A friend of mine, who never stood second in his academic life, and now the VC of a prominent University in Bangladesh wrote the following discourse:
সেই আমলে একবার এক বিদেশী সাংবাদিক গিয়াসুদ্দিন মামুনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন - আপনি এত তাড়াতাড়ি এত বড়লোক হয়ে গেলেন কি করে? মামুন খুব হেসে হেসে বলেছিলেন - বাংলাদেশে ব্যবসা করে টাকা বানানো এতো সহজ, আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না। আমিও জানতাম না আগে।
প্রায় ষাট বছর আগে আমার বাবা (মুজিবের সাথেই, তবে মুসলিম লীগ বিরোধী যুক্তফ্রন্টের সুহরাওয়ার্দির আওয়ামী লীগ নয়, শের-এ-বাংলার কৃষক শ্রমিক পার্টির মনোনয়নে) এমপি হন। পূর্ব বাংলায় বিপুল ভোটে (একটি সম্পূর্ণ অবাধ নির্বাচনে মুসলিম লীগ মাত্র ১০টি আসন পেয়েছিল এবং মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমীন এক ছাত্র নেতার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন) ক্ষমতায় গেলেও স্বার্থের দ্বন্দ্বে যুক্তফ্রন্ট ভেঙ্গে যায় অচিরে। ফলে বাবা হয়ে যান বিরোধী দলের সদস্য। সম্পাদক হিসেবে যে ৮০০-৯০০ বেতন পেতেন সেটাই ছিল প্রধান আয়, কেন না এমপি হিসেবে পেতেন মাসে ২৫০ টাকা। স্কুলের মসিক ৭ টাকা বেতন নিয়মিত দিতে না পারায় আমার রোল নম্বর প্রতি বছর ১ থেকে সবার নিচে চলে যেত। এমন কি পাঠ্যবইও কোন বছরই সবগুলো কিনে দেন নি। কোন রকমে চালিয়ে দিতাম।আমার বোন দেরকে কোন ভালো স্কুলে ভর্তি করার সামর্থ ছিল না তাঁর।
তবে সরকারী দলে থাকলেও, আমার বিশ্বাস অবস্থা একই থাকত।
পরে আমার তিন ফুফাত ভাইও আমাদের এলাকার এমপি হয়েছেন। আমার জ্ঞানে কেউই খুব বড়লোক হতে পারেন নি।
যুগ পাল্টেছে। এই এমপি নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে দেয়া বর্তমান সম্পদের সাথে পুরোনো বিবরণ মিলিয়ে সবাই হতভম্ব হয়ে গেছে দেখছি। ফলে এখন কেউ আর বিরোধী হতে চাইছে না, সবাই মন্ত্রী হতে চায়। নিজেদের ভাগে কম পড়া নিয়েই নাকি এরশাদের মান-অভিমান।
তোরা যে যা বলিস ভাই
আমার মন্ত্রী হওয়া চাই-
কোটি কোটি টাকা লুটের
সেরা উপায়, তাই।
প্রায় ষাট বছর আগে আমার বাবা (মুজিবের সাথেই, তবে মুসলিম লীগ বিরোধী যুক্তফ্রন্টের সুহরাওয়ার্দির আওয়ামী লীগ নয়, শের-এ-বাংলার কৃষক শ্রমিক পার্টির মনোনয়নে) এমপি হন। পূর্ব বাংলায় বিপুল ভোটে (একটি সম্পূর্ণ অবাধ নির্বাচনে মুসলিম লীগ মাত্র ১০টি আসন পেয়েছিল এবং মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমীন এক ছাত্র নেতার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন) ক্ষমতায় গেলেও স্বার্থের দ্বন্দ্বে যুক্তফ্রন্ট ভেঙ্গে যায় অচিরে। ফলে বাবা হয়ে যান বিরোধী দলের সদস্য। সম্পাদক হিসেবে যে ৮০০-৯০০ বেতন পেতেন সেটাই ছিল প্রধান আয়, কেন না এমপি হিসেবে পেতেন মাসে ২৫০ টাকা। স্কুলের মসিক ৭ টাকা বেতন নিয়মিত দিতে না পারায় আমার রোল নম্বর প্রতি বছর ১ থেকে সবার নিচে চলে যেত। এমন কি পাঠ্যবইও কোন বছরই সবগুলো কিনে দেন নি। কোন রকমে চালিয়ে দিতাম।আমার বোন দেরকে কোন ভালো স্কুলে ভর্তি করার সামর্থ ছিল না তাঁর।
তবে সরকারী দলে থাকলেও, আমার বিশ্বাস অবস্থা একই থাকত।
পরে আমার তিন ফুফাত ভাইও আমাদের এলাকার এমপি হয়েছেন। আমার জ্ঞানে কেউই খুব বড়লোক হতে পারেন নি।
যুগ পাল্টেছে। এই এমপি নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে দেয়া বর্তমান সম্পদের সাথে পুরোনো বিবরণ মিলিয়ে সবাই হতভম্ব হয়ে গেছে দেখছি। ফলে এখন কেউ আর বিরোধী হতে চাইছে না, সবাই মন্ত্রী হতে চায়। নিজেদের ভাগে কম পড়া নিয়েই নাকি এরশাদের মান-অভিমান।
তোরা যে যা বলিস ভাই
আমার মন্ত্রী হওয়া চাই-
কোটি কোটি টাকা লুটের
সেরা উপায়, তাই।
- AR
তবে টাকা ছাড়াও জীবন চালিয়ে নেয়া যায়।
__._,_.___