Banner Advertiser

Tuesday, February 25, 2014

[mukto-mona] পিলখানার রক্তাক্ত ও শোকাবহ দিন আজ



পিলখানার রক্তাক্ত ও শোকাবহ দিন আজ

দেশরক্ষায় নিবেদিত প্রাণ এই মানুষগুলো আজ শুধুই ছবি

তোফাজ্জল হোসেন কামাল : দু'শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী আধাসামরিক বাহিনী সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) এর সদর দফতর রাজধানীর  পিলখানায় ২০০৯ সালের এইদিনে (২৫ ফেব্রুয়ারি) তথাকথিত কতিপয় দাবি-দাওয়া আদায়ের অজুহাতে বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা পৈশাচিক ও বর্বর, হিং¯্র আর নারকীয় কায়দায় ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। গোটা পিলখানায় সেদিন বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা যে তা-ব চালিয়েছিলো, তা সভ্য পৃথিবীর কোন শৃংখলিত বাহিনীর ইতিহাসে এমনটি ঘটেনি। নারকীয় এ হত্যাকা-ের পাঁচ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। পরিকল্পিতভাবে রক্তাক্ত বিদ্রোহ সৃষ্টির মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী এই বাহিনীটি হারায় তার ইতিহাস,পাল্টে যায় চিরাচরিত নাম । তার সাথে হারায় দীর্ঘদিনের সুনামও ।  সেই বিদ্রোহের অজুহাতে বিডিআর পরিণত হয় বিজিবিতে । দিনটিকে বিভিন্ন মহল থেকে সেনাহত্যা দিবস হিসেবে পালন করার আহ্বান চলে আসছে বিগত পাঁচ বছর জুড়েই । তার কোন ফায়সালা না হলেও আজ দিবসটি  উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিজিবি ও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের  ইতিহাসের এক শোকাবহ দিন। বিডিআর বিদ্রোহের নামে ২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানীর পিলখানায় সেনাবাহিনীর ৫৭ জন চৌকষ অফিসারকে এই দিনে হত্যা করা হয়।
নির্মমতা ভুলতে পারছেন না আজও। সেই বীভৎসদৃশ্য চোখে ভেসে উঠতেই আঁতকে ওঠেন তারা। এখনো বাতাসে ভাসছে স্বজনহারাদের কান্না। শুধু হত্যাকরেই নরপশুরা খ্যান্ত হয়নি। অফিসারদের স্ত্রী-সন্তান এবং বাবা-মাকে আটকে রেখে নির্মম নির্যাতন চালায় তারা। তাদের বাড়ি-গাড়ি, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সম্পদ আগুনে পুড়ে ফেলে উচ্ছৃঙ্খল বিপথগামী জওয়ানরা। সেনাকর্মকর্তাদের শুধু হত্যা করেই খ্যান্ত হয়নি ঘাতকরা। আলামত নষ্ট করতে প্রথমে তাদের লাশগুলো পুড়ে ফেলার চেষ্টা করে তারা। ব্যর্থ হয়ে লাশগুলো মাটিচাপা এবং ম্যানহোলের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। উচ্ছৃঙ্খল জওয়ানরা অস্ত্রাগার লুট করে তাই দিয়ে সেনা অফিসারদের হত্যা করে।
যা ঘটেছিলো সেদিন
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। বিভিন্ন সেক্টরের কর্মকর্তা ও জওয়ানরা বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সপ্তাহ উপলক্ষে এসেছিলেন পিলখানায়। আগের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিলখানায় বিডিআর সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে অংশ নেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত সদস্যদের মাঝে ভালো কাজের জন্য পদক প্রদানের কথা ছিলো। দরবার হলের সেই অনুষ্ঠানে প্রায় আড়াই হাজার বিডিআর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শেষে বাংলা অনুবাদ যখন শেষ হয় ঠিক তখনই সিপাহী মইন দরবার হলের রান্নাঘরের পাশ দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে মেজর জেনারেল শাকিলের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে। অতিরিক্ত ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারিসহ অন্য কর্মকর্তারা মইনকে আটক করেন। মইনকে আটকের সঙ্গে সঙ্গে 'জাগো' বলে বিডিআর জওয়ানরা দরবার হল ত্যাগ শুরু করে। ডিজি তখন তাদের উদ্দেশে বলেন, তাদের দাবি দাওয়া শুনবেন তিনি। কিন্তু মুহূর্তেই দরবার হল শূন্য হয়ে যায়। এক পর্যায়ে জওয়ানদের সবাই যখন দরবার হল ত্যাগ করে তখন বাইরে থেকে এলোপাথাড়ি গুলী শুরু হয়। কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। তাদেরকে খুঁজে খুঁেজ বের করে জওয়ানরা হত্যা করে। বিডিআর ঢাকা সেক্টরের তৎকালীন কমান্ডার কর্নেল মজিবুল হককে ৩৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের চারতলার এক কক্ষে হত্যা করে তার লাশ ফেলে দেয় নিচে। এভাবে একে একে হত্যা করা হয় সেনাকর্মকর্তাদের। লুটপাট অগ্নিসংযোগসহ নানা অপকর্মে মেতে ওঠে বিডিআর জওয়ানরা। এসবই করেছে অস্ত্রাগার থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করে। শুরুতেই তারা কোত ভেঙ্গে অস্ত্র এবং ম্যাগজিন গুলী তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের গুলীতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। আতংকে আশপাশের কয়েক কিলোমিটারের বাসিন্দারা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনসহ অনেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সামরিক-বেসমারিক বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তারা ছিলেন পুরোপুরি অসহায়। বিদ্রোহীদের তা-বে প্রাণের ভয়ে পিলখানার আশপাশেও কেউ যেতে পারেননি। বিকেলে দূর থেকে হ্যান্ডমাইকে বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গির কবির নানক। মাইকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করবেন। তিনি সবাইকে অস্ত্রসমর্পণ করতে বলেন। সন্ধ্যার দিকে ডিএডি তৌহিদের নেতৃত্বে বিডিআর'র ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা ও তাদের দাবি দাওয়া পূরণের আশ্বাস নিয়ে তারা পিলখানায় ফিরে যান। এরপরও তারা অস্ত্র সমর্পণ ও বন্দীদের মুক্তি দেয়নি। মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সঙ্গে বৈঠক করে বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণ শুরু করে। কিন্তু পরদিনও থেমে থেমে গুলীর শব্দ আসতে থাকে। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেন, পরিস্থিতি শান্ত, সবাই অস্ত্র সমর্পণ করেছে।
এদিকে, ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় লাশ উদ্ধার। একের পর এক উদ্ধার হতে থাকে সেনাকর্মকর্তাদের লাশ। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার হয় ১৫টি লাশ। এভাবে উদ্ধার হয় ৫৭ সেনাকর্মকর্তা ও সামরিক-বেসামরিকসহ মোট ৭৪ জনের লাশ।
বিচার কার্যক্রম
পিলখানা হত্যাকা-ের ঘটনায় ওই বছরের ৬ এপ্রিল প্রথমে কোতয়ালী থানায় ও পরে নিউমার্কেট থানায় সদর ব্যাটালিয়নের ডিএডি তৌহিদুল আলমসহ ছয়জনের নাম উলে¬খ করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। বাহিনীর নিজস্ব আইনেও পিলখানাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ৫৭টি বিদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় ছয় হাজারেরও বেশি বিডিআর সদস্যকে আসামী করা হয়।  নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় ২০১১ সালের ১২ ও ২৭ জুলাই বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন পিন্টুসহ ৮২৪ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি চার্জশীট দাখিল করে সিআইডি। এদের মধ্যে বিডিআরের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত বেসামরিক আসামী ছিলেন ৪০ জন। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি এ দুটি চার্জশিট আদালত আমলে নেন। ৩ ফেব্রুয়ারি মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিলো। ওইদিন সরকার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে মামলার অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ৩ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেন এবং এরমধ্যে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ২১ মার্চ এই মামলায় আরো ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। গত বছরের ৫ নবেম্বর এই মামলার বিচার কার্য সম্পন্ন হয় বকশিবাজার আলিয়া মাদরাাসা মাঠের বিশেষ আদালতে। এতে ১৫২ জনকে মৃত্যুদ-, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন ও ২৬২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। আর খালাস দেয়া হয় ২৭১ জনকে। ৮৫০ জন আসামীর মধ্যে ৪ জন বিচার শেষ হওয়ার আগেই মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে, বিদ্রোহের পর বিডিআর আইনে মোট ৫৭টি মামলা হয়। ৫৭টি মামলায়  মোট আসামী ৬ হাজার ৪১ জন। ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর সদর ব্যাটালিয়নের বিচার কার্যের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের বিচার শেষ হয়। আসামীদের মধ্যে মোট ৫ হাজার ৯২৫ জনের শাস্তি হয়েছে। খালাস পেয়েছেন ১১৫ জন জওয়ান। অব্যাহতি পেয়েছে ৫ জন। অব্যাহতিপ্রাপ্তরা বিচার চলাকালীন মারা গেছেন। মোট ১১টি আদালতে বিদ্রোহের বিচার চলে। ঢাকায় ছিলো মোট ১১টি মামলা। ঢাকায় আসামী সংখ্যা ছিলো ৪ হাজার ৮৯ জন। এর মধ্যে সাজা হয়েছে ৪ হাজার ৩৩ জন।
মামলাগুলোর মধ্যে ২০০৯ সালে ২৪ অক্টোবর প্রথম বিচার শুরু হয় রাঙামাটির ১২ রাইফেল ব্যাটালিয়ন রাজনগরের ৯ জনের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে ২০১০ সালের ২ মে এই মামলার প্রত্যেক আসামীকে বিভিন্ন  মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।
২০১২ সালের ২০ অক্টোবর সদর রাইফেল ব্যাটালিয়নের ৭২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়ার মধ্য দিয়ে ৫৭টি বিদ্রোহের মামলার নিষ্পত্তি সম্পন্ন করা হয়। রাজধানীর বখশিবাজারে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে ২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি শুরু হয় পিলখানা হত্যাকা- মামলার বিচার কার্যক্রম। দীর্ঘ প্রায় দুই বছর বিচার কার্যক্রম শেষে গত বছরের ৫ নবেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদ-, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে ২৬২ জনকে সাজা দেয়া হয়। বেকসুর খালাস দেয়া হয় ২৭১ জনকে। বিচার প্রক্রিয়া চলার সময়ে চার জন মারা যান। সর্বশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা যান এ মামলার অন্যতম মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামী ডিএডি মির্জা হাবিবুর রহমান। হত্যাকা- মামলাটি বর্তমানে উচ্চআদালতে বিচারাধীন। বিস্ফোরক আইনের মামলাটি এখন নিম্মআদালতে বিচারাধীন । এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এ মাসের শুরুর দিকে এ মামলার বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলা চালাতে বিব্রত বোধ করে মামলাটি মহানগর দায়রা জজের কাছে পাঠিয়ে দেন। এ মামলার আসামী রয়েছেন ৭৮৭ জন। আগামী ৩ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে। এ মামলা চালানোর প্রক্রিয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আসামীপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও শামীম সরদার। তারা বলেন, হত্যা মামলাটিতেও তারা ন্যায়বিচার পাননি। এরই মধ্যে তারা উচ্চ আদালতে আপীল করেছেন। অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলাটি নিয়েও চলছে টানাহেঁচড়া। ৫৭টি বিদ্রোহ মামলায় বিডিআরের নিজস্ব আইনে গঠিত বিশেষ আদালতে পাঁচ হাজার ৯২৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়। হত্যা মামলার সাড়ে আটশ আসামীও এসব বিদ্রোহ মামলার আসামী হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদে দ-প্রাপ্ত হয়েছেন। পিলখানা হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক বিডিআর সদস্য তোরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদদ- দেয়া হয়। এ মামলার ২০ আসামী ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে গত ৫ নভেম্বর দেয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, একটি মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষিতেই এ মামলা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট পড়ে আমার নিজেরই গা শিউরে ওঠেছে। হত্যার পর তারা লাশ ক্ষত বিক্ষত করেছে। সামরিক বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে দিতে এ হত্যাকা- হতে পারে। বহির্বিশ্বে এ জাতিকে উচ্ছৃঙ্খল জাতি হিসেবে চিহ্নিত করে দেশের সুনাম ক্ষুণœ, বিনিয়োগ বাধাগ্রস্তসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক মোটিভ কাজ করেছে বলেও তিনি পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন।
পিলখানায় বিজিবির কর্মসূচি
বেদনা বিধুর এ দিবসটি পালনের লক্ষ্যে পিলখানায় নিহতদের জন্য দোয়া, মিলাদ মাহফিল, কবরে ফুল দেয়ার মতো কিছু কর্মসুচি নেয়া হয়েছে বিজিবির পক্ষ থেকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা জানান, পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকা-ে শহীদ ব্যক্তিবর্গের স্মরণে আজ মঙ্গলবার শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হবে। দিনের কর্মসূচি অনুুযায়ী শহীদ ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে পিলখানাসহ বিজিবির সকল রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় বাদ ফজর খতমে  কোরআন এবং বিজিবির সকল মসজিদে এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। কাল ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় পিলখানার বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে শহীদ ব্যক্তিবর্গের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ  দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদ ব্যক্তিবর্গের নিকটাত্মীয়গণ, পিলখানায় কর্মরত সকল অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবীর  সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করবেন।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___