Banner Advertiser

Thursday, August 28, 2014

[mukto-mona] ‘শেখ হাসিনার একটি কথাতেই আমাদের অনেক ভোট বৃদ্ধি পায়...। তিনি বিএনপি’র জন্য অ্যাসেট’-হাবিব-উন-নবী খান সোহেল



 
Logo_print
 
সূচীপএ : সাক্ষাৎকার
'শেখ হাসিনার একটি কথাতেই আমাদের অনেক ভোট বৃদ্ধি পায়...। তিনি বিএনপি'র জন্য অ্যাসেট'-হাবিব-উন-নবী খান সোহেল



হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। সদস্যসচিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), ঢাকা মহানগর। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপি। সাবেক সভাপতি, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটি। ঢাকা মহানগরের দায়িত্ব পাওয়া, আন্দোলন, সাংগঠনিক অবস্থানসহ নানা বিষয় নিয়ে সম্প্রতি মুখোমুখি হন সাপ্তাহিক-এর। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা জারি করেছে উল্লেখ করে বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবলে পড়বে। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সরকারের পতন ঘটনো হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সায়েম সাবু

সাপ্তাহিক : ঢাকা মহানগর বিএনপি'র দায়িত্ব পেলেন।  এ বিষয়ে অনুভূতি জানতে চাই?
হাবিব-উন-নবী খান সোহেল : দায়িত্বই মানুষকে দায়িত্ববান করে তোলে। আমি এর আগে ঢাকা মহানগর বিএনপির কোনো পদে ছিলাম না। এ কারণে নগরকেন্দ্রিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা সেইভাবে গড়ে ওঠার কথা নয়। ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি থেকে আজকের দায়িত্বে আসা। যদিও গত নির্বাচনে আমি ঢাকার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। সেই সুবাদে হয়তো নেতাদের সঙ্গে একটি সাংগঠনিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু একটি ইউনিটকেন্দ্রিক রাজনীতিতে নেতায় নেতায় যে সম্পর্ক বা নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে সম্পর্ক, তা হয়তো পরিপূর্ণভাবে আমার ছিল না। দায়িত্ব নেয়ার পর গত এক মাসে আমি সেই সম্পর্কের দিকেই অধিক গুরুত্ব দিয়েছি। আমি ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করছি। আমি লক্ষ করছি, কর্মীরা আমাকে তাদের মাঝে পেয়ে বেশ উজ্জীবিত এবং সংগঠিত। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে, তারা মন থেকে চেয়েছিল যে, আমি যেন এই দায়িত্বে আসি। 
সাপ্তাহিক : কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের সঙ্গে আপনার দ্বন্দ্বের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। দ্বন্দ্ব নিয়ে কী বলবেন? 
সোহেল : দেখুন, মির্জা আব্বাস দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা। তার রাজনৈতিক জীবনটাই আন্দোলন-সংগ্রামের। দলের জন্য তার অবদানের কথা আমার বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনারা সবই জানেন হামলা, মামলা, জেল, জুলুম সহ্য করেই তার পথ চলা। অন্যদিকে আমার ক্ষুদ্র এই রাজনৈতিক জীবনটাও আন্দোলন-সংগ্রামের প্রাচীরে ঘেরা। দলের মঙ্গলই জাতির মঙ্গল, আমাদের মঙ্গল। এই কমিটমেন্ট থেকেই আমরা রাজনীতি করি। নতুন এই আহ্বায়ক কমিটি করার পর দ্বন্দ্বের বিষয়টি মিডিয়া ফলাও প্রকাশ করলেও আমি মনে করি আমাদের মধ্যে কোনো প্রকার দ্বন্দ্ব বা দূরত্ব নেই। মনে হয়েছে, কতিপয় গণমাধ্যম একটু অতিরিক্তই লিখেছে, যার কোনো ভিত্তি আছে বলে আমি মনে করি না। বিএনপি'র মতো একটি বড় দলে কমিটি দিয়ে সবার মন জয় করা যায় না। কেউ মনোক্ষুণœ হতেই পারেন। কিন্তু দেখতে হবে সময়, বাস্তব পরিস্থিতি। সামান্য দ্বন্দ্বে দল বা জাতির বৃহৎ স্বার্থ বিসর্জন দেয়ার সুযোগ নেই। আমরা মনেপ্রাণে এটিই বিশ্বাস করি। এই কমিটি হওয়ার পর যে সমালোচনা হয়েছে বা হচ্ছে, তা যেকোনো সময়ের চেয়ে ন্যূনতম বলে আমার মনে হয়েছে। আশা করি, কোনো প্রকার ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা নিজ দায়িত্ব বলেই দূর করতে পারব।
সাপ্তাহিক : পরিস্থিতির কথা বলছিলেন। বিশেষ পরিস্থিতিকে উপলক্ষ করে এবং পরিবর্তনের আঙ্গিকেই এই কমিটি? সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কতটুকু প্রস্তুত? 
সোহেল : সামনের পুরো পরিস্থিতিই আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এনজয় করি। সারাদেশের নেতা-কর্মীরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, ঢাকায় একটি বড় ধরনের আন্দোলন হতে পারত। কেন সেই আন্দোলন হবে না, সেটাই আমার চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় হামলা, মামলার শিকার হব, এটাই স্বাভাবিক। রাজনীতির বন্ধুর পথ মাড়াতে খারাপ লাগে না, ভালোই লাগে।
সাপ্তাহিক : চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? 
সোহেল : আওয়ামী লীগ পুরো রাজনীতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছে। গণতন্ত্র হচ্ছে একটি প্রবহমান নদীর মতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার নাম করে এই গণতন্ত্র নামের নদীতে বাঁধ দিয়েছে। কিন্তু প্রবহমান নদীতে কোনো বাঁধই যে টিকতে পারে না, আওয়ামী লীগ তা ভুলে গেছে। এই বাঁধ ভাঙা কঠিন হতেই পারে। কিন্তুু কোনো এক সময় ভাঙবেই। আমি মনে করি, জনগণ আওয়ামী লীগের দেয়া বাঁধ ভাঙার জন্য অপেক্ষমাণ। আমরা যদি চলমান আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের সেই আবেগ-অনুভূতিকে সম্পৃক্ত করতে পারি, তাহলে বাঁধ ভাঙা সময়ের ব্যাপার মাত্র। তখন আর বিশেষ কোনো পরিকল্পনারও প্রয়োজন পড়বে না। জনগণের শক্তিই মূল পরিকল্পনা। এটি উপলব্ধি করার সময় এসেছে। 
অন্যায়ভাবে টিকে থাকা যায় না। আওয়ামী লীগ হয়তো ক্ষমতার স্বাদ নিতে গিয়ে অতীত অভিজ্ঞতার ভুলে ঘুমিয়ে আছে। জনগণই সেই ঘুম ভাঙাবে। কোনো স্বৈরশাসকই স্থায়ীভাবে টিকে থাকতে পারেনি। আওয়ামী লীগও টিকতে পারবে না। ভোটারবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রায় আট মাস হলো ক্ষমতায় আছে। কী তাদের অর্জন। দেশ-বিদেশ থেকে ধিক্কার আর ঘৃণা ছাড়া নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কিছুই পায়নি। আওয়ামী লীগের ভাষায়, বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে অনেক বড় ভুল করেছে বুঝলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ কী লাভ করল। আমি তো মনে করি, ভোটারভীতি এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেই নিজের সর্বনাশ করেছে। আওয়ামী লীগের হিসাব জনগণই মিটিয়ে দেবে। 
সাপ্তাহিক : জনগণের আবেগের কথা বলছেন। সেই আবেগ আপনারা ধারণ করতে প্রস্তুত কি না বা জনগণই আপনাদের আন্দোলনে আস্থা রাখতে পারবে কি না? 
সোহেল : আমি দায়িত্ব নেয়ার এই অল্প সময়ে ঢাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু অনুধাবন করতে পারছি, তাতে জনগণ আমাদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে মনে করি। ঢাকা মহানগর বিএনপি'র সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। এই দুর্বলতা দীর্ঘদিনের। প্রতিটি ওয়ার্ডে নেতা-কর্মীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল। নতুন কমিটির প্রধান কাজই হচ্ছে এই সমন্বয়হীনতা দূর করা।
সাপ্তাহিক : সাংগঠনিক সমন্বয়হীনতাই বিএনপি'র বিপর্যয়ের প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়। এই সমন্বয়হীনতা দীর্ঘদিনের আপনি নিজেও বলছিলেন। কীভাবে মোকাবেলা করছেন? 
সোহেল : আন্তরিকতার সঙ্গে যেকোনো কাজ করতে পারলেই সফলতা আসবে। আমি যদি নেতা-কর্মীদের কাছে পরিষ্কার করতে পারি যে, বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে নয়, আমি দলের জন্য, দেশের জন্য কাজ করছি, তাহলে তারা আমার প্রতি আস্থা রাখবেই। কর্মীদের আস্থা অর্জন করতে পারলেই আন্দোলনে সফলতা আসে। আমি সে দিকেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। 
সাপ্তাহিক : গত নির্বাচনের আগে-পরে সেই জন-আস্থা তৈরি করতে পারেননি। আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তন হয়ত জনপ্রত্যাশাই ছিল। তখন হয়নি, এখন পারবেন কীভাবে?
সোহেল : জন-আস্থা তৈরি করতে পারিনি, আমি তা বলব না। আমরা গত নির্বাচনে ভোটারদের দূরে রাখতে পেরেছিলাম, এটিই আমাদের সফলতা। মানুষ আমাদের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পেরেছে বলেই ভোট কেন্দ্রে যায়নি। শতকরা পাঁচ ভাগ ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দলের জন্য এর চেয়ে আর কী খারাপ পরিণতি থাকতে পারে। 
সাপ্তাহিক : এরপরেও তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, আছে। শুধু ভোট দেয়া থেকে ভোটারদের দূরে সরিয়ে রাখার মধ্যেই সফলতা? 
সোহেল : ৫ জানুয়ারির আগে ঢাকার বাইরে আমরা যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের পর এমন আন্দোলন আর কখনও হয়নি। এটি সর্বজনস্বীকৃত। 
সাপ্তাহিক : কিন্তু ঢাকাকেন্দ্রিক আন্দোলনের ব্যর্থতা তো সব মøান করে দিয়েছে? 
সোহেল : এটি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু আপনাকে বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে হবে। ঢাকার আন্দোলনকে ঠেকানোর জন্য সরকার এমন ন্যক্কারজনক শক্তি প্রয়োগ করেছিল, সা একটি ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারী রাষ্ট্রেও হয় না। আন্দোলনে পুলিশ হিংস্্র হয়ে গুলি চালিয়েছে। এতে করে সরকার আন্দোলন দমিয়ে সাময়িকভাবে টিকে থাকতে পারছে বটে, কিন্তু এ টিকে থাকা শুভবুদ্ধির পরিচয় নয়। আবারও আন্দোলন হবে এবং আওয়ামী লীগকেই তার খেসারত দিতে হবে। গত আন্দোলনে ঢাকায় আমাদের দুর্বলতা ছিল এবং সরকার অতিমাত্রায় নিপীড়ন চালিয়েছে বলে দৃশ্যত সফল হওয়া যায়নি।
সাপ্তাহিক : সরকারের এই অবস্থান বুঝতে পারার মধ্যে আপনাদের কোনো ঘাটতি ছিল কি না? 
সোহেল : ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ এত নিচে নামতে পারবে, তা আমাদের ধারণার মধ্যে ছিল না। জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যেকোনো মূল্যে ভুয়া একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এমন একটি পুরানো গণতান্ত্রিক দল ক্ষমতায় যাবে, তা বিশ্বাস করতে পারিনি। 
সাপ্তাহিক : আপনি আওয়ামী সরকারের স্বৈরাচারী অবস্থানের কথা বলছেন। আজ ২১ আগস্ট আপনার সঙ্গে কথা বলছি। এই দিনে শেখ হাসিনার সমাবেশে হামলা, আপনাদের সরকারের স্বৈরাচারী নীতির প্রতিফলন হয় কি না? 
সোহেল : দেখুন, ২১ আগস্টের ঘটনা এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি ঘৃণ্য অধ্যায়। আমি  কোনোভাবেই এই হত্যাকা- নিয়ে বিতর্কে যেতে পারি না। কারণ শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বিএনপি কোনোই রাজনৈতিক সুবিধা নিতে পারে না। এটি দলের তৃণমূল থেকে শীর্ষ নেতারাও মনে করেন। আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং জড়িতদের সঠিক বিচার হোক। 
সাপ্তাহিক : ২১ আগস্ট অনেকগুলো ঘটনার ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত স্টেইজ। আওয়ামী লীগ নেতা মমতাজ, আহসান উল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়া হত্যাকা-ের কোনোটিরই তদন্ত-বিচার করেনি বিএনপি...
সোহেল : ২১ আগস্টের ঘটনা জাতির জন্য কোনোভাইে কাম্য নয়। আমরা ঘটনা জানতে পেরে হতবাক হয়ে যাই। ওই ঘটনার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। তাকে সময় দেয়া হয়নি। শেখ হাসিনা তদন্তকাজে সহযোগিতা করেননি। এটিও আমাদের জন্য দুঃখজনক। তদন্ত-বিচারে আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি ছিল না বরং আওয়ামী লীগই নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। শুধু ২১ আগস্ট নয়, আমরা যেকোনো হত্যাকাণ্ডেরই নিন্দা জানাই। কিন্তু এমন হত্যাকা-ের ধারাবাহিকতা আমরা আগে থেকেই লক্ষ করে আসছি। উদীচীর সমাবেশে হামলা, রমনার বটমূলে হামলা তো আওয়ামী লীগের সময়েই হয়েছে। সুতরাং হত্যাকা- শুধু বিএনপি'র সময়েই হয়, এটি বলার মধ্যে কোনো স্বচ্ছতা থাকে না। 
সাপ্তাহিক : ২১ আগস্টের হত্যাকা-ের বিচার চলছে। এখন কী বলবেন? 
সোহেল : এখন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মধ্য থেকে বিচারকার্য চলছে। একে কোনোভাবেই বিচার বলা যায় না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই তদন্ত করা হচ্ছে, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সুরেই কথা বলছেন। বিচারের আগেই প্রধানমন্ত্রী অমুক অমুক খুনি বলে অস্থির। তার এমন বক্তব্য নিঃসন্দেহে বিচারকার্যে প্রভাব ফেলবে। তারেক রহমানের মতো নেতাকে এই মামলায় জড়ানো হচ্ছে। এটি পুরো জাতির জন্য হতাশাজনক। তারেক রহমান শেখ হাসিনাকে হত্যা করে রাজনীতিতে সুবিধা পাবেন, এটি পাগলও বিশ্বাস করে না। আমরা মনে করি, শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদেরই নৈতিক দায়িত্ব। কারণ শেখ হাসিনার একটি কথাতেই আমাদের অনেক ভোট বৃদ্ধি পায়। শেখ হাসিনা নিজেই বিএনপি'র ভোট ব্যাংক। তিনি বিএনপি'র জন্য অ্যাসেট। প্রয়োজনে আমরা শেখ হাসিনার নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। আমাদের স্বার্থেই তাকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার। 
সাপ্তাহিক : ঈদের আগে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিলেন। বিক্ষোভ মিছিল করলেন গাজা ইস্যু নিয়ে। কেন এই দৈন্য? 
সোহেল : নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলমান। আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। চলমান আন্দোলনে যদি আরও প্রসঙ্গ এসে যায়, যেকোনো গণতান্ত্রিক দলের উচিত সে ব্যাপারে কথা বলা। ইসরায়েলি বর্বরতায় ফিলিস্তিনের শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে। ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে একটি মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান পরিষ্কার নয়। আমরা তীব্র ঘৃণার সঙ্গে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। এ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল খুবই যুক্তিসঙ্গত। একইভাবে সরকারের সম্প্রচার নীতিমালার প্রতিবাদ করছি। দেখুন, আজকের গণমাধ্যমের যে বিকাশ তা একদিনে হয়নি। গণমাধ্যমকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে এই অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একটি অবৈধ সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে, আর আমরা চুপ করে বসে থাকব, তা হতে পারে না। '৭২-এর পর আওয়ামী লীগ বাকশাল গঠনের নামে যেমন একদলীয়, স্বৈরশাসন জারি করেছিল, এখনও তা-ই করা হচ্ছে। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আর সরকার বাংলাদেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটি কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। 
সাপ্তাহিক : আপনারা শুরু থেকেই এই সরকারকে অবৈধ সরকার বলছেন। সরকার পতনের আন্দোলনে না গিয়ে গাজা ইস্যু, সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে কথা বলে হালে পানি পাবেন? 
সোহেল : আমরা তো আন্দোলন করেই যাচ্ছি। এর মধ্যে এই দুটি ইস্যু সামনে এসেছে বলে মাঠে নামতে হয়েছে। আমি মনে করি না, এই ইস্যু মূল আন্দোলনের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক অবস্থা সৃষ্টি করে। বরং আন্দোলনকে আরও ত্বরান্বিত করে। 
সাপ্তাহিক : এমন অবস্থান বিশেষ কৌশল কি না? 
সোহেল : না। রাজনৈতিক দল যা করবে, তার সবই কৌশল নয়। এগুলো নিয়মিত আন্দোলনের অংশ বলে মনে করি। সময় হলেই সরকার পতনের আন্দোলন চাঙ্গা হবে। 
সাপ্তাহিক : সেই আন্দোলনের কথা সময় ধরে বলা যায়? 
সোহেল : আন্দোলন টাইম লাইন (সময়সীমা) ধরে হয় না। সময়ই সব বলে দেবে। সময় ধরে কথা বললেও সমস্যা, আবার না বললেও সমস্যা। আমরা চাই সরকারের শুভবুদ্ধির উদায় হোক। তা না হলে একটি গণমানুষের সরকার প্রতিষ্ঠায় যা করবার তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। 
সাপ্তাহিক : নির্বাচনের আগে আন্দোলনে সহিংসতা প্রাধান্য পায়। সামনের আন্দোলন আবারও সে দিকে যাবে কি না? 
সোহেল : আমরা জনগণের প্রাণের দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। আমরা জ্বালাও-পোড়ানোর আন্দোলনে বিশ্বাস করি না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে জনগণকে আমরা বিচ্ছিন্ন করতে পেরেছি, এটিই সফলতা। সকল অশান্তির পেছনে কাজ করেছে সরকার। জনগণই অশান্তি দূর করতে বদ্ধপরিকর। 
সাপ্তাহিক : জনগণকে কাছে পেতে সাংগঠনিক ভিত্তির প্রয়োজন। কিন্তু সারা দেশেই তো আপনাদের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়ার অবস্থা? 
সোহেল : সংগঠনের মধ্যে কিছু কিছু সমস্যা আছে, আমি তা অস্বীকার করছি না। একটি বড় দলে এমন টানাপড়েন থাকবে, এটিই স্বাভাবিক। সাংগঠনিক দুবর্লতা থাকার পরও সারা দেশে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল এর জন্য গোটা দেশবাসীকে সাধুবাদ জানাই। মানুষ ছোটখাটো সমস্যা ভুলে গিয়ে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছিল। একটি স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বন্দুকের ওপর নির্ভর করলে তখন কিইবা করার থাকে। সরকারের নির্মমতা আমাদের হতবাক করেছে। একটি সভ্য সমাজের মানুষ কোনোভাবেই এমন আচরণ প্রত্যাশা করতে পারে না। ক্ষমতায় থাকার জন্য যদি সরকার সকল বিধিব্যবস্থাই গ্রহণ করে তাহলে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য আমাদেরও সে পথে হাঁটতে হবে। সরকার পতনের আন্দোলনে এবার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যয় করা হবে। 
সাপ্তাহিক : ছাত্রদল-সেচ্ছাসেবক দলের নেতৃত্বে ছিলেন, আছেন। আন্দোলনের জন্য এ সংগঠনগুলোর ওপরেই অধিক নির্ভর করতে হয়। কিন্তু ব্যর্থতা এখানেও। এ ব্যাপারে কী বলবেন? 
সোহেল : ষাটের দশকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং আশির দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলো একটি কমন টার্গেট সামনে রেখে। '৯০-এর পর সেই কমন টার্গেট ছিল না। মূল সংগঠনের হয়ে কাজ করতেই ছাত্র সংগঠনগুলো অভ্যস্ত। এ কারণে প্রত্যাশা থাকলেও ছাত্ররা একই প্লাটফর্মে এসে দাঁড়াতে পারেনি। আমি মনে করি, এখন সময় এসেছে একটি কমন পয়েন্টকে কেন্দ্র পথ চলার। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে এক কাতারে আসার এখনই মোক্ষম সময়। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সেই জায়গা থেকে নেতৃত্ব দেবে বলে আশা করছি। সকল প্রকার দ্বিধা দূর করে দেশের বৃহৎ স্বার্থে ছাত্রঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। 
সাপ্তাহিক : সরকারের সঙ্গে জামায়াতের আঁতাত হচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার কোনো পর্যবেক্ষণ আছে কি না? 
সোহেল : সরকারের সঙ্গে জামায়াতের আঁতাতের বিষয়টি পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পাচ্ছে। আমরা জামায়াতের রাজনীতি করি না এবং জামায়াতও আমাদের রাজনীতি করে না। রাজনীতির মাঠে উভয়েরই একটি কৌশলগত জোট রয়েছে। জামায়াতের কৌশল জামায়াতই ঠিক করে থাকে। তবে আমি মনে করি না যে, জামায়াত সরকারের পাতানো ফাঁদে পা দেবে। কারণ আওয়ামী লীগ কারোরই বন্ধু হতে পারে না। আমরা একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে নৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলছি, জামায়াতও তার অংশীদার। জামায়াত সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন হবে, এটি মনে করার কোনো কারণ নেই। 
সাপ্তাহিক : মামলার পাশাপাশি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হলেন। মামলা-গ্রেপ্তার নিয়ে কী বলবেন? 
সোহেল : মামলা, জেল, জুলুম এনজয় (উপভোগ) করি। আওয়ামী লীগের বিগত সময়েও এমন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে, এখনও তা-ই করছে। রাজনীতির পথ বন্ধুর। সরল রৈখিক পথে রাজনীতি হয় না। এটি জেনেই তো এ পথে এসেছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আনন্দটাই আলাদা। 
সাপ্তাহিক : আগামীর পথচলায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কী বলবেন? 
সোহেল : আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কথা বলে নাগরিকের মৌলিক অধিকার হরণ করছে। দেশ ক্রমশই পিছনের দিকে যাচ্ছে। সম্প্রচার নীতিমালা, বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ সাম্প্রতিক অশুভ ইঙ্গিত। যারা সত্যে বিশ্বাসী, যারা সত্য বলে আসছেন তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলেছে সরকার। আওয়ামী লীগ হচ্ছে, 'গণতান্ত্রিক মাঠে মেষ বেশে নেকড়ের মতো (A wolf in sheep's clothing)।' গণতন্ত্রের মুখোশ পরে আওয়াম লীগ স্বৈরতন্ত্রের সবই প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, এটি মনে করা আর 'বিষধর সাপের সঙ্গে অন্ধকারে রাত কাটানো সমান।' আওয়ামী লীগের ছোবল থেকে গণতন্ত্রকে, দেশকে রক্ষা করতে না পারলে জাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে। এই বিপর্যয়ের কথা নেতা-কর্মীরা ইতোমধ্যেই উপলব্ধি করতে পেরেছেন বলে বিশ্বাস করি। আর এই উপলব্ধি থেকেই তারা আন্দোলনের ডাকে জাগবেন, সাড়া দেবেন

http://www.shaptahik.com/v2/?DetailsId=9487

 Also read:

An apology to Shamim Osman? Mahfuz Anam

Thursday, June 05, 2014

Guess, who is making holes in the bottom of Awami Boat ?

ওসমানদের 'পাশে' থাকবেন শেখ হাসিনা


আজকের প্রশ্ন : রাজনীতি করতে এসে অপরাধ করেনি এমন কেউ নেই। প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যের সঙ্গে আপনি কি একমত?
 হ্যাঁ   না   মন্তব্য নেই
- See more at: http://www.thedailysangbad.com/index.php?ref=MjBfMDZfMDRfMTRfMV8xNF8xXzE2MzkyNA==#sthash.4CuFLTwj.dpuf
সংসদে প্রধানমন্ত্রী : রাজনীতি করতে এসে অপরাধ করেনি এমন কেউ নেই
Note:আমরা যতদিন থাকবো বঙ্গবন্ধুর আদর্শেই রাজনীতি করবো:

এক সময় আওয়ামী লীগ করলেও পরে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্য ছিলেন নাসিম ওসমান 
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্রর জন্য সংগ্রহ করেছেন নেতা প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের ভাই সেলিম ওসমান।
[Is this how the Osman family 
maintains  বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি ?]


  • প্রথম আলো আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ব্যস্ত' : শামীম ওসমান

প্রথম আলোকে এক হাত নিলেন শামীম ওসমান!

আইনজীবীকে হত্যায় অনুতপ্ত র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা

নারায়ণগঞ্জে সাত খুন
Tue, 03 Jun, 2014 07:24 PM
29
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বাংলামেইল ২৪ডটকম







__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___