উপজেলা ওদের অন্তর্জালা!
বিডিলাইভ রিপোর্ট: উপজেলা নির্বাচন আবার প্রমাণ করলো বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন। এই নির্বাচন আরো প্রমাণ করলো সাধারণ নির্বাচন বর্জন করা ছিল বিএনপির জন্য আত্বঘাতি। উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল দেখে সাধারণ নির্বাচনে না যাওয়ার অন্তর্জ্বালায় ভুগছে বিএনপি আর মিত্ররা। সাধারণ নির্বাচন বর্জন এবং প্রতিহত করা ছিল বিএনপির জন্য অনেকটা 'নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ' করার মত।
একই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করে বিএনপি গত মেয়র এবং এবারের উপজেলা নির্বাচনে চমক দেখালো! তা হলে সেই একই সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচনে যেতে বিএনপি ও তার মিত্রদের এতো অনীহা কেন ? তাদের অদ্ভুত যুক্তি হলো স্থানীয় নির্বাচন সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়। তা হলে স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফলকে কেন এই সরকারের প্রতি অনাস্থা বলে গলাবাজি করছো ? এই ভাবে স্ববিরোধী কথা বলে বিএনপি আজ সর্ব মহলে 'হাসির পাত্রে' পরিণত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন দিয়ে আওয়ামী লীগ কিন্তু 'রাজনৈতিক প্রজ্ঞা' র পরিচয় দিয়েছে। দেশে বিদেশে দেখিয়ে দিয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ। তার উপর বিএনপি ও তার মিত্রদের নির্বাচনে টেনে এনে আন্দোলনের নামে 'তান্ডবলীলা' বন্ধ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখন বিএনপিকে স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফলকে পুঁজি করে কর্মীদের চাঙ্গা করতে হবে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য। তা না করে দেশী এবং বিদেশী প্রভুদের ইশারায় বিএনপি যদি সেই 'ভাঙ্গা রেকর্ড' বাজানোর মত আবারও বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আবদার চালায়, তা হলে তাদেরকে বাকিটা জীবন 'উপজেলা নামক লোকাল ট্রেনে' চরে কাটাতে হবে !
'ঘরের শত্রু বিভীষণ' কথাটি আওয়ামী লীগকে সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচন থেকে শিখতে হবে। ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী না থাকায়, বিদ্রোহীদের দাবানলে বেশ কয়েকটি আসন হাতছাড়া হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিদ্রোহীদের দমাতে 'জিরো টলারেন্স' দেখাতে হবে। তা না হলে আগামীতে আরো আসন খোয়াতে হবে। তখন 'ঝড়ে বক মরে, ফকিরের কেরামতি বারে' র মত সেই আসনগুলো পেয়ে বিএনপি-জামাত বরাবরের মত দলীয় কার্যালয়-প্রেস ক্লাব-টক শোতে তথাকথিত জনপ্রিয়তার ঝড় তুলবে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রদ্ধার দৃশ্যটি মিডিয়াতে দেখে বিএনপির জন্য সত্যি করুনা হলো। ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপি নেত্রী যেখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অথবা বিরোধী দলের নেতা হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর পর পরই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পণ করতেন, সেখানে এবার তাকে দেখা গেলো একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসাবে বিরোধী দলের নেত্রী রওশন এরশাদের পর শ্রদ্ধা জানাতে! বিএনপি এবং মিত্রদের জন্য এর চেয়ে লজ্জার আর কি থাকতে পারে! আসলে বিএনপির নেতৃত্বে 'দূরদর্শিতা-সাহস-প্রত্যয়ের' বড় অভাব। তা না হলে কি কেউ সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে ?
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,
ডা: মুহাম্মদ আলী মানিক,
সহ-সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।
(মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ি নয়)
ঢাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি/বিডিলাইভ/আর টি.
http://bdlive24.com/home/details/16652/
__._,_.___