Banner Advertiser

Saturday, December 28, 2013

[mukto-mona] জামায়াতের তাণ্ডব ইতিবাচক !!!!



প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৩ ১৬:০৪:২৪আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৩ ১৭:৪৪:০৫
জামায়াতের তাণ্ডব ইতিবাচক

















মো. আবু সালেহ সেকেন্দার : সম্প্রতি সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের কর্মী সমর্থকরা ত্রাস সৃষ্টি করেছে। গেরিলা স্টাইলে হঠাৎ রাজপথে ঝটিকা মিছিল, ভাঙচুর, ট্রাফিক সার্জেন্টদের মারধর এবং পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন ঘটনা সংঘটিত করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আসার আগে পালিয়ে গেছে। মাঝে মাঝে অপ্রস্তুত অথবা একা দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
জামায়াত তার কর্মী-সমর্থকদের ওই সব সন্ত্রাসী কার্যক্রমে নিযুক্ত করছে ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে। কিন্তু ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যারা জানেন তারা নিশ্চয় এ কথা অস্বীকার করবেন না যে, ইসলাম ধর্ম কখনো সস্ত্রাসী কার্যক্রমকে সমর্থন করে না।
ইসলামের নবী শত নির্যাতনের পরও নিরপরাধ কোনো 'কাফেরকে' অতর্কিত আক্রমণ করেননি। তিনি সব সময় ধৈর্য ধারণ করেছেন এবং গোপনে নয় প্রকাশ্য সমরে আক্রমণকারী 'কাফেরদের'  মোকাবেলা করেছেন। কিন্তু আজ জামায়াত-শিবির যা করছে তা ছিলো জাহেলিয়া যুগে বর্বর আরবদের বৈশিষ্ট্য।
পি কে হিট্রি তার হিস্ট্রি অব আরবস গ্রন্থে বলেছেন যে, জাহেলিয়া যুগে মরুবাসী আরবরা প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর মনে ভয় তৈরি করতে 'ওয়া আল কার ওয়া আল ফার' অর্থাৎ আক্রমণ কর ও পালায়ন-কর-নীতি অনুসরণ করতো। ইসলাম জাহেলিয়া যুগের অনেক নীতি গ্রহণ করলেও এ নীতিটি অনুমোদন করেনি। আজ  জামায়াত নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে সে 'আক্রমণ-কর-পালায়ন-কর-নীতি' গ্রহণ করেছে।
মতিউর রহমান নিজামী তার ইসলাম ও সন্ত্রাসবাদ গ্রন্থে The World Book Encyclopedia-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, 'সাধারণ অপরাধীরা অর্থ বা অন্যবিধ স্বার্থ হাসিল করতে চায়। বেশির ভাগ সন্ত্রাসী তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্যেই অপরাধ ঘটিয়ে থাকে।'
তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে, 'সাধারণত সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা অপহৃত ও নিহতদের মধ্যে রয়েছে কূটনীতিবিদগণ, ব্যবসায়ীবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিচারপতিবৃন্দ ও পুলিশ।'
এখন জামায়াতের এ নেতার কাছে প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে যে, তিনি সন্ত্রাসীদের যে সংজ্ঞা উল্লেখ করেছেন বর্তমান জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রম সে সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে কিনা? সন্ত্রাসী বলতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, সন্ত্রাসীরা সাধারণত রাজনৈতিক উদ্দেশে অপরাধ সংঘটিত করে। সন্ত্রাসী তারাই যাদের দ্বারা রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশসহ অন্যন্যারা আক্রান্ত হয়।
আজ জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশকে আক্রমণ করছে। এরই মধ্যে সাতক্ষীরা, জয়পুরহাট, নীলফামারী ও সীতাকুণ্ডসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করছে। সারা দেশে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর নগ্ন আক্রমণ চালিয়েছে। তাই নিজামীর বক্তব্য অনুসারে আজ জামায়াত-শিবিরকর্মীরা যা করছে সে কার্যকলাপ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মধ্যে পড়ে এমন দাবি করা অসঙ্গত হবে না।
তবে জামায়াতের কথা ও কাজে মিল না থাকার এ চরিত্র নতুন নয়। জামায়াতে ইসলামী নামে দলটি জন্মগতভাবে এ বৈশিষ্ট্য পেয়েছে। ১৯৩৩ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রহমত আলী ব্রিটিশ ভারতে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলো নিয়ে পৃথক একটি রাষ্ট্র গঠনের দাবি উত্থাপন করেন। তার প্রস্তাব অনুযায়ী পাঞ্চাব, আফগান (উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ), কাশ্মির, ইন্দাজ (সিন্ধু) এবং বেলুচিস্তান নিয়ে এ রাষ্ট্র গঠিত হবে। উক্ত এলাকার প্রথম অক্ষর নিয়ে নব গঠিত রাষ্ট্রের নাম হবে পাকিস্তান (অর্থ 'পবিত্র ভূমি')।
মুসলিম লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এ প্রস্তাব লুফে নেন। মুসলিম লীগের ১৯৪০ সালের লাহোর সম্মেলনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক কর্তৃক ভারতে মুসলিমদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। অতঃপর মুসলিম লীগ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভক্তির স্লোগান তুলে নতুন আন্দোলন জোরদার করে। কিন্তু মুসলিমদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মুসলিম লীগের প্রস্তাবের প্রকাশ্য বিরোধিতা করেন জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল আলা মওদুদী।
১৯৪১ সালে মওদুদীর নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর জামায়াত এ অভিমত ব্যক্ত করে যে, 'আধুনিক জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের দাবি ইসলামী নীতি আর্দশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের শামিল।' কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, ১৯৪৭ সালে আইনের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুইটি পৃথক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হলে জামায়াতে ইসলাম তার ভোল পাল্টায়। ড. মো. মাহবুবর রহমান তার বাংলাদেশের ইতিহাস (১৯৪৭-৭১) গ্রন্থে বলেন, 'যদিও জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরোধী ছিল, কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে এ দল পাকিস্তানকে দলীয় আদর্শ বাস্তবায়নের উত্তম ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে।'
১৯৪৭ থেকে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতারোহনের পূর্ব পর্যন্ত প্রকাশ্যে সে পাকিস্তানের প্রতি জামায়াত নেতাদের আনুগত্য আমরা দেখেছি। তাছাড়া ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের নিধনে পাক-বাহিনীকে সহায়তায় জামায়াতের ভূমিকা সবার জানা।
একদা জামায়াত যেমন পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধিতা করেছিল তেমনি তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। কিন্তু ভারত বিভক্তির পর সদ্য প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানে জামায়াত নেতারা নিজেদের পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে দেখাতে শুরু করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে এবং গোলাম আযমের পুনরায় বাংলাদেশকে পাকিস্তানে সংযুক্ত করার অপতৎপরতা ব্যর্থ হলে তারা বাংলাদেশে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে নতুন কৌশল গ্রহণ করে। বিশেষ করে ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ প্রদান করলে জামায়াত স্বনামে আবির্ভূত হয়। ১৯৯১ সালে গোলাম আযম হাইকোর্টের রায়ে এদেশের নাগরিকত্ব ফিরে পেলে এ দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তখন থেকেই জামায়াত এ দেশের জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের ভূমিকাকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা দিতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধে গোলাম আযমের ভূমিকা বাদ দিয়ে ভাষা আন্দোলনে তার অবদানকে সামনে নিয়ে আসে। সর্বশেষ ২০০১ সালে বিএনপির সঙ্গে কোয়ালিশন করে সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে নতুনভাবে জেগে উঠে।
বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানিরা বিছিন্নতাবাদী ও ভারতের এজেন্ড হিসেবে অভিহিত করলেও জামায়াত কখনো এর প্রতিবাদ করেনি। আর আজ সেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি জামায়াত নেতাদের শ্রদ্ধায় অবনত হতে দেখলে হাসি পায়। নিজামী তার ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের কূটকৌশল গ্রন্থে বলেছেন, 'মরহুম শেখ মুজিবকে আমি শ্রদ্ধা করি।' যদিও ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবের প্রতি নিজামীর এ শ্রদ্ধার কথা কেউ শোনেননি।
আসলে জামায়াত কখনো তাদের দুমুখো নীতি পরিত্যাগ করেনি। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময়ও এ নীতির নগ্ন বহিঃপ্রকাশ তারা দেখিয়েছে। জামায়াত স্বৈরাচারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আবার  স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন জোরালো হলে জামায়াতের ১০ জন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছে। ১৯৯১ সালে সরকার গঠনে বিএনপিকে সমর্থন দিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের এ আঁতাত টিকে থাকেনি। ফলে '৯৬-এর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাববধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি বিরোধী আন্দোলনে জামায়াত অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। অন্যদিকে ২০০১ সালে আবারো বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্য জোটবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগকে হঠাতে মাঠে নামে। অর্থাৎ জামায়াতের চরিত্র হচ্ছে যখন যে দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করা যাবে তখন সে দলের সঙ্গে রাজনীতির ময়দানে থাকা।
জামায়াত একদা নারী নেতৃত্বের বিরোধিতায় সরব ছিল। বিশেষ করে ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত জামায়াত নেতা সাঈদীর ওয়াজ মাহফিলের ক্যাসেটগুলো শুনলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটে যোগদান ও পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় জামায়াতের দুই নেতার মন্ত্রিত্ব গ্রহণের পর সাঈদী সাহেব উক্ত বিষয়ে চুপ হয়ে যান। তখন জামায়াতের কোনো নেতাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা বলতেন, এটি হুদায়বিয়ার সন্ধির অনুরূপ। মহানবী (স.) যেমন হুদায়বিদাতে 'কাফেরদের' সঙ্গে চুক্তি করছিলেন। ইসলামের স্বার্থে তেমনি জামায়াত বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে গমন ও মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করেছে। আমার বিশ্বাস বিএনপির সঙ্গে কোয়ালিশন ভেঙে গেলে জামায়াত আবারো এমন আওয়াজ তুলবে যে, ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম। তাই আসুন ইসলাম রক্ষার্থে আপনারা জামায়াতকে ভোট দিন।
জামায়াত তার গঠনতন্ত্রের একদিকে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও আল্লাহর আইন মান্য করার কথা বলেছে। অন্যদিকে গণতন্ত্রের কথা বলেছে। জামায়াতের এ ধরনের স্ববিরোধিতা অনেকটা 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি'র মতো। একদিকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের এ কথা বোঝানো যে, তারা ইসলামী আইন বাস্তবায়নে আন্দোলন করছে। অন্যদিকে, পুঁজিবাদীদের সৃষ্ট গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে সর্মথন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বকে বোঝানো যে, জামায়াত মডারেট ইসলামিক পার্টি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক জনগণ। ইসলামী আইনে সার্বভৌম একমাত্র আল্লাহর এবং ইসলামের সংবিধান আল-কুরআন। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংবিধান মানব সৃষ্ট। তাই জামায়াতের উপরোক্ত ইসলাম রক্ষার স্বার্থে রাজনীতি করার তত্ত্ব প্রকৃতপক্ষে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের সঙ্গে এক ধরনের ধোঁকাবাজি। যে ভণ্ডমী তারা এখনো করে যাচ্ছে: যুদ্ধপরাধের দায়ে যে কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে ওই কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের মোল্লা এক নয় এমন বিতর্ক ছড়াচ্ছে। কাদের মোল্লার ফাঁসিকে ইসলামী আন্দোলনে শহীদ বলে প্রচার করার চেষ্টা করছে।
আজ জামায়াত সারা দেশে যে তাণ্ডবলীলায় মেতে উঠেছে তা ইতিবাচক। কারণ জামায়াত যে সত্যিকার অর্থে উদার গণতান্ত্রিক, ইসলামপন্থি অথবা সাধারণ মানুষ ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী কোনো রাজনৈতিক দল নয় তাদের এ সব কার্যক্রমের মাধ্যমে তা আবারো প্রমাণিত হয়েছে। এতোদিন প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়মিত মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় আর ইসলামের নামে ভাল ভাল কথা বলে তারা সাধারণ মানুষের কাছে ভাল মানুষ হওয়ার চেষ্ঠা করেছে সে মুখোশ খুলে গেছে। জামায়াতের উগ্র জঙ্গিবাদী বা অ্যাসাসিন মার্কা চরিত্র ফুঁটে উঠেছে। যদিও জামায়াতের ভাষায় বর্তমান পরিস্থিতিকে যুদ্ধাবস্থার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু ইসলামের ইতিহাসে মহানবী (সা.) এবং খোলাফায়ে রাশেদিনের যুগে যুদ্ধাবস্থায়ও নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা, ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার কোনো ঘটনা মুসলিমদের দ্বারা ঘটেনি। বরং মহানবী (সা.) কাফেরদের মোকাবেলায় সব সময় জনমানবহীন মরু প্রান্তর বেছে নিতেন যাতে সাধারণ নিরীহ মানুষের কোনো অসুবিধা না হয়। মুসলিম সৈন্যদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা ছিল যে, তারা যেন নিরস্ত্র নারী-পুরুষ, শিশুকে আক্রমণ না করে। ফসল জ্বালিয়ে না দেয়। পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে। কিন্তু আজ জামায়াত তার কর্মীদের ইসলামের নামে ভুল বুঝিয়ে ওই সব করছে। রাস্তার দুই পাশের গাছ কেটে ফেলে পরিবেশের ক্ষতি করছে। গ্রামের পর গ্রাম বিধ্বস্ত করছে।
জামায়াত ইসলামের কথা ও কাজে মিল না থাকার বহু প্রমাণ আছে। এ সব কথা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই জানে। কিন্তু নানা সময়ে তারা এসব স্ববিরোধিতা এড়িয়ে জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে একে অপরের স্বার্থ সিদ্ধি করেছে। আজ আওয়ামী লীগ জামায়াতের বিরোধিতা করলেও ভবিষ্যৎ এ জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি বিরোধী আন্দোলন করবে কিনা আমরা জানি না। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক তরুণ প্রজন্মের সমর্থনে ক্ষমতায় যেতে হলে উভয় দলকেই জামায়াতকে পরিত্যাগ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

মোঃ আবু সালেহ সেকেন্দার: শিক্ষক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃত বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

- See more at: http://dhakatimes24.com/2013/12/20/9065#sthash.7XEWYnA1.dpuf




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___