Banner Advertiser

Thursday, August 28, 2014

[mukto-mona] JMB



জঙ্গী আস্তানায় ৫ দিন ২ ॥ আগস্টেই বড় কিছু করার টার্গেট জেএমবির
সুমি খান, বাগমারা থেকে ফিরে ॥
২০০১ থেকে ২০০৫ সময়ে বিএনপির প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপির নেতৃত্বে উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত জনপদের নিরক্ষর এবং দরিদ্র-প্রান্তিক মানুষকে জঙ্গীবাদে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। জঙ্গী সংগঠন জেএমবির নীতি অনুযায়ী ধর্মের ব্যাখা বা হারাম-হালালের সংজ্ঞায় যা বলা হয়েছে তাই এই জঙ্গীদের কাছে ধ্রুব সত্য। স্পষ্ট উচ্চারণ তাদের-ওসামা বিন লাদেন তাদের দীক্ষাগুরু। তালেবানী শিক্ষাই তাদের শিক্ষা। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বা এই শাসন ব্যবস্থার রক্ষাকবচ বা প্রধান ভিত সেনাবাহিনী, বিজিবি বা পুলিশের দায়িত্বে যারা আছেন তারা সবাই 'জাহান্নামে যাবে' এমন অপপ্রচারে স্থিরবিশ্বাস জঙ্গীদের। আত্মগোপনে থাকা জেএমবির এক প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের একান্ত সাক্ষাতকারের বিবরণ-
জনকণ্ঠ : জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হলেন কেন? কে কে ছিলেন আপনাদের সঙ্গে?
জেএমবি : সর্বহারাদের দমন করার জন্য আতিক ভাই, যারে 'বাংলা ভাই' নামে চিনেন সবাই-সেই আতিক ভাই-ই আমারে জামা'তুল মুজাহেদীনে যুক্ত করে। সেই সময়ে আতিক ভাই-ই বাগমারায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএনপি সরকারের এক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আমাদের সঙ্গে। আরও প্রভাবশালী লোক ছিলেন আমাদের সঙ্গে। পুলিশের এসপি ছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। তিনি দাবি করেন- বিএনপির তৎকালীন এমপি নাদিম মোস্তফা, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, ব্যারিস্টার আমিনুল হক তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করতেন, নির্দেশনা দিতেন। সর্বহারাদের দমন করাই আমাদের কাজ ছিল। ঐ যে বাদশা, যারে মাথা নিচে দিয়ে ঝুলিয়ে মারছে বাংলা ভাই। সেই বাদশা অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। 
জনকণ্ঠ : বাদশা অপরাধ করলে আইনী পথে বিচার হতো। আপনারা আইন হাতে তুলে নিলেন। তা কি সরকারের মন্ত্রীদের নির্দেশে? আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, আপনারা নিরীহ মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছেন। সেটা আদালতে প্রমাণও হয়েছে। আপনাদের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে, সাজাও কার্যকর হয়েছে। আপনাদের সদস্যসংখ্যা কত? 
জেএমবি: অভিযোগ সত্য না। আমরা আল্লাহর নির্দেশ কায়েম করছি। বাগমারাতে সর্বহারাদেরই মেরেছি। আর জামা'তুল মুজাহেদীনের কয়েক হাজার সদস্য সারা দেশে আছে। সবাই তো সক্রিয় না, তাই সঠিক হিসেব করা মুশকিল। তবে একটা বড় কাম করতে বেশি লোকের দরকার হয় না। সরকার মনে করছে কয়জনই বা আছে এদের দলে? যখন মরবেন তখন সব বুঝবেন। যেমন মনে করেন, আপনাকে যদি একটা মশা কামড় দেয়-গোটা মাথা, গোটা শরীর যন্ত্রণা করে, তাই না? কাম করতে বেশি মানুষ লাগে না। কিছু বিডিআর সদস্য এক শ' সেনাবাহিনীর অফিসারকে মেরে ফেলল। 
জনকণ্ঠ : বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে কি আপনারা জড়িত ছিলেন? 
জেএমবি : না, কোনভাবেই না। জামা'তুল মুজাহেদীনের লোক কখনও সরকারের কোন প্রহরী হবে না। গণতন্ত্রের প্রহরী হওয়া 'হারাম'। যে পাহারা দেবে, আজকেও যারা পাহারা দিচ্ছে, তারা সব জাহান্নামে যাবে। হাসিনারে যে পাহারা দেবে, সেও জাহান্নামে যাবে। খালেদারে যে পাহারা দেবে, সেও জাহান্নামে যাবে। সেটা স্পষ্ট দলিলে লেখা আছে। 
গণতন্ত্রের পক্ষে যারা থাকবে, যারা চাকরি করবে তারা জাহান্নামে যাবে। অত বেশি বুঝি না, তবে অল্প যেটা বুঝি, সেটা নিয়ে গবেষণা করেছি। সেই গবেষণায় বুঝি, একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিকে মারলে দেশে বিশৃঙ্খলা হবে। আমরা এখন সেটাই করতে চাই। 
জনকণ্ঠ : রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মতো তাদের সন্তানদেরও কি টার্গেট করেছেন আপনারা ? 
জেএমবি : না। সন্তানদের মারবার কোন পরিকল্পনা আমাদের নেই। তবে সেই সন্তানদের মধ্যে যে প্রভাবশালী-যাকে মারলে বড় রকমের বিপদে পড়বে হাসিনা সরকার, তাকে পেলে জামা'তুল মুজাহেদীন মেরে দিত। এমন দেশে সে আছে, যেখানে জামা'তুল মুজাহেদীদের আবির্ভাব কম। তবে ভারতে আমাদের অবস্থান খুব শক্ত। আমাদের ছেলেরা তাকে ভারতেও যদি পেত, ঠিক মেরে দিত। 
জনকণ্ঠ : এতক্ষণ যাদের কথা বললেন, যারা আপনাদের সমর্থন দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে, তাদের নেতাদের হত্যা করবেন আপনারা? 
জেএমবি : হাসিনাকে বিপদে ফেলার জন্য আমরা সব করতে পারি। গণতান্ত্রিক সরকার তাগুতি সরকার। এই সরকারের বিরুদ্ধে হামলা করতে হবে, এটা আল্লাহর নির্দেশ। দলিলে আছে।
জনকণ্ঠ: কোন্ দলিলে লেখা আছে এমন কথা? আপনি নিজে দেখেছেন? 
জেএমবি: আমি পড়ালেখা জানি না। হাদিস-কোরান পড়ি নাই। অত বুঝি না; অল্পই বুঝি। তবে এটা জানি যে, আমি যা বলতেছি , সবই দলিলে লেখা আছে। 
জনকণ্ঠ: কিন্তু ইসলাম তো শান্তির ধর্ম। সেই ধর্মের প্রকৃত বাণী না জেনে তার বিপরীত ক্জা করছেন আপনারা,সেটা জানেন আপনি? আপনি কি জানেন, আমাদের নবীজী খুব পরোপকারী ছিলেন? শান্তির জন্য, মানবতার জন্য জীবন উৎসর্গ করতে বলেছেন তিনি। নবীজীর চলার পথে যে বৃদ্ধা কাঁটা রাখত, একদিন সে অসুস্থ ছিল, কাঁটা দিতে পারে নাই। সেদিন তার বাড়ি খুঁজে নিয়ে নবীজী সেই বুড়িকে সুস্থ করে তুলেছিলেন। বলেছিলেন, আবার আমার পথে কাঁটা দাও, তবু তুমি সুস্থ থাক-এই গল্প আমার শৈশবে পড়েছি। আপনি শুনেছেন এই গল্প? 
জেএমবি: (এই প্রতিবেদককে থামিয়ে দিয়ে) এসব জাল দলিল আপা। আপনারা যা জানেন-সব জাল দলিলের কথা জানেন। দলিলে আছে আল্লাহর নির্দেশে লাদেন যুদ্ধ করেছে। আমরা তার অনুসারী। তার পথেই আমরা যুদ্ধ করছি। 
জনকণ্ঠ : আপনাদের টার্গেটে আর কারা আছেন?
জেএমবি: আওয়ামী লীগের জেলা নেতাদের প্রথম টার্গেট করেছিলাম আমরা। ৬৪ জেলার সভাপতি সাধারণ-সম্পাদককে ১৭ আগস্টের মতো একই দিনে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলাম, যাতে হাসিনার মনে একটা ভীতি কাজ করে। কিন্তু সম্প্রতি আমরা এই পরিকল্পনা স্থগিত করেছি। 
জনকণ্ঠ: কেন?
জেএমবি: কারণ, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আওয়ামী লীগ যত বেশি সময় ক্ষমতায় থাকছে তত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। এরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হোক। বরং শীর্ষ কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে মারলে হাসিনার ওপর দোষ আসবে। দেশে বড় রকমের বিশৃঙ্খলা হবে। বিরোধী দলও মাঠে নামবে। দুই দলে কামড়াকামড়ি লাগবে। সেই সুযোগে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীকে শেষ করে দেব। তখন দোষ পুরোটাই বিএনপির ঘাড়ে আসবে। আওয়ামী লীগের নেতারা মরবে। বিএনপির নেতাকর্মী কিছু এ্যারেস্ট হবে, মারবে, গুলি চলবে। দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জামা'তুল মুজাহেদীন বসে দেখবে। আমাদের শত্রু এরা দুই পক্ষই। কারণ, এরা গণতন্ত্রপন্থী। তাই এদের আমরা 'তাগুতি পন্থী' বলি। এজন্য কৌশল করা হয়েছে, এদের শেষ করতেই হবে। 
জনকণ্ঠ: এই পরিকল্পনা কতদিনের? 
জেএমবি: ছয় মাস আগে এই পরিকল্পনা করেছি আমরা। আগস্ট মাসে একটা বড় কিছু করার টার্গেট আমাদের।
জনকণ্ঠ : আপনাদের টার্গেটে আর কে আছে? 
জেএমবি: ঐ যে ইমরান সরকার আছে না, তাকেও মারবার টার্গেট ছিল। কিন্তু তখন ইমরান সরকারের সামনে এত ছোট ছোট বাচ্চা বসে থাকত, তাকে মারতে গেলে এই বাচ্চাগুলো মারা পড়ত। 
জনকণ্ঠ: আপনারা বাচ্চা মারতে চান না? 
জেএমবি : (হেসে) না, বাচ্চা মারতে চাই না আমরা। আপনারা বলেন না, আজকের শিশু আগামীদিনের ভবিষ্যত? আমরা তো মনে করি এই শিশুরাও একদিন জেএমবি হবে। আমাদের ভবিষ্যত মেরে ফেললে হবে কী করে? তবে আপনাকে যে কথাগুলো বলছি, তা যদি সত্য না লিখেন, আপনার বিপদ আছে। অসুবিধা হবে। ঐ যে সুলতানা কামাল আছেন, তারে এত সহযোগিতা করলাম, অথচ তিনি ঢাকা ফিরে সব মিথ্যা কথা লিখেছেন আমাদের নামে। 
জনকণ্ঠ: কী সহযোগিতা করেছেন? 
জেএমবি : তিনি জানতে চেয়েছিলেন বাংলা ভাই সম্পর্কে। আমরা লোক ঠিক করে দিয়েছিলাম তার সঙ্গে এলাকা ঘুরে সব দেখাতে। বাংলা ভাই কাদের, কেন মেরেছে সব বলা হয়েছে তাকে। সব সঠিক কথা জেনেও বাংলা ভাইয়ের নির্যাতনের মিথ্যা কথা লিখেছে। এসব বললে বহুত ব্যাপার। আমরা পরিবার ছেড়ে পালিয়ে থেকেছি, গ্রেফতার হয়েছি। 
জনকণ্ঠ: আপনাদের এসব পরিকল্পনা কতদিনের মধ্যে বাস্তবায়নের টার্গেট?
জেএমবি : সর্বশেষ পরিকল্পনাটা মনে হয় ভেস্তে গেল এবারের মতো। যিনি টার্গেট, তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। সেদিন বিভিন্নভাবে মহিলা-পুরুষ মিলে কমপক্ষে ৫০ এহসার পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল। মহিলারা ছিল 'সাপ্লাইম্যান'। আর পুরুষ ছিল-যারা ব্যবহারকারী। 
জনকণ্ঠ: কী অস্ত্র নেয়া হয়েছিল? গ্রেনেড? যদি গ্রেনেডগুলো সময়ের আগেই বিস্ফোরণ ঘটে যেত, এই মহিলারা কি আত্মঘাতী হতো? 
জেএমবি : আত্মঘাতী পরিকল্পনা এখন আমাদের নাই। গ্রেনেড সাপ্লাইকারী মহিলারা জানে কিভাবে হ্যান্ড গ্রেনেড সাবধানে রাখতে হয়। এখন প্রশাসন এত সতর্ক, গ্রেনেড না হলে সম্ভব না। প্রশাসনের তদারকি থাকে। সিসিক্যামেরা ফিট করা আছে চারদিকে। বড় জিনিস বহন করা কঠিন। গ্রেনেড সিসিক্যামেরায় ধরা পড়ে না। বড় রাজনৈতিক সমাবেশে হাজার হাজার লোকের মিছিল। ঢল নেমে মানুষ সমাবেশে ঢোকে, তখন তো আর চেক করাও সম্ভব না। সেটা যে দলেরই হোক না কেন। কিছু মহিলা হয়ত কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে বসে থাকে একপাশে। সুযোগমতো হাতে দিল, নিয়ে ছুড়ে দিল। যে ছুড়ে মারবে সে হিসেব করেই রাখে- হয় মারবে, নয় ধরা পড়বে, নয় মরবে। একজন বা দু'জন মারল, অন্যরা সরে গেল নিরাপদে, ঝামেলা শেষ। 
জনকণ্ঠ: শেষ পরিকল্পনা ভেস্তে গেল বলে কি হতাশ আপনারা? 
জেএমবি: না, জামা'তুল মুজাহেদীন কোন কাজে হতাশ না। হয়নি তো হয়নি। আল্লাহর ইচ্ছা নাই হয়ত। পরে হবে। ১৫ দিন থেকে আমাদের নেটওয়ার্ক খুব পরিকল্পিতভাবে সেট করা ছিল। প্রশাসন টাকা দিয়ে বিভিন্নভাবে সোর্স নিয়োগ করে তো। আমার মনে হয়, জেএমবির এই পরিকল্পনা হয়ত গোয়েন্দারা জেনে গেছে। তাদের নির্দেশে হয়ত আমাদের টার্গেট আর সমাবেশে আসেনি। 
জনকণ্ঠ : তাহলে আপনাদের পরবর্তী পরিকল্পনা কি ? কারা আপনাদের শত্রু? 
জেএমবি: বর্তমানে যারা দেশ পরিচালনা করছে তাদেরই আমরা শত্রু মনে করি। প্রশাসন তো গবর্নমেন্টই চালাচ্ছে। গবর্নমেন্টের দায়িত্ব আমরা নিতে পারলে প্রশাসন আমরাই চালাব। আমরা যেভাবে বলব প্রশাসন অস্ত্র সেদিকেই ঘুরাবে।
জনকণ্ঠ : তাহলে কি আপনারা র‌্যাব-পুলিশকে টার্গেট করেছেন? এত পুলিশ মারা হলো-এরা কি আপনাদের লোক?
জেএমবি: না, আমরা র‌্যাব-পুলিশকে টার্গেট করি নাই। পুলিশে গরিব মানুষের ছেলেমেয়ে আছে। এরা বেতন পেলে চলে। এদেরও পরিবার সন্তান আছে। পুলিশ হত্যা করেছে জামায়াত-শিবির। জামায়াত এলোমেলা হত্যা করেছে। পুলিশ তো সরকারের কমান্ডে চলে। এদেরকে হটাতে হলে সরকারকে হটাতে হবে। তাগুতি সরকার হঠিয়ে আমাদের সরকার গঠন করতে হবে। তবে আমাদের কোন কাজের খবর পেয়ে গোয়েন্দারা যদি আমাদের এ্যাটাক করে তখন জামাআ'তুল মুজাহেদীন মারবে। এরা (জেএমবি) বলছে রাষ্ট্রের দায়িত্বে যারা আছে তাদের মারতে হবে। যাতে এরা কোন নির্বাচন করতে না পারে। যেন রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে না পারে। 
জনকণ্ঠ: আপনারা কি নির্বাচনের বিরুদ্ধে? 
জেএমবি: হ্যাঁ। আমরা নির্বাচনের বিরুদ্ধে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি আমরা মানি না।




__._,_.___

Posted by: Nurul Bachchu <bachchuhaq13@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___