্বাধটাকে অন্তর দিয়ে অনুভব করতে পারছি কেন ? অথচ সে কিছুদিন পূর্বেই স্বপ্নে পোকাজাতীয় কিছু একটা খেয়েছিল কিন্তু হয়ত ঘুম থেকে জাগার পরও সে তার সেই স্বপ্নকে মনে করতে পারেনি তাই স্বপ্নে দেখার অভিজ্ঞতার দোষ না দিয়ে পেছনের জীবনের পাপের দোষ দেয় । কারন আমরা স্বপ্নে যা যা দেখি তার বেশিরভাগই মনে করতে পারি না , কিন্তু মস্তিস্কে সেই ডাটাটি ঠিকই নিউরনের মধ্যে থেকে যায় । আর কখনও যদি উক্ত ব্যাক্তির সামনে ঐ ধরনেরই কোন ঘটনা ঘটে থাকে বা সমযৌক্তিক কোন কারনেও এসব অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ন সম্বলিত স্বপ্নগুলির সৃতি জাগরিত হতে পারে যদিও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এইধরনের ছোট ছোট স্বপ্নের সৃতি একজন ব্যাক্তির সারাজীবনেও মনে পুনঃ জাগরন নাও হতে পারে যদি না উক্ত ব্যাক্তির সামনে ঐ ধরনেরই কোন ঘটনা আর কখনই না ঘটে থাকে। শুধু তাই না এমনকি কোন পশুপাখি তাদের পোষ মানলে বা কোন উপকার বা অতিরিক্ত দয়া দেখালে তারা ভাবে এ সম্ভবত আমার পেছনের জীবনের কোনআত্মীয় । তাদের ধর্মগ্রন্থে পরিস্কারভাবে জমান্তরের কথা উল্লেখ না থাকলেও মানুষকে ঈশ্বর কেন বিভিন্ন বৈষম্যের সাথে দুনিয়াতে পাঠায় তার সঠিক কোন যুক্তি না দিতে পারায় , ২য়ত এক মানুষের সাথে অন্য মানুষের নেচার এবং চেহারার অনেক মিল দেখে এমনকি পশুপাখিদের মাঝেও মানুষের মত কিছু গুন লক্ষ্য করে এই জমান্তরবাদ থিউরিটির ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে গৌতাম বুদ্ধ ও যিশু খ্রিষ্টের জন্মের পর হতে।
__._,_.___