ভোটের খাতায় আ'লীগই এগিয়ে
আসাদ জামান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: গত আড়াই দশকের ভোটের রাজনীতিতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। স্বৈরাচার পতনের পর ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত চারটি সাধারণ নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই রাজনৈতিক দলটির ভোট ক্রমান্বয়ে বেড়েছে।
অন্যদিকে ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে কাস্ট হওয়া ভোটের ৩০.৮১ শতাংশ পায় বিএনপি। ওই বছর তারা ১৪০টি আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে দলটির ভোট ৩ শতাংশ বেড়ে ৩৩.৬০ শতাংশে দাঁড়ায়। ওই বছর ১১৬ আসন নিয়ে বিরোধী দল হয় তারা।
এর পর ২০০১ সালের নির্বাচনে ৭ শতাংশ বেড়ে ৪০. ৯৭ শতাংশে দাঁড়ায় বিএনপির ভোট। সে বছর তারা ১৯৩ আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।
কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রাপ্ত ভোট ৮ শতাংশ কমে ৩২.৫০ শতাংশে দাঁড়ায়। এ দফায় তারা মাত্র ৩০ আসন পেলেও বিরোধী দল হয়।
অর্থাৎ ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৪ টি নির্বাচনে বিএনপির ভোট কখনো বেড়েছে কখনো কমেছে।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের ছত্রছায়ায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করা স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত গত আড়াই দশকের ভোটের রাজনীতিতে ধারাবাহিকভাবে পিছিয়েছে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কাস্ট হওয়া মোট ভোটের ১২.১৩ শতাংশ পায় তারা। আসন পায় ১৮টি।
এর পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিতর্কিত এই রাজনৈতিক দলটির ভোট ৪ শতাংশ কমে ৮.৬১ শতাংশে দাঁড়ায়। সেবার তারা আসন পায় মাত্র ৩টি।
২০০১ সালের নির্বাচনে আরও ৪ শতাংশ কমে তাদের ভোট দাঁড়ায় ৪.২৮ শতাংশে। ভোট কম পেলেও জোটের কল্যাণে সে বছর তারা ১৭টি আসনে বিজয়ী হয়।
এর পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে কাস্ট হওয়া মোট ভোটের ৪.৭০ শতাংশ পেলেও আসন পায় মাত্র ২টি। অর্থাৎ স্বাধীনতা বিরোধী এই দলটির ব্যাপারে দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহের পারদ কখনো কখনো ঊর্ধ্বমুখী হলেও ভোটাদের আগ্রহের পারদ ছিল নিম্নমুখী।
প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ভোটপ্রাপ্তির এমন পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জন আকাঙ্খার প্রতিফলন কিছুটা হলেও ঘটেছে। তাই ওই সময়ে অনুষ্ঠিত ৪টি নির্বাচনে তাদের ভোটের হার বেরেছে। কিন্তু ২০০৮ সালে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ভোটারবিহীন নির্বাচনের এগিয়েছে তারা। এটা গণতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ উভয়ের জন্যই ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৬ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৪
http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/303774.html
__._,_.___