Bhorer Kagoj, 30th April 2014:
Ibviv K‡ib ¶gZvq †h‡Z Avi Avgiv Kwi wecbœ GKwU Rb‡Mvôx‡K euvPv‡Z wkZvsï ¸n
http://www.bhorerkagoj5.net/new/blog/2014/04/30/173129.php
'ওনারা করেন ক্ষমতায় যেতে, আর আমরা করি বিপন্ন একটি জনগোষ্ঠিকে বাঁচাতে'
'বর্হিবিশ্বের বাংলাদেশী সংখ্যালঘুদের একটি প্রতিনিধিদল ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জীর সাথে দেখা করেছেন'- এমত সংবাদটি যতদুর জানি ঢাকার কোন দৈনিকে ছাপা হয়নি। কেন হয়নি তা জানিনা। তবে হওয়া উচিত ছিলো, কারণ এটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এবং জনগনের তা জানার অধিকার আছে। তবে কোলকাতার বাংলা স্টেটসম্যান লিখেছে, 'বাংলাদেশী সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আবেদন নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল সোমবার (২১শে এপ্রিল) দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সাথে দেখা করেছেন।' নিউইয়র্কের সাপ্তাহিক ঠিকানা লিখেছে, 'এ সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক চমত্কার, এবং সেটা কাজে লাগিয়ে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সমস্যা সমাধানে দাদার কাছে ছুটে যান।' নিউইয়র্কের আর এক সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা নিউজটি 'লীড' করেছে। ভারতের রাষ্ট্রপতির সরকারী ওয়েবপেইজে একটি ছবি দিয়ে বলা হয়েছে যে, 'যুক্ত্ররাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে শ্রী প্রণব মুখার্জীর সাথে সাক্ষাত করেন।' অথচ খবরটি ঢাকায় একবারে ব্ল্যাক-আউট।
ইন্টারনেট ও পত্রিকাগুলো আরো জানিয়েছে, ৮টি দেশের ১৬জন প্রতিনিধির সাথে এ বৈঠক ছিলো অত্যন্ত সৌহাদ্রপুর্ন এবং তা চলে প্রায় ৪০মিনিট। বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলটিকে চা, মিষ্টি, সিঙ্গারা, জুস দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়। প্রতিনিধিদল ভারতের রাষ্ট্রপতিকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন, যাতে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার খাতিরে একটি বিশেষ আইন ও পৃথক মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। সাপ্তাহিক ঠিকানা লিখেছে, 'প্রতিনিধিদলের সবাই প্রণব মুখার্জীকে অভিভাবক হিসাবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, এ সময়ে বাঙালিদের মধ্যে বিশ্বে তিনিই সর্বোচ্চ পদে আসীন ও সকলের শ্রদ্বাভাজন এবং একারণেই তারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে গেছেন।' প্রতিনিধিদলের সমন্বয়কারীর বরাত দিয়ে পত্রিকাটি আরো লিখেছে, 'আমরা দাদার হৃদ্যতাপূর্ণ সহায়তা চেয়েছি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও দাদার মধ্যে যে চমত্কার সম্পর্ক তা কাজে লাগাতে চাই বিরাট একটি জনগোষ্ঠির মানবিক ইস্যুতে।'
ঢাকায় খবরটি না ছাপা হলেও মানুষ জেনে গেছে। ইন্টারনেটের কল্যানে আজকাল কোনকিছুই গোপন রাখা যাবেনা। আর কিছু গোপন করতে চাইলে তা গুজবে পরিনত হয়। গুজবের হাত-পা নেই, তাই ওটা ভয়ানক। সংবাদের বার্তা সম্পাদক আব্দুল আওয়াল খান গুজব সম্পর্কে একটি গল্পে লিখেছিলেন যে: 'এক গ্রামে এক মহিলার একটি কালো বাচ্চা হয়; বাচ্চাটি দেখতে কাকের মত কালো। মুখে মুখে কথা ছড়াতে থাকে এবং কয়েক ঘন্টা বাদে দশ গ্রাম দুরে মানুষ মাথায় হাত দিয়ে বলাবলি করে যে 'অমুক গ্রামে এক মহিলা একটি কালো কাকের বাচ্চা জন্ম দিয়েছে।' বাংলাদেশের মিডিয়া এখন পুরোপুরি স্বাধীন, কোন সেন্সরশীপ নেই। তবে সেলফ সেন্সরশীপ-এ তো বাঁধা নেই!
প্রশ্ন উঠতে পারে, ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে কেন? উত্তর আগেই আছে। তবে আরো স্পস্ট করে বললে বলা যায়, দেশে যখন সমস্যার সমাধান নেই, তখন বিদেশের কাছে যাওয়া ছাড়া কি কোন রাস্তা থাকে? আর দাদার কাছে জননেত্রী-দেশনেত্রী-পল্লীবন্ধু বা গামছা নেতা কে যাননা? এই প্রতিনিধিদলে আমি ছিলাম। অন্য যারা ছিলো তারা কেউ জামাত-হেফাজত করেনা। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথেও দেখা করতে চেয়েছিলাম, সুযোগ পাইনি। ওয়াশিংটন-দিল্লী তোষামোদী সবাই করেন। পার্থক্য হলো, ওনারা করেন ক্ষমতায় যেতে, আর আমরা করি বিপন্ন একটি জনগোষ্ঠিকে বাঁচাতে।
__._,_.___