Banner Advertiser

Friday, August 8, 2014

[mukto-mona] বিভীষণদের বিষয়ে সতর্কতা অপরিহার্য - ওয়াহিদ নবি



শনিবার, ৯ আগষ্ট ২০১৪, ২৫ শ্রাবণ ১৪২১

বিভীষণদের বিষয়ে সতর্কতা অপরিহার্য
ওয়াহিদ নবি
সাধারণ মানুষের কাছে বিভীষণ ঘরের শত্রু বলে পরিচিত। আমরা তাকে সেই হিসেবেই দেখব। শাস্ত্র যা বলে তা জটিল। তবু শাস্ত্রের কথা একেবারে উড়িয়ে না দিয়ে একটু বুঝবার চেষ্টা করা ভাল। রাবণের ভাই বিভীষণ রাবণকে উপদেশ দিয়েছিল সীতাকে রামের কাছে ফিরিয়ে দিতে। রাবণ তার কথা না শোনায় সে রামের পক্ষ নেয়। সে রাবণের অনেক গোপন তথ্য রামকে জানিয়ে দেয় যা রামকে সাহায্য করে যুদ্ধে জিততে। শাস্ত্রে রাম ন্যায়ের প্রতীক আর রাবণ অন্যায়ের প্রতীক । বিভীষণ রামের পক্ষ নেয়ায় শাস্ত্র অনুযায়ী সে ন্যায়ের পক্ষে। কিন্তু ইতিহাস তাকে ঘরের শত্রু হিসেবেই দেখছে। সাধারণ মানুষের চোখে সে বিশ্বাসঘাতক। দীর্ঘ নিদ্রার জন্য পরিচিত কুম্ভকর্ণ রাবণকে উপদেশ দিয়েছিলেন যা রাবণ শুনেননি। যার ফলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন; কিন্তু নিজের আত্মীয়দের ছেড়ে তিনি রামের পক্ষ নেননি। এ জন্য শাস্ত্র তাকে নিন্দা করেনি। বিভীষণ আর কুম্ভকর্ণ দুজনেই ন্যায়ের পক্ষে বিপরীত কাজ করা সত্ত্বেও আমরা শাস্ত্রের এসব জটিলতার মধ্যে যাব না। আমরা নিজের মানুষদের ক্ষতি করাকে মন্দ কাজ বলে মনে করব হোক না তা তথাকথিত ন্যায়ের জন্য। ইতিহাসের রায় বিভীষণ বিশ্বাসঘাতক। আমরাও তাই বিশ্বাস করি। মত ও পথ নিয়ে নিজের মানুষদের সঙ্গে মতানৈক্য হতে পারে। নিজের মতকে জয়যুক্ত করবার জন্য আপনজনদের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। শত্রুর পক্ষ অবলম্বন কিন্তু যে কোন অবস্থাতেই বিশ্বাসঘাতকতা। শত্রুর উপকার হচ্ছে এমন কাজ জেনেশুনে নিজেদের মধ্যে করা বিভীষণের কাজের মতই। 
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের কথা ভাবলে এসব কথা মনে পড়ে। গত ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি প্রধান দল। এদের ইতিহাসের দিকে তাকানো যাক। আওয়ামী লীগের জন্ম পাকিস্তানের জন্মেরও কিছুদিন পরে। ধর্মের নাম করে পাকিস্তানের কর্তারা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। প্রগতিমনা একদল মানুষ তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে অসীম সাহসে। পতন অভ্যুত্থানের বন্ধুর পথে চলে এদের অগ্রযাত্রা। প্রথমে আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরে অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শে আওয়ামী লীগ। ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৫৪'র নির্বাচন, ৯২-ক ধারা, এক ইউনিট, এক দশকব্যাপী সামরিক শাসন, শিক্ষা আন্দোলন, সামরিক শাসনবিরোধী গণঅভ্যুত্থান, '৭১-এর স্বাধীনতার সংগ্রাম ইত্যাদি দেশের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকা-ে অগ্রণী ও সংগ্রামী ভূমিকা গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ। 
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে অর্থাৎ একটি বিধ্বস্তপ্রায় দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব অর্পিত হয় আওয়ামী লীগের হাতে। এই সময়ের ইতিহাসের চুলচেরা বিশ্লেষণ প্রয়োজন। কারণ এই বিশ্লেষণ আমাদের দেখিয়ে দেবে '৭৫-এর কারণ। দেখিয়ে দেবে ১৫ আগস্টের নৃশংসতার নায়কদের চরিত্র। আমরা বুঝতে পারব কেন দেড় দশক ধরে সামরিক শাসন চলেছিল। আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে কেন সামরিক নেতা গঠিত দলের উত্তরাধিকারীরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের উত্তরাধিকারীদের প্রায় সমান শক্তিশালী। ভুল বুঝলে চলবে না শক্তিশালী কথাটার । দুটি দল প্রায় সমান সমান ভোট পায়। 
বিজ্ঞজনরা প্রাসঙ্গিক অনেক কিছু আলোচনা করেছেন যেগুলো মূল্যবান। কিন্তু যে বিষয়টি যথেষ্ট আলোচিত হয়নি তা হচ্ছে আওয়ামী লীগের এবং সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তির নিজেদের সমস্যা এবং দুর্বলতা। সহস্র মানুষের বিশাল ত্যাগের কথা বিবেচনা করেই হয়ত এই তিক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেননি। কিন্তু আজ মনে হয় এসব বিষয়ে আলোচনা অপরিহার্য ও জরুরী হয়ে পড়েছে। এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় যে যারা খুনী পাকিস্তানীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজ দেশবাসীকে হত্যা করেছিল ধর্মকে অজুহাত করে এবং লম্পটদের হাতে তুলে দিয়েছিল নিজ দেশের মুসলিম নারীদের তাদের গাড়িতে শোভা পেয়েছিল জাতীয় পতাকা। ওদের কথা আমরা অনেক বলেছি এবং আরও বলব। কিন্তু নিজেদের কথাও বলতে হবে। কারণ আমাদের রাজনীতিতে যা চলছে তা চলতে পারে না। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে স্বাধীনতার পক্ষেরই একদল মানুষ অন্যায় পথে অর্থ উপার্জন করতে উঠেপড়ে লেগে যায়। নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে তারা প্রশাসনকে অকেজো করে দেয়। যারা জীবনবাজি ধরে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেসব নওজোয়ানের অনেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে মেতে ওঠে। এদের মধ্যে সময়মতো শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়নি। ফল হয়েছিল ভয়াবহ। এদের কিছু শাস্তি না দেখে আরও অনেকে একই পথে পা বাড়াল। অনেকে প্রশ্ন করবেন এসব পুরনো কাঁসুন্দি ঘাঁটা হচ্ছে কেন। একটু চিন্তা করলেই কারণটা সবাই বুঝতে পারবেন। কারণ হচ্ছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি কাম্য নয়। প্রশাসনের ওপর দলীয় রাজনীতির প্রভাব কাম্য নয়। এসব ঘটেছিল বলেই ষড়যন্ত্রকারীরা ১৫ আগস্ট ঘটাতে পেরেছিল। 
দলের সামান্য সংখ্যক লোকের জন্য যেন দলের ক্ষতি না হয় সেদিকে দলীয় নেতৃত্বকে সজাগ ও কঠোর দৃষ্টি রাখতে হবে। অনেক বিষয় জনগণ পছন্দ করে না। এর একটি হচ্ছে দুর্নীতি। দলের কেউ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে দল যেন তাকে সমর্থন না করে। দলের জন্য হয়ত তার বড় অবদান রয়েছে। কিন্তু সেজন্য তাকে পুরস্কৃত করতে হবে অন্যভাবে, আইন ভঙ্গ করবার ব্যাপারে তাকে সমর্থন করে নয়। আর একটা জিনিস জনগণ ভীষণভাবে অপছন্দ করে আর তা হচ্ছে দলীয় ব্যক্তিদের দৈহিক বলপ্রয়োগ। হয়ত ক্ষমতায় থাকার সময় বিরোধী দলের কেউ তার ওপর অন্যায়ভাবে বলপ্রয়োগ করেছিল। তার মানে এই নয় যে, তার দল ক্ষমতায় এলে দল তাকে প্রতিশোধ গ্রহণের সুযোগ করে দেবে। যদি কেউ এমন কাজ করে তবে আইন ভঙ্গের জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে। সাধারণভাবে কিছু কিছু অভ্যেস আছে যেগুলোকে জাতীয় অভ্যেস বললে বেশি বলা হবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী যে কাজ করানোর জন্য আমার দ্বারা নিন্দিত হয়েছিল, সে কাজ আমি যেন না করি। সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে একই খারাপ কাজ করে সেজন্য অজুহাত খাড়া করা। যে পরিস্থিতিগুলোর আমরা উল্লেখ করলাম সেগুলোর উদাহরণ খুঁজে পেতে কারও কষ্ট হবার কথা নয়। তাই সেগুলোর উল্লেখ করা হলো না । বিএনপির কাউকে জিজ্ঞেস করলে বলতে পারে না তাদের কোন ইতিবাচক অবদানের কথা। বলতে পারে না কোন গঠনমূলক কর্মপরিকল্পনার কথাও। তার পরও তারা প্রতিদ্বন্দ্বী।

লেখক : রয়্যাল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টের ফেলো
প্রকাশ:  শনিবার, ৯ আগষ্ট ২০১৪, ২৫ শ্রাবণ ১৪২১


আমাদের আত্মবিশ্লেষণ প্রয়োজন - ওয়াহিদ নবি

প্রকাশ: বুধবার, ২ জুলাই ২০১৪, ১৮ আষাঢ় ১৪২১
ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয় - ওয়াহিদ নবি
প্রকাশ: শনিবার, ১৯ জুলাই ২০১৪, ৪ শ্রাবণ ১৪২১
চেতনায় ভাস্বর ৭ মার্চ
ওয়াহিদ নবি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ

০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৪০ |

 


মনে রাখবা, ''রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ''।
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম''।
জয় বাংলা। 

http://www.somewhereinblog.net/blog/bahar007blog/28920766
শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০১৪, ২৩ ফাল্গুন ১৪২০
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ॥ নতুন দেশের অভ্যুদয়বার্তা
মোঃ মুজিবুর রহমান

প্রকাশ : শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০১৪, ২৩ ফাল্গুন ১৪২০

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ


ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

SHONO EKTI MUJIBORER THEKE.....SONG. :

শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি 
প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণি-বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।
সেই সবুজের বুক চেরা মেঠো পথে,

আবার এসে ফিরে যাবো আমার
হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাবো।
শিল্পে কাব্যে কোথায় আছে হায় রে
এমন সোনার দেশ।
বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ,
জীবনানন্দের রূপসী বাংলা
রূপের যে তার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ।
'জয় বাংলা' বলতে মনরে আমার এখন কেন ভাবো,
আমার হারানো বাংলাকে আবার তো ফিরে পাবো,
অন্ধকারে পুবাকাশে উঠবে আবার দিনমণি।।


7th March, 1971 Speech of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman:



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___