সাখাওয়াত আমিন, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: দুই বছর পর কোনো কাউন্সিল ছাড়াই অনেকটা চুপিসারে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে রাজিব আহসানকে সভাপতি এবং আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১ সদস্যের এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
কিন্তু কমিটির তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে এ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন খুনের মামলার আসামি, দণ্ডিত, বিবাহিত এবং অছাত্ররা। পূর্বে ছাত্রলীগ করা নেতারাও পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ।
শীর্ষ দুই নেতাই অছাত্র: ঘোষিত কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক উভয়ের বয়সই ৩৫ এর ঊর্ধ্বে। তাদের ছাত্রত্বও শেষ হয়েছে কয়েক বছর আগে।
নতুন সভাপতি রাজিব আহসান ১৯৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগে ভর্তি হন। সে হিসেবে তার বয়স এখন ৩৫ ছাড়িয়ে গেছে।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিক টুকুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত রাজিবের বাড়ি বরিশালে। তিনি ঢাবির কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে এসেছিলেন। গত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি।
নতুন সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে। তার বয়সও সভাপতির বয়সের কাছাকাছি।
আকরামুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর গত কমিটিতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি বিদায়ী সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
হত্যা মামলায় দণ্ডিত ও আসামি: নতুন কমিটির প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া মাহমুদুল ইসলাম হিমেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার মামলার আসামি।
নতুন সহ সভাপতি নিয়াজ মাখদুম মাসুম বিল্লাহ বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডিত।
বিবাহিত এবং সন্তানের জনক: নতুন কমিটিতে কমপক্ষে ২৫ জন রয়েছেন যারা বিবাহিত। এদের মধ্যে সন্তানের জনকও রয়েছেন।
নতুন কমিটির সহ-সভাপতি এজমাল হোসেন পাইলট বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
বিবাহিতদের মধ্যে আরো রয়েছেন নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মাদ রাসেল, আবদুল করিম সরকার ও শাহ নাসির উদ্দীন রুম্মন; সহ-সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক ও ইসমাইল হোসেন খান এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম শফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ, মাসুদ খান পারভেজ, মামুন বিল্লাহ, আবদুল ওয়াহাব, ইসতিয়াক নাসির, খলিলুর রহমান খলিল, সাফায়াত হোসেন রিপন, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, জাকির হোসেন খান, জাকির হোসেন মিন্টু, জয়দেব জয়, ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, আনোয়ারুল করিম মিলন ও মনিরা আক্তার রিক্তা।
ব্যর্থরাও পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ব্যর্থ নেতারাও গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন নতুন কমিটিতে।
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি মহিদুল হাসান হিরুকে করা হয়েছে নতুন কমিটির তিন নম্বর সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান পারভেজকে করা হয়েছে ৮ নম্বর সহ-সভাপতি। সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়া পেয়েছেন সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব।
নতুন সহ-সভাপতি মহিদুল হাসান হিরু বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতে ছাত্রলীগে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন ছাত্রদলেরই নেতারা। তিনি বগুড়ার ধুনট কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিও ছিলেন।
২০০১ সালের ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হয়ে হিরুর নেতৃত্বে হামলা চালানোর ছবি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।
অযোগ্যদের পদপ্রাপ্তির অভিযোগ: ছাত্রদলের একাধিক পদ বঞ্চিত নেতা নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের স্থান হয়নি। বরং যারা রাজপথে ছিলেন না তাদের বসানো হয়েছে শীর্ষ পদে।
নতুন সভাপতি রাজিব আহসানের বিরুদ্ধেই দলের প্রয়োজনে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ সবচেয়ে বেশি।
ছাত্রদলের একাধিক নেতার অভিযোগ কেবলমাত্র লবিংয়ের কারণেই তিনি শীর্ষপদে আসীন হয়েছেন।
পদ বঞ্চিতদের বিক্ষোভ: নতুন কমিটি ঘোষণার মাত্র একদিন পর বুধবারই ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশ ধাওয়া দিলে কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সেখান থেকে তিনজনকে আটকও করে পুলিশ।
এ সময় তারা 'নতুন কমিটি মানি না' লেখা ব্যানারও প্রদর্শন করে।
এছাড়া রাত ১০টা ৪০ মিনিটে কমিটিতে জায়গা না পাওয়া ছাত্রদলের একটি গ্রুপ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে রাজিব আহসানকে সভাপতি এবং আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১ সদস্যের এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
কিন্তু কমিটির তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে এ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন খুনের মামলার আসামি, দণ্ডিত, বিবাহিত এবং অছাত্ররা। পূর্বে ছাত্রলীগ করা নেতারাও পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ।
শীর্ষ দুই নেতাই অছাত্র: ঘোষিত কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক উভয়ের বয়সই ৩৫ এর ঊর্ধ্বে। তাদের ছাত্রত্বও শেষ হয়েছে কয়েক বছর আগে।
নতুন সভাপতি রাজিব আহসান ১৯৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগে ভর্তি হন। সে হিসেবে তার বয়স এখন ৩৫ ছাড়িয়ে গেছে।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিক টুকুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত রাজিবের বাড়ি বরিশালে। তিনি ঢাবির কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে এসেছিলেন। গত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি।
নতুন সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে। তার বয়সও সভাপতির বয়সের কাছাকাছি।
আকরামুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর গত কমিটিতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি বিদায়ী সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
হত্যা মামলায় দণ্ডিত ও আসামি: নতুন কমিটির প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া মাহমুদুল ইসলাম হিমেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার মামলার আসামি।
নতুন সহ সভাপতি নিয়াজ মাখদুম মাসুম বিল্লাহ বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডিত।
বিবাহিত এবং সন্তানের জনক: নতুন কমিটিতে কমপক্ষে ২৫ জন রয়েছেন যারা বিবাহিত। এদের মধ্যে সন্তানের জনকও রয়েছেন।
নতুন কমিটির সহ-সভাপতি এজমাল হোসেন পাইলট বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
বিবাহিতদের মধ্যে আরো রয়েছেন নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মাদ রাসেল, আবদুল করিম সরকার ও শাহ নাসির উদ্দীন রুম্মন; সহ-সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক ও ইসমাইল হোসেন খান এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম শফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ, মাসুদ খান পারভেজ, মামুন বিল্লাহ, আবদুল ওয়াহাব, ইসতিয়াক নাসির, খলিলুর রহমান খলিল, সাফায়াত হোসেন রিপন, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, জাকির হোসেন খান, জাকির হোসেন মিন্টু, জয়দেব জয়, ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, আনোয়ারুল করিম মিলন ও মনিরা আক্তার রিক্তা।
ব্যর্থরাও পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ব্যর্থ নেতারাও গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন নতুন কমিটিতে।
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি মহিদুল হাসান হিরুকে করা হয়েছে নতুন কমিটির তিন নম্বর সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান পারভেজকে করা হয়েছে ৮ নম্বর সহ-সভাপতি। সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়া পেয়েছেন সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব।
নতুন সহ-সভাপতি মহিদুল হাসান হিরু বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতে ছাত্রলীগে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন ছাত্রদলেরই নেতারা। তিনি বগুড়ার ধুনট কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিও ছিলেন।
২০০১ সালের ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হয়ে হিরুর নেতৃত্বে হামলা চালানোর ছবি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।
অযোগ্যদের পদপ্রাপ্তির অভিযোগ: ছাত্রদলের একাধিক পদ বঞ্চিত নেতা নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের স্থান হয়নি। বরং যারা রাজপথে ছিলেন না তাদের বসানো হয়েছে শীর্ষ পদে।
নতুন সভাপতি রাজিব আহসানের বিরুদ্ধেই দলের প্রয়োজনে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ সবচেয়ে বেশি।
ছাত্রদলের একাধিক নেতার অভিযোগ কেবলমাত্র লবিংয়ের কারণেই তিনি শীর্ষপদে আসীন হয়েছেন।
পদ বঞ্চিতদের বিক্ষোভ: নতুন কমিটি ঘোষণার মাত্র একদিন পর বুধবারই ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশ ধাওয়া দিলে কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সেখান থেকে তিনজনকে আটকও করে পুলিশ।
এ সময় তারা 'নতুন কমিটি মানি না' লেখা ব্যানারও প্রদর্শন করে।
এছাড়া রাত ১০টা ৪০ মিনিটে কমিটিতে জায়গা না পাওয়া ছাত্রদলের একটি গ্রুপ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করছে।
__._,_.___