_______অলোক অর্ক
কালের বিবরচিরে তলিয়ে যাবে সকল ভ্রান্তি,
চিরায়ত রীতিতে সৃজিত হবে অনন্য ক্লান্তি।
সেদিন হয়তো পীঠস্থানের ঘণ্টাধ্বনিতে আমার ঘুম ভাঙ্গবে না,
কোন অজ্ঞ মুয়াজ্জিনও করবে না আহ্বান।
বিধাতা সেদিন নিহত হবেন স্বীয় প্রণেতার অশিতে,
বিশ্বাস শব্দটির হদিশ পাওয়া দুষ্কর হবে কোন নব-অভিধানে।
মুক্ত গবাক্ষে বাতাবরণের অক্লান্ত চুম্বনে আমি জেগে উঠবো,
বিহঙ্গদের রাগিণী সংগীতে শিহরিত হবো।
প্রতি প্রভাতে অবাচ্য ঐশীগ্রন্থগুলোতে চক্ষু মুদিবার বদলে,
হয়তো আমি দৃষ্টিপাত করব নতুন কোন ঐকাহিক পত্রিকায়।
সে পত্রিকায় অক্ষিগোছর হবে না কোন ধর্ষনের খবর,
রচিত হবে না কোন জঙ্গী হামলায় নিহতের কবর।
দুরেক্ষন চ্যানেলে মন্দির-গীর্জা আক্রমণের বদলে হয়তো,
শ্রবন করব মঙ্গলে অভিবাসনের বার্তা।
মনোজগতের উৎকট প্রকোপের পরিবর্তে,
প্রতিটি সঞ্জীব কোষ শাণিত হবে নিয়ে নতুন সুর,
নিয়ে নতুন প্রাণ।
সেদিন আমার ঊষর মস্তিস্ক,যে অনুসন্ধিৎসু হতে ভয় পেতো,
সে উর্বর হয়ে উঠবে।
অগ্রে যেথায় ধর্মসভা হতো, হয়তো সেথায়
শোভা পেতে পারে নতুন কোন বিজ্ঞান-মেলা।
প্রতি পদাঙ্কে যেখানে প্রার্থনালয় ছিলো হয়তো সেখানে,
গড়ে উঠবে নতুন কোন পাঠশালা।
ন্যাকাব্বরের পুরনো আফিমের সরাইখানাটিও,
হয়ে যেতে পারে অতিকায় এক গ্রন্থাগার।
ভ্যু-লোকের প্রতিটি অণু-পরমানু,
নব ছন্দে স্তোত্র করবে পাঠ।
মধ্যাহ্নে কর্মবিরতিতে ক্লান্তি দূর করতে- চা'য়ের বদলে,
নিবো একরাশ নতুন শব্দের স্বাদ।
সেদিন চারণগীতি রচিতে রচিতে হয়তো,
উষসী'কে বরণ করে নিবো প্রণয়াভিলাষী শব্দ-মাধুর্য্যে।
প্রকৃতিতে দিবসসায়াহ্ন ঘটলেও কলমসায়াহ্ন নামবে না,
গেঁথে যাবো,কলমে যতক্ষণ থাকে প্রাণ।
রাত্তিরে পুঁথিপাঠের বদলে হয়তো,
ঋক্ষ দর্শনের যজ্ঞ প্রতিপাদিত হবে।
তাদের সনাক্ত করতে করতে প্রকৃতির গান শ্রবণ করব।
হয়তো ক্যাসিওপিয়া মন্ডলের পাশে দৃষ্ট হবে এক নবতারা,
সে তারা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে,
পার হবে রজনী, রচিত হবে অজস্র মহাকাব্য।
কোন ২৭ ফেব্রুয়ারীর হয়তো পুনরাবৃত্তি ঘটবে না,
ফেরবে না আবার কোন ২১ শে আগষ্ট।।
__._,_.___