Banner Advertiser

Saturday, August 16, 2014

[mukto-mona] সাক্ষাৎকারই প্রমাণ করে জিয়া খুনি : শোক দিবসের আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা



Killer Faruk Rashid Interview:



The killer duo Rashid and Farook tells Anthony Mascarenhas in an interview why they killed Mujib and the role of Zia and Mustaq and how they featured in their plan. The interview was taken in 1976 in London

 
শোক দিবসের আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা
সাক্ষাৎকারই প্রমাণ করে জিয়া খুনি
নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে শনিবার আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - পিএমও

জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি দাবি করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুনি ফারুক-রশিদের বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রমাণ হয় জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি। তিনি বলেন, খুনি ফারুক-রশিদ সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুকে সরাতে হলে খুন করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো গত্যন্তর ছিল না। তারা জিয়াউর রহমানের কাছে সমর্থন চাইলে তিনি নীরব সম্মতি দেন, সহায়তার ইঙ্গিত করেন। তাদের এই সাক্ষৎকারই প্রমাণ করে, বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জিয়াও জড়িত ছিলেন। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ওপরে আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে মাথা নত করি না। আর ভয়-ভীতি আমার নেই। যেখানে এক নিমিষে পরিবারের সবাকে খুইয়েছি, সেখানে আমার আর হারানোর কিছু নেই। যেখানে লাখ লাখ শহীদ দেশের জন্য জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, সেখানে আমার জীবনের কী মূল্য! যতদিন বেঁচে আছি, মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব।


শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বাবা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নির্মম হত্যাকান্ড ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বার বার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, যে নেতা সারা জীবন এদেশের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করে গেছেন, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতিকে বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছে-'৭৫-এর ১৫ আগস্ট সেই নেতাকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বিজয়ী বাঙালি জাতির ললাটে কলঙ্কতিলক এঁটে দিয়েছিল খুনিরা। বিজয়ী জাতিকে খুনির জাতি হিসেবে পরিচিত করেছিল।


বঙ্গবন্ধুকে হত্যা কোনো ব্যক্তিবিশেষকে হত্যা নয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, স্বাধীনতা চায়নি-তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। স্বাধীনতার সুফল যেন এদেশের মানুষ না পায় সেজন্যই তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নাম তারা মুছে ফেলতে চেয়েছিল। রেডিও-টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর নাম ও জয় বাংলাকে নিষিদ্ধ করেছিল। ইতিহাস বিকৃত করেছিল। কিন্তু তারা এদেশের মানুষের মন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারেনি। তিনি জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য আমি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে পেরেছি। ইতিহাস তার নিজ গতিতে চলে। যারা ইতিহাস বিকৃত করতে চায়, ইতিহাসই তাদের শাস্তি দেয়। মানুষ আজ ইতিহাস বিকৃতিকারীদের পদে পদে টের পাচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাত্র ১৫ দিন আগে আমরা দেশ ছেড়ে গিয়েছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা সেদিন বাংলার মাটি ছেড়ে গিয়েছিলাম। এরপর এসেছি ১৯৮১ সালে। জিয়াউর রহমান আমাদের দুই বোনকে দেশে ফিরতে দেননি। তিনি বলেন, আমি সুযোগ পেয়েছি এ দেশের মানুষের জন্য কিছু করার। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই। এসময় তিনি আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, মরেও যাতে বাবাকে গিয়ে বলতে পারি, যে মানুষকে আপনি এত ভালোবেসেছিলেন, সেই মানুষের জন্য কিছু একটা করে আসতে পেরেছি।


বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধির কর্মকান্ডের সমালোচনা করে বলেন, শত বাধা-বিপত্তি ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে রয়েছে-এটা দেশের কিছু মানুষের ভালো লাগে না। কারণ তাদের অপরের দাসত্ব আর তোষামোদি করাই প্রধান কাজ। এরা দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে না। যাদের পরের দাসত্ব করার অভ্যাস, তাদের কোনোকিছুই ভালো লাগবে না-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যতই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করা হোক না কেন, বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে পিছপা হব না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। কেউ-ই তা রুখতে পারবে না।


একই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্র করে জিয়া সেনাপ্রধান হন, রাষ্ট্রপতি হন এবং খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হন। খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ১৫ আগস্টে কেক কাটার মধ্য দিয়ে আপনি (খালেদা জিয়া) আপনার বাবা-মাকে ছোট করছেন। এভাবে কেক কেটে নিজের পরিবারের চরিত্র হনন করবেন না।


তোফায়েল আহমেদ বলেন, যারা ১৫ আগস্টের দিন কেক কেটে উল্লাস করে তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী ড্যান ডব্লিউ মজিনার নাম উল্লেখ না করে তার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, একজন সাবেক রাষ্ট্রদূত নানা কথা বলেছেন। মনে রাখবেন, বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, চোখ রাঙানোর দিন শেষ। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, শোক পালন করতে না পারেন চুপ করে থাকবেন, মিথ্যা জন্মদিন পালনের নামে উল্লাস করা যাবে না। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের লেখার সমালোচনা করে বলেন, দেশে কিছু মানুষ আছে তারা কে কী দোকান খুলে কী বলছে তা বুঝি না। অনেকটাই বস্ত্রালয়ে আটা বিক্রির মতো। মানবাধিকার সংস্থার নেতারা পদ্মা সেতুর কথা বলেন, আবার নির্বাচন নিয়ে যাদের কাজ তারা কথা বলেন রাস্তাঘাট নিয়ে। দেশের সুশীল সমাজের যদি এমন অবস্থা হয় তবে দেশের কী হবে? দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, দলের মধ্যে অনেকে আছেন যারা সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করেন। এরা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী নয়, দুর্বল করতে চায়। শোক দিবসে অমুক-তমুকের নামে বানানো ব্যানার-ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধুকে দেখা যায় না, তাদের ছবিই যেন মুখ্য। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অতীতে এমনটি ছিল না। নিজেদের পরিশুদ্ধ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা, বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু রয়েছে তার আদর্শ ও মহান ত্যাগের অমূল্য ইতিহাস। তাই আমাদের প্রতিদিনের কর্মকান্ডে বঙ্গবন্ধুকে বড়ই প্রয়োজন, তার আদর্শ নিয়েই সবাইকে দেশের অগ্রযাত্রায় সামিল হতে হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাহারা খাতুন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এমএ আজিজ প্রমুখ। ড. হাছান মাহমুদ ও অসীম কুমার উকিলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় কবিতা আবৃত্তি করেন কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

- See more at: http://www.alokitobangladesh.com/first-page/2014/08/17/91011#sthash.8IleLLS4.dpuf
Also read:

Bangabandhu Killing:Zia passively involved


Lifschultz tells HC, submits written statement on Taher killing



ফিরে দেখা পঁচাত্তর: মুজিব হত্যা, খুনি মেজররা ও আমাদের দ্বিচারিতা

সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrabo3@dhaka.net




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___