Banner Advertiser

Thursday, October 2, 2014

[mukto-mona] বিশ্ববিদ্যালয়ে ধারাবাহিক যৌন নিগ্রহ: বিচার কতদূর?




বিশ্ববিদ্যালয়ে ধারাবাহিক যৌন নিগ্রহ: বিচার কতদূর?

প্রকাশিত: ৩:০১ অপরাহ্ন, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৪

আপডেট: ৩:০৫ অপরাহ্ন, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৪

farzana afrin11

ফারজানা আফরিন॥

গত ২০০৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের হাতে ছাত্রী নিপীড়নের ১৭টি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধেও চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাধ্যতামূলক ছুটি কিংবা সাময়িক বহিষ্কারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। কোনও কোনও শিক্ষককে আবার প্রশাসন পদোন্নতি দিয়ে বা চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে পুরস্কৃত করেছে। 'তদন্ত চলছে' এই বুলি দিয়ে অভিযোগগুলো ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে বছরের পর বছর। আর এদিকে দিন দিন বাড়ছে শিক্ষকদের হাতে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির ঘটনা।

কেবল ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ নয়বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতন করাসহ একাধিক বিয়েপ্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে তা অস্বীকার করাপরীক্ষার খাতায় নম্বর নিয়ে জালিয়াতি এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগও রয়েছে। 

সর্বশেষ নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের হাতে এক ছাত্রীর হয়রানির ঘটনার মাধ্যম বিষয়টি আবার সামনে চলে এসেছে। এই মুহূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করার দাবিতে আন্দোলন করছে।

শিক্ষকতা এমন একটি পেশা যার সঙ্গে নৈতিকতার প্রশ্নটি সরাসরি সম্পৃক্ত। একজন শিক্ষকের হাতে গড়া অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী ছড়িয়ে থাকে বিভিন্ন পেশায়-কর্মে। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এমন একটি জায়গায় কিছুদিন পর পর যখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে এবং একটি ঘটনারও নিষ্পত্তি না হয়তখন তা সচেতন সকল মহলকে ভাবিয়ে তোলে।

কেবল ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ নয়বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতন করাসহ একাধিক বিয়েপ্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে তা অস্বীকার করাপরীক্ষার খাতায় নম্বর নিয়ে জালিয়াতি এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগও রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছাত্রীরা ভয়ে বিষয়গুলো চেপে যায়। কিন্তু সর্বশেষ ঘটনায় দেখা যায় আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীটি । আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব ঘটনা থেকে যায় অন্তরালে। সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক হয়রানির ভয়েও অনেক ঘটনাই চেপে যায় বেশিরভাগ ভুক্তভোগী।

কেবল ২০১১ সালেই এ ধরনের আটটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের একজন ছাত্রীকে ওই বিভাগেরই শিক্ষক আবু মুসা আরিফ বিল্লাহ কলাভবনে প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরে চুমু খান।

২০০৭ সালে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ডকামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন এক ছাত্রী। একাডেমিক কাজের কথা বলে ছাত্রীকে রুমে ডেকে এনে দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। সেসময় অভিযুক্ত শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হলেও ২০১২ সালে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ রয়েছে যে তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অভিযোগকারী ছাত্রীর পিতাকে তার কর্মস্থল থেকে চাকুরিচ্যুত করেছেন।

২০০৯ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক গিয়াস উদ্দীন মোল্লার বিরুদ্ধে এক ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। এক বছর একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার পর তাকে আবার বহাল করা হয়।

২০১০ সালে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ডআফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে তাকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারন করে ছুটিতে পাঠানো হয়। উর্দু বিভাগের শিক্ষক গোলাম মওলার বিরুদ্ধে বিভাগের ছাত্রীদের সংগে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে ২০১০ সালে। তাকেও বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়।

২০১১ সালে ফার্সি বিভাগের শিক্ষক মুহিত আল রশিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করে এক ছাত্রী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় তাকে। 

কেবল ২০১১ সালেই এ ধরনের আটটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের একজন ছাত্রীকে ওই বিভাগেরই শিক্ষক আবু মুসা আরিফ বিল্লাহ কলাভবনে প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরে চুমু খান। পরে ছাত্রীটি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যান বলে জানা যায়। অভিযুক্ত সেই শিক্ষক বর্তমানে বাধ্যতামূলক ছুটিতে আছেন।

একই বছর উর্দু বিভাগের শিক্ষক ডইসরাফিলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন এক শিক্ষার্থী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে বিভাগীয় কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগের আরেক ছাত্রীরও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। ২০১১ সালে এক ছাত্রীর আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এমরান হোসেনকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

২০১১ সালে ফার্সি বিভাগের শিক্ষক মুহিত আল রশিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করে এক ছাত্রী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় তাকে। একই বছর উর্দু বিভাগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ডঃ মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে এক শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের। অভিযুক্ত শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। ২০১১ সালেই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নুরুদ্দীন আলোর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতনের মামলা করেন তার স্ত্রী। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই বছরই পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক এহসান উদ্দীনকে শিক্ষার্থীদের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্লাস নেয়া থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে বিভাগকিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা।

চার নম্বর বিয়েটি করেছেন বিভাগেরই এক ছাত্রীকে। ঘটনার জের ধরে প্রথম স্ত্রীর সন্তানেরা বিভাগের কক্ষে চতুর্থ স্ত্রীর মাথা ফাটিয়ে দেয়। একই সঙ্গে চারটি বিয়ে ও মাথা ফাটানোর ঘটনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখন তিনি বাধ্যতামূলক ছুটিতে আছেন। 

২০১২ সালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান বাহালুলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করে বিভাগেরই এক ছাত্রী। এই ঘটনায় ওই শিক্ষককে সহযোগিতা করার অভিযোগ ওঠে বিভাগের আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিভাগীয় পর্যায়ে ওই শিক্ষককে সাময়িক ভাবে কোর্স থেকে প্রত্যাহার করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পর্যায়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

২০১২ সালে পরীক্ষায় দুর্নীতিস্বজনপ্রীতি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে মৎস বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ডমাহমুদ হাসানের বিরুদ্ধে। বিভাগীয় পর্যায়ে একটি শিক্ষাবর্ষের (২০০৯-২০১০শিক্ষার্থীদের কোর্স নেওয়া থেকে বিরত রাখা হয় তাকে।

২০১২ সালে ছাত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক ও তার জের ধরে সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করায় ছুটিতে পাঠানো হয় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রুশাদ ফরিদীকে। সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরে আর কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তার বিরুদ্ধে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষক এটিএম ফখরুদ্দীন বিয়ে করেছেন চারটি। চার নম্বর বিয়েটি করেছেন বিভাগেরই এক ছাত্রীকে। ঘটনার জের ধরে প্রথম স্ত্রীর সন্তানেরা বিভাগের কক্ষে চতুর্থ স্ত্রীর মাথা ফাটিয়ে দেয়। একই সঙ্গে চারটি বিয়ে ও মাথা ফাটানোর ঘটনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখন তিনি বাধ্যতামূলক ছুটিতে আছেন। পাশাপাশি চতুর্থ স্ত্রী শাহবাগ থানায় জিডিও করেছেন।

২০১৪ সালের জুন মাসে বিভাগের ছাত্রী এবং আরেক ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে সম্পর্কসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের মেয়েদের সাথে সম্পর্ক ও ছাত্রীদের বাসায় ডেকে সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক ডঃ জাফর আহমেদ খানের বিরুদ্ধে।

গত সরকারের আমলেই গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শেখ আবদুস সালামকে ছাত্রীর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় কিছু কার্যক্রম থেকে তাকে দূরে রাখা হয়। 

এছাড়া উপাচার্য আজাদ চৌধুরীর আমলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রুহুল আমিনকে শিশু নিপীড়নের ঘটনায় আমেরিকান সরকার তার ফুল ব্রাইট স্কলারশীপ বাতিল করে দেশে ফেরত পাঠায়। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনরূপ ব্যবস্থা নেয়নি। কাছাকাছি সময়ে একই উপাচার্যের আমলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগেরই আরেকজন শিক্ষক শহীদুজ্জামানকে প্রাক্তন ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্কপরবর্তীতে তার সঙ্গে সহিংস আচরণের অভিযোগে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। কিন্তু ক্ষমতা রদবদলের পরপরইবিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে উপাচায অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ তাকে পুনর্বহাল করেন।

গত সরকারের আমলেই গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শেখ আবদুস সালামকে ছাত্রীর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় কিছু কার্যক্রম থেকে তাকে দূরে রাখা হয়। এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যও দেন ওই শিক্ষক। কিন্তু পরবর্তীতে ছুটি প্রত্যাহার করে তাকে ফিরিয়ে আনা হয় এবং পরবর্তীতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন করা হয়।

সর্বশেষ নাট্যকলা বিভাগের ঘটনাটি এখন সবারই জানা। এবার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম এক ছাত্রীকে নিজের আবাসস্থলে ডেকে যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার স্থায়ী চাকুরিচ্যুতির দাবি আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।

উপরের প্রতিটি ঘটনা ও পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নৈতিক স্খলনজনিত সকল অপরাধের শাস্তি হয় বাধ্যতামূলক ছুটি নয়তো সাময়িক বহিষ্কার। আর আছে বিভাগীয় সিদ্ধান্তে কোন একটি কোর্স থেকে অভিযুক্তকে সাময়িকভাবে বিরত রাখা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যৌন নিপীড়নের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে এই ধরনের শাস্তি কি যথেষ্টবিশেষ করে যখন ঘটনাগুলো ঘটছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেযেখানে বাবা-মায়েরা সন্তানদের পাঠান সুশিক্ষার জন্যে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন কী বলে এ বিষয়েবিশ্ববিদ্যালয় আইনে কোন শিক্ষকের নৈতিক স্খলন হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাকুরিচ্যুতি। সিন্ডিকেটের সভায় প্রাথমিকভাবে শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাময়িক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া গেলেও অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হয়।

এ বছরই পিএইচডির থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করে বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে অণুপ্রাণ রসায়ন বিভাগের আরেক শিক্ষককে প্রতারণার অভিযোগে চাকুরিচ্যুত করা হয়। কেবল যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে দেখা যায় তা সাময়িক বহিষ্কার আর বাধ্যতামূলক ছুটিতে এসে আটকে যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী এতোগুলো ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর চূড়ান্ত বিচার হলে হয়তো এভাবে আশঙ্কাজনক হারে বাড়তো না ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনা। এমন নজিরও রয়েছে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক রাজনৈতিক পটভূমির পরিবর্তনের পর পুরস্কৃতও হয়েছেন। এই পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

আজ পর্যন্ত ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত কোন শিক্ষককে ট্রাইবুনালের মুখোমুখি করে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানা যায়নি। এমনকি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পর কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও সে কমিটির কাছ থেকে কোনও রিপোর্ট আর পাওয়া যায়নি। কেবল 'তদন্ত চলছে' শব্দটির মাঝেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে যৌন নিপীড়নের শাস্তি।

২০০৯ সালে হাইকোর্ট দেশব্যাপী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌন নিপীড়ন বিরোধী কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। এটর্নি জেনারেল ও সিন্ডিকেট সদস্য মাহবুবে আলমকে আহবায়ক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এমন একটি কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু জানা যায় যে আজ পর্যন্ত সে কমিটির একটি মিটিংও নাকি হয় নি।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এ ধরনের অপরাধ করে পার পেয়ে যান কেমন করেএটি এমন একটি বিদ্যাপীঠ যেখান থেকে সূত্রপাত হয় সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনপ্রতিবাদের। তবে কি শিক্ষকদের রাজনীতি আর ভোটের হিসেব নিকেশে ম্লান হয়ে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ঐতিহ্য?

পূর্ববর্তী এতোগুলো ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর চূড়ান্ত বিচার হলে হয়তো এভাবে আশঙ্কাজনক হারে বাড়তো না ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনা। এমন নজিরও রয়েছে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক রাজনৈতিক পটভূমির পরিবর্তনের পর পুরস্কৃতও হয়েছেন। এই পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

এখন বোধ হয় সময় এসেছে এ ধরণের ঘটনার শিকার হওয়া শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রীয় আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার। নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন একজন শিক্ষার্থী অনিরাপদ বোধ করেঅনাকাংখিত ঘটনার মুখোমুখি হয়ে বিচার চেয়ে বিচার পায় নাতখন তো দেশের প্রচলিত আইনে বিচার চাওয়া ছাড়া তার আর কোন উপায় থাকে না। যখন এ ধরনের ঘটনা ঘটেতখন স্বাভাবিকভাবেই ভুক্তভোগীরা প্রথমে প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু সে প্রতিষ্ঠান যখন ব্যবস্থা না নেয়তখন বিচারিক প্রক্রিয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।

এখানে লক্ষ্যণীয় যেশাস্তি হিসেবে সাময়িক বহিষ্কার বা বাধ্যতামূলক ছুটির ক্ষেত্রে শিক্ষকরা ক্লাস নেওয়া বা অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ না নিলেও চাকুরীর সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বসবাসের সুবিধাসহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আড্ডা দেয়াবেতন-ভাতা-বোনাস-পেনশান সকল সুবিধাই ভোগ করেন। 

বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ধারা-১০ অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে তার যৌনকামনা চরতার্থ করার উদ্দেশ্যে কোন নারী বা শিশুর শ্লীলতাহানি করে তবে তাকে যৌন নিপীড়ন বলা হবে এবং এর জন্য ওই ব্যক্তিকে অপরাধ প্রমানিত হলে সর্বনিম্ন তিন বছর ও সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হবে। সাথে তাকে অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত করা হবে।

অথচ আমরা দেখছি এরকম একটি গুরুতর অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ'তদন্ত চলছে' শব্দ দু'টি দিয়ে বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছে।

এখানে লক্ষ্যণীয় যেশাস্তি হিসেবে সাময়িক বহিষ্কার বা বাধ্যতামূলক ছুটির ক্ষেত্রে শিক্ষকরা ক্লাস নেওয়া বা অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ না নিলেও চাকুরীর সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বসবাসের সুবিধাসহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আড্ডা দেয়াবেতন-ভাতা-বোনাস-পেনশান সকল সুবিধাই ভোগ করেন। ক্ষেত্র বিশেষে রাজনৈতিক ও পেশাগত প্রভাব খাটিয়ে অভিযোগ দায়েরকারী শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রমেও বাধার সৃষ্টি করেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অন্য শিক্ষার্থীরাও ভবিষ্যতের কথা ভেবে এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের আচরনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে ভীত বোধ করেন। এবং এ কারণে এ প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে।

যৌন নিপীড়নের ঝুলে থাকা পুর্ববর্তী ঘটনাগুলোর 'তদন্ত' শেষ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক। সেই সাথে সর্বশেষ নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের যৌন নিপীড়নের ঘটনাটির চূড়ান্ত বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক।

লেখকসাংবাদিকএকাত্তর টেলিভিশন

ইমেইলfafrin47@yahoo.com 

Also read:
সাময়িক বরখাস্তেই শাস্তি শেষ!
ঢাবিতে যৌন নিপীড়ন : ড. সাইফুলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত
ইরফান এইচ সায়েম
ড. সাইফুল ইসলামের চাকরিচ্যুতির দাবিতে সোমবার ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিক্ষোভ -আলোকিত বাংলাদেশ
 














- See more at: http://www.alokitobangladesh.com/first-page/2014/09/23/97961#sthash.axHAau1L.dpuf


Also read:
৩৮ দিনেও খোঁজ নেই ঢাবি শিক্ষক ফখরুদ্দীনেরবিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছেমতিউর তানিফ  
বিভাগীয় ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ৩৮ দিন পরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিয়ে পাগল শিক্ষক অধ্যাপক ড. এটিএম ফখরুদ্দীনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ১৬ অক্টোবর ক্যাম্পাসের নিজ কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে ছাত্রীসহ আত্মগোপন করেন আরবি বিভাগের ওই অধ্যাপক। - See more at: http://www.jjdin.com/?view=details&type=single&pub_no=309&cat_id=1&menu_id=38&news_type_id=1&index=0&archiev=yes&arch_date=25-11-2012#sthash.0VfWcOEi.dpuf
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক এটিএম ফখরুদ্দীন বিয়ে করেছেন চারটি। তার ছাত্রীও আছেন এদের মধ্যে। চতুর্থ স্ত্রী ও এক সময়ের ছাত্রীর অভিযোগের কারণে এখন তিনি আছেন বাধ্যতামূলক ছুটিতে।
২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ফখরুদ্দীনকে ছুটিতে পাঠানো হয়। তার চতুর্থ স্ত্রী এবং এক সময়ের ছাত্রীর অভিযোগ, ওই বছরের ১৬ অক্টোবর ওই অধ্যাপকের কক্ষে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন তিনি। একই সঙ্গে চারটি বিয়ে এবং চতুর্থ স্ত্রীর মাথা ফাটানোর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এএম আমজাদ এ তথ্য স্বীকার করেছেন।

ছুটিতে গেলেও সময়মতো বেতন-ভাতা এবং শিক্ষকতার অন্য সুযোগ সুবিধা সবই পাচ্ছেন ফখরুদ্দীন।
- See more at: http://www.bengalinews24.com/education-&-campus/2014/01/18/39277/?version=v2#sthash.hmTPfevh.dpuf

ঢাবিতে শিক্ষকতায় ফিরছেন সেই যৌন নির্যাতনকারী !

ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম ।। published on: Monday, September 22 2014, 20:37 ।। latest update: 22:57 - See more at: 
 du teacherhttp://www.campuslive24.com/campus.65876.live24/#sthash.whVuySk0.dpuf
Sat, 18 January , 2014

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যৌন হয়রানির শাস্থি কেবলই ছুটি!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম

,,,,,,,

বিদেশে গিয়েও অভ্যাস যায়নি: গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রুহুল আমিন। কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্ক এক মেয়েকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর তাকে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ঘটনা তদন্তে ওই সময়কার বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য এসএমএ ফায়েজ প্রশাসন কমিটি গঠন করে। কিন্তু সেই কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি আজও। বরং অভিযোগ মাথায় নিয়েই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের প্রশাসন রুহুল আমিনকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়েছেন। - See more at: http://www.bengalinews24.com/education-&-campus/2014/01/18/39277/?version=v2#sthash.hmTPfevh.dpuf

- See more at: http://www.bengalinews24.com/education-&-campus/2014/01/18/39277/?version=v2#sthash.hmTPfevh.dpuf

ভোলায় নাবালিকাকে বিয়ে করা ম্যাজিস্ট্রেট অবশেষে গ্রেফতার

ভোলা করেসপন্ডেন্ট 
টাইম নিউজ বিডি, 
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০৬:৪১:৩৮
#

 



- See more at: http://www.timenewsbd.com/news/detail/26474#sthash.raqsDwiY.dpuf

চরফ্যাশনে অনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে তোপের মুখে ম্যাজিস্ট্রেট
ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রব আসমা বেগম (১৬) নামের এক কথিত স্ত্রীকে নিয়ে ডাকবাংলোতে রাত্রীযাপন করাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে।





__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___