শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ১০ ফাল্গুন ১৪২০
এক রাজাকারের আত্মজীবনী ( ১১ - ১২ )
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)
১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তিনি সেই বাসে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পে তার ভায়রা ড. হাবিবুল্লাহর [বাণিজ্য অনুষদের] বাসায় চলে যান। আমরা জানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সেই সময় শিক্ষকদের উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে। হয়ত এতে মহিউদ্দিনের ও পরামর্শ ছিল। তিনি লিখেছেন, "১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় রচিত হলো। ঢাকার পতন হলো ভারতীয় হিন্দু সৈন্যদের হাতে।"
এই এক লাইনেই কতগুলো বিকৃত তথ্য স্থাপন করেছেন এই রাজাকার। ভারতীয় বাহিনীতে হিন্দু ছাড়া যেন মুসলমান বা অন্য ধর্মের কোন সৈন্য ছিল না। ঢাকার পতন হয় যৌথ কমান্ডের হাতে যার অন্তর্গত বাংলাদেশ বাহিনীও। কিন্তু, রাজাকারের মন থেকে কখনও ভারত বা হিন্দু বিদ্বেষ যাবে না।
মহিউদ্দিন লিখেছেন, "হিন্দু এবং অমুসলমানরা হাততালিতে মুখর হয়ে মিষ্টি বিলাতে লাগল আর মুসলিম বিশ্ব কাঁদতে লাগল। আল্লাহ জানেন কতজন হার্টফেল করে মারা গেছেন।' মহিউদ্দিন ভাল করে জানেন, এ কারণে একজনও হার্টফেল করে মারা যায়নি, এখানে তো নয়ই, পাকিস্তান ও সৌদি আরবেও নয়।
১৬ ডিসেম্বর, মহিউদ্দিন লিখেছেন, একদিকে অট্টহাসি আর উল্লাস অন্য দিকে লুট, হত্যার ভয়। মহিউদ্দিন তখন নিরুপদ্রবে ঘুমাচ্ছেন ডা. হাবিবুল্লাহর বাসায়। ঘুমাবার আগে তিনি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিলেন পাকিস্তানীদের বুটের আওয়াজ যারা আত্মসমর্পণ করেছে এবং তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বন্দী শিবিরে।
পাকিস্তানী আদর্শের জন্য ড. হাবিবুল্লাহ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন 'ওয়ান্টেড পার্সোনালিটি'। পরদিন তিনি বাসা ছাড়লেন। মহিউদ্দিনের শ্যালক কোথা থেকে যেন উদয় হয়ে ড. হাবিবুল্লার বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে মহিউদ্দিনকে নিয়ে গেলেন আশ্রয়ের জন্য। অধ্যাপক তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলেন। পরিচয় জানার পর তিনি অন্য রুমে চলে গেলেন। শাব্বিরও পিছু পিছু গেল। মহিউদ্দিন একা বসে রইলেন। শাব্বির আধঘণ্টা পর এসে বললেন, চলেন আমার এক আত্মীয়ের বাসায়।'
ক্যাম্পাস থেকে হেঁটে তারা ফুলবাড়িয়ার দিকে গেলেন তার শ্বশুরের এক দূর সম্পর্কের বাসায়। সেখানেও আশ্রয় মিলল না। তারপর তারা গেলেন নার্গিসের মামার বাসায়। দু'দিন পর নার্গিসের মামা এসে মহিউদ্দিনকে বললেন, 'অন্য সময় হলে তিনি খুবই খুশি হতেন কিন্তু এখন তিনি নিরুপায়।
মহিউদ্দিন বুঝলেন তাকে চলে যেতে হবে। নার্গিস তার দু'টি সন্তানকে নিয়ে সেখানে ছিলেন। তার চার বছরের মেয়ে ছাদে গেছিল। সেখানে সবাই 'জয় বাংলা' বলে সেøাগান দিচ্ছে। সে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলছিল। তারা মামাত ভাই বোনেরা ছাদ থেকে নেমে এই বলে নালিশ করল। তার কন্যা জিজ্ঞেস করল, কেন পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা যাবে না। মহিউদ্দিন লিখেছেন, 'বাচ্চা মেয়েটি বুঝতে পারছে মুসলিম বিশ্বে কী ট্র্যাজিক বিভ্যুলেশন হয়ে গেছে।'
এর পরের ঘটনা আর তেমন কিছু নয়। মামাশ্বশুরের বাসা ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিলেন। একদিন নার্গিস এসে জানালেন, মামার বাসায় আত্মীয়স্বজন তাকে পাঞ্জাবীদের দালাল বলে। সেখানে থাকা আর সম্ভব নয়। নার্গিস আর সন্তানদের এরপর লক্ষ্মীপুরে তার শাশুড়ির বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
নতুন বছরের শুরুতেই মহিউদ্দিনের মা খবর পাঠালেন যেন তার পুত্র দেশ ত্যাগ করে। ২০ মার্চ ১৯৭২ সালে ভোরে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে জড়িত একজনের সাহায্যে তিনি গেদে সীমান্তে পৌঁছান। সেখান থেকে কলকাতা। সেখান থেকে ট্রেনে দিল্লী। দিল্লীর জামে মসজিদের লোকজন তাকে জামায়াতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। দিল্লীতে দুই সপ্তাহ থাকার পর ট্রেনে তিনি নেপালের কপিলাবস্তু পৌঁছেন। জামায়াতের কর্মীরাই সব ব্যবস্থা করে দেয়। কাঠমন্ডুতে পাকিস্তানী দূতাবাসে তার সঙ্গে দেখা হয় তার ভায়রা ড. হাবিবুল্লাহ ও তার পরিবারের এবং আল বদর নেতা আশরাফুজ্জামানের। সেখান থেকে মহিউদ্দিন যোগাযোগ করে করাচিতে জামায়তের আমির মিয়া তোফায়েল মোহাম্মদকে অনুরোধ জানান হাবিবুল্লাহর পরিবারও তার জন্য টিকেট পাঠিয়ে দিতে। মিয়া তোফায়েল টিকেট পাঠালে তারা করাচি চলে যান।
কিছুদিন পর তার এক শ্যালক, তার নামও মহিউদ্দিন তাকে চিঠি লিখে জানান তিনি নার্গিস ও তার ভাগ্নে-ভাগ্নীকে নিয়ে কাঠমন্ডু পৌঁছেছে। মহিউদ্দিন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র হিসেবে আল-বদরে ঢুকেছিল। বড় মহিউদ্দিন জামায়াত নেতাদের সাহায্যে টিকেট পাঠালেন স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য। তারাও নিরাপদে পৌঁছল করাচি।
তারপর পাকিস্তান পর্ব। সেটির আর প্রাসঙ্গিকতা নেই এই প্রবন্ধের সঙ্গে।
॥ ১২ ॥
রাজাকারের মন কিভাবে কাজ করে, কিভাবে সে বিচার করে পারিপার্শ্ব ও রাজনীতি তার একটি সংক্ষিপ্ত সার এখানে তুলে ধরছি।
দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্তানের। বাঙালী মুসলমান তাতে পালন করেছিল অগ্রণী ভূমিকা। কিন্তু পঞ্চাশের দশকেই আবার বাঙালী মুসলমানের প্রগতিবাদী অংশ এই তত্ত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়।
এর বিপরীতে ছিল দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে সমর্থন করা দলগুলো। নতুন ভূখ-ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল তারা। হিন্দুদের ফেলে যাওয়া সম্পদ দখল করে বিত্তবানও হয়েছিল তারা।
ফলে নব্য এলিটদের মধ্যে তাদের একটা ভিত্তি তৈরি হয়। ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকার জন্য একটি 'আদর্শ'-এর প্রয়োজন হয়। কারণ, সাধারণ মানুষকে তো বলা যায় না যে, আমি লুট করার জন্য ক্ষমতায় যেতে চাই। মুসলিম লীগ ও সমমনাদের সেই আদর্শ ছিল। সেটি হলো দ্বিজাতিতত্ত্ব এবং ক্ষমতা যতই পাকাপোক্ত হতে লাগল ততই এর সঙ্গে যুক্ত হতে লাগল নানাবিধ উপাদান।
১৯৫৬ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রের একটা ভাব ছিল। আমলা শাসন তখনও স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি। ফলে শাসকদের তত্ত্ব জোর করে চাপানো সম্ভব হয়নি। মনোজগতে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাও ততটা জোরদার হয়নি। (চলবে)
১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তিনি সেই বাসে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পে তার ভায়রা ড. হাবিবুল্লাহর [বাণিজ্য অনুষদের] বাসায় চলে যান। আমরা জানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সেই সময় শিক্ষকদের উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে। হয়ত এতে মহিউদ্দিনের ও পরামর্শ ছিল। তিনি লিখেছেন, "১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় রচিত হলো। ঢাকার পতন হলো ভারতীয় হিন্দু সৈন্যদের হাতে।"
এই এক লাইনেই কতগুলো বিকৃত তথ্য স্থাপন করেছেন এই রাজাকার। ভারতীয় বাহিনীতে হিন্দু ছাড়া যেন মুসলমান বা অন্য ধর্মের কোন সৈন্য ছিল না। ঢাকার পতন হয় যৌথ কমান্ডের হাতে যার অন্তর্গত বাংলাদেশ বাহিনীও। কিন্তু, রাজাকারের মন থেকে কখনও ভারত বা হিন্দু বিদ্বেষ যাবে না।
মহিউদ্দিন লিখেছেন, "হিন্দু এবং অমুসলমানরা হাততালিতে মুখর হয়ে মিষ্টি বিলাতে লাগল আর মুসলিম বিশ্ব কাঁদতে লাগল। আল্লাহ জানেন কতজন হার্টফেল করে মারা গেছেন।' মহিউদ্দিন ভাল করে জানেন, এ কারণে একজনও হার্টফেল করে মারা যায়নি, এখানে তো নয়ই, পাকিস্তান ও সৌদি আরবেও নয়।
১৬ ডিসেম্বর, মহিউদ্দিন লিখেছেন, একদিকে অট্টহাসি আর উল্লাস অন্য দিকে লুট, হত্যার ভয়। মহিউদ্দিন তখন নিরুপদ্রবে ঘুমাচ্ছেন ডা. হাবিবুল্লাহর বাসায়। ঘুমাবার আগে তিনি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিলেন পাকিস্তানীদের বুটের আওয়াজ যারা আত্মসমর্পণ করেছে এবং তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বন্দী শিবিরে।
পাকিস্তানী আদর্শের জন্য ড. হাবিবুল্লাহ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন 'ওয়ান্টেড পার্সোনালিটি'। পরদিন তিনি বাসা ছাড়লেন। মহিউদ্দিনের শ্যালক কোথা থেকে যেন উদয় হয়ে ড. হাবিবুল্লার বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে মহিউদ্দিনকে নিয়ে গেলেন আশ্রয়ের জন্য। অধ্যাপক তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলেন। পরিচয় জানার পর তিনি অন্য রুমে চলে গেলেন। শাব্বিরও পিছু পিছু গেল। মহিউদ্দিন একা বসে রইলেন। শাব্বির আধঘণ্টা পর এসে বললেন, চলেন আমার এক আত্মীয়ের বাসায়।'
ক্যাম্পাস থেকে হেঁটে তারা ফুলবাড়িয়ার দিকে গেলেন তার শ্বশুরের এক দূর সম্পর্কের বাসায়। সেখানেও আশ্রয় মিলল না। তারপর তারা গেলেন নার্গিসের মামার বাসায়। দু'দিন পর নার্গিসের মামা এসে মহিউদ্দিনকে বললেন, 'অন্য সময় হলে তিনি খুবই খুশি হতেন কিন্তু এখন তিনি নিরুপায়।
মহিউদ্দিন বুঝলেন তাকে চলে যেতে হবে। নার্গিস তার দু'টি সন্তানকে নিয়ে সেখানে ছিলেন। তার চার বছরের মেয়ে ছাদে গেছিল। সেখানে সবাই 'জয় বাংলা' বলে সেøাগান দিচ্ছে। সে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলছিল। তারা মামাত ভাই বোনেরা ছাদ থেকে নেমে এই বলে নালিশ করল। তার কন্যা জিজ্ঞেস করল, কেন পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা যাবে না। মহিউদ্দিন লিখেছেন, 'বাচ্চা মেয়েটি বুঝতে পারছে মুসলিম বিশ্বে কী ট্র্যাজিক বিভ্যুলেশন হয়ে গেছে।'
এর পরের ঘটনা আর তেমন কিছু নয়। মামাশ্বশুরের বাসা ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিলেন। একদিন নার্গিস এসে জানালেন, মামার বাসায় আত্মীয়স্বজন তাকে পাঞ্জাবীদের দালাল বলে। সেখানে থাকা আর সম্ভব নয়। নার্গিস আর সন্তানদের এরপর লক্ষ্মীপুরে তার শাশুড়ির বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
নতুন বছরের শুরুতেই মহিউদ্দিনের মা খবর পাঠালেন যেন তার পুত্র দেশ ত্যাগ করে। ২০ মার্চ ১৯৭২ সালে ভোরে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে জড়িত একজনের সাহায্যে তিনি গেদে সীমান্তে পৌঁছান। সেখান থেকে কলকাতা। সেখান থেকে ট্রেনে দিল্লী। দিল্লীর জামে মসজিদের লোকজন তাকে জামায়াতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। দিল্লীতে দুই সপ্তাহ থাকার পর ট্রেনে তিনি নেপালের কপিলাবস্তু পৌঁছেন। জামায়াতের কর্মীরাই সব ব্যবস্থা করে দেয়। কাঠমন্ডুতে পাকিস্তানী দূতাবাসে তার সঙ্গে দেখা হয় তার ভায়রা ড. হাবিবুল্লাহ ও তার পরিবারের এবং আল বদর নেতা আশরাফুজ্জামানের। সেখান থেকে মহিউদ্দিন যোগাযোগ করে করাচিতে জামায়তের আমির মিয়া তোফায়েল মোহাম্মদকে অনুরোধ জানান হাবিবুল্লাহর পরিবারও তার জন্য টিকেট পাঠিয়ে দিতে। মিয়া তোফায়েল টিকেট পাঠালে তারা করাচি চলে যান।
কিছুদিন পর তার এক শ্যালক, তার নামও মহিউদ্দিন তাকে চিঠি লিখে জানান তিনি নার্গিস ও তার ভাগ্নে-ভাগ্নীকে নিয়ে কাঠমন্ডু পৌঁছেছে। মহিউদ্দিন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র হিসেবে আল-বদরে ঢুকেছিল। বড় মহিউদ্দিন জামায়াত নেতাদের সাহায্যে টিকেট পাঠালেন স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য। তারাও নিরাপদে পৌঁছল করাচি।
তারপর পাকিস্তান পর্ব। সেটির আর প্রাসঙ্গিকতা নেই এই প্রবন্ধের সঙ্গে।
॥ ১২ ॥
রাজাকারের মন কিভাবে কাজ করে, কিভাবে সে বিচার করে পারিপার্শ্ব ও রাজনীতি তার একটি সংক্ষিপ্ত সার এখানে তুলে ধরছি।
দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্তানের। বাঙালী মুসলমান তাতে পালন করেছিল অগ্রণী ভূমিকা। কিন্তু পঞ্চাশের দশকেই আবার বাঙালী মুসলমানের প্রগতিবাদী অংশ এই তত্ত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়।
এর বিপরীতে ছিল দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে সমর্থন করা দলগুলো। নতুন ভূখ-ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল তারা। হিন্দুদের ফেলে যাওয়া সম্পদ দখল করে বিত্তবানও হয়েছিল তারা।
ফলে নব্য এলিটদের মধ্যে তাদের একটা ভিত্তি তৈরি হয়। ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকার জন্য একটি 'আদর্শ'-এর প্রয়োজন হয়। কারণ, সাধারণ মানুষকে তো বলা যায় না যে, আমি লুট করার জন্য ক্ষমতায় যেতে চাই। মুসলিম লীগ ও সমমনাদের সেই আদর্শ ছিল। সেটি হলো দ্বিজাতিতত্ত্ব এবং ক্ষমতা যতই পাকাপোক্ত হতে লাগল ততই এর সঙ্গে যুক্ত হতে লাগল নানাবিধ উপাদান।
১৯৫৬ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রের একটা ভাব ছিল। আমলা শাসন তখনও স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি। ফলে শাসকদের তত্ত্ব জোর করে চাপানো সম্ভব হয়নি। মনোজগতে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাও ততটা জোরদার হয়নি। (চলবে)
প্রকাশ : শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ১০ ফাল্গুন ১৪২০
এক রাজাকারের আত্মজীবনী (১-২)
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৩০ মাঘ ১৪২০
এক রাজাকারের আত্মজীবনী (৩ - ৪ )
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ১ ফাল্গুন ১৪২০
এক রাজাকারের আত্মজীবনী (৫ - ৭)
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ২ ফাল্গুন ১৪২০
এক রাজাকারের আত্মজীবনী (৭ - ৮)
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৩ ফাল্গুন ১৪২০
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৬ ফাল্গুন ১৪২০
এক রাজাকারের আত্মজীবনী ( ৮-৯)
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)
প্রকাশ :মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৬ ফাল্গুন ১৪২০
এক রাজাকারের আত্মজীবনী (৯-১০)
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)
প্রকাশ : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৭ ফাল্গুন ১৪২০
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৮ ফাল্গুন ১৪২০
এক রাজাকারের আত্মজীবনী ( ১০-১১ )
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৮ ফাল্গুন ১৪২০
__._,_.___