Banner Advertiser

Friday, February 21, 2014

[mukto-mona] হেফাজতের সঙ্গে হঠাৎ মার্কিনীদের বৈঠক কেন?



হেফাজতের সঙ্গে হঠাৎ মার্কিনীদের বৈঠক কেন?
বিভাষ বাড়ৈ ॥ আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত স্বঘোষিত উগ্রবাদী হেফাজত নেতা ও তাদের বিতর্কিত মাদ্রাসায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে আল কায়েদা সম্পৃক্ততার একের পর এক তথ্য প্রকাশ, হেফাজত-জামায়াতের পক্ষ হয়ে আল কায়েদা প্রধানের বাংলাদেশবিরোধী বার্তার পরই মার্কিন কূটনীতিকদের এ ধরনের কর্মকা- নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাইরে জঙ্গীবাদবিরোধিতার কথা বললেও জঙ্গীবাদের দায়ে অভিযুক্ত নারী অগ্রগতি বিরোধী উগ্রবাদীদের সঙ্গে বৈঠকের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নিয়ে। দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা তো বটেই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জঙ্গীবাদীবিরোধী আলেম ওলামারাও। জঙ্গীবাদের দায়ে অভিযুক্ত বিতর্কিত সংগঠন ও ব্যক্তিদের আস্তানায় বিদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আনাগোনাকে তারা দেশ ও ইসলামের জন্য অশনি সঙ্কেত হিসেবে অভিহিত করেছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাঁরা বলেছেন, আবার প্রমাণিত হলো জঙ্গীবাদ আর সাম্রাজ্যবাদ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তালেবানী নেতা ও তাদের জঙ্গী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উগ্রবাদীদের সঙ্গে বিদেশী দূতাবাসের যোগাযোগ দেশে জঙ্গীবাদকে উস্কে দেবে।
এ ধরনের কর্মকা- বন্ধ করতে বিদেশী দূতাবাসগুলোর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও জঙ্গীবাদ বিরোধী ইসলাম দল ও সংগঠনগুলোর নেতারা। একই সঙ্গে তারা সন্ত্রাসী জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, বাইরে এরা জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কথা বললেও এরা আসলে জঙ্গীবাদ প্রমোট করে বাংলাদেশকে সঙ্কটে ফেলতে চায়। জঙ্গীবাদকে উস্কে নিয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও চীনকে সঙ্কটে ফেলার রাজনীতি করছে যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশী এসব কূটনীতিকরা একদিকে হেফাজতের ১৩ দফাকে প্রগতি ও নারীবিরোধী বলে মন্তব্য করেছে আবার গোপনে বৈঠক করে তাদেরই উস্কে দিচ্ছে। এর আগে হেফাজত নেতার মাদ্রাসায় অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাই কমিশনারের গোপন বৈঠকের পরই সেখানে বোমা ও গ্রেনেড বানাতে গিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এবার মার্কিন কূটনীতিকদের বৈঠকের পর আবার কোন ঘটনা ঘটবে কিনা সে প্রশ্নও তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে লালখান বাজারে অবস্থিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া নামের মাদ্রাসাটিতে উগ্রবাদী হেফাজত নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাই কমিশনার টিম বলটনিকফের নেতৃত্বে একটি বিশেষ প্রতিনিধিদল। বহুবার জঙ্গী কর্মকা-ের ঘটনা ধরা পড়া এ মাদ্রাসাটি হেফাজত ও একাত্তরে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত দল নেজামে ইসলামীর নেতা মুফতি ইজহারুল ইসলামের। সে সময় প্রায় একঘণ্টা অবস্থানকালে ওই কূটনীতিক মাদ্রাসা পরিদর্শন ছাড়াও উগ্রপন্থী ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। অস্ট্রেলীয় এ কূটনীতিকের আকস্মিক মাদ্রাসা পরিদর্শনের খবরের পর থেকেই নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক মহলে। ঘটনার পর থেকেই উদ্বিগ্ন দেশের সুন্নি সম্প্রদায়সহ শান্তিপ্রিয় ইসলামী দল ও সংগঠন। সেই বৈঠকে হেফাজতের অন্যতম নায়েবে আমির মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি ইজহারুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হারুন ইজহার ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ বৈঠক দাবি করলেও মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে বের হওয়ার পর সেদিন সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান ডেপুটি হাই কমিশনার টিম বলটনিকফ। বৈঠকের তিন মাসের মাথাতেই হেফাজত নেতার ওই মাদ্রাসায় দেশজুড়ে নাশকতার জন্য বোমা ও গ্রেনেড তৈরি করার সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় কয়েকজন নিহত হয়। আহত হয় অনেকে। ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযানে আটক হয় হোতাদের একজন ইজহারের ছেলে হারুন ইজহার ও তার সহযোগী। তবে মূল আসামি ইজহার পলাতক। মাসিক দাওয়াত নামে একটি মাসিক ইসলামী পত্রিকায় নিজেই এক সময় আফগানিস্তানে তালেবানদের সঙ্গে কাজ করার কথা লিখেছিলেন উগ্রবাদী এ নেতা মুফতি ইজহার। ১৯৯৮ সালের অক্টোবর-নবেম্বর সংখ্যায় মুফতি ইজহারের লেখা তালেবান আফগানিস্তানের জান্নাত দেখে এলাম শীর্ষক প্রবন্ধে আফগানিস্তানে সফর ও মোল্লা ওমরের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য রয়েছে। কিছুদিন আগেও আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, উগ্রবাদী এ নেতার মাদ্রাসায় জঙ্গী প্রশিক্ষণ হয়। যেখান থেকে ২০ হাজার লোক আফগানিস্তান যুদ্ধে গেছে। ফিরে আসে ১০ হাজার। এমন ব্যক্তির মাদ্রাসায় খোদ সেই হেফাজত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে তখন থেকেই চলছে বিতর্ক। এরই মধ্যে এবার আরও বড় ঘটনার জন্ম দিয়েছেন মার্কিন কূটনীতিকরা। বাংলাদেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদার অডিওবার্তা ইন্টারনেটে প্রচারের পর পরই মৌলবাদী সংগঠন হেফাজত ও তাদের নেতাদের নিয়ে চলছে বিতর্ক। গণমাধ্যমে একের পর এক প্রকাশ হচ্ছে হেফাজত নেতাদের সঙ্গে আল কায়েদা, তালেবানের সম্পর্কের তথ্য প্রমাণ। অথচ এরই মধ্যে বুধবার হেফাজতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিদর্শন ও বৈঠক করলেন ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের দুই কর্মকর্তা। সকাল ১০টায় দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় আকস্মিক সফরে যান ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ক্যাথলিন গিবিলিসকো এবং সহকারী রাজনীতি বিশেষজ্ঞ লুবাইন চৌধুরী মাসুম। টানা আড়াই ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন। দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ক্যাথলিন গিবিলিসকো এবং সহকারী রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ লুবাইন চৌধুরী মাসুম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষাভবন, ছাত্রাবাস ও ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। আমির আহমদ শফী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানানো হয়েছে হেফাজতের পক্ষ থেকে। দুই মার্কিন কর্মকর্তা হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ছিলেন হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, কেন্দ্রীয় নেতা ও আমীর আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানী, মুঈনুদ্দীন রুহী, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, হাবীবুল্লাহ আজাদী, মুজাম্মেল হক ও আমিরের প্রেস সচিব মুনির আহমদ। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ক্যাথলিন হেফাজত নেতাদের কাছে সংগঠনটির ১৩ দফা আন্দোলন, নীতি আদর্শ, সাংগঠনিক তৎপরতা এবং গত বছরের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান। আল কায়েদা ও হরকাতুল জেহাদ সম্পর্কে হেফাজত-নেতাদের মনোভাবও বুঝতে চান তিনি। তবে বৈঠকে অংশ নেয়া হেফাজত নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী দাবি করেন, বৈঠকে এ ধরনের কোন কথা হয়নি। তিনি বলেন, মার্কিন দুই কর্মকর্তা কওমি মাদ্রাসার সিলেবাস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাঁরা দুজন উপজেলা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এসে অবসরে হাটহাজারী মাদ্রাসায় এসেছিলেন। আহমদ শফীর প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ বাংলাদেশের উলামা-মাশায়েখ, কওমি মাদ্রাসায় ও হেফাজতে ইসলাম সম্পর্কে মার্কিন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাইলে ক্যাথলিন এ বিষয়ে দূতাবাসের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মাদ্রাসা সম্পর্কে হেফাজত নেতারা কতটা অবহিত এবং পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য কওমি মাদ্রাসার কোনও প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র সফরে আগ্রহী কিনা জানতে চান। মুনির আহমদ বলেন, আমিরের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তারা হেফাজত নেতাদের কাছে ১৩ দফা, সংগঠনের নীতি ও সাংগঠনিক তৎপরতা এবং ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান। হেফাজত নেতারা এসব বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরে সংগঠনের অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন। হেফাজত নেতারা বলেন, হেফাজত ইসলামের তৎপরতা কাউকে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য বা নামানোর জন্য নয়। 
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এমএ আউয়াল বলেন, ভালভাবে না জেনে বিদেশীদের এ ধরনের বিতর্কিত ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক জঙ্গীবাদকে আরও উস্কে দেবে। তিনি এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিহার করতে কূটনৈতিকদের প্রতি আহ্বান জানান। সুন্নি সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব ও সুন্নিদের ধর্মীয় সংগঠন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্যতম নেতা মাওলানা এমএ মতিন বলেন, জঙ্গীবাদের দায়ে অভিযুক্ত বিতর্কিত মাদ্রাসা ও ব্যক্তিদের সঙ্গে বিদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আনাগোনা দেশ ও ইসলামের জন্য অশনি সঙ্কেত। রাতের বেলা যেভাবে নারীদের সঙ্গে হেফাজতীরা বৈঠক করেছে তাতে এখন প্রশ্ন, তাহলে কি নারীদের প্রশ্নে হেফাজতের অবস্থান পাল্টেছে? আর মার্কিনীরা কি জঙ্গীদের প্রশ্নে অবস্থান পরিবর্তন করেছেন? ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগার ইমাম ও খতিব আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেছেন, বিদেশী দূতাবাসের এ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বোঝা গেল হেফাজত-জামায়াতের মতো উগ্রবাদীদের পেছনে আসলে কারা আছে।



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___