Banner Advertiser

Friday, February 21, 2014

[mukto-mona] Fw: জাওয়াহিরির চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশে গোপন মিশন!





On Friday, February 21, 2014 4:17 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:
জাওয়াহিরির চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশে গোপন মিশন!
টাইম এশিয়ায় প্রকাশিত সেই 'ডেডলি কার্গো' কাহিনী
বিভাষ বাড়ৈ ॥ আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা প্রধান জাওয়াহিরি ২০০২ সালের মার্চ মাসে চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কয়েক মাস অবস্থান করেছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের আশীর্বাদে তখন জাওয়াহিরি গোয়েন্দা সংস্থার কিছু সদস্যের সঙ্গে একাধিক গোপন বৈঠকে মিলিত হন। সে সময় ওসামা বিন লাদেনের পর আল কায়েদার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন এ জাওয়াহিরি। জাওয়াহিরিসহ আল কায়েদা বিশাল একটি প্রশিক্ষিত জঙ্গী গ্রুপকে এমভি মক্কা নামে একটি জাহাজ রাতের আঁধারে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নামিয়ে দিয়ে যায়। আল কায়েদার শীর্ষ নেতাদের গোপন সেই মিশন নিয়ে ২০০২ সালের অক্টোবরে টাইম এশিয়ায় প্রকাশ হয়েছিল আলোচিত প্রতিবেদন 'ডেডলি কার্গো- বাংলাদেশ হ্যাজ বিকাম এ সেফ হ্যাভেন ফর আল কায়েদা এ্যান্ড তালেবান।' বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠা নিয়ে প্রায় একই সময় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউতেও। দেশী-বিদেশী প্রভাবশালী গণমাধ্যম, নিরাপত্তা বিশ্লেষকসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আল কায়েদা নেতাদের সেই মিশনের পুরো কার্যক্রম তদারকি কয়েছিল তৎকালীন সরকারের অংশীদার জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোট। 
আন্তর্জাতিক কিছু গণাধ্যম ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন, জাওয়াহিরির চট্টগ্রামে প্রবেশের সেই রাতে ৪০ লোক অস্ত্রের চালানসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল তারা ছিলেন আফগানিস্থান থেকে আসা আল কায়েদা ও তালেবানের সদস্য। আল কায়েদা নেতাদের সেই সফরে তাদের সঙ্গে ছিল গোলাবারুদের বাক্স এবং কাঁধে ঝোলানো ছিল একে-৪৭। তবে পরবর্তীতে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রবেশকারী আল কায়েদা ও তালেবানের সদস্য জঙ্গীদের সংখ্যা ছিল শতাধিক। বাংলাদেশের তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার দেশের ভেতরে জিহাদী তৎপরতা ও প্রতিক্রিয়াশীল দলগুলোর সক্রিয়তা সর্ম্পকিত সে সময়ের সব প্রতিবেদন অস্বীকার করে এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। কারণ তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক হচ্ছে জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুই দল ইসলামী ঐক্যজোট ও জামায়াত। তখনকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের হয়ে এসব তথ্যকে ভুয়া বলে দাবি করার আরও একটি কারণ ছিল, এক দিকে খোদ বিএনপির সঙ্গে ঘটনার সম্পৃক্ততা অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রর কাছে অবস্থান খারাপ হয়ে পড়ার ভয়। আল কায়েদা, তালেবানসহ আন্তর্জাতিক জঙ্গী দমনে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার হওয়ায় তৎকালীন সরকার ঘটনাকে অস্বীকার করার কৌশল নিয়েছিল। টাইম এশিয়ায় এ্যলেক্স পেরি তার 'ডেডলি কারগো' শিরোনামের প্রতিবেদনে তথ্য প্রমাণ ঘেঁটে লিখেছিলেন, মার্চ মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশে এসে এক মাসেরও বেশি সময় অবস্থান করেছিলেন জাওয়াহিরি। তাকেসহ আল কায়েদার একটি বড় দলকে এমভি মক্কা নামে একটি জাহাজ রাতের আঁধারে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নামিয়ে দিয়ে যায়। এ সময় তিনি এক মৌলবাদী নেতার বাড়িতে অবস্থান করেন। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশকে একটি ফ্রন্ট হিসেবে ব্যবহার করার জন্যই ঢাকায় আসে আল কায়েদার সেই গ্রুপটি। চট্টগ্রামের জঙ্গী ও উগ্র মৌলবাদী ধর্মান্ধ সন্ত্রাসবাদী গ্রুপের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন তাঁরা। বৈঠকে আল কায়েদা নেতারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তারা যে পরবর্তী হামলা চালাবে সে জন্য বাংলাদেশকে তারা একটি ফ্রন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে চান। যুক্তরাষ্ট্রকে তার কৃত অপরাধের জন্য শাস্তি দিতে চান তারা। বাংলাদেশের ইসলামী গ্রুপকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদক এলেক্স পেরি লিখেছেন, সে বছরের মার্চ মাসেই জাওয়াহিরি ঢাকায় এসে অবস্থান করেন। মৌলবাদী ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের কম্পাউন্ডে বৈঠকে মিলিত হন তিনি। 
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে জঙ্গীদের ব্যাপক তৎপরতার সময়ে আল কায়েদার নেতাদের এখানে আসার মধ্য দিয়ে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের যে বীজ রোপণ করা হয়েছে তা দিনে দিনে মহীরুহে পরিণত হয়েছে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বাংলাদেশের ২০০২ সালের দিকে সন্ত্রাসী দল হরকাতুল জিহাদ (হুজি) ছিল আল কায়েদারই সহযোগী। এ সংগঠনের এক সিনিয়র নেতা জুন মাসে টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, জাওয়াহিরির সঙ্গে সেই রাতে যে ৪০ লোক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল তারা আফগানিস্থান থেকে আসা আল-কায়েদা ও তালেবানের সদস্য। এই খবরের সত্যতাও নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর তিন উর্ধতন কর্মকর্তাও। আল কায়েদা নেতাদের অনুপ্রবেশের পরবর্তীতে ৭ অক্টোবর ভারতীয় পুলিশ ও বার্মিজ বংশোভূত হুজি সৈনিক ও অস্ত্রবাহক ফজলে করিমকে আটক করা হয়েছিল যখন সে কাশ্মীর থেকে কলকাতায় ট্রেনে পৌঁছায়। ফজলে করিম স্বীকার করেছিল বাংলাদেশে পলায়নরত ২ হুজির সদস্যের সঙ্গে তার সাক্ষাত হয়েছিল আগস্টে। সূত্রগুলো বলছে, চার দলীয় জোট আমলে আল-কায়েদার দলটির আগমন বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। তখন বাংলাদেশের সংবাদপত্রেও একটি দূতাবাসের বরাত দিয়ে বলেছিল, ওসমা বিন লাদেনের দ্বিতীয় হাত মিশরীয় বংশভূত আয়মান আল জাওয়াহিরি বাংলাদেশে লুকিয়ে আছেন এবং সে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার পর মাসের পর মাস বসবাস করছে। জাওয়াহিরি ঢাকায় পৌঁছায় মার্চের প্রথম দিকে এবং সরকারের অংশীদার ইসলামিক দলের নেতার ছত্রছায়ায় অবস্থান করে। তবে গণমাধ্যমের কাছে তখন অস্পষ্ট ছিল যে, কিভাবে জাওয়াহিরি পৌঁছাল বা সে কখন কোথায় অবস্থান করছে। জিডিএফআই সূত্র টাইমকে জানিয়েছিল, জাওয়াহিরিকে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে হয়েছিল গ্রীষ্মে এবং পূর্ব সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বার্মার রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সঙ্গে কাজ করার জন্য। টাইম তার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রশ্নে তুলেছিল, এটা সত্য যে বাংলাদেশ আফগানিস্থান বা পাকিস্তান নয়। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে সন্ত্রাসীদের জন্য উর্বর ভূমি ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের কিছু নিজস্ব সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ছিল। দেশটির দক্ষিণের পার্বত্য অংশ ও উত্তরের ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত সীমানা ছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং ইসলামিক জঙ্গীরা ও সন্ত্রাসীরা কম্বোডিয়া ও দক্ষিণ থাইল্যান্ড থেকে শ্রীলঙ্কা, কাশ্মীর, কেন্দ্রীয় এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যর এ পথকে ব্যবহার করত। বহুবছর ধরে উখিয়ায় ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, কাশ্মীর, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং উজবেকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী জঙ্গীদের মদদ পেয়ে এসে। সিএনএন কর্তৃক প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে আল কায়েদার প্রশিক্ষণে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের ছবি ফুটে উঠেছে। বিন লাদেনের ৫ সহযোগীর (তার পক্ষে স্বাক্ষরকারী) একজন ফাজুল রহমান ১৯৯৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার বিরুদ্ধে 'জিহাদের' এর ঘোষণা দিয়েছিল তিনিই 'বাংলাদেশে জিহাদী আন্দোলন' পরিচালনাকারী নামে স্বাক্ষর করেছিলেন। বাংলাদেশে এসে এ বাহিনীর সদস্যরা মূলত নতুন পরিচয় পায় এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আফগাস্তিানে ও ভারতের কাশ্মীরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। 
আরও জানা যায়, এমবি মক্কা ফিরতি ভ্রমণ করেছিল ডিসেম্বরেই। ২০০১ সালের জুনে করাচী থেকে চিটাগং বন্দরে এক বোটে ৫০ জঙ্গী আফগানিস্তানে বিন লাদেনের ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে এসে পৌঁছায়। বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লব আনার প্রয়াসে আফগান ফেরত বাংলাদেশ মুজাহিদিনের সদস্যরা ১৯৯২ সালে হরকত-উল জিহাদ (হুজি) গঠন করেছিল। পরবর্তীতে ২০০০ সালে জুলাই মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২ বার বোমা হামলার প্রচেষ্টা ও বিভিন্ন স্থানে সিরিজ বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। এ সংগঠনটি এবং একই সঙ্গে জামায়াত ও এর ইসলামী ছাত্রশিবির বোমা হামলা ও হত্যার পেছনে প্রত্যক্ষ ইন্ধন দিয়েছিল। টাইম তার প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে জামায়াত সম্পর্কে বলেছে, বিভিন্ন জনসমাবেশে জামায়ত নেতারা প্রকাশ্যে 'ইসলামী জিহাদকে' ছড়িয়ে দেয় এবং সমর্থকরা বিন লাদেন ও হুজির পোস্টার সেঁটে দেয়। এসব পোস্টারের সেøাগান ছিল 'আমরা সবাই হব তালেবান, বাংলাদেশ হবে আফগানিস্তান। জামায়াত বহু বছর ধরে অবৈধ মাদ্রাসা বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রধান শক্তি বলয় হিসেবে কাজ করে এসেছে। এক হিসেব মতে, বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসা রয়েছে যার ৩০ থেকে ৪০ টিতে 'মুজাহিদন বাংলাদেশ'-এর প্রবীণ সদস্যরা পরিচালনা করে, জঙ্গীদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেয়। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকারের শরিক দুই ইসলামী দলের প্রত্যক্ষ মদদ ও সহাযোগিতার প্রশ্নে তারেক জিয়া বলেছিলেন, সরকারে এমনকি বাংলাদেশে কোন 'তালেবান' নাই। 
আল কায়েদার সঙ্গে জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোটের আদর্শিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ ২০০২ সালেই ছিল সুস্পষ্ট। তাই সেই সময়েই টাইম এশিয়া লিখেছিল, ডিজিএফআই, বাংলাদেশে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার বিষয়টি গোপনীয় থেকে যায়। এর প্রতিনিধিরা মূলত পাকিস্তানের আইএসআই ও ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফার নেতৃত্বস্থানীয়দের জন্য ঢাকায় নিরাপদ বাসস্থানের সুযোগ করে দেয়। হুজিসূত্র ও বন্দরসূত্র (বন্দরকর্মী) দাবি করে জানায়, এমবি মক্কা থেকে সেই রাত্রে আগত আগন্তুকদের অর্ভ্যথনা প্রদান করে ডিজিএফআইয়ের একজন মেজর। মেজর সাহেব ডেকে সারিবদ্ধ অবস্থায় তাদের নামানুষারে চেক করে। পরবর্তীতে ডিজিএফআইয়ের মুখপাত্র বাংলাদেশে আল কায়েদার আগমন বিষয়টাকে অস্বীকার কারেন। এমনকি সেই মেজরের অস্তিত্ব ও অস্বীকার করে, যদিও নিবন্ধিত কূটনৈতিক নথিতে প্রমাণ পাওয়া যায় সেই অফিসার (মেজর) দীর্ঘদিনের সদস্য এমনকি যে ৯০ দশকের মাঝামাঝিতে কলকাতায় নিয়োজিত ছিল। হুজি ও বাংলাদেশে সামরিক সূত্র দেখায়, এ মেজরটি আফগানিস্তানে শুরু হওয়া অপারেশনের সর্বশেষ যোগসূত্র। ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই কান্দাহারে তালেবানের সদর দফতর ছেড়ে পাকিস্তানের করাচীতে ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে এমবি মেকাতে যাত্রা করে। ঢাকাতে আল কায়েদার উত্থান প্রমাণ করে বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়াশীল ইসলামী দলগুলো অন্দর থেকে বেরিয়ে আসছে।
aamra technologies





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___