Banner Advertiser

Saturday, February 15, 2014

[mukto-mona] এবার আল কায়েদা ০ বাংলাদেশ নিয়ে আল কায়েদা প্রধানের ভিডিও বার্তা ০ আলেম ওলেমা নিহত নিয়ে আল কায়েদাপ্রধান ও বেগম জিয়ার বক্তব্যে রয়েছে হুবহু মিল



রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৪ ফাল্গুন ১৪২
এবার আল কায়েদা
বাংলাদেশ নিয়ে আল কায়েদা প্রধানের ভিডিও বার্তা
০ আলেম ওলেমা নিহত নিয়ে আল কায়েদাপ্রধান ও বেগম জিয়ার বক্তব্যে রয়েছে হুবহু মিল 
০ নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন এটা দেশের জন্য বিপজ্জনক
০ জামায়াতের প্রচারিত ভিডিওফুটেজ ও আল কায়েদার ভিডিওফুটেজ একই
জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ জামায়াত, হেফাজতসহ উগ্রবাদী জঙ্গী সংগঠনের অপতৎপরতার সঙ্গে তাল মিলিয়েই এবার বাংলাদেশে জেহাদের ডাক দিয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা। জামায়াত-হেফাজতসহ বাংলাদেশে তৎপর সব উগ্রবাদী সংগঠন এমনকি বিএনপি ও নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মতোই আল কায়েদা সরকারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার আলেম-ওলামাকে হত্যার অভিযোগ এনেছে। ইন্টারনেটে প্রচারিত আল কায়েদার বর্তমান শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির অডিওবার্তায় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে 'ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের' বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আহ্বান জানানো হয়েছে। গত ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের পর রাজনৈতিক ফাঁয়দা লুটতে হেফাজত ছাড়াও ১৮ দলীয় জোটের নেয়া অবস্থানের সূত্র ধরেই আল কায়েদা বলেছে, বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ সরকারসহ ভারতীয় উপমহাদেশ ও পশ্চিমাদের ইসলামবিরোধী যুদ্ধের বিরুদ্ধে জেহাদে নেমে পড়ুন। বার্তার শুরুতে আছে ভিডিও ক্লিপ, যার সঙ্গে রয়েছে জামায়াত-হেফাজতের কর্মকাণ্ডের মিল। বার্তায় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের বিচার নিয়েও জঙ্গী সংগঠনটির ক্ষোভ স্পষ্ট।
বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠির মতোই জাওয়াহিরি তাঁর বার্তায় বলেছেন, কাল যারা বাংলাদেশে হত্যাযজ্ঞ চালাল, আজ তারাই পকিস্তানে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। একইভাবে বাঙালীর সম্মান রক্ষার ধুয়া তুলে যারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে জোট বেধেছিল, তারাই আজ বাঙালীর বিশ্বাস, সম্মান, জীবন ও সম্পদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ইসলাম ও এই উপমহাদেশের মুসলমানদের রক্ষায় ৬০ বছরের বেশি সময় আগে তারা পাকিস্তান সৃষ্টি করেছিল। আর আজ আমরা যে পাকিস্তান দেখি, সেখানে শরীয়াহ্র কোন স্থান নেই। একইভাবে তারা দাবি করে, ৪০ বছর আগে তারা বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিল স্বাধীনতা এবং জনগণের মুক্তির জন্য। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ আজ পরিণত হয়েছে বিরাট এক কারাগারে, যেখানে মুসলমানদের সম্মান ও পবিত্র স্থান অপবিত্র করা হচ্ছে। ক্রুসেডার কসাইদের হয়ে তাদের ওপর চালানো হচ্ছে হত্যা-নির্যাতন। আর 'ইসলামবিরোধিতার' জায়গায় 'স্বার্থ' এক হওয়ায় 'এসব ঘটনায়' বাংলাদেশ সরকার ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের 'সমর্থন' পাচ্ছে। আল কায়েদার শীর্ষ নেতার জামায়াত-হেফাজত সমর্থিত পরিষ্কার এ বার্তার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও দেশের নিরাপত্তাবিশ্লেষকসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেছেন, ১৫ বছর ধরে বলা হচ্ছে, দেশে আল কায়েদার হয়ে কাজ করছে জামায়াতসহ তার সমমনা উগ্রবাদী দলগুলো। এবার জাওয়াহিরির বার্তায় তথ্যপ্রমাণসহ পরিষ্কার হয়ে গেল হেফাজত ও জামায়াত আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ ও সহযোগী সংগঠন। কাজেই ঘৃণ্য এই অপশক্তি দেশকে আর একটি আফগানিস্তান বা পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করার আগেই দেশ থেকে তাদের নির্মূল করতে হবে। উপরন্তু এতে বিএনপির কোন অংশের মদদ আছে কি না তাও তদন্ত করা উচিত। ২০১১ সালে পাকিস্তানের এ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর আল কায়েদার দায়িত্ব পান জাওয়াহিরি। বিগত বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট আমলে বাংলাদেশে এ আল কায়েদা নেতা নিরাপদেই একাধিকবার সফর করেছেন বলে আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ হয়েছে। ফাসইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ, টাইম একাধিক গণমাধ্যমে আগেই প্রকাশিত হয়েছে এ তথ্য। আল কায়েদা প্রধান জাওয়াহিরির ছবি ও তার পেছনে বাংলাদেশের ম্যাপ রেখে ২৮ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ওই অডিওতে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন বক্তব্য। বার্তাটির শিরোনাম করা হয়েছে 'ম্যাসাকার বিহাইন্ড এ ওয়াল অব সাইলেন্স।' আল কায়েদার প্রচার বিভাগ থেকে জেহাদি ফোরামে বার্তাটি পোস্ট করা হয়েছে। আরবী ভাষায় দেয়া বার্তাটি জাওয়াহিরির বলে দাবি করা হয়েছে এবং এই বার্তা দিয়ে তৈরি এক ভিডিওতে ইংরেজী সাব-টাইটেল দেয়া হয়েছে। শনিবার এই বার্তাটি ছড়িয়ে পড়লেও এটি ঠিক কবে তৈরি হয়েছে কিংবা কারা তৈরি করেছে তা জানা যায়নি। 'জেহাদোলজি' নামে একটি ওয়েবসাইটে এটি দেখা যায়। পরে ইউটিউবেও ছড়িয়ে দেয়া হয়। জাওয়াহিরির বক্তব্য শুরুর আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া জামায়াত- শিবির ও হেফাজতের সঙ্গে পুলিশী এ্যাকশনের নানা দৃশ্য দেখানো হয়েছে। ২৮ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ওই ক্লিপের প্রথম সোয়া দুই মিনিট গত বছর ৫ মে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ এবং তাদের তুলে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের আলোকচিত্র দেখানো হয়েছে। আর ব্যাকগ্রাউন্ডে জুড়ে দেয়া হয়েছে আরবী বক্তব্য। এ ছাড়াও বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলামী ও জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলনের ভিডিও ফুটেজ, সারিবদ্ধ কিছু লাশ, পুলিশের হামলা, কয়েকজন মিলে একজনের ওপর চড়াও হয়েছে এমন কিছু চিত্রও এতে রয়েছে। ইন্টারনেটে ঘেঁটে এই সম্পর্কিত নানা ভিডিও পাওয়া যায়, যার সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততা আগে থেকেই প্রমাণিত। এ নিয়ে বাংলাদেশী অনেক গণমাধ্যমে তথ্যবহুল সংবাদ প্রচারিত হয়েছে ইতোমধ্যেই। ক্লিপে বাংলাদেশে 'ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের' বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানানো হয়। জাওয়াহিরির বক্তব্য হিসেবে অডিও ক্লিপে অনর্গল আরবীতে বক্তব্য তুলে ধরা হয়। নিচে ইংরেজীতে সাব-টাইটেল ভেসে ওঠে। আল কায়েদার বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মুসলিম ভাইয়েরা, ইসলামের বিরুদ্ধে যারা ক্রুসেড ঘোষণা করেছে, তাদের প্রতিরোধ করার জন্য আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি। উপমহাদেশ ও পশ্চিমের শীর্ষ অপরাধীরা ইসলামের বিরুদ্ধে, ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করছে, মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, যাতে আপনাদের তারা অবিশ্বাসীদের দাসে পরিণত করতে পারে। জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামসহ উগ্র ইসলামী দলগুলোও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকার ও অসাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে একইভাবে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে। বার্তায় জাওয়াহিরি বলেন, এই দেশে মুসলমানদের সম্মান আজ ভূলুণ্ঠিত। মুসলমানদের ওপর একটি নৃশংস হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো হত্যাকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সত্য গোপন করছে। আর এই রক্ত ঝরছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ আজ এমন এক ষড়যন্ত্রের শিকার, যাতে ভারতীয় দালাল, পাকিস্তানের দুর্নীতিগ্রস্ত সেনা নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্ষমতালোভী, বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিবিদরাও জড়িত। আর উপমহাদেশের, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের 'মুসলিম উম্মাহ' এই ষড়যন্ত্রের 'মূল শিকার' বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়। আল কায়েদা নেতা বলেন, বাংলাদেশে ইসলামের মৌল বিশ্বাস ও রসুলের (স) বিরুদ্ধে আজ যে অপরাধ ঘটানো হচ্ছে, তার বীজ বপন করেছে সেই ক্রিমিনালরাই। 
পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হওয়া তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে আগ্রাসন ঠেকানো বা পাকিস্তানী সামরিক শাসন থেকে মুক্তি- কোনটাই এর মূল লক্ষ্য ছিল না। আসল লক্ষ্য ছিল এই উপমহাদেশে মুসলিম উম্মাহর ভিত্তি দুর্বল করা, মুসলমানদের বিশ্বাসকে ছিন্নভিন্ন করা, আঞ্চলিক বিভেদ আর যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এর মৃত্যু ডেকে আনা। বলা হয়, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত ও আফগানিস্তানে আজ যা হচ্ছে- তা সেই 'শয়তানী পরিকল্পনা' বাস্তবায়নেরই প্রাথমিক পর্যায়। জামায়াত-হেফাজত এমনকি বিএনপির বক্তব্যের মিল আছে আল কায়েদা নেতার বক্তব্যে। বলেন, বাংলাদেশের রাজপথে হাজারো মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। তাদের অপরাধ ছিল একটাই- ইসলামবিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের সঙ্গে কতিপয় বিপথগামী নাস্তিক্যবাদীর যোগসাজশের প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমেছিল। হেফাজতের পাশাপাশি জামায়াত নেতাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার ও দণ্ড নিয়ে আল কায়েদার ক্ষোভও বার্তায় উঠে এসেছে। জাওয়াহিরি বলেছেন, শত শত আলেমকে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। তাদের আটক করে জেলে পাঠানো হচ্ছে, বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে; কোন অপরাধ না থাকার পরও মৃৃত্যুদ- ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো সাজা দেয়া হচ্ছে। তাদের একমাত্র দোষ ছিল ইসলামবিরোধীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। জাওয়াহিরি এই বার্তায় ইসলামের 'সত্যিকারের আলেমদের' কাছে জড়ো হয়ে তাদের সমর্থন ও সুরক্ষা দেয়ার জন্য বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি ওলামায়ে কেরামদের ওপর ইসলাম 'যে দায়িত্ব দিয়েছে'- তা পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি আপনাদের ইন্তিফাদা এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আল কায়েদার শীর্ষ নেতার জামায়াত-হেফাজত সমর্থিত পরিষ্কার এ বার্তার পর দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেছেন, এবার জাওয়াহিরির বার্তায় তথ্যপ্রমাণসহ পরিষ্কার হয়ে গেছে হেফাজত ও জামায়াত আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ ও সহযোগী সংগঠন। লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবীর বলছিলেন, ১৫ বছর ধরে আমরা তথ্যপ্রমাণসহ বলে আসছি, দেশে আল কায়েদার হয়ে কাজ করছে জামায়াতসহ তার সমমনা উগ্রবাদী দলগুলো। কাজেই ঘৃণ্য এই অপশক্তি দেশকে আর একটি আফগানিস্তান বা পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করার আগেই দেশ থেকে তাদের নির্মূল করতে হবে। আজ তথ্যপ্রমাণসহ কর্মকা- পরিষ্কার করে দিয়েছে আল কায়েদা নেতা। এখন সরকারের উচিত হবে অবিলম্বে জামায়াত-হেফাজতসহ সব উগ্রবাদী জঙ্গী সংগঠন নিষিদ্ধ করা। তা না হলে দ্রুতই বাংলাদেশ আল কায়েদার ঘাঁটিতে পরিণত হবে। 
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনও একই দাবি জানিয়ে বলেন, অবিলস্বে জামায়াত-শিবিরসহ সব জঙ্গী সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে। সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আল কায়েদা নেতা যে বার্তা দিয়েছে তা নতুন কোন বিষয় নয়। আমরা বছরের পর বছর ধরে বলে আসছি জামায়াত আল কায়েদার সংগঠন। রাষ্ট্রকে এখন এদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। কেবল সরকার নয়, রাজনৈতিকভাবে এদের দমন করতে হবে। শনিবার জাওয়াাহিরির বার্তা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তোলপাড় শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। রবিন নামে একজন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, জাওয়াহিরির বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল হেফাজত ও জামায়াত আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ ও সহযোগী সংগঠন। তাদের নির্মূল করতে হবে। এ ছাড়া বিএনপির কোন অংশের মদদ আছে কি না তাও তদন্ত করতে হবে।
রাজিব বলেছেন, জাওয়াহিরি আমাগো কামটা সহজ কইরা দিল! আল কায়েদা হেফাজত জামায়াতরে কোলে তুলে নিয়া আমাগো এত দিনের দাবিকে (আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী) প্রতিষ্ঠিত করল। থ্যাংক ইউ আল কায়েদা! থ্যাংক ইউ জাওয়াহিরি! হাসান লিখেছেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলে এই সন্ত্রাসীরা মনে কষ্ট পেত না। জানা গেছে, বিগত তিন বছরে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই- মোহাম্মদের অর্ধশতাধিক সদস্য। আল কায়েদার ওসামা বিন লাদেনের মতাদর্শ অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়াই নিয়মিত যোগাযোগ ও কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা। ওসামা বিন লাদেনের মতাদর্শী আল কায়েদার অনুকরণে বাংলাদেশের ভেতরে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই- মোহাম্মদের যেসব জঙ্গী প্রবেশ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য। বেশিরভাগই পাকিস্তানের নাগরিক। আফগানিস্তান ও কাশ্মীর ফ্রন্টের মুজাহিদীন যোদ্ধা তারা। উন্নত প্রযুক্তির অত্যাধুনিক অস্ত্র পরিচালনা, গ্রেনেড-বোমা তৈরি ও হামলায় বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও পারদর্শী। গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা, লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদের সদস্যদের গ্রেফতার করে তাদের দেয়া জবানবন্দী অনুযায়ী জানা গেছে, লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই-মোহাম্মদের অর্ধশতাধিক জঙ্গী সদস্য ও পাকিস্তানের নাগরিক বাংলাদেশে আত্মগোপন করে তৎপরতা চালাচ্ছে। পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈয়বা ও জেএমবির সঙ্গে গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে সমন্বয়ের কাজটি করে যাচ্ছে জামায়াত। এ জন্য পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি মুসলিম দেশ ও এনজিওর কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। 
দেশের ভেতরে ব্যাপক জঙ্গীবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকার ফলে তারা খুব সহজে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারছে না। আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের জঙ্গীদের তৎপরতা দেশের ভেতরে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আল কায়েদার বর্তমান নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরির নাম ও ছবিসহ ইন্টারনেটে যে ভিডিওবার্তা শনিবার প্রচারিত হয়েছে, সে ব্যাপারে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, আল কায়েদার সঙ্গে হেফাজতের কোন সম্পর্ক নেই। হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কোন মহল যেন আল কায়েদা নেতা জাওয়াহিরির এ ধরনের বক্তব্যকে হেফাজতের সঙ্গে জড়িয়ে না ফেলেন। তার মতে এটা সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আল কায়েদার সঙ্গে হেফাজতকে জড়িয়ে ফাঁয়দা লোটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও নীলনক্সার অংশ। মাওলানা ইসলামাবাদী বলেন, আমি দেশবাসীকে জানাতে চাই, দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ। আমরা দেশপ্রেমে বিশ্বাসী। হেফাজতের প্রতি যে জনসমর্থন রয়েছে তার সমূলে আঘাত হানতে এ ধরনের বক্তব্য আল কায়েদা নেতা জাওয়াহিরির মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ॥ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, জাওয়াহিরির এ ধরনের বক্তব্য জামায়াতী পরিকল্পনারই অংশ। আমরা আগে থেকেই বলেছি হেফাজত একটি জঙ্গী সংগঠন। জামায়াতী পরিকল্পনায় হেফাজত ইসলামের ব্যানারে দেশে জঙ্গী তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। জাওয়াহিরির নামে যে বক্তব্য শনিবার প্রচার হয়েছে এটি জামায়াতী নীলনক্সার একটি অংশ। এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া উচিত।
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ৪ ফাল্গুন ১৪২

'জাওয়াহিরির বার্তার সঙ্গে হেফাজতের সম্পর্ক নেই'


বাংলাদেশে জিহাদের ডাক 'আল কায়েদার'

নিউজ ডেস্ক,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2014-02-15 12:58:45.0 BdST Updated: 2014-02-15 17:05:30.0 BdST


http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article744093.bdnews

RELATED VIDEOs

জাওয়াহিরির বার্তা-১

জাওয়াহিরির বার্তা-২



al-Qaeda urges jihad in Bangladesh




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___