Banner Advertiser

Saturday, December 7, 2013

[mukto-mona] অতঃপর বাংলাদেশ এখন আফগানিস্তান!



অতঃপর বাংলাদেশ এখন আফগানিস্তান!
আবদুল মান্নান
লেখার শুরুতেই বর্তমান সময়ের শেষ স্টেট্সম্যান দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি তার নিজ বাসভবনে ৯৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। সারাবিশ্বের মানুষ এই মহান নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ম্যান্ডেলা একবারই এই দেশে এসেছিলেন। আরও এসেছিলেন ইয়াসির আরাফাত আর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সুলেমান ডেমিরিল। স্বাধীনতার পঁচিশ বছর পূর্তি আগের বছর হলেও সেটি নির্বাচনের বছর ছিল বলে সে বছর অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা যায়নি। এক বছর পরে হয়েছিল। এই তিনজন রাষ্ট্রনেতাকে শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ হতে ২৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। সেদিন আবার কি কারণে বিএনপি বিক্ষোভ পালন করছিল। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা ফিরে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীদের মিছিল হতে হোটেল শেরাটনের সামনে কেউ একজন গাড়ি বহর লক্ষ্য করে ছেঁড়া স্যান্ডেল নিক্ষেপ করেছিল। এতে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ অপমানিত হয়েছিল। এমন একটি কাজ বিএনপি নামক দলটির পক্ষেই করা সম্ভব। 
ম্যান্ডেলা যখন শ্বেতাঙ্গদের কারাগারে তখন সারা বিশ্বের মানুষ তার মুক্তি ও দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ অবসানের জন্য প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে। ১৯৮৯ সালে লন্ডনের কেন্দ্রস্থল ট্রাফালগার স্কয়ারে তাঁর মুক্তির দাবিতে বছরব্যাপী ম্যারাথন প্রতীকী অনশন কর্মসূচী চলছিল। সুযোগ হয়েছিল সেই কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার। ঘণ্টা দু'এক সেই কর্মসূচীতে অংশ নিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেছিলাম। একইভাবে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউন সান সুচি'র মুক্তির দাবিতে জাতিসংঘের মহাসচিবকে দেয়ার জন্য সারাবিশ্বে আবেদনপত্রে গণস্বাক্ষর অভিযান চলছিল। বাংলাদেশেও এই স্বাক্ষর অভিযান চলে এবং নিজেরা উদ্যোগী হয়ে হাজার দু'এক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছিলাম। এই দু'জন যখন নোবেল শান্তি পুরস্কার পায়, তখন বেশ স্বস্তি বোধ করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীকালে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুচির অবস্থান দেখে মনে হয়েছে এই পুরস্কারটি একেবারেই অপাত্রে দান করা হয়েছে। পরে মনে মনে সান্ত¡না পেয়েছি যে ১৯৩৯ সালে হিটলারকেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। গান্ধী পাঁচবার শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন কিন্তু অনেকের মতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের আশীর্বাদ না থাকাতে তার ভাগ্যে এই পুরস্কার জোটেনি। নেলসন ম্যান্ডেলা ইতিহাসের বরপূত্র হয়ে থাকবেন আর গান্ধীকে তিনি তাঁর গুরু মনে করতেন। 
সারা বিশ্বের অকুণ্ঠ শ্রদ্ধার পাত্র শান্তির দূত নেলসন ম্যান্ডেলার যখন মহাপ্রয়াণ হলো তখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির আগুন জ্বলছে এবং আগুনের সর্বশেষ তাপ লেগেছে বাংলাদেশে। এই দেশে অশান্তির আগুনটা লেগেছে ২০১০ হতে; যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার শুরু হয়। তারপর আসে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক বাংলাদেশের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়। সেই রায়ে সংবিধান হতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু বিরোধী দল বিএনপি মনে করে এমন একটি সরকার ব্যবস্থার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে অতীতের এত পাপের বোঝা নিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরা তাদের পক্ষে সহজ হবে না। এই ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার বিরুদ্ধে বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলনে নামে এবং পরে সারা দেশে চরম নৈরাজ্য বাস্তবায়নের কর্মসূচী হাতে নিয়ে দেশে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে দেয়। যতই দিন যেতে থাকে ততই তাদের এই কর্মসূচী চরম প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। বর্তমানে তা এক ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এবং এর প্রধান কারণ বিএনপির প্রধান মিত্র জামায়াত এবং সন্ত্রাস সৃষ্টি ও নরহত্যায় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাদের ঘাতক বাহিনী ছাত্র শিবির। 
বিএনপি-জামায়াতের যৌথ উদ্যোগে বর্তমানে দেশে যে ভয়ঙ্কর এক সন্ত্রাস চলছে তাতে পেট্রোলবোমায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এই মুহূর্তে দেশের হাসপাতালগুলোর বার্ন ইউনিটে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন শ'খানেক নিরীহ মানুষ, যাদের প্রায় সকলেই নিম্নবিত্ত পরিবারের। মৃত্যু হয়েছে ষাটজনের মতো। এদের মধ্যে শিশু, কিশোর, মহিলা, প্রতিবন্ধী আর বৃদ্ধ রয়েছে । দশজন পুলিশ সদস্য, দু'জন বিজিবি আর একজন সেনা সদস্যকে এই দুর্বৃত্তদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে। এরই মধ্যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে এই সন্ত্রাসের মাত্রা বহুগুণ বৃদ্ধি পায় এবং দেশের কিছু সুশীল ব্যক্তি এই নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের মদদ যোগাতে এগিয়ে আসেন, যার মধ্যে একশ্রেণীর মিডিয়া আর মধ্যরাতের টকশোতে অংশ গ্রহণকারীদের নাম সকলের আগে নিতে হয়। কোন কোন বিজ্ঞ টকশো অংশগ্রহণকারী নির্র্দ্বিধায় বলেন, বিরোধী দলকে শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশ করতে না দিলে তারা তো সহিংসতার আশ্রয় নিতেই পারে। গত তিন বছরে বিরোধী দলের কয়টি মিছিল- সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাব কিন্তু তাদের কাছে নেই। এসব সমাবেশে বিরোধী পক্ষের কেউ না থাকলেও নিজেরাই সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে অশান্তি সৃষ্টি করে আর মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কের দু'পার্শ্বে দোকানপাট আর গাড়ি ভাংচুর তো একটা নিয়মিত ঘটনা। 
এক বর্ষীয়ান সাংবাদিক, যিনি এক সময় বঙ্গবন্ধুর খুব কাছের মানুষ বলে নিজেকে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন, তিনি শেখ হাসিনাকে জানি দুশমন মনে করেন। কারণ তিনি তারেক জিয়ার বন্ধুর হয়ে একটি টিভি লাইসেন্স চেয়ে পাননি। তিনি প্রায় প্রতিরাতে একটি বিশেষ টিভি চ্যানেলে এসে বিনা কারণে শেখ হাসিনার প্রতি কামান দাগেন। ক'দিন আগে বেশ ফুর্তির সঙ্গে বললেন শেখ হাসিনা তো এখন শুধু ঢাকার প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ তাঁর হাতছাড়া হয়ে গেছে। একজন সম্পাদক আওয়ামী লীগকে রীতিমতো ঘৃণাই করেন। প্রতিরাতে কোন না কোন টিভি টকশোতে থাকেন। কথা বলার সময় শারীরিক কসরত করে নেন। সেদিন বললেন, এই মুহূর্তে দেশে সবচেয়ে ঘৃণিত দল আওয়ামী লীগ। কারণ তারা বাংলাদেশকে এখন ভারতের একটি আজ্ঞাবহ দেশে পরিণত করেছে। গত ৫ মে হেফাজতের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থাকে তিনি একটি চরম গর্হিত কাজ বলে মনে করেন এবং বলেন এর ফলে এখন দেশের সব ধর্মভিত্তিক দল একত্রিত হয়ে গেছে। 
একবার আমি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছিলাম। আমার প্রতিবেদনের মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশ সম্পর্কে পাকিস্তানের সরকার ও সাধারণ মানুষের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হচ্ছে কি-না সেই প্রসঙ্গ। লেখাটি আমি দেশের একটি প্রধান শ্রেণীর ইংরেজী দৈনিকে পাঠাই। এই দৈনিকে আগেও আমার অনেক ক'টি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকদিন অপেক্ষা করার পর যখন জানলাম লেখাটি সেই পত্রিকায় প্রকাশিত হবে না, তখন আমি এই সম্পাদককে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করি এবং লেখাটি সম্পর্কে অবহিত করি। তিনি বলেন, অসুবিধা নেই পাঠিয়ে দিন। পাঠানোটাই সার হয়েছিল তা আর কখনও ছাপা হয়নি। পরে অবশ্য একটি নতুন দৈনিকে লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল। দেশের মিডিয়াগুলোর অভ্যন্তরীণ অবস্থা আর তাদের নিজস্ব রাজনীতি সম্পর্কে যদি দেশের মানুষ জানত, তাহলে এসব অনেক মিডিয়ার ব্যাপারে মানুষের ধারণা পাল্টে যেত। 
প্রায় পাঁচ বছর পর সেদিন আমি নিজে এক টিভির টকশোতে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলাম। অন্য চ্যানেলে গেলেও এই চ্যানেলটিকে এড়িয়ে চলি। তাদের কাছে জানতে চাই আর কে থাকবেন। প্রযোজক জানালেন, সেই সম্পাদকের কথা আর বললেন একজন ব্যারিস্টার। বলি, ভাই মাফ চাই। এই দুই জনের সঙ্গে মধ্যরাতে বাহাসে লিপ্ত হওয়া সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। সেই ব্যারিস্টার আবার উত্তর ঢাকার মেয়র হওয়ার খায়েস জানিয়ে কিছুদিন আগে পোস্টারে-পোস্টারে শহর ছেয়ে ফেলেছিলেন। তিনি আবিষ্কার করেছিলেন ঢাকার জনগণ নাকি তাকে চায়। তিনি ঢাকার অবতারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে ইচ্ছুক। কিছু পরে প্রযোজক আবার ফোন করে জানালেন তিনি অংশগ্রহণকারী পরিবর্তন করেছেন। এখন থাকবেন বেগম জিয়ার একজন উপদেষ্টা এবং একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। পরের জনকে অনেকেই মনে করেন বেগম জিয়ার অঘোষিত উপদেষ্টা। রাজি হই। 
আলোচনার একপর্যায়ে যখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের কথা আসে তখন উপদেষ্টা মহোদয় বলেন, ওখানে একজন মহিলা আছে যিনি বাড়ির চুলার আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাকে বলি ঠিক আছে, বাকি ত্রিশজন যে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তাদের কি হবে, তখন তিনি নিশ্চুপ। 
বর্তমান চলমান সন্ত্রাস আর নৈরাজ্য নিয়ে কথা উঠলে পুলিশের ভূমিকাও উঠে আসে। সঞ্চালক জানতে চান পুলিশ কি জনগণের বন্ধু? সেই শিক্ষক বেশ উচ্চকণ্ঠে বলেন 'কখনই না।' আমি বলি, হ্যাঁ, আমাদের পুলিশের অনেক দুর্বলতা আর প্রশিক্ষণের ঘাটতি আছে, তবে তাদের জনগণের শত্রু ভাবার তো কোন কারণ নেই। টিভির ক্যামেরাম্যানরা পুলিশের সঙ্গে থেকে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ছুঁড়ছে তা দেখায় কিন্তু কদাচিৎ তারা কি অবস্থায় পুলিশ এ্যাকশনে যায় তা দর্শকদের সামনে তুলে ধরে। পুলিশ যদি কোন ব্যবস্থা না নেয়, তা হলে বলে পুলিশ বা সরকার জনগণের জানমালের হেফাজত করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর যদি ব্যবস্থা নেয়, তখন বলে পুলিশ অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে। বাড়িতে ডাকাত পরলে বাড়ির মালিক তো তার জানমালের নিরাপত্তার জন্য যা যা করার প্রয়োজন তা করবেনই। এতে দুর্বৃত্তদের প্রাণহানিও হতে পারে। তাতে বিচলিত হওয়া সব সময় যৌক্তিক নয়। 
এখন দেশে যে রেললাইন তুলে নিরপরাধ যাত্রী হত্যা করা হচ্ছে তা বন্ধ করতে যদি পুলিশ গুলি চালায় এবং তাতে যদি কোন দুর্বৃত্তের প্রাণহানি হয়, তা হলে এটি কি বলা সমীচীন হবে যে পুলিশ বেশি বাড়াবাড়ি করেছে? গত শুক্রবার কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী ছিল না। জুমার নামাজ শেষে উত্তর বাড্ডায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা ব্যাপক নাশকতা চালিয়েছে। পুলিশের পিকআপ ভ্যানসহ চারটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে, দশ-পনেরোটি গাড়ি ভাংচুর করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে। এই অবস্থায় পুলিশের এ্যাকশনে যদি ঘটনাস্থলে কোন ক্ষয়ক্ষতি হতো তা হলে পুলিশকে কতটুকু দায়ী করা যেত? 
শমশের মুবিন চৌধুরী বিএনপির অত্যন্ত একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। বেগম জিয়ার সর্বক্ষণিক সঙ্গী। একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। পরে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চলে যান। একাত্তরে ২৬ মার্চ চট্টগ্রামে ছিলেন। চট্টগ্রামের কালুরঘাট যুদ্ধে তিনি বীরত্বের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন এবং আহত হন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আত্তীকরণ হন। বেগম জিয়ার শাসনামলে তিনি পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত হন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের পর ঘাতকরা চার জাতীয় নেতাকে কারাগারে হত্যা করার পর ব্যাঙ্ককে পালিয়ে গেলে তিনি সেখানে গিয়ে তাদের পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় অর্থ ও অন্যান্য কাগজপত্র পৌঁছে দেন। গত মঙ্গলবার তিনি বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে বললেন, বাংলাদেশে এখন যে সংঘাত-সন্ত্রাস হচ্ছে, তা যুদ্ধের চেয়ে কম নয় এবং যুদ্ধে নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হতেই পারে। তিনি আফগানিস্তান প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন আফগানিস্তানে পশ্চিমাশক্তি কত নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে সুতরাং বাংলাদেশে এমন সব হত্যাকা- ঘটলে তাতে এত হৈচৈ করার কী আছে? এটি শুনে ব্যক্তিগতভাবে আমি স্তম্ভিত। কার বিরুদ্ধে শমশের মুবিনের সৈন্যরা যুদ্ধ করছে? তা হলে সত্যি সত্যি বাংলাদেশ কি আফগানিস্তান হয়ে গেল? সার্বিক অবস্থা বিচার করলে, তা মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। ইদানীং মোল্লা ওমর আর ওসামা বিন লাদেনের মতো বিএনপির নেতারা গোপন আস্তানা হতে ভিডিও টেপ পাঠিয়ে তাদের মানুষ হত্যার কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এতদিন কক্সবাজারের গরম মিয়া নামে পরিচিত বেগম জিয়ার একদা প্রটোকল অফিসার সালাহউদ্দিন এমন প্রচার করতেন। শুক্রবার বিএনপির ঢাকা মহানগর মহাসচিব আবদুস সালাম একইভাবে অজ্ঞাত স্থান হতে ঘোষণা দিয়ে জানালেন বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রবিবার সকাল হতে সোমবার সকাল ছ'টা পর্যন্ত ঢাকা শহরে হরতালের আড়ালে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হবে। অবরোধের ভেতর হরতাল। এটা সম্ভবত ঢাকায় সফররত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি অস্কার ফার্নান্দেজকে তাদের ধ্বংসাত্মক শক্তি প্রদর্শনের একটি মহড়া। সাদেক হোসেন খোকা কোরবানির ঈদের আগে 'জনগণের' উদ্দেশে কোরবানির পর দা-ছুরি নিয়ে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন; যা ছিল একটি চরম দায়িত্বহীন ফৌজদারি অপরাধ। বহুদিন ধরে জামায়াত-শিবির সেøাগান দিত 'আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান।' এখন তো বলতে হয়, তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথে। এখন দেখার অপেক্ষায় বিএনপি-জামায়াত-শিবির-কথিত সুশীল আর একশ্রেণীর মিডিয়ার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ কত দ্রুত আফগানিস্তানে পরিণত হবে।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষক। 
ডিসেম্বর ৭, ২০১৩



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___