Banner Advertiser

Saturday, February 1, 2014

[mukto-mona] দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা পাপ বাপকেও ছাড়ে না



রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ২০ মাঘ ১৪২
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা পাপ বাপকেও ছাড়ে না
আবদুল মান্নান
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বহু প্রতীক্ষিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার একটি যুগান্তকারী রায়ে আদালত চৌদ্দজন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মাঝে যেমন আছেন লুৎফুজ্জামান বাবরের মতো অর্ধশিক্ষিত মধ্যমেধার রাজনীতিবিদ, তেমন আছেন উচ্চপদস্থ সরকারী, সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তা আর আছেন একজন শীর্ষ পর্যায়ের একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী। নিজামীকে এই মামলায় মৃত্যুদ- দেয়াতে আবার পাকিস্তান জামাত তার প্রতিবাদ করেছে। মামলা হতে খালাস পেয়েছেন ৩৮ জন। দেশের ইতিহাসে চোরাচালানের দায়ে এত বিপুলসংখ্যক অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া নজিরবিহীন। অপরদিকে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় সকল অপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়েছে। যে অস্ত্র চোরাচালানের জন্য এত অপরাধীর সাজা তারা কিন্তু একটি বা দু'টি অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান বা বহনের দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন না। তারা এত বড় আকারের অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন যে এই সব অস্ত্র দিয়ে একটি ছোটখাট সেনা ইউনিট সজ্জিত করা সম্ভব ছিল। 
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল কর্ণফুলী নদীর অপরপারে চট্টগ্রাম ইউরিয়া সারকারখানার নিজস্ব ঘাটে দু'টি ট্রলার হতে রাতের অন্ধকারে এই অস্ত্র খালাসের সময় পুলিশের দু'জন সার্জেন্টের হাতে অনেকটা আচমকাভাবে এই বিশাল অস্ত্র চালানটি ধরা পরে। আলাউদ্দিন আর হেলাল উদ্দিন নামের এই দু'জন পুলিশ সার্জেন্টকে পরবর্তীকালে বেগম জিয়ার সরকার চাকরিচ্যুত এবং গ্রেফতার করে তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে তাদের পা ভেঙ্গে দেয়। দু'জনকে ক্রস ফায়ারের ভয়ও দেখানো হয়। সে সময় এমন বিশাল পরিমাণের অস্ত্র আটকের খবরে সারাদেশের মানুষ স্তম্ভিত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। 
শুরুতে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে এবং এই ঘটনার জন্য অস্ত্র খালাসে নিয়োজিত শ্রমিক, ঘাট হতে গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দেয়ার জন্য ভাড়া করা ট্রাক ড্রাইভার, ট্্রলারের চালকসহ কর্মরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুরো বিষয়টাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চেষ্টা করা হয়। এটি ছিল একই বছরের আগস্ট মাসের ২১ তারিখে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু এভিন্যুতে গ্রেনেড হামলা পরবর্তীকালে জজ মিয়া নাটক সাজানোর মতো। উল্লেখ্য, এই মামলার তৎকালীন মহানগর পিপি আহ্সানুল হক হেনা ২০০৭ সালের ২০ নবেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করে এবং সেই মতে নির্দেশ দেয়। পরবর্তীকালে এ্যাডভোকেট হেনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাকাচৌর অন্যতম আইনজীবী ছিলেন। 
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল জব্দ করা অস্ত্রগুলোর গন্তব্যস্থল ছিল ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসমের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফা নিয়ন্ত্রিত ঘাঁটি এবং এখন এটি মোটামুটি নিশ্চিত যে এই অস্ত্র ক্রয়ের জন্য অর্থের যোগানদাতা ছিল পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। চীনে তৈরি অস্ত্রগুলো জাহাজে তোলা হয়েছিল হংকং বন্দরে এবং তা সিঙ্গাপুর হয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে বাংলাদেশী ট্রলারে মাদার ভেসেল হতে লোড করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় এবং তাদের সঙ্গে মিয়ানমারের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদীর একটি নিবিড় সম্পর্ক আছে। এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিবাহিনীর সঙ্গেও এদের ভাল সম্পর্ক ছিল। 
ভারত-পাকিস্তানের মাঝে দীর্ঘদিনের একটি বৈরী সম্পর্ক থাকার কারণে আইএসআইয়ের মাধ্যমে পাকিস্তান এই বিছিন্নতাবাদীদের নানাভাবে সাহায্য করেছে। ষাটের দশকে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকা- যখন দানা বাঁধতে শুরু করে তখন মিজোরামের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল মিজো লিবারেশন ফ্রন্টকে (এমএলএফ) পাকিস্তান শুধু বিভিন্নভাবে সহায়তায়ই করেনি তাদের নেতা লাল ডেঙ্গাকে ঢাকায় অফিস খুলে তার কর্মকাণ্ড পরিচালনারও সুযোগ করে দেয়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় এমএলএফ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে একত্র হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারত জেনারেল সুজান সিং উবানের নেতৃত্বে স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের একটি কমান্ডো ব্যাটালিয়ান পাঠিয়ে সাময়িকভাবে এমএলএফকে উৎখাত করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও এই অঞ্চলে আইএসআইএর তৎপরতা বিন্দুমাত্র থেমে থাকেনি বরং বর্তমানে তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি সক্রিয়। ধারণা করা হচ্ছে, অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করে বিএনপি-জামায়াতপন্থী প্রার্থীদের জিতিয়ে আনতে তারা বিপুল পরিমাণের অর্থ ব্যয় করছে এবং কোন কোন এলাকায় তারা আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিতে ইতোমধ্যে সফলও হয়েছে। 
আইএসআই বাংলাদেশকে পূর্ব ভারতে অস্ত্র চোরাচালানের জন্য সব সময় একটা নিরাপদ রুট হিসেবে গণ্য করে আসছে। কারণ পঁচাত্তর পরবর্তী কাল থেকে '৯৬ সাল পর্যন্ত যত সরকার বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন ছিল সকলেরই একটি পাকিস্তান কানেকশন ছিল। এই সত্যটি বিভিন্ন সময় আইএসআই-এর অনেক বড় বড় কর্মকর্তা প্রকাশ্যে স্বীকারও করেছেন। জিয়া-এরশাদÑ দু'জনই এক সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং সেই সম্পর্ক পরবর্তীকালেও অটুট ছিল। ২০০৪ সালের আগে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পূর্ব ভারতে বিভিন্ন সময় প্রচুর অস্ত্র চোরাচালান হয়েছে। ১৯৯১ সালে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন যখন ক্ষমতায় তখন চট্টগ্রামের চকরিয়া পুলিশের হাতে দু'ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়েছিল। পরে তার পরিণতি কী হয়েছিল সে সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। 
২০০৫ সালে পুলিশ বগুড়ায় কয়েক হাজার রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করে। বাংলাদেশের মতো একটি দেশের ভেতর দিয়ে এত বিপুল পরিমাণের অস্ত্র চোরাচালান করতে হলে তার জন্য অবশ্যই রাষ্ট্রের নিবিড় সহায়তা চাই এবং তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার যে তা দিতে কার্পণ্য করেনি তা দশট্রাক অস্ত্র মামলায় দেয়া বিভিন্ন সাক্ষীর জবানবন্দিতে এখন প্রমাণিত। এই ধরনের চোরাচালানের ঘটনা যে দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ওয়াকিবহাল ছিলেন তা এই মামলার রায়ে প্রকাশিত হয়েছে। মামলার রায়ে বলা হয়েছে অস্ত্র আটকের ঘটনাটি যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয় তিনি বিষয়টি অনেকটা স্বাভাবিকভাবে নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব ছিলেন। শুধু গা-ছাড়াভাবে বলেন, বিষয়টি দেখছি।
রায়ে আরও উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজনীতির কাশিমবাজার কুঠি হিসেবে খ্যাত হাওয়া ভবনের নাম। এই রায়ে আবারও প্রমাণিত হলো এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম খল চরিত্র বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া, যাকে আবার বিএনপি বাংলাদেশের আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিস্তা করে। দ-প্রাপ্ত এনএসআই'র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তারেক জিয়ার বদান্যতায় পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে নজিরবীহিনভাবে লে. কর্নেল হতে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গে তিনি সস্ত্রীক দুবাই সফরে গিয়ে ভারতীয় অস্ত্র ব্যবসায়ী দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলেন বলে প্রকাশ। এমনও শোনা গিয়েছিল যে তিনি বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর প্রধান হচ্ছেন। পুরো অপারেশনে আরও জড়িত ছিল দুবাইভিত্তিক এক পাকিস্তানী মালিকানাধীন এআরওয়াই ব্যবসায়িক গ্রুপ, যাদের মাধ্যমে অস্ত্র ক্রয়ের জন্য আইএসআই অর্থ লেনদেন করেছিল। এই গ্রুপের একটি টিভি চ্যানেল আছে, যার কর্মকা- বছরখানেক আগে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কারণ তারা রমজান মাসে টিভিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাকিস্তানী ধর্ম ব্যবসায়ীদের চাঙ্ক ভাড়া দিয়ে বেহেশতের জায়গা বিক্রি করতে সহায়তা করে। পরে দেখা যায় সংগৃহীত অর্থের প্রায় পুরোটাই যায় জঙ্গীবাদের অর্থায়নে। এই কাজটি বাংলাদেশের একাধিক টিভি চ্যানেলও যুক্তরাজ্যে রমজান মাসে করে। এক সময় বর্তমানে পলাতক একাত্তরের ঘাতক বাচ্চু রাজাকার ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীও যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে এই কাজই করত। 
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই মামলায় যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের কারও সঙ্গে কোন রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা নেই। তারা সকলে সে সময় সরকারী উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ছিলেন এবং অনেকেই বাবর আর নিজামীর মন্ত্রণালয়ে তাদেরই অধীনে কর্মরত ছিলেন। তাদের মধ্যে একাধিক জন আছেন যাদের সততা ও যোগ্যতা নিয়ে কারও কোন সন্দেহ নেই। মামলায় তারা তাদের কাছে জানা তথ্য বস্তুনিষ্ঠ ও সততার সঙ্গে তুলে ধরেছেন। তারা নিশ্চয় সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। রায়ের পর বিএনপি-জামায়াতপন্থী অনেক আইনজীবী, রাজনীতিবিদ এটি বলার চেষ্টা করেছেন যে রায়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দু'একজন তো এটাও বলার চেষ্টা করেছেন যে রায়টি ভারতীয়। এটি আদালত অবমাননা কি-না জানি না। তবে রায় যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতই হতো তা হলে রায়ে বেগম জিয়াও অভিযুক্ত হতেন। কারণ তিনি সে সময় শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তার দায়িত্বে ছিল। কারণ বাবর ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এটিও আশ্চর্যের বিষয় যে বাংলাদেশের মতো ষোলো কোটি মানুষের একটি দেশে বাবরের মতো একজন অর্ধশিক্ষিত সাবেক চোরাকারবারিকে বেগম জিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। 
দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলার রায় উপমহাদেশের রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব বহন করে। প্রথমেই যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই'র একটি নিবিড় সম্পর্ক আছে তা সকলের জানা থাকলেও এই মামলার রায়ের কারণে তা আরও পরিষ্কার হলো। এই সম্পর্ক অটুট করতে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকার যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তাও এখন পরিষ্কার। সম্ভবত এই কারণে সদ্যসমাপ্ত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য কোন কোন মহল এত উৎসাহী ছিল। এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে কোন প্রকারে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই মামলার রায় অন্য রকমও হতে পারত। হয়ত মামলাটি পুনঃতদন্তের নামে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার একটি অপচেষ্টাও করা হতো। পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে চাই, বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মুক্তি সংগ্রাম করছে এবং তাদের সমর্থন করা বাংলাদেশের নৈতিক দায়িত্ব। এরপর ব্যারিস্টার মওদুদকে ভারত ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। 
আইএসআই'র সঙ্গে বিএনপির যে একটি সক্রিয় সম্পর্ক আছে তা আইএসআই'র জনারেল র্দুরানির মতো একাধিক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ার কাছে স্বীকারও করেছেন। জামায়াতে ইসলামীকে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিপুলভাবে অর্থ সাহায্য করে যেমনভাবে তারা একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ'র হয়ে আফগান তালেবানদের করত। আল-কায়েদা বলি আর তালেবানই বলি- এই সব জঙ্গীগোষ্ঠী সৃষ্টিতে একসময় সিআইএ ও আইএসআই সম্মিলিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে যা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হিলারি ক্লিনটন অকপটে গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন এবং তিনি এও বলেছেন, এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির একটি আত্মঘাতী ভুল। 
এটি এখন আর কোন গবেষণার বিষয় নয় যে উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশের একটি বড় ভূমিকা আছে। এটি দিল্লী স্বীকার করলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করতে নারাজ। যে কারণে ভারতের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। মমতা সম্ভবত এই সত্যটি বুঝতে অক্ষম যে, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত না থাকলে ভারতের অনেক পুরনো সমস্যাই যে আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে শুধু তা-ই নয়, নতুন নতুন অনেক সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যারা দ-প্রাপ্ত হয়েছেন তারা নিশ্চিতভাবে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন। দেশের মানুষ আশা করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সরকার এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করবে। 
লেখক : শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষক
প্রকাশ : রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ২০ মাঘ ১৪২
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=13&dd=2014-02-02&ni=162244


নিজামী-বাবরসহ ১৪ জনের ফাঁসি

সেই বাবর আর এই বাবর




লুত্ফুজ্জামান বাবর

আদালতের পর্যবেক্ষণ

শুনেও নীরব ছিলেন খালেদা জিয়া

শাস্তি নির্ধারণে গুরুত্ব পায় চার জনের সাক্ষ্য

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারক

নীরব ছিলেন খালেদা, হাওয়া ভবন সম্পৃক্ত



Lutfozzaman Babar being taken back to Chittagong Central Jail in a prison van after the court pronounces his death sentence on Thursday. 
Photo: suman babu/ bdnews24.com



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___