Banner Advertiser

Tuesday, March 25, 2014

[mukto-mona] হুমায়ুন আজাদের বক্তব্যর জবাব



হুমায়ুন আজাদের বক্তব্য-
"বিশ্বাস কাকে বলে? আমরা কি বলি আমি পিঁপড়েয় বিশ্বাস করি, সাপে বিশ্বাস করি, জলে বিশ্বাস করি, বা বজ্রপাতে, বা পদ্মানদীতে বিশ্বাস করি? এসব, এবং এমন বহু ব্যাপারে বিশ্বাসের কথা ওঠে না, কেননা এগুলো বাস্তব সত্য বা প্রমাণিত। যা সত্য, যা প্রমাণিত, যা সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই, তাতে বিশ্বাস করতে হয় না; কেউ আমরা বলি না যে আমি বিদ্যুতে বিশ্বাস করি, বা রোদে বিশ্বাস করি, বা গাড়িতে বিশ্বাস করি, কেননা সত্য বা প্রমাণিত ব্যাপারে বিশ্বাস করতে হয় না, বিশ্বাস করতে হয় অসত্য, অপ্রমাণিত, সন্দেহজনক বিষয়ে। অসত্য, অপ্রমাণিত, কল্পিত ব্যাপারে আস্থা পোষণই হচ্ছে বিশ্বাস।"    -আমার অবিশ্বাস, অধ্যায় ঃ বিশ্বাসের জগৎ, হুমায়ুন আজাদ।


আব্দুল্লাহ্'র জবাব-
আসলে গোটা আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী জায়গাটা হচ্ছে একটি অন্ধকার, রহস্যে ঘেরা, আমরা একটি অন্ধকারের কুণ্ডলীর মধ্যে আছি। আর মানুষের স্বভাব হচ্ছে "অদৃশ্যে জ্ঞান" না থাকা, অর্থাৎ যাকে বলে আরবীতে "আলিমুল গইব" সম্পর্কে জ্ঞান না থাকা। হুমায়ুন আজাদ বলেছেন যে, "বিশ্বাস করতে হয় অসত্য, অপ্রমাণিত, সন্দেহজনক বিষয়ে"। আমি তাঁর কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি। কারণ-

(ক)    তিনি মানুষের স্বাভাবিক স্বভাব 'অদৃশ্যের জ্ঞানের' ব্যাপারে কৃত্রিম ব্যাখ্যা করেছেন।

(খ)     আমি মনে করি বিশ্বাস করতে হয় 'অদেখা' বিষয়ের উপর। আর 'অদেখা'র কারণেই মূলতঃ সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই ঢালাওভাবে 'সন্দেহ' শব্দের তাক 'বিশ্বাস' শব্দের উপর লাগানো ঠিক নয়। আপনি বড়জোর বলতে পারেন, যেহেতু আমি দেখিনি তাই আমার সন্দেহ হচ্ছে, বিষয়টা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে, যাচাই-বাছাইয়ের ব্যাপার আছে।

যেমন- আমি বলতে পারি 'যাকে বাবা বলে বিশ্বাস করি তিনি কি সত্যি আমার বাবা? কেননা, আমি কিন্তু দেখিনি আমার মায়ের সাথে কে সহবাস করেছিল? তাই আমার সন্দেহ তৈরি হয়েছে, যাকে আমি বাবা বলে বিশ্বাস করি তিনি কি আমার মায়ের সাথে সহবাসকারী সেই ব্যক্তি? এই কারণে ডি.এন.এ. টেস্ট করে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। তাই বুঝাই যায়, 'সন্দেহ' শব্দটার সাথে 'অদেখা'র সাথে সম্পর্ক, 'বিশ্বাস' শব্দের সাথে নয়। মূলতঃ সন্দেহ শব্দটার সাথে 'সম্ভাবনা' শব্দটার সাথে সম্পর্ক হতে পারে। অর্থাৎ হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে।

যদি কোন কিছু দৃশ্যমান না থাকে অর্থাৎ অদৃশ্য থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই অসত্য, অপ্রমাণিত বিষয় বলার অর্থ হল ইচ্ছাকৃতভাবে সত্যকে অস্বীকার করা! 'অদেখার' সাথে 'সন্দেহের' সম্পর্ক থাকতে পারে, বিশ্বাসের নয়, বিশ্বাসের সম্পর্ক হল নিশ্চয়তা ও প্রশান্তির সাথে।

কোন কিছু দৃষ্টির অগোচরে থাকার মানে এই নয় যে তা নেই। আর আমার ধারণা হুমায়ুন আজাদ বেঁচে থাকলে এ ব্যাপারে আমার সাথে একমত হতেন। কেমন করে? হুমায়ুন আজাদ যাকে সারা জীবন বাবা বলে জেনেছেন উল্লেখিত পংক্তিগুলো লেখার আগে তিনি কি তার বাবার ডি.এন.এ. টেস্ট করে নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, ঐ ব্যক্তিটিই তার আসল বাবা? তিনি কিন্তু দেখেননি যে তার মায়ের সাথে কে সহবাস করেছিল অর্থাৎ তিনি যাকে বাবা বলে জেনেছেন তিনি কি'না? আমি একথা বলার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কিন্তু কথা বুঝার জন্য এবং তিনি যা লিখেছেন তার জবাব দেয়ার প্রয়োজনবোধে লিখেছি, দয়া করে কেউ কষ্ট পাবেন না। তাহলে কি আমরা বুঝে নিতে পারি যে, হুমায়ুন আজাদ এতদিন যাকে বাবা বলে জেনেছেন তিনি আসলে তার বাবা নন? তিনি যদি বলেন যে, এতদিন যাকে বাবা বলে জেনেছেন তিনি আসলে তার বাবা নন, তাহলেতো বুঝা গেল তিনি একজন মিথ্যুক এবং প্রশ্ন থেকে যায় তাহলে হুমায়ুন আজাদের বাবা কে? বুঝা যাচ্ছে যে, হুমায়ুন আজাদ নিজেও বিশ্বাস করেন যে, দৃষ্টির অগোচরে কোন কিছু থাকার মানে এই নয় যে, তা নেই।

আর কুরআনে আল্লাহ্ মানুষের কাছে দাবি করেছেন যে, মানুষ যেন অদৃশ্যের উপরে বিশ্বাস স্থাপন করে কোন অসত্য, অপ্রমাণিত, সন্দেহজনক বিষয়ের উপরে নয়। এ সম্পর্কিত আয়াতটি লক্ষ্য করুন,

"যারা অদৃশ্যে (বিল-গইবি) বিশ্বাস স্থাপন করে এবং স্বলাত প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে জীবিকা দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে"।   -সূরাহ্ বাক্বরহ্ (২), ৩।

হুমায়ুন আজদের বক্তব্য-
'বিশ্বাস কর' ক্রিয়াটি নিশ্চয়তা বোঝায় না, বোঝায় সন্দেহ; আর এ-ক্রিয়ার সাথে অকর্তাপদে দু-রকম বিভক্তি হয়, এবং বাক্যের অর্থ বিস্ময়করভাবে বদলে যায়। আমি বলতে পারি 'আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, কিন্তু ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি না'। এ-বাক্যে প্রথম ইশ্বর অধিকরণ কারক, এতে বসেছে 'এ' বিভক্তি; আর দ্বিতীয় ইশ্বর কর্মকারক, এতে বসেছে 'কে' বিভক্তি; এবং বাক্যটি বোঝাচ্ছে ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করলেও আমি তার ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করি। -আমার অবিশ্বাস, অধ্যায় ঃ বিশ্বাসের জগৎ, হুমায়ুন আজাদ

আব্দুল্লাহ্'র জবাব-
'বিশ্বাস কর' ক্রিয়াটি সন্দেহ বোঝায় না, বোঝায় নিশ্চয়তা; আর এ-ক্রিয়ার সাথে অকর্তাপদে দু-রকম বিভক্তি হয়, এবং হুমায়ুন আজাদের ব্যাখ্যা ও বাক্যের অর্থ বিস্ময়করভাবে বদলে যায়। আমি বলতে পারি 'আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না, কিন্তু ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি'। এ-বাক্যে প্রথম ইশ্বর অধিকরণ কারক, এতে বসেছে 'এ' বিভক্তি; আর দ্বিতীয় ইশ্বর কর্মকারক, এতে বসেছে 'কে' বিভক্তি; এবং বাক্যটি বোঝাচ্ছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব দেখা না গেলেও আমি তাঁর ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে আস্থা পোষণ করি।

'বিশ্বাস কর' ক্রিয়াটির ব্যাকরণগত যে ব্যাখ্যা হুমায়ুন আজাদ দিয়েছেন তা যদি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করি তাহলে তিনি হয়ে যাবেন জারজ সন্তান। যেমন- তিনি লিখেছেন 'আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, কিন্তু ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি না'। এখন এ বাক্যটি যদি আমি এভাবে বলি যে, 'আমি বাবায় বিশ্বাস করি, কিন্তু বাবাকে বিশ্বাস করি না।' এ-বাক্যে প্রথম বাবা অধিকরণ কারক, এতে বসেছে 'য়' বিভক্তি; আর দ্বিতীয় বাবা কর্মকারক, এতে বসেছে 'কে' বিভক্তি; এবং বাক্যটি বোঝাচ্ছে বাবার অস্তিত্বে বিশ্বাস করলেও, আমি তাঁর ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করি। এ জন্যই হয়তো তিনি তার কবিতায় লিখেছেন,

"আমাদের মার কোনো ব্যক্তিগত জীবন ছিলো কিনা আমরা জানি না
আমাদের মাকে আমি কখনো বাবার বাহুতে দেখি নি
আমি জানি না মাকে জড়িয়ে ধরে বাবা কখনো চুমু খেয়েছেন কি না
চুমু খেলে মার ঠোঁট ওরকম শুকনো থাকতো না।"      -আমাদের মা

হুমায়ুন আজাদ আরো লিখেছেন,
"গর্ভবতী নারী দেখতে অনেকটা পশুরই মতো"  -নারী নেত্রীদের সহযোগী যোদ্ধা
"চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে। কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমার হাত-পা বাঁধা"  -নারী নেত্রীদের সহযোগী যোদ্ধা
"বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মত চাবাতে ইচ্ছে করে"  -নারী নেত্রীদের সহযোগী যোদ্ধা


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___