Banner Advertiser

Tuesday, August 12, 2014

[mukto-mona] বিদেশে শিকড় গেড়েছে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা



বিদেশে শিকড় গেড়েছে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা

শাহাব উদ্দিন সাগর

13 Aug, 2014

বছর যতই গড়াচ্ছে ততই বিদেশের মাটিতে শক্ত শিকড় গেড়ে বসে যাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিরা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত খুনি রাশেদ চৌধুরী ও কানাডায় থাকা নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে গেল কয়েক বছর ধরে দেন দরবার চললেও তা পত্রবিনিময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির দাবি করা হলেও ওই দুই জনকে ফিরিয়ে আনতে না পারার কারণে উদ্যোগ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ দু'জনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে। তাদের মধ্যে লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী এখন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করছেন এবং কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া কিছুদিন জার্মানিতে লুকিয়ে থাকার পর লে. কর্নেল নূর চৌধুরী এখন রয়েছেন কানাডায়। ক্যাপ্টেন মাজেদ ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন ভারতে আত্মগোপন করে আছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তবে ভারতের সঙ্গে ইতিমধ্যে বহিঃসমর্পণ চুক্তি সই হওয়ায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। সাবেক এক কূটনীতিক বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনপরবর্তী সরকারের সঙ্গে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক কিছুটা অবনতি হয়েছে এটি সত্য। তাই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখায় কি-না সেটি প্রশ্নসাপেক্ষ। তারপরও জনগণের দাবি ও নির্বাচনী ইশতেহার পূরণে সরকার এটি বাস্তবায়ন করবে বলে মনে করেন ওই কূটনীতিক। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ খুন হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর পর ৩ নভেম্বর খুনিরা প্রথমে ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যান। সেখান থেকে তারা করাচি হয়ে পিআইএর একটি বিশেষ ফ্লাইটে লিবিয়ার ত্রিপোলিতে অবস্থান নেন। পরে তাদের মধ্যে ১২ জন জিয়াউর রহমান এবং এইচএম এরশাদ শাসনামলে বিভিন্ন মিশনে নিয়োগ ও পদোন্নতি পান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এরশাদের আমলে ফারুক, রশিদ ও হুদা ঢাকায় রাজনীতি করার সুযোগ পান। ১৯৯১-৯৬ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলেও কেউ কেউ চাকরিতে বহাল ছিলেন এবং তারা রাজনীতিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পান। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ছয়জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। 

একাধিক সূত্র জানায়, শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ খুনি এখনো বিদেশে পালিয়ে আছেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রাশেদ চৌধুরী ও কানাডা থেকে নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার দেন-দরবার শুরু করলেও তাতে কার্যকর কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, আবদুল মজিদ ও মোসলেহ উদ্দিনের ব্যাপারে কোনো তথ্যই নেই সরকারের কাছে। তাদের শনাক্ত করতে সরকার ইতিমধ্যে একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করলেও তার কার্যক্রম অনেকটাই কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। 

সূত্র মতে, বিদেশে পলাতক অবস্থায় মারা গেছেন আরেক আসামি আজিজ পাশা। আর পাঁচ কারাবন্দি থাকা আসামি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মুহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি), বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন আহমেদের (ল্যানসার) মৃত্যুদণ্ড ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর করা হয়।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এরই মধ্যে কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশন ঢাকাকে বলেছে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলোপ হওয়ায় কেউ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হলে তাকে তার দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে উত্তর আমেরিকার ওই দেশটির অনীহা আছে। ফলে নূর চৌধুরীকে ফেরতের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। 

তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শিগগিরই রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে গণমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে অন্যদের খুঁজে বের করতে গঠিত টাস্কফোর্স শক্তিশালী করতেও এর পরিধি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি। 

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতাগ্রহণের পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরতের দাবিটি আরো জোরালো হয়। সরকারও চেষ্টা করছে তাদের ফিরিয়ে আনতে। তবে তাদের সে প্রচেষ্টা কতটুকু সফল হবে তা নির্ভর করছে বিদেশি লবিস্ট, সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দক্ষতার ওপর। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, গেল সরকার সময়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও লিবিয়ার কাছে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়। এছাড়া ওই দেশগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকে খুনিদের ফেরত আনার বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছিল।

সূত্র মতে, ৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত সাত খুনির মধ্যে লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন কোনো দূতাবাসে চাকরি নেননি। অন্য পাঁচজন অর্থাৎ লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী, লে. কর্নেল এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ ও লে. কর্নেল আবদুল আজিজ পাশা প্রত্যেকেই একাধিক বাংলাদেশ মিশনে কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে জিম্বাবুয়েতে ২০০২ সালে মারা যান আজিজ পাশা।

সূত্র বলছে, আসামিদের মধ্যে লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম হংকং, চীন ও কেনিয়া; বজলুল হুদা পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড; আবদুল আজিজ পাশা আলজেরিয়া ও জিম্বাবুয়ে; এএম রাশেদ চৌধুরী জাপান ও সৌদি আরব এবং এসএইচএমবি নূর চৌধুরী পাকিস্তানে কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় খুনিদের কোন প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে ফেরত আনা হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আইনি কাঠামো না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিযুক্ত মেজর মহিউদ্দিনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর বাংলাদেশের অনুরোধে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। কাজেই চুক্তি না থাকাটা আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে বড় বাধা নয়। কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা হতে পারে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

পলাতক বাকি চার খুনি কে কোথায় অবস্থান করছেন এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ও আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তারা লিবিয়া ও পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ অবস্থান করেন মূলত লিবিয়ার বেনগাজি শহর ও পাকিস্তানে। লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিমের ব্যবসাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড কেনিয়াকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হলেও তিনি মাঝেমধ্যে লিবিয়া ও পাকিস্তানে আসা যাওয়া করেন বলে ধারণা করা হয়।

এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তত্ম চৌধুরী মাঈনুদ্দীনের ফেরত দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, আলোচনাসাপেক্ষে যে কোনো আসামিকে ফেরত দিতে পারে যে কোনো দেশ। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় বন্দিবিনিময় চুক্তিও লাগে না। ফলে এখন ঢাকা-লন্ডনের আলোচনার ওপরই নির্ভর করবে চৌধুরী মাঈনুদ্দীনের ফেরতের বিষয়টি।

ঢাকার কূটনীতিকরা বলছেন, রায় এবং সরকারের বক্তব্যের পর পরই যুক্তরাজ্যের বিবৃতি স্পষ্ট করেছে মাঈনুদ্দীনকে ফিরে পাওয়া যাবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কূটনীতিক বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এমনিতে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সরকারের সম্পর্কে কিছুটা ভাটার টান পরিলক্ষিত হচ্ছে। এছাড়া সাম্প্রতিক ঘটনায় যুক্তরাজ্যের উদ্বেগও অব্যাহত রেখেছে। এ প্রেক্ষাপটে মাঈনুদ্দীনকে ফেরত চাইতে গেলে এ নিয়ে অনেক দেন-দরবার হতে পারে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাঈনুদ্দীন পালিয়ে পাকিস্তান চলে যান। সেখান থেকে যান যুক্তরাজ্যে। লন্ডনে জামায়াতের সংগঠন দাওয়াতুল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লন্ডনভিত্তিক সাপ্তাহিক দাওয়াতের বিশেষ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।

বুদ্ধিজীবী হত্যায় প্রমাণিত চৌধুরী মাঈনুদ্দীন বর্তমানে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের একজন পরিচালক, মুসলিম এইডের ট্রাস্টি এবং টটেনহ্যাম মসজিদ পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।

এদিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আশরাফুজ্জামান বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পালিয়ে কিছুদিন রেডিও পাকিস্তানে কাজ করে পরে সেখান থেকে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। বর্তমানে আশরাফুজ্জামান খানের ঠিকানা নিউইয়র্কের জ্যামাইকা। ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আশরাফুজ্জামান। আর মাঝপথে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আরো এক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাচ্চু রাজাকার পালিয়ে গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আফগানিস্তানে অবস্থান করছেন।

উৎসঃ   মানব কণ্ঠ






__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___