Banner Advertiser

Sunday, February 9, 2014

Re: [mukto-mona] সদস্য হতে চাই



You better write to Dr. Avijit Roy, who is the moderator of the site Mukto-mona. Here is email address:

charbak_bd@yahoo.com



On Sunday, 9 February 2014, 2:55, amar valobasha <dustu247@gmail.com> wrote:
 
হাই,
আমি মুক্তমনা মাঝে মাঝে পড়ি। কিছুটা লেখালেখি করি। আমার খুব ইচ্ছে
আপনাদের সাইটের একজন সদস্য হিসেবে লেখালেখি করতে। কিন্তু এত নীতিমালার
ভীড়ে আমি সদস্য হওয়ার পথ টাই খুঁজে পেলাম না। আমি নিচে আমার কিছু লেখা
তুলে ধরছি। আমাকে সদস্য করা যায় কিনা জানাবেন। না করা গেলেও জানাবেন।
তাহলে আর অপেক্ষা করব না। উল্লেখ্য নিচের লেখাগুলো আমি ইতোমধ্যে ফেসবুকে
প্রকাশ করেছি। এবং আমি আপনাদের সাইটে " সমধিকারী " শিরোনামে লিখতে
চাই।

লাইফ উইদাউট লাভ-১
৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৪। ঢাকা বিমান বন্দর।
সন্ধ্যা ৭ টা ৪৩ বাজে। দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বসে
হাঁটাহাটি করছি। এমনি সময়ে সাউন্ডবক্সে নারীকন্ঠের সুললিত কন্ঠস্বর আমার
বুকের কাঁপন বাঁড়িয়ে দিলো। আমি কোথাও যাচ্ছি না। যাওয়ার খুব বেশী জায়গা
আমার নেই। বিশাল এই পৃথিবী আমার জন্য ছোট হয়ে গেছে কেমন করে তা আমি নিজেও
ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। আজ দীপ্ত ভাইয়া আসছেন। সুদীপ্ত ভাইয়া! ফেসবুকে
নিয়মিত যোগাযোগ হয়। সপরিবারে মেলবোর্ন থেকে ঊড়ে এলেন তিনি। আমি যাত্রী
বহির্গমন পথের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।

বামহাত বুকের উপর একবার বুলিয়ে নিলাম। হার্টবিটটাকে পারলে চেপে ধরে
থামাতাম। লাগেজ ঠেলে এগিয়ে আসছেন দীপ্ত ভাইয়া। পেছনে ভাবী। ফুটফুটে
বাচ্চার হাত ধরে হাটছেন ভাইয়ার পিছে। অনেক দিন পরে দীপ্ত ভাইয়ের সাথে
দেখা। দশ পনের বছর পরে দেখা হচ্ছে। কিছুটা মুটিয়ে গেছেন। বয়সের ছাপ
কিছুটা পড়েছে কিন্তু চেহারা সেই আগের মতই আছে। সেই চোখ, চিরচেনা চোখ, যে
চোখে ভাইয়া দেখিয়েছিলেন অন্য এক জগত।
আশপাশে অনেক মানুষ। সবাই এসেছে অভ্যাগতদের রিসিভ করতে। কারো ছেলে, কারো
স্বামী। সবার চোখে মুখে উপচে পড়া আনন্দের ঢেউ। আবার অনেকেই এসেছে
অফিশিয়ালি রিসিভ করতে। তাদের হাতে প্লাকার্ড। পাশে দাঁড়ানো ছেলেটার
প্লাকার্ড হাতে কিছুটা নার্ভাস ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। ব্লেক নামের কাউকে
রিসিভ করতে এসেছে। কিছু দূরে একজন মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে এক গোছা
রজনীগন্ধা। বয়স ছাব্বিস সাতাশ এর কাছাকাছি। ফুলটুল আমার কিছু একটা আনা
উচিত কিনা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। দেখা যায় ছোট খাট বিষয়ে
সিদ্ধান্ত নিতে আমাকে প্রায়ই হিমশিম খেতে হয়।

দীপ্ত ভাইয়া আমার সামনে এসে গেছে কখন আমি টেরই পাইনি। কেমন আছিস? সেই
চেনা কন্ঠস্বর। ফোনে শুনেছি। কিন্তু আজ সরাসরি শোনার পর বুকের ভেতর টা
মোচড় দিয়ে উঠলো। কিছু একটা বুকের ভেতর থেকে দলা পাকিয়ে উঠে গলায় এসে
বেঁধে গেলো। ইচ্ছে করছিলো দ্বীপ্ত ভাইয়ের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ি। কিন্তু অচেনা
একটা লজ্জা আমাকে অনড় করে দিলো। আমি বোবা চাহনীতে সেই চেনা চোখের দিকে
তাকালাম। লাগেজটা পাশে সরিয়ে রেখে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। সেই চেনা আলিঙ্গন।
কিন্তু ভাবীর সামনে আমার আড়ষ্ঠ ভাব কিছুতেই কাটছিলো না। শুধু মনে হচ্ছিলো
আমার শরীর থেকে ঘামের গন্ধ বের হচ্ছে নাতো। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে যে
ঘামার সুযোগ ছিলো না সেটা কিন্তু মাথায় আসছে না।

কোলাকুলি সেরে দীপ্ত ভাইয়া আবার জিজ্ঞেস করলেন, কেমন আছিস? মাথা নেড়ে
জানালাম, ভালো আছি।
-চশমা নিয়েছিস কবে? মাথার চুলগুলো কোথায়? সামনে এত ফাঁকা কেন? হেয়ার
ট্রিটমেন্ট করাস না? বাড়ীর খবর কি? সজল এর কি খবর?
একরাশ প্রশ্ন করে গেলেন। যদিও এর অধিকাংশ উত্তর তিনি জানেন। ফেসবুকের এই
যুগে আমরা অনেক দূরে থেকেও কাছে থাকি। আবার কাছের মানুষ থেকে দূরে থাকি
নিজের অজান্তে। ফেসবুক যেমন দেয় তেমনি অনেক কিছু কেড়ে নেয়। ভাইয়ার
প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগেই ভাবী মুখ খুললেন।
- মাস্টার মশাই , এখানে তোমার ভাইয়ার সাথে আরো কেউ আছে। আমাদের দিকে একটু
তাকান প্লিজ।
ভাবীকে ছবিতে দেখেছি। দীপ্ত ভাইয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে আমি যাইনি। সংগত
কারনেই যাইনি। ভাবীকে এই প্রথম দেখলাম। ছবির থেকেও ভাবী অনেক সুন্দরী। এই
বয়সে বাঙালী বধুরা মুটিয়ে যায়। মনে হয় একটা মাংসের স্তুপ। দুই বাঘে খেয়ে
শেষ করতে পারবে না। মনে হচ্ছে ভাবী বেশ ফিগার সচেতন। ভাবীর কন্ঠস্বরে
আন্তরিকতা মিশে আছে। খুব সহজেই ভাবীর সাথে ফ্রি হয়ে গেলাম। ভেবেছিলাম
ভাবীর সাথে আমি সেভাবে কথা বলতে পারবো না।

লাইফ উইদাউট লাভ- ২
আমার নিজের গাড়ী নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি করে গাড়ি কেনার সামর্থ্য
এখনো হয়ে ওঠে নাই। লেকচারার হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছি বছর দুয়েক।
দীপ্ত ভাইয়া শোনার পর প্রথম দিন থেকেই আমাকে মাস্টার মশাই বলে ডাকা শুরু
করেছেন। এখনো তাই ডাকেন।
ক্যাবে ভাইয়া আর ভাবী বসেছে পেছনে। আমি সামনে ড্রাইভারের পাশের সিটে।
আমার কোলে দীপ্ত ভাইয়ার রাজপুত্র। অক্ষর, দীপ্ত ভাইয়ার ছেলের নাম। আমার
গলা জড়িয়ে ধরে বসে রাজ্যের প্রশ্ন করে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলার চর্চা
কতটা হয় আমার জানা নেই। তবে অক্ষরের মুখে বাংলার আধো টানটা কানে বেশ মধুর
লাগছে। তার বাংলা উচ্চারণ ঝরঝরে কিন্তু ভোকাবুলারি অত সমৃদ্ধ নয়। প্রতি
সেন্টেন্সে ইংরেজী অক্ষরের ছড়াছড়ি। আমি তার কচি মুখের দিকে অপলকে চেয়ে
থাকি বেশ কিছুক্ষন।

ভিউ গ্লাসে দেখলাম ভাবীও ঢাকা শহর দেখায় ব্যাস্ত। অনেক দিন পরে এসেছেন।
অনেক কিছুই বদলে গেছে। তাই চেনা ঢাকাকে নতুন করে চেনার চেষ্টা করছেন।
দীপ্ত ভাইয়ার চোখ ড্রাইভারের উপরের গ্লাসে। এভাবে কেন তাকাও দীপ্ত ভাইয়া!
সময় অনেক পেরিয়ে গেছে। এই ঢাকার মহাসড়কের উপর দিয়ে পার হয়ে গেছে হাজারো
মানুষ, হাজারো সব গল্প। ভাবী বেশ বিরক্তি নিয়ে বললেন, ঢাকার অনেক কিছুই
চেঞ্জ হয়ে গেছে। পুরো রাস্তাটাই অচেনা লাগছে। কিন্তু জ্যামটা চেঞ্জ হলো
না। সেই আগের মত রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা। তোমার ফ্লাটে
পৌঁছাতে আর কতক্ষণ লাগবে মাস্টার। শীতের এই সন্ধ্যায় ঢাকার বুকে আজ
হালকা উত্তাপ। আমার বুকের উত্তাপ কি আজ বাতাসের শরীরে গিয়ে মিশলো।
- আর বেশীক্ষণ না। আধাঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবো। বোরিং লাগছে খুব?
- আধা ঘন্টা! ভ্যাপসা গরম ভাব লাগছে। ড্রাইভার এসি টা একটু বাড়িয়ে দাও
ভাই। অনেক দিন পর এলাম তো।
দীপ্ত ভাইয়া শিস দিতে দিতে বললেন, কণা এত অস্থির হচ্ছো কেন? হাতে আমাদের
অনেক সময়। পুরো একমাস এবার দেশে থাকবো আমরা। দেশে এসেছি। দেশের বাতাস টা
একটু উপভোগ করতে দাও। পুরোনো সেই উত্তাপ। পুরাতন সেই আবেগ একটু চেখে
দেখি।
গুনগুনিয়ে একটা সুর ভাঁজা শুরু করলেন, পুরোনো সেই দিনের কথা ভূলবি কিরে হায়!
হায়! রবীন্দ্রনাথ, অস্থির কিছু গান লিখে গেছো তুমি। আমার মনের সব কথা
তুমি যেন আগে থেকেই পড়ে রেখেছিলে। আমার সব কথা খুঁজে পাই তোমার গানে।
পুরোনো দিনের কথা আমি ভূলতে পারিনি কখনো। পুরোনো দিনের কথা গুলো প্রাণের
ব্যাথাগুলো সন্তানের মত লালন করি নিজের মাঝে।
লাইফ উইদাউট লাভ- ৩
আমি দুই রুমের ছোট্ট একটা ফ্লাট নিয়ে থাকি। এক রুমেই চলে যায়। বাকী রুমটা
পড়ে থাকে। মাঝে মাঝে ভাবি সাবলেট দিয়ে দেবো। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠে নি।
আমি নিজে মোটামুটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু ফ্লাটটাকে
পরিষ্কার রাখা হয়ে ওঠে না। ভাইয়া ভাবী রুমে ফ্রেশ হচ্ছে। আমি এরই মাঝে
চুলায় চায়ের পানি বসিয়ে দিলাম। অনেকক্ষণ চা খাওয়া হয় না। আমার নিজেরও চা
খাওয়া হয় না। আমি মোটামুটি নিজের রান্না করতে পারি। একদম খেয়াল ছিলো না
তাদের আসার সাথে সাথে খাবার দিতে হবে। এই বেলা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার
নিয়ে আসি। বেরোতে যাবো এই সময়ে ভাবী এসে হাজির । কাপ ধুয়ে চা ঢেলে নিলেন।
- মাস্টার কোথায় যাও?
- এই তো ভাবী কিছু খাবার নিয়ে আসি।
- দেশে এসে দোকানের খাবার খাবো? এইটা কি বলো মাস্টার! ফ্রিজে বাজার করা না।
আমি মাথা নেড়ে সায় দিলাম। ভাবী তখনি কোমরে কাপড় জড়িয়ে ফ্রিজের দিকে এগিয়ে গেলেন।
- এত দূরের পথ জার্নি করে এসেছেন ভাবী। এখন থাক। খেয়েই দেখেন না ঢাকার
রেস্টুরেন্টের খাবার।
- আরে রাখো তো তোমার জার্নি। এখন আর জার্নিকে জার্নি মনে হয় না। তুমি এসে
আমাকে দেখিয়ে দাও কোথায় কি রাখো।

প্রেশার কুকারে মাংস চড়িয়ে দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলেন, মাস্টার বিয়ে করছো
কবে? মাথার অবস্থা তো খারাপ। পুরোপুরি স্টেডিয়াম হয়ে গেলে তো মেয়ে পাবে
না। মেয়ে দেখবো?
আমি কিছু বলার আগে দীপ্ত ভাইয়ার অট্টহাসির শব্দ পেলাম। তাকে একটু আগে চা
দিয়ে এসেছি। চায়ের কাপ হাতে নিয়ে দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বললো, ঢেকি
স্বর্গে গেলেও যেমন ধান ভাঙ্গে, তেমনি বাঙালী অবিবাহিত পাত্র পাত্রী পেলে
বিনে পয়সায় ঘটকালী করে। মেলবোর্ণে তোর ভাবীকে সবাই ঘটক পাখি ভাবী বলে
ডাকে। তিনি স্বেচ্ছাশ্রমে বেশ কয়েক যুগলের বিবাহ দিয়েছেন। ভাবী ভাইয়ার
উপর কপট রাগ ঝাড়লেন। আজ অনেক দিন পর আমার ছোট্ট কিচেন গল্পে সরগরম হয়ে
উঠলো। ছোট বেলায় এরকম হত। তখন আমাদের বাড়ীতে মাটির চুলায় রান্না হত।
শীতকালে রান্না ঘরের সামনের উঠানে চুলা পাতা হত। সেখানে ধানের খড় দিয়ে
রান্না চাপাতো মা। বাড়ি মামা খালা নানী ফুফুদের কেউ এলে চুলায় পিঠে বসে
রাজ্যের সব গল্প হত।

ভাবী রান্না শেষ করে ঘরে গেলেন। দীপ্ত ভাইয়া বললেন, শার্টটা তোর কাছে আজো
আছে? আমি আমার গায়ের শার্টটার দিকে তাকালাম। ভেবেছিলাম দীপ্ত ভাইয়া চিনতে
পারবে না। আকাশ নীল বর্ণের এই শার্ট। আজ বহুবছর পরে আমি পরেছি।
লাইফ উইদাউট লাভ-৪
মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙলো। হু বলে ডাক শুনে আমি পাশ ফিরে শুইলাম। মা আমার
মুখের উপরের কম্বল সরিয়ে বললেন, কি রে ভূলে গেছিস? ঘাটে যাবি না?
- সকাল হয়ে গেছে?
- সেই কখন ফজরের আজান দিয়েছে। এতক্ষণে তো ঘাটে লঞ্চ এসে গেছে। তুই যাবি
না রহিমকে একা পাঠিয়ে দেবো?
- বড় ভাইয়া আসছে আর আমি যাবো না তাই কি হয়। তুমি শার্টটা দাও।

শার্টটা গায়ে চাপিয়ে তার উপরে চাপাতে হলো শাল খানা। বেশ ঠান্ডা। নিমের
দাঁতন দিয়ে মেসওয়ার্ক করতে করতে হাটা শুরু করলাম। আমার পিছে পিছে পা
ফেলছে রহিম। রহিম আমার থেকে বছর দুয়েকের ছোট। কাজ কর্ম করার জন্য ওকে
রাখা হয়েছে। বেশ হাসিখুশী প্রানচঞ্চল একটা ছেলে। বিকেলে মাঠ থেকে গরু
আনার সময় খোলা মাঠে গলা ছেড়ে গান গায়। কেউ কোন কাজ করে দিতে বললে সানন্দে
লেগে যায় সেই কাজে। সব কাজে সে মজা খুজে পায়। অথচ চারকূলে কেউ নেই তার।
- কিরে রহিম, স্যান্ডেল কই তোর? এই শীতে খালি পায়ে আইছিস ক্যান?
- ছোড ভাই, স্যান্ডেল পরলি পা কুটকুট করে। আমি হাঁট্টি পারিনে। খালি পায়
হাট্টি আমার খুব ভালো লাগে। মিয়া ভাই ইবার কদিনের ছুটিতে আইলো?
- কথা না কয়ে পা ফেল। লঞ্চ মনে হয় ঘাটে চলে আইছে এতক্ষণে। আরো আগে বারুতে হইতো।
- না ভাই। এহনো আসে নাই। আসলি লঞ্চের গুড়গুড় শুনা যাতো।
আমাদের বাড়ী সুন্দরবনের খুব কাছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই অনুন্নত। বড়
ভাইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ছে। আমাদের এই এলাকায় ভাইয়াই প্রথম
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্র। গ্রামে বিএ পাশ কয়েকজন আছে। কিন্তু তারা সবাই
খুলনার বিএল কলেজে পড়া। ঢাকা থেকে খুলনা আসার পর আইডব্লিউর ঘাট থেকে
লঞ্চে করে আমাদের গ্রামে আসতে হয়। রাত দশটার লঞ্চে উঠলে আমাদের এখানে
পৌঁছাতে পৌঁছাতে সকাল হয়ে যায়। আর এখন শীতের সময়। কুঁয়াশার কারণে লঞ্চ
খুব আস্তে চলে। অজেদ মোড়লের পুকুর পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় নিমের দাঁতন ফেলে
দিয়ে কুলি করে মুখ ধুয়ে নিলাম। পুকুরের চারপাশে অনেক উঁচু উঁচু গাছ।
পুকুরের রোদ পড়ে না। তাই পানি বরফ ঠান্ডা হয়ে থাকে। গরম কালে এই পুকুরে
গোছল করে মজা। মুখ ধুয়ে মোছার আগেই একরাশ ঠান্ডা হাওয়া আমার নাকের ডগা
ছুয়ে উড়ে গেলো। সেই ঠান্ডায় হিড়হিড় করে কেঁপে উঠলাম।

লঞ্চ ঘাঁটে গিয়ে দেখি তখনো লঞ্চ আসে নাই। নদীর ওইপারে সুন্দরবন। ঘন
সবুজের সমাহার। কিন্তু কুয়াশার চাঁদরে মোড়া। মিনিট পঞ্চাশেক বসার পরে
লঞ্চের শব্দ শুনতে পেলাম। অপেক্ষার পর এই গুড়গুড় শব্দ কানে মধুর হয়ে
উঠলো। আমি লঞ্চঘাটের উপর গিয়ে দাঁড়ালাম। শব্দ শোনার পর আরো মিনিট দশেক পর
লঞ্চের দেখা পেলাম। মালপত্তর সহ ভাইয়াকে নামিয়ে নিলাম। ভাইয়ার সাথে তার
এক দোস্ত এসেছে। সিনেমার নায়কদের মত দেখতে। মানুষ এত ফর্সা হয়? আমি আগে
দেখিনি।
লাইফ উইদাউট লাভ-৫
রান্নাঘর থেকে নুরী ফুফু ডাক দিলেন। আমি বারান্দায় বসে হায়ারম্যাথ করার
চেষ্টা করছিলাম। সবে ক্লাস নাইনে উঠেছি এবার্। ক্লাসে এবার ফার্স্ট হতে
পারলেও স্কুল ফার্স্ট হতে পারিনি। তাই চেষ্টা করছি সামনের বার স্কুল
ফার্স্ট হতে।এবার স্কুল ফার্স্ট হয়েছে অঞ্জন পাল। পাল বাড়ির ছেলেদের মাথা
বরাবরই ভালো। স্কুলের হুজুর স্যার আব্দুল কুদ্দুস মাঝে মাঝে মজা করে
ইসলাম শিক্ষা ক্লাসে বলেন, " হিন্দুদেরমাথা এত ভালো কেন বলতে পারিস ?"
স্যারের চোখে মুখে কৌতুকের হাসির ছায়া । আমরাও মজা পাই। স্যার নিজেই
বলেন, " হিন্দুরা কাঁকড়ার ঘিলু খায় বলেই তাদের এত মাথা । তাই বলে তোরা সব
কাঁকড়ার ঘিলু খাবি নাকি সব ? "

আমাদের কেউ কেউ মাথা দুলিয়ে না জানায়। স্যার আবার বলেন, " ইসলামে কাঁকড়া
খাওয়া মাকরুহ। মাকরুহ দুই প্রকার্। মাকরুহ তাহরিমি এবং মাকরুহ তানঝিহি।
কাঁকড়া খাওয়া মাকরুহ তানঝিহি। "

গ্রামের মানুষ মাকরুহ শব্দটা শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে পারে না। তারা বলে
মোকরুব। আমি এটাও জানি চিংড়ি মাছ, কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়াও মোকরুব। কিন্তু
এগুলো আমাদের বাড়িতে খুব খাওয়া হয়। কিন্তু কাঁকড়ার নাম শোনা যায় না।
আমার ক্লাসমেট অনুপ সাহা একদিন বলে ওর ফেভারিট খাবার হচ্ছে কাঁকড়া
ভর্তা। এগুলো শুনলে আমার গা গুলিয়ে ওঠে। মুলত আমাকে ক্ষেপানোর জন্যই অনুপ
এই কথা গুলো বেশী বেশী বলে। ওর কথা শুনে মনে হলো আমি নিজেই খাচ্ছি কাঁচা
কাঁকড়া চিবিয়ে। দুই দাঁতের মাঝে কচকচ করে শব্দ হচ্ছে। আমার গা কেমন করে
উঠলো। আমি দৌঁড়ে কলপাড়ে চলে গেলাম। পাকস্থলীর খাবার সব গলা দিয়ে বেরিয়ে
এলো। পৃথিবীর সব থেকে কঠিন কাজের একটি হলো বমি করা। হড়হড় করে বেশ খানিকটা
বমি হয়ে যাওয়ার পর হালকা বোধ করলাম।

কলপাড়ে অনুপ এসে দাঁড়িয়েছে। " তুই মেয়েদের মত এত দুর্বল হার্টের মানুষ
আগে জানতাম না। "
অনুপ টিউবয়েল চেপে দিলো। গতবছরে আমাদের হাই স্কুলে এই টিউবয়েলটি বসানো
হয়েছে। আমি হাত মুখ ধুয়ে নিলাম। স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ির পথ ধরলাম।
আমার বাড়ি থেকে স্কুল আড়াই মাইল দুরে। প্রতিদিন হেঁটেই যাই আসি। কিছু মনে
হয় না। আজ খুব কাহিল লাগছে। পা যেন তুলতে পারছি না। মাঝে মাঝে এরকম হয়।
বিরস ভঙ্গিতে পা ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি। রাস্তা শুনশান। কোন জনমানব নেই। কোন
গাছে বসে বউ কথা কও পাখি ডাকছে। এক চিলতে বাতাস বয়ে গেলো। আমাদের অনেকেই
সাইকেলে স্কুলে আসা যাওয়া করে।

এই পৃথিবীতে এসেছি খুব বেশিদিন না । তখন আমার বয়স তেরো। আমি অনেক কিছু
পারি। আবার অনেক কিছুই পারি না। এই না পারা কাজের একটি সাইকেল চালানো।
আমি সাইকেল চালাতে পারি না। কিছু দুর যাওয়ার পর দড়াম করে পড়ে যাই। সাইকেল
বেল বাজানোর শব্দে সাইডে সরে গেলাম। জোরে ছুটে আসা সাইকেল আমার পাশে।এসে
কড়া ব্রেক কষে থামলো। অনুপের মুখে ফিচকা হাসি। উঠে পড় তোরে বাড়িতে নামিয়ে
দিয়ে আসি। আমি পেছনের ক্যারিয়ারে উঠে বসলাম। মাটির পথ ধরে এদিয়ে চলল
দ্বিচক্রযান। রাস্তার দুপাশের গাছের সারিরা ডানা মেলেছে রাস্তার উপর।
অনুপ অনর্গল বকে চলেছে এটা ওটা। কেমন যেন ঝিমানি লাগছে। আমি ওকে জড়িয়ে
ধরে বসলাম। এটুকু শুনেছিলাম স্পষ্ট, "দোস্ত তুই না হইয়া কোন মাইয়্যা যদি
আমারে এইভাবে জড়ায়া ধইরতো সারকেলের পিছে বইয়া তাইলে জীবনটা ধইন্য হয়া
যাইতো।" অনুপের মাথায় সারাক্ষণ মেয়েদের চিন্তা। এজন্যই তো পরীক্ষায় ফেল
করতে করতে পাশ করে প্রতিবার। শেষের দিক থেকে ফার্স্ট হওয়ার রেকর্ড ওর মত
আর কারও নেই বলে মনে হয়।

লাইফ উইদাউট লাভ-৬
আমি রান্নাঘরে মুখ বাড়ালাম। ফুফু এবং মা রান্নায় ব্যস্ত। কাজেরমেয়েটা
পাটায় মসলা পিষে চলেছে একমনে। মা চুলার উপর কড়াই থেকে চামচে একটু ঝোল
নিয়ে ফুঁ দিয়ে চেখে দেখতে দেখতে ফুফু কে বলছেন , বু তুমি এই দুপুর বেলা
পায়েস রানতে বইছো। ওরা পায়েস খাবে কখন আর ভাত ই বা খাবে কখন ! বেলা তো
গড়িয়ে গেছে।

- ভাত খাবার পরে খাবে। বড় খোকা খাজুরের রসের খির খাতি কত পছন্দ করে।
ঢাহার শহরে কি আর খাঁজুরের টাটকা রস পাওয়া যায়। ব্যান বেলা আমি পায়েস
রাইন্দে রাখতি চাইলাম। তা গফুর গাছি আইজকে রস পাড়তি আসতি দেরিং করবে তা
কিডা জানতো।

আমার দিকে তাকায়া বললো , দুপুর বেলা এত পড়াশোনা কের জন্যি। অত পড়লি
মাথা খারাপ হুয়ে যাবেনে। যায়ে দেখদিন টিকটিকিটার ঘুম ভাঙ্গিছে নেই। আর
কত ঘুমুবে। সারা রাইত তো লঞ্চে ঘুমুতে ঘুমুতে আইছে। সাথে কুটুম নিয়ে
আইছে। পইর ঘাটে নিয়ে গিয়ে ঘা ধুয়ায়ে আন।

আম্মা বললেন, আমার ঘরে টেবিলের উপর নতুন সাবান আর গামছা আছে। নিয়ে যা।

আমি ভাইয়ার ঘরের দিকে পা বাড়াতে যাচ্ছি এই সময় ফুফু ডেকে বসিয়ে এক
প্লেট রসের পায়েস খেতে দিলেন। আমাদের ফুফু, আব্বার থেকে কয়েক বছরের
ছোট। অধিকাংশ সময় গম্ভীর হয়ে থাকেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে থাকেন দিনের পর
দিন। কারো সাথে কথা বলেন না। খাওয়া দাওয়া করেন না। এগুলো এখন আমাদের
কাছে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। গ্রামের লোক বলে ফুফুরমাথায় ছিট আছে। আবার
একেক দিন ফুফুর মন খুব ভালো থাকে। আমাদের সাথে দুনিয়ার গল্প জুড়ে বসেন।
ফুফুর দুনিয়া অবশ্য অনেক ছোট। পশ্চিমে বাইনবাড়ির মাঠ.উত্তরে হিন্দু
পাড়া , দক্ষিনে বড় গাঙের পাড় দিয়ে এঁকে বেঁকে চলা ওয়াপদা রোড আর
পূর্বে শালিক খালির খাল। শালিক খালি এখন শীর্ণকায় এক খাল। দাদীজানের
কাছে শুনেছি এই খাল এক সময় নদী ছিলো। মূল গাঙের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলো।
একেক সময় খালে কুমির কামট চলে আসত। শালিক খালীর পাড়ে ঘাস খেতে যাওয়া
গরু বাছুর টেনে নিয়ে যেত। একবার দাদীর রাঙা গাইয়ের বাছুরটা কুমিরে টেনে
নিয়ে যায়।

ফুফুর বিয়ে হয়েছিলো আমার জন্মেরও আগে। ফুফু তখন এক দুরন্ত কিশোরী।
দস্যি মেয়ে বলে সারা গ্রামে অখ্যাতি ছিলো। তরতর করে গাছে উঠে সে
ছেলেদেরকে হার মানিয়ে দিত। এই নিয়ে দাদি তাকে সারাক্ষণ বকাঝকা করতেন।
এমন কোন সন্ধ্যা পার হত না যেদিন সে দাদির হাতে চুলটানা কি লাঠির বাড়ি
খেত না। রাতে চোখের জলে বালিশ ভিজিয়ে ফেলতেন। আবার সকালে উঠে সব ভুলে
যেতেন।

ফুফুর বিয়ে হয় তিনগ্রাম দুরে মাওলানা বাড়ি। ফুফাও মাওলানা ছিলেন।
কিন্তু কোন কারণে তাদের দুজনার মধ্যে বনিবনা হত না। ফুফু কিছুতেই শ্বশুর
বাড়ি যেতে চাইতো না। অনেক জোরাজুরি করে মারধর করেও পাঠানো যেত না। তাবিজ
কবজ পানিপড়া কিছুই বাদ গেলো না। কাজের কাজ কিছু হলো না। শ্বশুর বাড়িতে
তাকে অনাদর করা হত বলে শুনিনি। একবার জোর করে তাকে শ্বশুর বাড়ি পাঠানো
হলো। সেই রাতেই ফুফু ফসলে দেয়ার " এন্ডিন " খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা
করে। খবর পেয়ে আব্বারা কয় ভাই ছুটে যায় ফুফুর বাড়ি। হাসপাতাল আছে সেই
থানা সদরে। নৌকায় করে নিতে হবে। নৌকা এক খান নিয়ে সবাই মিলে অমানুষিক
ভাবে বৈঠা বাইতে শুরু করলো। হাতের তালুতে পানি ঠোলা উঠে গেলো। নৌকার
গলুইতে বসে ফুফা চোখের পানি ফেলতে লাগলেন নিরবে। তিনিও জানেন না বউ ঘর
করতে চায় না কেন।

এদিকে বাড়িতে দাদিজানকে ধরে রাখা যায় না। এক মাত্র মেয়ে। তিনি উঠানে
ডাঙ্গায় তোলা মাছের মত তড়পাতে লাগলেন। কেউ তাকে শান্ত করতে পারছে না।
ফুফুকে দিন তিনেক বাদে ফিরিয়ে আনা হলো বাড়িতে। এবার কিন্তু কেউ তার চুল
ধরে টানলো না। লাঠির বাড়িতে দাগ বসালো না পিঠের চামড়ায়। দাদি মেয়েকে
বুকে জড়িয়ে বসে থাকতেন সারাদিন। ফুফুও শিশুর মত মাকে আঁকড়ে ধরে বসে
রইলো। ফুফুর মুখে চঞ্চল হাসি মুছে গেলো। আষাড়ের মেঘলা দিনের মত গম্ভীর
হয়ে গেলেন। একটু একটু করে তার মাথায় সমস্যা দেখা দিতে লাগলো। অনেক
কষ্টে তাকে ঘর থেকে বাইরে আনা গেলেও বাড়ির সীমানার বাইরে নেয়া যেত না।
ফুফুর এক সখি ছিলো। তার নাম সুখি বিবি। সুখি এসে ফুফুকে খবর দিত কোন বনে
বইচি পেঁকেছে, কাদের জাম্বুরা গাছ থেকে জাম্বুরা চুরি করা যায় এইসব।
দাদিই এসব সুখিকে দিয়ে বলাতো। ফুফু শুনে উদাস চোখ মেলে তাকাতো বাড়ির
উঠানে।

লাইফ উইদাউট লাভ - ৭

ভাইয়ার ঘরে উকি দিলাম। ভাইয়া পড়াশুনা করতে বাইরে যাওয়ার পর থেকে
রুমটা তালাবদ্ধ থাকে। মেহমান এলে তাদেরকে এই রুমে থাকতে দেয়া হয়। গত
কাল মা মর্জিনাকে সাথে নিয়ে ঘর খানাকে সাফ সুতরো করে রেখেছে। ফুফু তখন
গম্ভীর হয়েই ছিলো। রাতে অবশ্য মা কে ডেকে জিজ্ঞেস করলো, কে আসবে বড়
ভাবী? ভাইয়া আসার খবর শুনে তার মন ভালো হলো। সেই থেকে খেঁজুরের রসের
পায়েস রাঁধার প্লান করছে। পারলে তো তখনি পায়েস রাঁধতে পারে। মিয়া
ভাইকে ফুফু অনেক ভালোবাসে। নি:সন্তান এই রমনী তার অপত্য স্নেহের ক্ষুধা
মেটায় মিয়া ভাইয়ের উপর । আর কেউ খেলো না খেলো সেদিকে সে।ভ্রুক্ষেপও
করে না। কিন্তুমিয়া ভাইয়ের দিকে সর্বক্ষণ নজর থাকে।

সকালে ভাইয়াকে আনার সময় তার বন্ধুটি বেশী কথা বলে নাই। গলায় ঠান্ডা
বসে গেছে। ঘড়ঘড়ে গলায় জিজ্ঞেস করলো কেমন আছো। আমার হাত ধরে হ্যান্ডশেক
করলো। গ্রামদেশে খুব একটা হ্যান্ডশেক করা হয় না। আমার একটু সংকোচ
লাগছিলো। সারাপথ ধরে মিয়া ভাই কথা গেলো। পুরো গ্রামের খবর তার জানা চাই।
ভাইয়ার বন্ধুটি মাঝে মাঝে আমাদের দিকে তাকাচ্ছিলো। মাফলার দিয়ে পুরো
মুখ এমনভাবে বেঁধে রেখেছে যে শুধু চোখ দুটো দেখা যাচ্ছে। আচ্ছা তার চোখ
কি কাজল টানা দেখতে নাকি শহরের আল্ট্রা মডার্ন ছেলেরা জেনানাদের মত চোখে
কাজল মাখে !

বাসায় এসে ভাইয়া গরম পানি করে দিতে বললেন। রহিম গরম পানি নিয়ে গেলে,
ভাইয়া তার বন্ধুটিকে বললো , " নে দীপ্ত , গরম পানি দিয়ে গার্গল করে
ফেল। আরাম লাগবে। " ভাইয়ার বন্ধুটির নাম তাহলে দীপ্ত । হিন্দু নাকি !
দ্বীপ নাম তো হিন্দুদের হয়। আমার এক ক্লাস আগে পড়ে দ্বীপ শংকর
মুখোপাদ্ধ্যায় । আমার মাথায় তখন ঘুরছে নতুন একটা শব্দ শেখার আনন্দ।
গার্গল মানে যে গড়গড় করে কুলি করা এটা জানতাম না।

ফুফু যে গতরাতে এত পায়েস রাম্নার পরিকল্পনা করলো সকাল থেকে তার কোন খোঁজ
নেই। দরজাই খোলেনি।মা গরম ভাতের উপর ঘি ছিটিয়ে আমাদের খেতে দিলেন।
আমাদের গোয়ালে তিনটা দুধেল গাই আছে। ঘি আমাদের বাড়িতে তৈরী হয়। গরম
ভাতের সাথে ঘি খেতে আমার দারুন লাগে। মা বলে আমি খেতে ভালো বাসি। ফুফু
বলে পেটুক কোথাকার্। ভাইয়ার বন্ধুটি বিশেষ খেলো না। গলায় ব্যাথার জন্য
খেলো না নাকি গ্রামের রান্না বলে খেতে পারছে না আমি ধরতে পারলাম না।






বিঃদ্রঃ লেখাটি এখনো শেষ করি নাই। আশা করি আপনাদের কাছ থেকে খুব দ্রুত উত্তর পাবো।

ইতি,
সমধিকারী




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___