'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' ও 'জয় বাংলা' নিয়ে বিভ্রান্তি
মোবায়েদুর রহমান :
'জিন্দাবাদ' এবং 'জয়' এই দুটি শব্দ নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরাট বিভ্রান্তি রয়েছে। শুধু মাত্র রাজনৈতিক কর্মী পর্যায়েই নয়, নেতৃ পর্যায়েও এই বিভ্রান্তি রয়েছে। এ ধরনের বিভ্রান্তি থাকা অস্বাভাবিক নয়। এই বিভ্রান্তি যদি স্বচ্ছ ধারণার অভাবে সৃষ্টি হয় তাহলে বলার কিছু থাকে না। কিন্তু সেই বিভ্রান্তি নিয়ে যদি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করা হয় তাহলে সেটি নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় একজন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা। তিনি যখন সারা দেশে এক লাখ ওয়াইফাই সংযোগের কথা বলেন তখন সেটা প্রেরণা দায়ক হয়। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে তার মাতাকে সহযোগিতা করবেন, এটি সকলেরই প্রত্যাশা। বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবের নাতি হিসেবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র হিসেবে তিনি রাজনৈতিক কথা বলবেন, সেটিও স্বাভাবিক। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে রাজনীতি তার রক্তে মিশে থাকবে, এটিই প্রত্যাশিত। কিন্তু তার রাজনৈতিক বক্তব্যে যদি তথ্য গত বিভ্রান্তি থাকে তাহলে সেটি দুঃখজনক হয়। সম্প্রতি তিনি এই ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন, যেখানে তথ্যগত বিভ্রান্তি রয়েছে।
গত ১১ জুলাই শুক্রবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে গণতন্ত্র ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে জনাব জয় কিছু রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, "রাজনীতির একটি পক্ষ এখনও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, মনেপ্রাণে পাকিস্তানের অংশ হয়ে যেতে চায়। যারা 'জয় বাংলা' বলতে লজ্জা পায়, 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়, তারা পাকিস্তানের এজেন্ট। তাদের সেখানেই চলে যাওয়া উচিত।
সেই ট্র্যাডিশন এখনো চলছে
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ওপরে উদ্ধৃত মন্তব্য সনাতনী রাজনীতির প্রতিচ্ছবি। অথচ তিনি আধুনিক যুগের বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ। সেই পাকিস্তান আমল থেকেই সনাতনী রাজনীতি চলে আসছে। তখন থেকেই বিরোধী দলকে বলা হতো ভারতের দালাল এবং রাষ্ট্রদ্রোহী। ২৪ বছর পর দেখা গেলো, পাকিস্তানি শাসকদের ভাষায় সকলেই হয়ে গেছে 'দেশদ্রোহী'। 'দেশপ্রেমিক' আর কেউ নেই। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঢালাও ভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিদেশি এজেন্ট এবং রাষ্ট্রদ্রোহী বলা হচ্ছে। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই যে, আমাদের জানা মতে বাংলাদেশে অনেকেই সরকার বিরোধী আছেন, কিন্তু রাষ্ট্র বিরোধী কেউ নেই। সরকার এবং রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে, সমার্থক শব্দে পরিণত করা হচ্ছে।
ভারতে আজও জিন্দাবাদ বলা হয়
জিন্দাবাদ যদি উর্দু শব্দ হয় তাহলে ভারতের কোটি কোটি মানুষ এখনো সেই জিন্দাবাদ শব্দ বলেন। 'জিন্দাবাদ' মূলত একটি ফরাসি শব্দ। এই শব্দ উর্দু ভাষায় যেমন ব্যবহৃত হয় তেমনি ব্যবহৃত হয় বাংলা ভাষাতেও। ব্রিটিশের কবল থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য কংগ্রেসের দুইটি শ্লোগান ভারতের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে। একটি হলো 'বন্দে মাতরম', আরেকটি হলো 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ'। ইনকিলাব অর্থ হলো বিপ্লব। ভারতের স্বাধীনতার পর বন্দে মাতরম শ্লোগানের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ইনকিলাব জিন্দাবাদ শ্লোগান উচ্চারিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ পাকিস্তান জিন্দাবাদ এবং জয় হিন্দ ও জয় বাংলা
রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং বিদেশের এজেন্ট- এই ধরনের রাজনৈতিক পরিভাষা আমাদের রাজনীতি থেকে নির্বাসিত হওয়া উচিত। ভারতীয় স্বাধীনতার শ্লোগান ছিল 'জয় হিন্দ'। আজও ভারতীয় রাষ্ট্র নেতারা বক্তৃতা শেষ করেন জয় হিন্দ শ্লোগান দিয়ে। আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তৃতা শেষ করেন জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে। এজন্য কেউ তাদেরকে ভারতের দালাল বলে না অথবা ভারতে চলে যেতে বলে না। তাহলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ শ্লোগান দিলে পাকিস্তানের দালাল হবে কেন? কেন তাদেরকে পাকিস্তান চলে যেতে হবে? আওয়ামী লীগ যদি এই ধরনের বক্তব্য অব্যাহত রাখে তাহলে এক সময় বিরোধী দলও বলতে পারে যে, আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল এবং তাদের ভারতে চলে যাওয়া উচিত। সেই জন্যই আমরা মনে করি যে, এই ধরনের বক্তব্য জাতীয় স্বার্থ বিরোধী এবং জাতীয় অস্তিত্ব ও সংহতি বিনষ্টকারী।
বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দের ছড়া ছড়ি
দুটি শব্দ নিয়ে গঠিত আওয়ামী লীগ। একটি হলো 'আওয়ামী' আর একটি হলো 'লীগ'। এই দুটি শব্দের একটিও বাংলা নয়। প্রথমটি হলো আরবী এবং দ্বিতীয়টি হলো ইংরেজি। অথচ আওয়ামী লীগ বাংলার মুখর প্রবক্তা। বিএনপি নামটি ইংরেজি। 'ইত্তেফাক' নামটি উর্দু । অথচ এক সময় এটি বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা ছিল। ইত্তেফাকের অগ্রগতির পথে উর্দু শিরোনাম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বাংলা ভাষায় অসংখ্য বিদেশি শব্দ ঢুকে পড়েছে। কয়েকটি নমুনা দিচ্ছি। এগুলো হচ্ছে- আক্কেল, আসল, এলাকা, ওজন, কবর, খবর, খালি, খেয়াল, গরিব, জবাব, দুনিয়া, নকল, ফকির, বদল, বাকী, সাহেব, হিসেব ইত্যাদি। এসব শব্দ এসেছে আরবী থেকে।
আরো কয়েকটি শব্দ দিচ্ছি, এগুলো হচ্ছে- কাগজ, খারাপ, খুব, গরম, চশমা, চাকুরি, চাদর, জান, জায়গা। এসব শব্দ এসেছে ফারসী থেকে। এগুলো ছাড়াও বাংলা ভাষায় এসেছে অসংখ্য ইংরেজি এবং ল্যাটিন শব্দ। এসব বিদেশি শব্দ বাংলা ভাষায় ঢুকে বাংলাকে সমৃদ্ধ করেছে। এসব ভাষা ব্যাপকভাবে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের ইংরেজি নাম
অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। এটি সম্পূর্ণ ইংরেজি নাম। আর একটি দলের নাম ন্যাপ। এটিও সম্পূর্ণ ইংরেজি নাম। কম্যুনিস্ট পার্টির দুইটি শব্দের মধ্যে একটিও বাংলা শব্দ নয়। আরো আছে। অলি আহম্মেদের এলডিপি, নেজামে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, জামায়াতে ইসলামী, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম প্রভৃতি বাংলা নাম নয়। আওয়ামী লীগের কথা যদি কঠোরভাবে বাস্তবায়িত করতে হয়, তাহলে এই সমস্ত বিদেশি শব্দ বাংলা ভাষা থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। সেটি কি তারা পারবেন? নাকি সেটি বাস্তব?
সুতরাং রাজনীতিতে এসব সেকেলে ধ্যান ধারণা এবং আক্রমণের ভাষা পরিহার করে আমাদেরকে ফরওয়ার্ড লুকিং হতে হবে। অর্থাৎ আমাদেরকে সামনে দৃষ্টিপাত করতে হবে। ভূতের পা নাকি পেছনে যায়। মানুষের পা সামনে যায়।
Email- journalist15@gmail.com
- See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/07/15/192355.php#sthash.Ha0XzHPt.dpufগত ১১ জুলাই শুক্রবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে গণতন্ত্র ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে জনাব জয় কিছু রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, "রাজনীতির একটি পক্ষ এখনও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, মনেপ্রাণে পাকিস্তানের অংশ হয়ে যেতে চায়। যারা 'জয় বাংলা' বলতে লজ্জা পায়, 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়, তারা পাকিস্তানের এজেন্ট। তাদের সেখানেই চলে যাওয়া উচিত।
সেই ট্র্যাডিশন এখনো চলছে
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ওপরে উদ্ধৃত মন্তব্য সনাতনী রাজনীতির প্রতিচ্ছবি। অথচ তিনি আধুনিক যুগের বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ। সেই পাকিস্তান আমল থেকেই সনাতনী রাজনীতি চলে আসছে। তখন থেকেই বিরোধী দলকে বলা হতো ভারতের দালাল এবং রাষ্ট্রদ্রোহী। ২৪ বছর পর দেখা গেলো, পাকিস্তানি শাসকদের ভাষায় সকলেই হয়ে গেছে 'দেশদ্রোহী'। 'দেশপ্রেমিক' আর কেউ নেই। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঢালাও ভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিদেশি এজেন্ট এবং রাষ্ট্রদ্রোহী বলা হচ্ছে। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই যে, আমাদের জানা মতে বাংলাদেশে অনেকেই সরকার বিরোধী আছেন, কিন্তু রাষ্ট্র বিরোধী কেউ নেই। সরকার এবং রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে, সমার্থক শব্দে পরিণত করা হচ্ছে।
ভারতে আজও জিন্দাবাদ বলা হয়
জিন্দাবাদ যদি উর্দু শব্দ হয় তাহলে ভারতের কোটি কোটি মানুষ এখনো সেই জিন্দাবাদ শব্দ বলেন। 'জিন্দাবাদ' মূলত একটি ফরাসি শব্দ। এই শব্দ উর্দু ভাষায় যেমন ব্যবহৃত হয় তেমনি ব্যবহৃত হয় বাংলা ভাষাতেও। ব্রিটিশের কবল থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য কংগ্রেসের দুইটি শ্লোগান ভারতের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে। একটি হলো 'বন্দে মাতরম', আরেকটি হলো 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ'। ইনকিলাব অর্থ হলো বিপ্লব। ভারতের স্বাধীনতার পর বন্দে মাতরম শ্লোগানের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ইনকিলাব জিন্দাবাদ শ্লোগান উচ্চারিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ পাকিস্তান জিন্দাবাদ এবং জয় হিন্দ ও জয় বাংলা
রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং বিদেশের এজেন্ট- এই ধরনের রাজনৈতিক পরিভাষা আমাদের রাজনীতি থেকে নির্বাসিত হওয়া উচিত। ভারতীয় স্বাধীনতার শ্লোগান ছিল 'জয় হিন্দ'। আজও ভারতীয় রাষ্ট্র নেতারা বক্তৃতা শেষ করেন জয় হিন্দ শ্লোগান দিয়ে। আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তৃতা শেষ করেন জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে। এজন্য কেউ তাদেরকে ভারতের দালাল বলে না অথবা ভারতে চলে যেতে বলে না। তাহলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ শ্লোগান দিলে পাকিস্তানের দালাল হবে কেন? কেন তাদেরকে পাকিস্তান চলে যেতে হবে? আওয়ামী লীগ যদি এই ধরনের বক্তব্য অব্যাহত রাখে তাহলে এক সময় বিরোধী দলও বলতে পারে যে, আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল এবং তাদের ভারতে চলে যাওয়া উচিত। সেই জন্যই আমরা মনে করি যে, এই ধরনের বক্তব্য জাতীয় স্বার্থ বিরোধী এবং জাতীয় অস্তিত্ব ও সংহতি বিনষ্টকারী।
বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দের ছড়া ছড়ি
দুটি শব্দ নিয়ে গঠিত আওয়ামী লীগ। একটি হলো 'আওয়ামী' আর একটি হলো 'লীগ'। এই দুটি শব্দের একটিও বাংলা নয়। প্রথমটি হলো আরবী এবং দ্বিতীয়টি হলো ইংরেজি। অথচ আওয়ামী লীগ বাংলার মুখর প্রবক্তা। বিএনপি নামটি ইংরেজি। 'ইত্তেফাক' নামটি উর্দু । অথচ এক সময় এটি বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা ছিল। ইত্তেফাকের অগ্রগতির পথে উর্দু শিরোনাম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বাংলা ভাষায় অসংখ্য বিদেশি শব্দ ঢুকে পড়েছে। কয়েকটি নমুনা দিচ্ছি। এগুলো হচ্ছে- আক্কেল, আসল, এলাকা, ওজন, কবর, খবর, খালি, খেয়াল, গরিব, জবাব, দুনিয়া, নকল, ফকির, বদল, বাকী, সাহেব, হিসেব ইত্যাদি। এসব শব্দ এসেছে আরবী থেকে।
আরো কয়েকটি শব্দ দিচ্ছি, এগুলো হচ্ছে- কাগজ, খারাপ, খুব, গরম, চশমা, চাকুরি, চাদর, জান, জায়গা। এসব শব্দ এসেছে ফারসী থেকে। এগুলো ছাড়াও বাংলা ভাষায় এসেছে অসংখ্য ইংরেজি এবং ল্যাটিন শব্দ। এসব বিদেশি শব্দ বাংলা ভাষায় ঢুকে বাংলাকে সমৃদ্ধ করেছে। এসব ভাষা ব্যাপকভাবে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের ইংরেজি নাম
অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। এটি সম্পূর্ণ ইংরেজি নাম। আর একটি দলের নাম ন্যাপ। এটিও সম্পূর্ণ ইংরেজি নাম। কম্যুনিস্ট পার্টির দুইটি শব্দের মধ্যে একটিও বাংলা শব্দ নয়। আরো আছে। অলি আহম্মেদের এলডিপি, নেজামে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, জামায়াতে ইসলামী, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম প্রভৃতি বাংলা নাম নয়। আওয়ামী লীগের কথা যদি কঠোরভাবে বাস্তবায়িত করতে হয়, তাহলে এই সমস্ত বিদেশি শব্দ বাংলা ভাষা থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। সেটি কি তারা পারবেন? নাকি সেটি বাস্তব?
সুতরাং রাজনীতিতে এসব সেকেলে ধ্যান ধারণা এবং আক্রমণের ভাষা পরিহার করে আমাদেরকে ফরওয়ার্ড লুকিং হতে হবে। অর্থাৎ আমাদেরকে সামনে দৃষ্টিপাত করতে হবে। ভূতের পা নাকি পেছনে যায়। মানুষের পা সামনে যায়।
Email- journalist15@gmail.com
__._,_.___