Banner Advertiser

Tuesday, May 6, 2014

[mukto-mona] Re: Please read



dada i agree with u. 
On Wednesday, May 7, 2014 8:00 AM, Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com> wrote:
 
'তসলিমাকে দেশের বাইরে রেখে আর যাই হোক নারীর অধিকার নিয়ে লম্বা লম্বা কথা না বলাই ভালো
আমেরিকায় আসার পর ১৯৯২-৯৩ সালে প্রথমবার দেশে গেলে এক সময়কার বাংলারবানীর সহকর্মী আফরোজা নাজনীন ও সুধীর কৈবর্তদাস, যাকে আমরা ঠাট্টা করে 'সুধীরভাই' বলতাম, আমায় লজ্জা উপন্যাসটি উপহার দেয়। পড়তে বেশী সময় নেইনি। এরপর নিউইয়র্কে এসে সাপ্তাহিক সংবাদে লিখেছিলাম, 'উপন্যাস হিসাবে লজ্জা কতোটা কালোত্তীর্ণ তা জানিনা, কিন্তু লজ্জা আমার কথা বলেছে। লজ্জার নায়ক যে কোন হিন্দু যুবকের প্রতিচ্ছবি বা এর কাহিনী যে কোন হিন্দু পরিবারের কথা। সাহসী লেখিকাকে তখনই মনে মনে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম।

লজ্জা দিয়েই তসলিমা নাসরিনের সাথে পরিচয়। এরআগে তার বিদ্রোহী কলাম পড়িনি তা নয়, তবে লজ্জা ঘনিষ্টতা বাড়ায়। নব্বইয়ে দেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত তসলিমার কথা কিছুটা শুনেছি; রুদ্রকে সামান্য চিনতাম, কারণ পত্রিকা পাড়ায় তার আড্ডা ছিলো। নব্বই দশকের মধ্যখানে তসলিমা তো বৈশাখী ঝড়। তারপর বাংলাদেশ থেকে বিদায়! তসলিমার সাথে দেখা হবার একটা ইচ্ছা সবসময়ই ছিলো। দাউদ হায়দারের সাথেও। তসলিমার সাথে দেখা হয়েছে কিন্তু দাউদ হায়দারের সাথে এখনো নয়। ২০১০-এ বার্লিন গেলে দাউদ হায়দারের সাথে দেখা হওয়ার একটা সুযোগ হয়েছিলো, কিন্তু হয়নি, তবে কথা হয়েছে। এবছর মুক্তধারার বইমেলায় দাউদ হায়দার নিউইয়র্ক আসবেন শুনছি, হয়তো দেখা হবে।

তসলিমার সাথে প্রথম দেখা কোলকাতায় ২০০৫-এ এক সেমিনারে। তসলিমা ২০০১-এর সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রেক্ষিতে 'পূর্নিমার' ওপর তার লেখা একটি কবিতা আবৃতি করেন। হলভর্তি হাজার দুই মানুষ মুহুর্মুহু করতালিতে সন্মেলনস্থল উচ্ছলে পড়ে। এরপরই গুজরাটের ওপর তিনি একটি কবিতা পড়েন, পুরো হাউজ চুপসে যায়। তসলিমা যেখানে দাড়িয়ে কবিতা পড়ছিলেন, তার ঠিক পিছনে বসে তখন ভাবছিলাম, 'এই হলো তসলিমা।' খুব বেশিক্ষণ ছিলেন না তিনি, পরিচয় হয়েছে, কথা হয়নি।

এরপর সম্ভবত: আবার দেখা ২০০৮-এ নিউইয়র্কে। আমরাই তাকে ডেকে আনি কথা বলার জন্যে। জ্যাকসন হাইটসের এক ভারতীয় রেস্তোরায় ২০/২২ জনের ডিনারে তিনি আসেন। কথা বলেন; খোলামেলা উত্তর দেন বিবিধ প্রশ্নের। পরের দিন ঢাকার ইত্তেফাকে একটি নিউজ ছাপা হয় যার বক্তব্য/হেডিং ছিলো, 'তসলিমা যখন ওপরে ভারতীয় রেস্তোরায় বক্তব্য রাখছিলেন, বাইরে তখন হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।' আমাদের অবাক হবারই কথা। কারণ, ডিনারের কথা কেউ জানতো না, প্রেসকে জানানো হয়নি। কোনো সাংবাদিক আসেওনি। শুধুমাত্র ইত্তেফাক প্রতিনিধি এসে হাজির। তসলিমাকে আমরা কথা দিয়েছিলাম, 'নো প্রেস।' সবাই বিব্রত। ইত্তেফাক প্রতিনিধিকে বলি, 'দোস্ত, কোনো প্রেস এলাউড নয়।' তিনি বলেন, 'আমি তোমার দোস্ত হিসাবে এসেছি।' যাহোক, তাকে বুঝিয়ে বিদায় করি; ফলশ্রুতি পরের দিনের ওই খবর! বেশ ক'দিন পর দোস্তের সাথে দেখা, জিজ্ঞাস করলাম, 'হালারভাই, তসলিমা-ভারতীয় রেস্তোরা-হিন্দু সবই বুঝলাম, কিন্তু হাজার হাজার লোকের বিক্ষোভ কোত্থেকে এলো?' ইত্তেফাক প্রতিনিধি উত্তর দেন, 'দোস্ত, সবই তো বুঝো।' বললাম, বুঝি, কিন্তু হাজার হাজার লোকের মাজেজাটা বুঝলামনা। দোস্ত তখন বুঝিয়ে বলে, 'তোমরা যখন ওপরে মিটিং করছিলা, ওই রেস্টুরেন্টের নিচে দিয়ে তখন যত মানুষ পার হচ্ছিলো তা হাজার তো হবেই।'

এবার আবার দেখা দিল্লিতে, ২১শে এপ্রিল ২০১৪। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড: মোহিত রায় জানতে চাইলো আমরা তসলিমার সাথে বসতে চাই কিনা? বললাম, চাই। তিনি জানালেন, আমরা ৮টি দেশের বাংলাদেশী সংখ্যালঘুরা দিল্লীতে এসেছি ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জীর সাথে দেখা করার জন্যে। তসলিমা রাজি এবং সন্ধ্যায় এসে হাজির আমাদের হোটেলে। আমাদের গিন্নিরা তো তসলিমার সাথে কথা বলতে উদগ্রীব ছিলো। কথা বলেছেনও মনের সুখে। কেউ বললেন, 'আমি আপনার লেখার ভক্ত।' সুইডেনের চিত্রা পাল তো দেখলাম, কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনি থেকে তুমি-তে চলে এলো। তসলিমা জানতে চাইলো, প্রনবদা কি বললেন? জানালাম, কথা বলবেন বলেছেন। তসলিমা বললেন, দাদার সাথে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা জানেন তো? বললাম, 'জানি বলেই তো আসা।' সবাই মিলে কথকতা, সাহিত্য থেকে ব্যক্তিগত, রাজনীতি সবই এলো। বাংলাদেশে গণতন্ত্র সম্পর্কে কথা এলে একজন বললেন, 'দেশে গণতন্ত্র থাকলে তো আপনি দেশে ফিরে যেতে পারতেন।'

তসলিমা চিন্তিত নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এলে তাকে তাড়াবে কিনা! তবে কোন ইক্যুয়েসনে বাইচান্স মমতা ক্ষমতায় এলে তাকে ভারত-ছাড়া করবে এতে তার কোন সন্দেহ নেই। মমতার মৌলবাদীদের তোষণ নিয়ে কথা উঠতে একজন বললেন, 'এ সময়ে দুই বাংলায় দুই সরকারই মৌলবাদীদের তোষণ করছে।' উল্লেখ্য যে, মমতার জামাত-প্রীতি বা আওয়ামী লীগের হেফাজতের সাথে মাখামাখিতে এ প্রসঙ্গ আসা অস্বাভাবিক নয়। কেন জানি মনে হয়, তসলিমা ও দাউদ হায়দারকে জোর করে বিদেশে পাঠানোর সরকারী সিদ্বান্ত্ ভুল ছিলো এবং এতে মৌলবাদীরা আস্কারা পেয়েছে। ঘরের ছেলে বা ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরতে পারছে না, এটা জাতির জন্যে লজ্জা। এ সময়ে দেশের প্রায় সবগুলো বড় বড় পদে মহিলারা আসীন; আর সামান্য এক নারী তসলিমা আজ দেশহারা, গৃহহারা যাযাবর, ঘুরে বেড়াচ্ছেন পৃথিবীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। তসলিমাকে কিসের এত ভয়? যারা তসলিমাকে আশ্রয় দিতে পারেন না তাদের মুখে আর যাই হোক, নারী অধিকারের লম্বা লম্বা কথা মানায় না।

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক।
নিউইয়র্ক, ২রা মে ২০১৪।





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___