Banner Advertiser

Thursday, July 10, 2014

[mukto-mona] ধর্মের নামে ফের পুরনো খেলায় মেতেছে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী




শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০১৪, ২৭ আষাঢ় ১৪২১

ধর্মের নামে ফের পুরনো খেলায় মেতেছে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী
স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবার সেই পুরনো খেলা। নানা অপকর্মের ধারাবাহিকতায় এবার রমজান মাসেই পবিত্র কাবা শরীফের উপর নগ্ন নারীর ছবি যুক্ত করে ফেসবুক, ই-মেলের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির অপকৌশল নেয়া হয়েছে। রামুর সেই বৌদ্ধ যুবক উত্তম বড়ুয়ার মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীসহ প্রগতিশীল ব্যক্তিদের নামে সরকারবিরোধী মৌলবাদীগেষ্ঠী বিকৃত ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ক্ষেপিয়ে তুলছে সাধারণ মুসল্লিদের। লালমনিরহাট, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে পবিত্র কাবা শরীফের উপর নগ্ন নারীর ছবি সংবলিত ই-মেল বার্তা। শত শত মানুষের ই-মেলে পাঠানো হয়েছে এ সব বার্তা। বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ভুয়া আইডি খুলে ফেসবুক, টুইটারে করা হচ্ছে মহানবীকে (স) নিয়ে কটূক্তি। হবিগঞ্জে উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালে এর আগেও শিবিরের ওয়েবসাইট ও উগ্রবাদীদের গণমাধ্যমে পবিত্র কাবা শরীফের ছবি বিকৃত করে দেশজুড়ে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা করেছিল জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধীগোষ্ঠী। একই কায়দায় এবার রজমান মাসেই অস্থিরতা তৈরির টার্গেট করা হয়েছে। পবিত্র ধর্মের অবমাননাকর কথা লিখেছেন ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে-এমন অভিযোগ তুলে জামায়াতীদের তা-ব চলছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর থেকেই। মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে সাধারণ মুসল্লিদের। যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত বিভিন্ন ধর্ম, মত ও শ্রেণী-পেশার লাখো কর্মী-সমর্থককে 'নাস্তিক' প্রমাণ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে মিথ্যা তথ্য ও ছবি। পবিত্র কাবা শরীফের ইমামদের ছবি জালিয়াতির মতো অপরাধ করেও জামায়াতীরা কেবল মুক্ত- সেই প্রশ্ন বহুবার তুলেছেন খোদ দেশের বিশিষ্ট আলেম-ওলামারাও। জঙ্গীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়ায় একাই অপকর্ম চলছেই। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কিছু দিন আড়ালে কাজ করলেও এবার রমজান মাসকে টার্গেট করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর পাঁয়তারা করছে তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবীকে (স) নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের উপজেলা বানিয়াচঙ্গের পল্লী ইকরামে চরম হট্টগোল, শ্রীকান্ত দাশ নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক, জনতার বিক্ষোভ ও পুলিশের মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। ঘটনায় এএসপি নাজমুল ইসলাম, সুজাতপুর ইউপি চেয়ারম্যান এনাম খান চৌধুরী ফরিদ, বানিয়াচঙ্গ থানার ওসি লিয়াকত আলী, এসআই ধর্মজিৎ সিং, আব্দুস শহীদ, ইউপি মেম্বার রঙ্গু মিয়াসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। গুরুতর আহত সাইফুল ইসলামকে (২৮) হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিনভর সংশ্লিষ্ট এলাকাসহ উপজেলাজুড়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে বিরাজ করছে তীব্র উত্তেজনা। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, এখানেও রামুর উত্তম বড়ুয়ার মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্য একজনের নামে ফেসবুক আইডি খুলে মহানবীর নামে কটূক্তি করা হয়। ইকরাম বাজারের কিশোর টেলিকমের মালিক শ্রীকান্ত দাশের নামে তৈরি ফেসবুক আইডি থেকে মহানবীকে (স) কটাক্ষ করে মন্তব্য পোস্ট করা হয়, যা বুধবার দুপুরে দেখতে পান স্থানীয় দুই যুবক। তাঁরা শ্রীকান্তের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা ঠিক নয়। আমি তো কিছু জানি না। কিন্তু একটি বিশেষ গ্রুপ একে উল্টো সত্য বলে প্রচার করে ইকরামসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে দিলে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এর জের ধরে ইফতারের আগে হাজার হাজার জনতা শ্রীকান্তের দোকান ঘেরাও করে এবং তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বানিয়াচঙ্গ থানার ওসি লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এ সময় তারা উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার ও গণমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। ফলে হবিগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে এএসপি নাজমুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবরুদ্ধ শ্রীকান্তকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার চেষ্টা চালালে বিক্ষুব্ধ জনতা ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ নানাভাবে বাধা দেয়। ফলে পুলিশ প্রথমে ১ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং পরবর্তীতে অন্তত ৪০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার পাশাপাশি শ্রীকান্তকে উদ্ধার করে রাতেই থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আটক শ্রীকান্তকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তবে কারও পক্ষ থেকে প্রমাণসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ না আসায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কোর্টে পাঠায় পুলিশ। এএসপি নাজমুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, শ্রীকান্তের বিরুদ্ধে মামলা দিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পর সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে লোকজন তাঁর কার্র্যালয়ে আসেন। ফলে আনুষ্ঠানিক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তবে মহানবীকে (স) নিয়ে কোন মন্তব্য শ্রীকান্ত করেনি বলে দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য- বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর ফেসবুক আইডি তিনি ব্যবহার করছেন না। হয়ত তাঁকে বেকায়দায় ফেলা বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে কেউ তাঁর আইডি ট্যাক করে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি শ্রীকান্ত ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে তদন্তেরও দাবি করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রমজানে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কেউ অবনতি ঘটাতে না পারে সেদিকে সতর্ক রয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে পুলিশ ইতোমধ্যে পরবর্তী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। 

প্রায় একই কায়দায় মৌলবাদীগোষ্ঠী সঙ্কট তৈরির চেষ্টা করছে লালমনিরহাটেও। এখানে ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়াতে টুইটারে অপপ্রচার ও কাবা শরীফের উপর নগ্ন নারীর ছবি যুক্ত বরে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা চলছে। এ ধরনের একটি ছবি লালমনিরহাটের ফেসবুক ব্যবহারকারী কয়েক শ' ব্যক্তির কাছে ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় বিষয়টি নজরে আসে জনকণ্ঠের সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীন ও লালমনিরহাট ডটকম নামের একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের মালিক নেট বিশেষজ্ঞ নুরে আলম সরকার পাইলটের। কাবা শরীফের উপরে নগ্ন নারীর ছবির ঘটনায় জেলায় মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে এতে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী টুইটারের ব্লগটি ও আইটি এ্যাকাউন্ট নম্বরটি বন্ধ করে দিয়ে দায়ী ব্যক্তিকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। ফেসবুক ও টুইটারে খবহমপধর কবপযরশ (লেনজিসি কেসহিক) নামে এ্যাকাউন্ট খুলে জনৈক ব্যক্তি টুইটার দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। কোথাও কোথাও অুর তুধয, Work of student studied at Russey Keo High school এই ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। মহিষখোচা কলেজর অধ্যক্ষ মোঃ সরওয়ার আলম জানান, ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে রমজান মাসে দাঙ্গা ও হট্টগোল সৃষ্টি করতেই এ ধরনের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। বিষয়টি লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার মুজাহেদুলকে জানানো হয়েছে। 

আল্লার ঘর পবিত্র কাবা শরীফ নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী গণমাধ্যমসহ এই চক্রের ইসলাম বিকৃতির শাস্তি দাবি করে দেশের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগার ইমাম ও খতিব আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, পবিত্র কাবা শরীফের ইমামদের ছবি জালিয়াতির মতো অপরাধ করে জামায়াতীরা ইতোমধ্যেই যে অপরাধ করেছে তার মতো ইসলামবিরোধী কাজ আর হতে পারে না। এটা আমাদের পবিত্র ইসলামকে অবমাননা করেছে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি হতে হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি মহানবী (স) পবিত্র ধর্ম ইসলামকে নিয়ে কতিপয় ব্লগ, ফেসবুকে কটূক্তির মাধ্যমে অপতৎপরতা চালাচ্ছে একটি অপশক্তি।

প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০১৪, ২৭ আষাঢ় ১৪২১




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___