Banner Advertiser

Wednesday, March 12, 2014

[mukto-mona] যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পশ্চিমাদের মতামতকে পাত্তা দেওয়া উচিত হবে না, ওরা তালেবান তৈরি করে [সাক্ষাৎকার : ফিলিপ আলফোঁসি]



সাক্ষাৎকার : ফিলিপ আলফোঁসি
ক্ষতিগ্রস্ত জাতি এ বিচারে সান্ত্বনা পেতে পারে
আরিফুজ্জামান তুহিন ও নূরে আলম দুর্জয়
শেয়ার - মন্তব্য (0) - প্রিন্ট
যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পশ্চিমাদের মতামতকে পাত্তা দেওয়া উচিত হবে না, ওরা তালেবান তৈরি করে
অ-অ+
ফরাসি সাংবাদিক ফিলিপ মার্ক এদুয়ার্দ আলফোঁসি বলেছেন, ১৯৭১ সালে গণহত্যা, 'যুদ্ধাপরাধ', ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অপরাধের বিচার করার অধিকার বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে। তখনকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোসহ পুরো জাতি এ বিচার থেকে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেতে পারে।
ফিলিপ আলফোঁসি আরো বলেন, 'বাংলাদেশের মতো দেশগুলো সম্পর্কে পশ্চিমা কিছু এনজিও ও মানবাধিকার সংগঠন মতামত প্রকাশ করছে। কিন্তু ওদের মতামত এখানে এত প্রাধান্য পায় কেন?' তিনি বলেন, পশ্চিমারা বলছে, বাংলাদেশে যে ট্রাইব্যুনাল হয়েছে, তার পেছনে সরকার রয়েছে। আর এ বিচার হচ্ছে রাজনৈতিক লক্ষ্য থেকে। অথচ পশ্চিমারা ভুলে যায় সারা পৃথিবীতে তাদের ভূমিকা কী।
ওরা তালেবান তৈরি করে। কালের কণ্ঠের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৭১ সালে তরুণ সাংবাদিক ফিলিপ আলফোঁসি কাজ করছিলেন ফ্রান্সের একমাত্র টিভি চ্যানেলে। ওই সময় বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য আলফোঁসিকে বেছে নেওয়ার কারণ ছিল তাঁর পূর্ব-অভিজ্ঞতা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে একবার তিনি এ দেশে এসেছিলেন। বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তিনি দেশের পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা ঘুরে সরেজমিন প্রতিবেদন করেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর পাসপোর্টে অনুমিতসূচক সিলমোহর দিয়েছিলেন। আলু কেটে তৈরি করা হয়েছিল সিলমোহর। সম্প্রতি সেই পাসপোর্টটি ফিলিপ আলফোঁসি জমা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। যুদ্ধকালীন ধারণ করা প্রায় দুই ঘণ্টার সেই ভিডিও ফুটেজগুলো এত দিন অগোচরেই ছিল ফ্রান্সের জাতীয় মহাফেজখানায়। বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলের প্রকাশ রায় তা খুঁজে পান। ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারের সভাপতি কাজী এনায়েত উল্লাহ্র সহযোগিতায় দুর্লভ ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা হয়। নিজের অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে কালের কণ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন আলফোঁসি। ইংরেজি জানলেও ফরাসি ভাষা ছাড়া তিনি কথা বলেন না। এ সাক্ষাৎকারে দোভাষীর কাজ করেছেন কাজী এনায়েত উল্লাহ্।
কালের কণ্ঠ : বাংলাদেশে যুদ্ধকালীন অপরাধের বিচারকে পশ্চিমারা কিভাবে দেখছে?
ফিলিপ আলফোঁসি : বাংলাদেশের মতো দেশগুলো সম্পর্কে পশ্চিমা কিছু এনজিও ও মানবাধিকার সংগঠন মতামত প্রকাশ করছে। কিন্তু ওদের মতামতগুলো এখানে এত প্রাধান্য পায় কেন? ওই সব গোষ্ঠী মনে করে, বাংলাদেশে 'যুদ্ধাপরাধের' যে বিচার চলছে সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এখানে 'যুদ্ধাপরাধীদের' বিচারের যে ট্রাইব্যুনাল তৈরি করা হয়েছে সেখানে মানবাধিকার রক্ষার স্বীকৃত বিষয়গুলো নেই। ওরা বলছে, বাংলাদেশে যে ট্রাইব্যুনাল হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত নয়। এটা দেশীয় একটা আদালত, যার পেছনে সরকার রয়েছে। আর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে ৪২ বছর পর এসে 'যুদ্ধাপরাধের' বিচার করছে সরকার। কিন্তু আমি তা মনে করি না। আমি পশ্চিমাদের এসব নীতির বিরুদ্ধে।
কালের কণ্ঠ : ১৯৭১ সালে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, যুদ্ধাপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে। অপরাধের স্থান বাংলাদেশ। অভিযুক্ত যেসব অপরাধীর এখন বিচার চলছে তাঁরা বাংলাদেশি। এ-সংক্রান্ত আইনও রয়েছে। দেশে বিচার করার মতো বিচারক আছেন, রয়েছে অবকাঠামোও, তাহলে কেন বিচার করা যাবে না?
ফিলিপ আলফোঁসি : প্রথমত বলি, এ বিচারের অধিকার বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে। আর ১৯৭১ সালে বাঙালির ওপর যে অপরাধ হয়েছিল, তাতে তখনকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোসহ পুরো জাতি এ বিচার থেকে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেতে পারে। কিন্তু পশ্চিমা মানবাধিকার সংগঠন ও এনজিওগুলো বলছে ভিন্নকথা। তারা বলছে, যুদ্ধাপরাদের বিচার করতে গিয়ে সরকার নিজেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এসব সংগঠন বলছে, সঠিক বিচার হচ্ছে না। বিচার করা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে। অথচ আমরা মানে পশ্চিমারা কিন্তু ভুলে যাই সারা পৃথিবীতে আমাদের ভূমিকা কী। ইউরোপেরই অনেক দেশে, এমনকি লিবিয়ায় গাদ্দাফিকে হত্যা করার পেছনে তারা সরাসরি যুক্ত ছিল। ইরাকে সাদ্দাম হোসেনকেও তারা হত্যা করেছে। সিরিয়াসহ অন্যান্য দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নামে সেখানে তারা প্রবেশ করছে, বিভিন্ন স্বার্থ পূরণ করে সেখানকার সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে। এসব দেশে স্বৈরাচার উচ্ছেদের নামে, 'পশ্চিমা গণতন্ত্র' রপ্তানির নামে নতুন যেসব শাসক বসানো হয়েছে তারা চরমভাবে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত। তারা আগের শাসকগুলোর চেয়েও নিকৃষ্ট। এর নামই কি কথিত উন্নত পশ্চিমা গণতন্ত্রের ভালো চয়েস? পশ্চিমারা মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে যেভাবে সরকার উৎখাত করে তাদের আরো নিকটবর্তী মানুষকে বসিয়েছে, বাংলাদেশেও তারা তা-ই করতে চায়।
কালের কণ্ঠ : আপনি কি বলতে চাচ্ছেন পশ্চিমারা জঙ্গিবাদের বিরোধিতা করে, আবার তারাই জঙ্গিবাদকে লালন করে? অর্থাৎ সারা পৃথিবীতে নয়া উপনিবেশবাদ স্থাপনে কথিত ইসলামী জঙ্গিবাদ একটি ঢাল?
ফিলিপ আলফোঁসি : আমি সেটাই বলতে চাচ্ছি। ওরা তালেবান তৈরি করে। তাদের অর্থ ও অস্ত্র-প্রশিক্ষণ দেয়, আবার তালেবান উচ্ছেদের নামে তারাই দেশ দখল করে। বাংলাদেশেও তা-ই হচ্ছে।  প্রথমত, সারা দুনিয়ার মিডিয়ায় বাংলাদেশে ধর্মীয় নেতারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে বড় ধরনের উদ্দেশ্য আছে। এসব প্রচার করে তারা মূলত 'যুদ্ধাপরাধের' বিচারপ্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে চায়। অথচ এসব যুদ্ধাপরাধী অতীতে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশে 'যুদ্ধাপরাধের' বিচার এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতির অংশ হয়ে উঠেছে। অতীতেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আন্তর্জাতিক রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। একাত্তরে যুদ্ধের সময় বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বনাম সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্য একটা শীতলযুদ্ধ চলছিল। সেই শীতলযুদ্ধে ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও ছিল। এ যুদ্ধকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। তখন দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষের মিত্র ছিল পাকিস্তান। আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল ভারতের দিকে।
কালের কণ্ঠ : বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়া পক্ষপাতিত্ব করছে। যেমন ধরুন, সংবাদ শিরোনামেই বলা হচ্ছে 'টপ ইসলামিস্ট লিডার হ্যাঙড'। এখানে অপরাধীর প্রথম পরিচয় হতে পারে না তিনি ইসলামী নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। অথচ ওই সব মিডিয়া তা আড়াল করে 'ইসলামিস্ট লিডার' হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। এটা কেন?
ফিলিপ আলফোঁসি : হ্যাঁ, আমিও লক্ষ করেছি, তারা 'যুদ্ধাপরাধী' বলছে না। তারা বলছে, শীর্ষ ইসলামী নেতা। আল-জাজিরা, সিএনএন প্রভৃতি মিডিয়া এটা করছে। একাত্তরে পাকিস্তানিরা যে ভয়ানক নিপীড়ন চালিয়েছিল সে বিষয়ে এবং কখন কিভাবে যুক্ত ছিল সেটার কোনো অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন আমরা দেখি না। এর কারণ হচ্ছে ক্ষমতাবান কিছু সংগঠন ও কিছু দেশের সরকারের একচ্ছত্র আধিপত্য। তারা যে সুরে কথা বলবে, মিডিয়াও সেটাই উগরে দেবে। ধর্মকে হাইলাইট করার আরেকটা কারণও থাকতে পারে। সেটা হচ্ছে 'ইসলাম' বিষয়টাই ওই সব পশ্চিমা সংগঠন ও কিছু সরকারের রাজনৈতিক হাতিয়ার। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পশ্চিমাদের যে ভুল ধারণা ছিল, এখনো অনেক পশ্চিমার মধ্যে সেই ধারণাই আছে। একাত্তরেও কিন্তু পাকিস্তানপন্থীরা ধর্মকে সামনে নিয়ে এসেছিল এবং ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিল। 
এখন তারা বলছে, এত বছর পর কেন বিচার হচ্ছে, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে; যদিও আমি জানি, একাত্তরে যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা বর্বর অত্যাচার-নিপীড়ন, হত্যা-ধর্ষণ চালিয়েছিল। সুস্পষ্ট প্রমাণও আছে। তাই এ বিচার ন্যায়সংগত এবং এ বিচার এ দেশের জনগণের প্রাপ্য। এটা প্রহসন নয়। ওদের বিচার করা জনগণের সাধারণ দাবি। যুক্তরাষ্ট্রসহ ওই মানবাধিকারওয়ালাদের এই বিষয়টা বোঝা উচিত। আপনাদের উচিত পশ্চিমাদের এসব প্রচার-প্রপাগান্ডাকে পাত্তা না দেওয়া, তাদের কথায় কান না পাতাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত হবে।
কালের কণ্ঠ : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের খবর সংগ্রহ করার জন্য আপনাকেই কেন বেছে নিয়েছিল?
ফিলিপ আলফোঁসি : আমি তখন যে টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ করেছিলাম, সেখানে দুজন নামকরা সাংবাদিক পিয়েরে দেসগ্রপস ও পিয়েরে দুমায়েত এটা পরিচালনা করতেন। তাঁদের সব বিষয় নিয়ে ভিন্নধর্মী বিশ্লেষণের একটা আগ্রহ ছিল। একাত্তরের আগেও আমার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কাভার করার অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা ইউরোপে বসে একাত্তর সম্পর্কে যে ধারণা পেতাম, সেটা আসলে ঠিক কি না বা সত্যিকারের বিষয়টা কী সেটা জানার জন্য তাঁরা দুজন আমাকে এ দেশে পাঠিয়েছিলেন। আর আমাকে পাঠানোর কারণ আমি সত্তরের নির্বাচনের সময় পূর্ব পাকিস্তানে এসেছিলাম। আমি জানতাম পূর্ব পাকিস্তানে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। এটা আঁচ করেছিলাম সত্তরে এ দেশে এসে। এ অভিজ্ঞতার কারণেই আমাকে পাঠানো হয়।
কালের কণ্ঠ : যুদ্ধকালীন দেশের কোন কোন অঞ্চল গিয়েছেন?   
ফিলিপ আলফোঁসি : আমি যুদ্ধের প্রথম দিকে এসেছিলাম। চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, মেহেরপুর ও খুলনা অঞ্চলে গিয়েছিলাম। এর আগে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার আমাদের জানিয়েছিল, এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু আমি এসে অন্য রকম দেখি। আশ্চর্য হয়ে যাই। মানুষ 'জয় বাংলা' স্লোগানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছে। পাকিস্তানি শাসন থেকে মুক্তির অদম্য আকাক্সক্ষা দেখতে পাই। যেখানে গিয়েছি সেখানেই দেখেছি বাঙালি জাতি সংঘবদ্ধভাবে লড়াইয়ে। স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য দুর্দান্ত মনোবল দেখেছিলাম মানুষের মধ্যে। সম্পূর্ণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ছোট্ট ছোট্ট অস্ত্র নিয়ে বড় বড় অস্ত্রের মোকাবিলা করায় ওই দুর্দান্ত মনোবলই প্রকাশ পায়।
কালের কণ্ঠ : আপনার সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর আপনার দেশে তখন কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?
ফিলিপ আলফোঁসি : পাকিস্তানিরা অন্যায়-অত্যাচার করেছে, সেটা তখন মানুষ বুঝতে পেরেছে। পাকিস্তান সম্পর্কে আগে যে ধারণা ছিল, সেটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। পাকিস্তানের প্রপাগান্ডা ছিল ভুল। এ ছাড়া রিপোর্টের পরও সাহায্য-সহযোগিতা করতে তারা বাধ্য হয়েছিল।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে ধন্যবাদ।
ফিলিপ আলফোঁসি : আপনাদেরও ধন্যবাদ।

http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2014/03/12/61010

Logo

প্রকাশ :ঢাকা, বুধবার ১২ মার্চ ২০১৪, ২৮ ফাল্গুন ১৪২০, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৫


hy×vciv‡ai wePvi wb‡q cwðgv‡`i gZvgZ‡K cvËv †`Iqv DwPZ n‡e bv, Iiv Zv‡jevb ˆZwi K‡i : wdwjc Avj‡duvwm

 ¯'vbxq mgq : 0629  NÈv, 12 gvP© 2014




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___