সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ২৮ মাঘ ১৪২০
জামায়াতের তান্ডব ও হত্যাযজ্ঞে জড়িত দুই শতাধিক
ব্যবসায়ী, এনজিও ও অর্থ যোগানদাতাদের তালিকা তৈরি ॥ শীঘ্রই ব্যবস্থা
শংকর কুমার দে ॥ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় ঘোষণা হলে আবারও আগের মতো ব্যাপক বোমাবাজি, পেট্রোল বোমা, ককটেল নিক্ষেপের ধ্বংসলীলা ও হত্যাযজ্ঞের উৎসবে মেতে উঠতে পারে জামায়াত-শিবির। এ ধরনের আশঙ্কা থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে হরতালের নামে বোমাবাজি সহিংসতার অর্থ যোগানদাতা হিসেবে দুই শতাধিক বিএনপি ও জামায়াত মতাদর্শী ব্যবসায়ী ও এনজিওর নামের তালিকা তৈরি করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
গত বছরের নবেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কারা কিভাবে এত ব্যাপক বোমাবাজির অর্থের যোগান দিয়েছে তার অনুসন্ধান করে গোয়েন্দা সংস্থা এ ধরনের একটি তালিকা তৈরি করেছে। তারা রাজধানীতে অর্ধশতাধিক স্থানে বোমা ককটেল তৈরি ও সরবরাহ করার আস্তানার সন্ধান পেয়েছে। আলোচ্য সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধ, রায় ঘোষণার প্রতিবাদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহতের ডাকে ব্যাপক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো, ককটেল নিক্ষেপ, পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, জামায়াতসংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়া গেলেই বোমার আস্তানা ও যোগানদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জামায়াত মতাদর্শী এনজিও রাজনৈতিক নেতা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে আসছে এবং দেশের বাইরে থেকে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ আসছে। বোমাবাজদের সহিংসতার ব্যাপারে র্যাব-পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকরা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এ ব্যাপারে যাঁরা তালিকাভুক্ত তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন বা কী করছেন, তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বোমাবাজির সঙ্গে শিবির ক্যাডাররা বেশি জড়িত বলে গোয়েন্দারা নিশ্চিত করেছেন। রাজধানীতে শিবিরের অন্তত অর্ধশত ককটেলের আস্তানা রয়েছে। ক্যাডাররা যানবাহনে বোমা মেরে আগুন ও রাজনীতিবিদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাসা-বাড়িতে ককটেল বা বোমা বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। বোমাবাজদের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা অঞ্চলে বেশি রয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচী এলেই অর্থের যোগানদাতাদের সহায়তায় জামায়াতÑশিবিরের ক্যাডাররা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হতাহতের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, যুদ্ধাপরাধীর বিচার, রায় ঘোষণা ও হরতাল কেন্দ্র করে মন্ত্রী, বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও পুলিশ, যানবাহনে বোমা, ককটেল হামলা ও পেট্রোল বোমা মেরে হতাহতের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ পুড়েছে। বোমাবাজদের কারা নিয়ন্ত্রণ করছে, তা অনুসন্ধান করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকার মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতা ও ব্যবসায়ীসহ প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে। তালিকার মধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগে বেশি। জামায়াত-শিবিরের মেস ও মাদ্রাসাগুলোতে ব্যাপক নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। এ নিয়ে পুলিশ সদর দফতরে বিশেষ বৈঠক হয়েছে। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে দেশের বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা হামলার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের অস্ত্র লুট, পুলিশকে মারধর ও যানবাহনে আগুন ধরিয়ে সাধারণ মানুষ হত্যা করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা যে তালিকা তৈরি করেছে তাতে প্রত্যেকের নাম, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, পেশা, দলীয় অবস্থান, নেটওয়ার্ক, অর্থের উৎস, মামলার রেকর্ডপত্র এবং তারা আচমকা দ্রুত কিভাবে সংগঠিত হয়, তার বিবরণ রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশ থেকে এনজিওর মাধ্যমে অর্থ এনে বোমাবাজির মাধ্যমে মানুষজনকে হতাহত করা হয়েছে তারও তালিকা তৈরি করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিগত দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট যেভাবে বোমাবাজি করে হতাহতের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে তার পুনরাবৃত্তি হবে না তার নিশ্চয়তা কী? দেশী-বিদেশী জনমতের চাপে তারা এখন সাময়িক চুপচাপ। জামায়াতÑশিবির নিরাপরাধ মানুষ হত্যা করছে। বোমাবাজদের অর্থ যোগানদাতাদের তালিকা করার নির্দেশ পাওয়ার পর পরই তারা তালিকা তৈরি করে। গ্রেফতার হওয়া বোমাবাজদের কাছ থেকেও অর্থ যোগানদাতাদের নাম পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। অর্থ যোগানদাতারা যতবড় আর শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জামায়াতসংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোকে নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে। দেশী-বিদেশী জনমতের চাপে আপাতত জামায়াতÑশিবির চুপচাপ থাকলেও যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় ঘোষণার পর আবারও আগের মতো ভয়ঙ্কর রূপে যাতে আবির্ভূত হতে না পারে, সে দিকে লক্ষ্য রেখে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2014-02-10&ni=163179গত বছরের নবেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কারা কিভাবে এত ব্যাপক বোমাবাজির অর্থের যোগান দিয়েছে তার অনুসন্ধান করে গোয়েন্দা সংস্থা এ ধরনের একটি তালিকা তৈরি করেছে। তারা রাজধানীতে অর্ধশতাধিক স্থানে বোমা ককটেল তৈরি ও সরবরাহ করার আস্তানার সন্ধান পেয়েছে। আলোচ্য সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধ, রায় ঘোষণার প্রতিবাদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহতের ডাকে ব্যাপক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো, ককটেল নিক্ষেপ, পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, জামায়াতসংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়া গেলেই বোমার আস্তানা ও যোগানদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জামায়াত মতাদর্শী এনজিও রাজনৈতিক নেতা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে আসছে এবং দেশের বাইরে থেকে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ আসছে। বোমাবাজদের সহিংসতার ব্যাপারে র্যাব-পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকরা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এ ব্যাপারে যাঁরা তালিকাভুক্ত তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন বা কী করছেন, তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বোমাবাজির সঙ্গে শিবির ক্যাডাররা বেশি জড়িত বলে গোয়েন্দারা নিশ্চিত করেছেন। রাজধানীতে শিবিরের অন্তত অর্ধশত ককটেলের আস্তানা রয়েছে। ক্যাডাররা যানবাহনে বোমা মেরে আগুন ও রাজনীতিবিদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাসা-বাড়িতে ককটেল বা বোমা বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। বোমাবাজদের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা অঞ্চলে বেশি রয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচী এলেই অর্থের যোগানদাতাদের সহায়তায় জামায়াতÑশিবিরের ক্যাডাররা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হতাহতের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, যুদ্ধাপরাধীর বিচার, রায় ঘোষণা ও হরতাল কেন্দ্র করে মন্ত্রী, বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও পুলিশ, যানবাহনে বোমা, ককটেল হামলা ও পেট্রোল বোমা মেরে হতাহতের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ পুড়েছে। বোমাবাজদের কারা নিয়ন্ত্রণ করছে, তা অনুসন্ধান করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকার মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতা ও ব্যবসায়ীসহ প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে। তালিকার মধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগে বেশি। জামায়াত-শিবিরের মেস ও মাদ্রাসাগুলোতে ব্যাপক নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। এ নিয়ে পুলিশ সদর দফতরে বিশেষ বৈঠক হয়েছে। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে দেশের বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা হামলার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের অস্ত্র লুট, পুলিশকে মারধর ও যানবাহনে আগুন ধরিয়ে সাধারণ মানুষ হত্যা করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা যে তালিকা তৈরি করেছে তাতে প্রত্যেকের নাম, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, পেশা, দলীয় অবস্থান, নেটওয়ার্ক, অর্থের উৎস, মামলার রেকর্ডপত্র এবং তারা আচমকা দ্রুত কিভাবে সংগঠিত হয়, তার বিবরণ রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশ থেকে এনজিওর মাধ্যমে অর্থ এনে বোমাবাজির মাধ্যমে মানুষজনকে হতাহত করা হয়েছে তারও তালিকা তৈরি করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিগত দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট যেভাবে বোমাবাজি করে হতাহতের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে তার পুনরাবৃত্তি হবে না তার নিশ্চয়তা কী? দেশী-বিদেশী জনমতের চাপে তারা এখন সাময়িক চুপচাপ। জামায়াতÑশিবির নিরাপরাধ মানুষ হত্যা করছে। বোমাবাজদের অর্থ যোগানদাতাদের তালিকা করার নির্দেশ পাওয়ার পর পরই তারা তালিকা তৈরি করে। গ্রেফতার হওয়া বোমাবাজদের কাছ থেকেও অর্থ যোগানদাতাদের নাম পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। অর্থ যোগানদাতারা যতবড় আর শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জামায়াতসংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোকে নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে। দেশী-বিদেশী জনমতের চাপে আপাতত জামায়াতÑশিবির চুপচাপ থাকলেও যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় ঘোষণার পর আবারও আগের মতো ভয়ঙ্কর রূপে যাতে আবির্ভূত হতে না পারে, সে দিকে লক্ষ্য রেখে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
প্রকাশ: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ২৮ মাঘ ১৪২০
Also Read:
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ২৫ মাঘ ১৪২০
এক বছরে জামায়াত শিবিরের কীর্তি ॥ ৫০৭ হত্যা
আহত ২২ হাজার ৪০৭
প্রকাশ: শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ২৫ মাঘ ১৪২০
Also Read:
জামায়াতের হরতাল প্রত্যাখ্যান, সব স্বাভাবিক
জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে জামায়াত-শিবিরের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেশব্যাপী প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী এ চক্রের ডাকা বৃহস্পতিবারের হরতালে জনগণ সাড়া না দেয়ায় সারাদেশে জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। হরতাল ডেকে মাঠে ছিল না জামায়াত-শিবির। দেখা গেছে নামকাওয়াস্তে হরতালের চেহারা। দু'একটি স্থানে আগুন দেয়া, ঝটিকা মিছিলেই শেষ জামায়াতের হরতাল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে অপচেষ্টা করেও কোথাও বড় ধরনের নাশকতা করতে পারেনি তারা। . . .
মওদূদীবাদ তথা জামায়াত-শিবির সম্পর্কে দেশের প্রখ্যাত কিছু আলেমের অভিমত
লিখেছেন: সোহাগ সকাল • প্রকাশকাল: 24 ফেব্রুয়ারি 2013
__._,_.___