আইনের বদলে সবই আওয়ামী ব্র্যান্ড
28 May, 2014
আবীর হাসান
থলে থেকে বিড়াল যখন বের হল তখন দেখা গেল, এসেই সাদা-কালো ছোপওয়ালা ভিজে বিড়ালটাই। ধান রং-এর বাদামীও নয় কিংবা ধূসরও নয়। লুকো-ছাপার আর কোনো অবকাশ নেই, সবই 'আওয়ামী ব্র্যান্ডেন্ড'। বেশি দূরের ঘটনা হাতড়ানোর দরকার নেই, গুলশানে যুবলীগ নেতা মিল্কি হত্যাকান্ড, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন আর সবশেষের ফুলগাজী হত্যাকাণ্ড এটাই প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ এভাবেই রাজনীতি করে। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা কিংবা দলের কিছু বিপথগামী সদস্যের হঠাৎ করে বসা ভুল অথবা বিএনপি থেকে প্ররোচনা দেয়ার জন্য নয়, এসব কোন অজুহাতই আর ধোপে টিকছে না। নূর হোসেন 'বিএনপির প্রডাক্ট' বলে যখন কোন মন্ত্রী চিৎকার করেন তখন লোকে হাসে। কেউ কেউ বলেও ওঠে যদি বিএনপির প্রডাক্টই হবে তাহলে শামীম ওসমানের সাথে তার এতো কথা কিসের? এছাড়া কোন কোন মন্ত্রী তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও যে নূর হোসেনের দহরম-মহরম ছিল তা তো এখন ওপেন সিক্রেট।
ফুলগাজীর একরাম হত্যার ঘটনাতেও দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি স্বার্থসিদ্ধি হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদেরই, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ক্যাডাররাই ঘটিয়েছে ওই হত্যাকান্ড। এটা বিচ্ছিন্ন ব্যাপার নয় - আওয়ামী রাজনীতির মূল বৈশিষ্ট্যই হয়ে উঠেছে খুন করে সরিয়ে দেয়া। ব্যবসায়ীক স্বার্থ-রাজনৈতিক স্বার্থ সবই হাসিল হয়ে যায় এক কাজে।
অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, এতো সমালোচনা, এতো ঘৃণাবর্ষণ সত্ত্বেও বার বার কেন এমন হচ্ছে? একটা ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও ঘটনা ঘটছে কেন?
খুব কষ্ট করে গবেষণা করার প্রয়োজন নেই এই প্রশ্নের উত্তর খোজার জন্য। দুটো বিষয়কে সামনে রেখে বিচার করুন দেখবেন সব কিছু খোলাস হয়ে গেছে। প্রথমত দেখতে হবে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মানসিকতা। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষের সমালোচনা রাজনীতিবিদরা করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই সমালোচনা যখন হিংসা থেকে উৎসারিত হয়,আর অভিব্যক্তি যখন হয় হিংস্র, তখন ওই মানসিকতা দলের সর্বস্তরেই ছড়িয়ে পড়ে। এটা তো বায়বীয় ব্যাপার নয় - দিনের পর দিন টেলিভিশনের কল্যাণে আমরা অনেক বক্তৃতা, অনেক ভাষণ শুনেছি - দেখেছি। স্মরণ করুন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারের ভাষণগুলোর কথা হিংসা, হিংস্রতা, অশ্রাব্যতা - কোনটার ঘাটতি ছিল! পরবর্তীকালে রোষও কমেনি কিংবা হিংসা ও হিংস্রতাও কমেনি। প্রতিদিন টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে যারা কথা বলেন - রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বক্তব্যের জবাব দেন, তারা স্ব-দন্ত বের করেই কথা বলেন আর শরিরী ভাষায় ফুটে উঠে হিংস্রতা। আগে আওয়ামী লীগে ছিলেন এখন নেই এমন ব্যক্তিরা ব্যক্তিত্বদের সমালোচনা যখন করেন, তখন অভিব্যক্তি হয়ে ওঠে মারমুখী। কদিন আগে ড.কামাল হোসেনের সমালোচনা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা যা বলেছেন তা স্মরণ করুন - দেখবেন গণতান্ত্রিক কোন সহনশীলতা তাদের ছিল না। কাজেই সহনশীলতাহীন মানসিকতা মারমুখী - মৃত্যু কামনার ব্যাপারগুলো যে এখন আওয়ামী রাজনীতির প্রধান বৈশিষ্টে পরিণত হয়েছে তা বলা যায় নির্দ্বিধায়
এবার দ্বিতীয় প্রসঙ্গ : আওয়ামী লীগ সরকার স্বাভাবিক আইন দিয়ে দেশ চালাচ্ছে না। এর সবচেয়ে বেশি প্রমাণ পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায়। প্রকারান্তরে এক্ষেত্রে আইন ও আইনের প্রয়োগকে স্থগিত করে রাখা হয়েছিল। কৈফিয়তটা হলো - 'তদন্তের স্বার্থে'। কিন্তু নতুন করে তদন্ত কী হলো? উল্টো নূর হোসেন - ইয়াছিন মিয়াদের পালাতে দেয়া হলো। র্যাবের তিন কর্মকর্তাকে ধরা হলো দীর্ঘদিন পর, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর। কিন্তু ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৫৪ ধারায়। ওই সময়ের রিমান্ডে কি আদৌ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল? পরে আদালতের নির্দেশে যখন সাত খুন মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হলো তার পর আবার রিমান্ডে নেয়ার কারণ তো এটাই যে আগে তাদের জামাই আদরে রাখা হয়েছিল। আইনের শাসন দিয়ে দেশ না চালানোর এর চেয়ে বড় প্রমাণ আর কী হতে পারে? তবে এর চেয়ে বড় কারণ আছে অপরাধগুলো ঘটার নেপথ্যে তাহলো হিংসা চরিতার্থ করতে খুন করার নিয়ম জারি রাখা এবং যারা খুন করে তাদেরকে সুযোগ দেয়া। নারায়ণগঞ্জ এবং ফেনী দু' জায়গাতেই অনেক হত্যাকান্ডের ব্যাপারেই এর আগে অপরাধীরা এ রকম সুযোগ পেয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। ত্বকী হত্যাকান্ডের মামলায় সন্দেহভাজন খুনীদের বেশির ভাগকেই ধরা হয়নি। ফেনীতে একরাম হত্যাকান্ডের আগে অনেক খুন, অপহরণ হয়েছে কিন্তু অপরাধীদের ধরা হয়নি। অনেক অপরাধীই সরকারের ওপর মহলে দেন-দরবার করে নয়, মামলা থেকে নাম কাটিয়ে নিয়েছে, নয়তো মামলাটাকেই হিম ঘরে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। আইনের শাসন চলে না বলেই ওই অঞ্চলগুলোতে এ ধরনের অপরাধ বেশি হয়। আর এখন তো কেবল ওই অঞ্চলগুলোর কথা বললেই হবে না - সারাদেশেই আইনের শাসন না চলার ভীতি কাজ করছে।
তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে কোন নিয়মের জোরে? এই জোরটা যে কী তা তো প্রমাণ হয়ে গেছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে। আসলে আওয়ামী লীগের নিজস্ব একটা নিয়মের ভিত্তিতেই চলছে সব কিছু। তৃতীয় দফা থেকে উপজেলা নির্বাচনের দিকে তাকালেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায়। আর কেবল নির্বাচনের ক্ষেত্রেই নিজস্ব আইন তা তো নয় - বিভিন্ন স্থানে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিপত্তি কমিয়ে রাখা, দলীয় ক্যাডারদের ভরণ-পোষন দেয়া, প্রচলিত আইনের আওতায় থেকে বাচিয়ে রাখা এসব কাজও করা হচ্ছে। আর এসব ক্ষেত্রে যে খুব বেশি লুকোছাপা করা হচ্ছে তা নয়। 'ক্ষমতায় আছি এই সুবিধাগুলো নেবো' এমন একটা মানসিকতা থেকেই চালানো হচ্ছে দেশ।
নারায়ণগঞ্জ এবং ফেনীর ঘটনাগুলো খুব বেশি বড় এবং ভয়াবহ বলেই এবং মিডিয়া টেম্পোটা ধরে রাখতে পেরেছে বলেই মামলাগুলো প্রচলিত আইনের আওতায় আসতে পেরেছে। তবে নারায়ণগঞ্জের ঘটনা ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল, উচ্চ আদালতের কারণে সেটা হয়নি। আর নারায়ণগঞ্জের ঘটনা ধামা-চাপা দেয়া যায়নি বলেই ফেনীর ঘটনার আসামীদের ধরা হয়েছে। তবে পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে অতি-উৎসাহী হওয়ার অবকাশ নেই। আওয়ামী লীগের নিজস্ব নিয়মের ছায়া অপরাধীদের ওপর থেকে সহসা সরবে এমন নিশ্চয়তাও নেই। আর দেশের সব অঞ্চলে এমনকি নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীতেও হেভিওয়েটরা তো ছায়ার নিচেই বসবাস করছেন আর সাধারণ মানুষ আছে উদোম আকামের নিচে।।
থলে থেকে বিড়াল যখন বের হল তখন দেখা গেল, এসেই সাদা-কালো ছোপওয়ালা ভিজে বিড়ালটাই। ধান রং-এর বাদামীও নয় কিংবা ধূসরও নয়। লুকো-ছাপার আর কোনো অবকাশ নেই, সবই 'আওয়ামী ব্র্যান্ডেন্ড'। বেশি দূরের ঘটনা হাতড়ানোর দরকার নেই, গুলশানে যুবলীগ নেতা মিল্কি হত্যাকান্ড, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন আর সবশেষের ফুলগাজী হত্যাকাণ্ড এটাই প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ এভাবেই রাজনীতি করে। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা কিংবা দলের কিছু বিপথগামী সদস্যের হঠাৎ করে বসা ভুল অথবা বিএনপি থেকে প্ররোচনা দেয়ার জন্য নয়, এসব কোন অজুহাতই আর ধোপে টিকছে না। নূর হোসেন 'বিএনপির প্রডাক্ট' বলে যখন কোন মন্ত্রী চিৎকার করেন তখন লোকে হাসে। কেউ কেউ বলেও ওঠে যদি বিএনপির প্রডাক্টই হবে তাহলে শামীম ওসমানের সাথে তার এতো কথা কিসের? এছাড়া কোন কোন মন্ত্রী তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও যে নূর হোসেনের দহরম-মহরম ছিল তা তো এখন ওপেন সিক্রেট।
ফুলগাজীর একরাম হত্যার ঘটনাতেও দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি স্বার্থসিদ্ধি হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদেরই, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ক্যাডাররাই ঘটিয়েছে ওই হত্যাকান্ড। এটা বিচ্ছিন্ন ব্যাপার নয় - আওয়ামী রাজনীতির মূল বৈশিষ্ট্যই হয়ে উঠেছে খুন করে সরিয়ে দেয়া। ব্যবসায়ীক স্বার্থ-রাজনৈতিক স্বার্থ সবই হাসিল হয়ে যায় এক কাজে।
অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, এতো সমালোচনা, এতো ঘৃণাবর্ষণ সত্ত্বেও বার বার কেন এমন হচ্ছে? একটা ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও ঘটনা ঘটছে কেন?
খুব কষ্ট করে গবেষণা করার প্রয়োজন নেই এই প্রশ্নের উত্তর খোজার জন্য। দুটো বিষয়কে সামনে রেখে বিচার করুন দেখবেন সব কিছু খোলাস হয়ে গেছে। প্রথমত দেখতে হবে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মানসিকতা। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষের সমালোচনা রাজনীতিবিদরা করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই সমালোচনা যখন হিংসা থেকে উৎসারিত হয়,আর অভিব্যক্তি যখন হয় হিংস্র, তখন ওই মানসিকতা দলের সর্বস্তরেই ছড়িয়ে পড়ে। এটা তো বায়বীয় ব্যাপার নয় - দিনের পর দিন টেলিভিশনের কল্যাণে আমরা অনেক বক্তৃতা, অনেক ভাষণ শুনেছি - দেখেছি। স্মরণ করুন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারের ভাষণগুলোর কথা হিংসা, হিংস্রতা, অশ্রাব্যতা - কোনটার ঘাটতি ছিল! পরবর্তীকালে রোষও কমেনি কিংবা হিংসা ও হিংস্রতাও কমেনি। প্রতিদিন টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে যারা কথা বলেন - রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বক্তব্যের জবাব দেন, তারা স্ব-দন্ত বের করেই কথা বলেন আর শরিরী ভাষায় ফুটে উঠে হিংস্রতা। আগে আওয়ামী লীগে ছিলেন এখন নেই এমন ব্যক্তিরা ব্যক্তিত্বদের সমালোচনা যখন করেন, তখন অভিব্যক্তি হয়ে ওঠে মারমুখী। কদিন আগে ড.কামাল হোসেনের সমালোচনা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা যা বলেছেন তা স্মরণ করুন - দেখবেন গণতান্ত্রিক কোন সহনশীলতা তাদের ছিল না। কাজেই সহনশীলতাহীন মানসিকতা মারমুখী - মৃত্যু কামনার ব্যাপারগুলো যে এখন আওয়ামী রাজনীতির প্রধান বৈশিষ্টে পরিণত হয়েছে তা বলা যায় নির্দ্বিধায়
এবার দ্বিতীয় প্রসঙ্গ : আওয়ামী লীগ সরকার স্বাভাবিক আইন দিয়ে দেশ চালাচ্ছে না। এর সবচেয়ে বেশি প্রমাণ পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায়। প্রকারান্তরে এক্ষেত্রে আইন ও আইনের প্রয়োগকে স্থগিত করে রাখা হয়েছিল। কৈফিয়তটা হলো - 'তদন্তের স্বার্থে'। কিন্তু নতুন করে তদন্ত কী হলো? উল্টো নূর হোসেন - ইয়াছিন মিয়াদের পালাতে দেয়া হলো। র্যাবের তিন কর্মকর্তাকে ধরা হলো দীর্ঘদিন পর, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর। কিন্তু ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৫৪ ধারায়। ওই সময়ের রিমান্ডে কি আদৌ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল? পরে আদালতের নির্দেশে যখন সাত খুন মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হলো তার পর আবার রিমান্ডে নেয়ার কারণ তো এটাই যে আগে তাদের জামাই আদরে রাখা হয়েছিল। আইনের শাসন দিয়ে দেশ না চালানোর এর চেয়ে বড় প্রমাণ আর কী হতে পারে? তবে এর চেয়ে বড় কারণ আছে অপরাধগুলো ঘটার নেপথ্যে তাহলো হিংসা চরিতার্থ করতে খুন করার নিয়ম জারি রাখা এবং যারা খুন করে তাদেরকে সুযোগ দেয়া। নারায়ণগঞ্জ এবং ফেনী দু' জায়গাতেই অনেক হত্যাকান্ডের ব্যাপারেই এর আগে অপরাধীরা এ রকম সুযোগ পেয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। ত্বকী হত্যাকান্ডের মামলায় সন্দেহভাজন খুনীদের বেশির ভাগকেই ধরা হয়নি। ফেনীতে একরাম হত্যাকান্ডের আগে অনেক খুন, অপহরণ হয়েছে কিন্তু অপরাধীদের ধরা হয়নি। অনেক অপরাধীই সরকারের ওপর মহলে দেন-দরবার করে নয়, মামলা থেকে নাম কাটিয়ে নিয়েছে, নয়তো মামলাটাকেই হিম ঘরে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। আইনের শাসন চলে না বলেই ওই অঞ্চলগুলোতে এ ধরনের অপরাধ বেশি হয়। আর এখন তো কেবল ওই অঞ্চলগুলোর কথা বললেই হবে না - সারাদেশেই আইনের শাসন না চলার ভীতি কাজ করছে।
তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে কোন নিয়মের জোরে? এই জোরটা যে কী তা তো প্রমাণ হয়ে গেছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে। আসলে আওয়ামী লীগের নিজস্ব একটা নিয়মের ভিত্তিতেই চলছে সব কিছু। তৃতীয় দফা থেকে উপজেলা নির্বাচনের দিকে তাকালেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায়। আর কেবল নির্বাচনের ক্ষেত্রেই নিজস্ব আইন তা তো নয় - বিভিন্ন স্থানে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিপত্তি কমিয়ে রাখা, দলীয় ক্যাডারদের ভরণ-পোষন দেয়া, প্রচলিত আইনের আওতায় থেকে বাচিয়ে রাখা এসব কাজও করা হচ্ছে। আর এসব ক্ষেত্রে যে খুব বেশি লুকোছাপা করা হচ্ছে তা নয়। 'ক্ষমতায় আছি এই সুবিধাগুলো নেবো' এমন একটা মানসিকতা থেকেই চালানো হচ্ছে দেশ।
নারায়ণগঞ্জ এবং ফেনীর ঘটনাগুলো খুব বেশি বড় এবং ভয়াবহ বলেই এবং মিডিয়া টেম্পোটা ধরে রাখতে পেরেছে বলেই মামলাগুলো প্রচলিত আইনের আওতায় আসতে পেরেছে। তবে নারায়ণগঞ্জের ঘটনা ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল, উচ্চ আদালতের কারণে সেটা হয়নি। আর নারায়ণগঞ্জের ঘটনা ধামা-চাপা দেয়া যায়নি বলেই ফেনীর ঘটনার আসামীদের ধরা হয়েছে। তবে পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে অতি-উৎসাহী হওয়ার অবকাশ নেই। আওয়ামী লীগের নিজস্ব নিয়মের ছায়া অপরাধীদের ওপর থেকে সহসা সরবে এমন নিশ্চয়তাও নেই। আর দেশের সব অঞ্চলে এমনকি নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীতেও হেভিওয়েটরা তো ছায়ার নিচেই বসবাস করছেন আর সাধারণ মানুষ আছে উদোম আকামের নিচে।।
উৎসঃ আমাদের বুধবার
__._,_.___