Banner Advertiser

Friday, November 7, 2014

[mukto-mona] যুদ্ধাপরাধী জামাতিরা হরতাল আহ্বান করে মুসলমান দাবী করতে পারেনা।



হরতাল, অবরোধ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে হারাম।
হরতাল, অবরোধ শুধু দুনিয়াবী ক্ষতিই নয়; ঈমানী ক্ষতিরও কারণ।
৯৭ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশে হরতাল, অবরোধ চলতে পারে না।
যুদ্ধাপরাধী জামাতিরা হরতাল আহ্বান করে মুসলমান দাবী করতে পারেনা। 
এ সকল যুদ্ধাপরাধীরা মুসলমান নয় বরং মুরতাদ। নাঊযুবিল্লাহ!
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।

গণমানুষ যেখানে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে, সেখানে জামাতে মওদুদী এসব রায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক হারাম হরতাল ডেকে যাচ্ছে। একাত্তরে যে দলটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে হত্যা, সম্ভ্রমহরণ ও অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছিল, এখনো তারা সেই গণবিরোধী কাজই করে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল ডেকে দেশের ক্ষতিসাধনের দেশবিরোধী নীতি তারা এখনও অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি নতুন নয়। বাংলাদেশে প্রথম সরকার গঠনের সময় থেকেই রাজাকারদের বিচারের দাবি ওঠে। বস্তুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয় ১৯৭৩-এ। কিন্তু ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে এই বিচার আর সম্পূর্ণ হয়নি। ২০০৮-এ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পরই বিষয়টি পুনরায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল' প্রথম জামাতে মওদুদী দলের নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে ১৯৭১-এ গণহত্যাসহ একাধিক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাবাসে দন্ডিত করে। দেশব্যাপী আন্দোলনের ফলে পরবর্তীতে তাকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেয়া হয়। সে রায় কার্যকরও হয়েছে। এখন অপরাপর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং রায় ঘোষণা হচ্ছে। কিন্তু যেখানে দেশবাসী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অভূতপূর্ব সোচ্চার সেখানে এদেশে অবস্থান করে জামাতে মওদুদী কি করে হরতাল দিতে পারে? দেশের আইন আদালত ও সরকার কি করে তা বরদাশত করতে পারে?
উল্লেখ্য, হরতাল গুজরাটি শব্দ। 'হর' অর্থ প্রত্যেক। 'তাল' অর্থ তালা। অর্থাৎ প্রতি দরজায় তালা।
পাপাত্মা গান্ধী ব্রিটিশদের রাউলাট আইন বাতিল করার জন্য ইংরেজী ভাষার 'স্ট্রাইক' শব্দের পরিবর্তে তার মাতৃভাষা গুজরাটি শব্দ 'হরতাল' প্রবর্তন করে। এ হরতাল প্রথম পালিত হওয়ার কথা ছিল ১৯১৮ সালের ৩০শে মার্চ। পরে এ তারিখ পিছিয়ে ৬ই এপ্রিল করা হয়। 
ওই হরতালে ৩'শ ভারতীয়ের মৃত্যু এবং বিপুল সংখ্যক আহত হওয়ার কারণে পাপাত্মা গান্ধীর মতো গান্ধাও আর দ্বিতীয়বার হরতাল ডাকেনি। কিন্তু ভারত বিভাগের পর ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে ৮৪ বার হরতাল হয়েছে। এরপর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের ১৪ই আগষ্ট পর্যন্ত হরতাল পালিত হয়েছে ২২ বার। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট থেকে ১৯৮২ সালের ২৩শে মার্চ পর্যন্ত ৫৯ বার, ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ থেকে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩শ ২৮ বার, ১৯৯০ সালের ৭ই ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৬ সালের ৩০শে মার্চ ৪শ ১৬ বার, ১৯৯৬ সালের ৩১শে মার্চ থেকে ২০০০ সালের ১২ই জুন পর্যন্ত ২শ ৮৩ বার হরতাল পালিত হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হরতাল পালিত হয়েছে ১শ ৩০ দিন। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত হরতাল পালিত হয়েছে ৫১ দিন ।
প্রশ্ন হল- কেন এই হরতাল এবং কার স্বার্থে? স্বাধীন বাংলাদেশে কতগুলো হরতাল দেশের স্বার্থে পালিত হয়েছে? 
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ১৯৭৫ থেকে ২০১৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত হরতালের কারণ বিশ্লেষণ করে বলেছে, এ পর্যন্ত যত হরতাল হয়েছে, তার প্রায় ৯৫ শতাংশই ডাকা হয়েছে নিজস্ব দলীয় কারণে। মাত্র ৫ শতাংশ হরতাল হয়েছে অর্থনৈতিক কারণ কিংবা তথাকথিত জনস্বার্থে। দলীয় বা রাজনৈতিক হরতালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে দেশের অর্থনীতির। দেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, একদিনের হরতালেই ক্ষতি হয় অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকা। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পোশাক শিল্প, ক্ষুদ্র উদ্যোগ ও পরিবহন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত হিসাব মতে, হরতালের কারণে ২০১৩ সালে অর্থাৎ মাত্র এক বছরে প্রায় ৫৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকার (৭০০ কোটি ডলার) ক্ষতি হয়েছে। প্রতিদিনের ক্ষতি প্রায় এক হাজার ৫৪০ কোটি টাকা (২০ কোটি ডলার)। বাংলাদেশের হরতাল নিয়ে ২০০৫ সালে প্রকাশিত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) গবেষণায় বলা হয়, ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর হরতালের কারণে দেশের জিডিপির ৩ থেকে ৪ শতাংশের সমান আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের হিসাবে, হরতালে পাইকারি বাজার, শপিংমল, শো-রুম, ক্ষুদ্র ও ছোট দোকান প্রতিদিন ৬০০ কোটি টাকা আর বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। বাংলাদেশের দোকান মালিক সমিতির দাবী, দেশের বিশ লাখ দোকানে প্রতিদিন হরতালে ক্ষতি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা। ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির মতে, প্রতিদিনের হরতালে দেশে প্রায় তিন লাখ বাস-মিনিবাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকে। যার কারণে ওই সব দিন ক্ষতি হয় ২৫০ কোটি টাকার বেশি ।
মূলত এদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম হলেও "পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে হরতাল কাট্টা হারাম" এবং "হরতালকে 'ইসলামী কাজ' বলে যারা প্রচার করে তারা মুরতাদ"; সে সম্পর্কে ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের ইলম নেই। আর তাদের সরকারেরও নেই। সে জন্যই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে আন্দোলনকারীরা তথা ধর্ম ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। কাজেই হরতাল সম্পর্কে সরকার ও সাধারণ মুসলমান সবারই শরঈ ফায়সালা জানা উচিত।
হরতাল-অবরোধ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে হারাম। কারণ হরতাল হচ্ছে, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার রীতিনীতি বহির্ভূত গণতন্ত্র বা বিজাতীয় ধ্যান-ধারণা ও অপকৌশল। যাতে শান্তি তো নেই বরং অশান্তির পথকে প্রশস্ত করে। তাই এটি কোন মুসলমানের জন্য অনুসরণীয় নয়। মুসলমানের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় হচ্ছেন, "মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে মনোনীত ও নাযিলকৃত পবিত্র দ্বীন ইসলাম।"
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, "যে ব্যক্তি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ছাড়া অন্য কোন দ্বীন (নিয়ম-নীতি, অন্য ধর্ম) তালাশ করে, তা কখনোই তার থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।" (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)
হরতাল হারাম হওয়ার আর একটি কারণ হলো, এটা মানুষের স্বাভাবিক কাজ-কর্মকে ব্যাহত করে, জনজীবনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, "তোমরা যমীনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করোনা।" (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, "ফিৎনা-ফাসাদ ক্বতলের চেয়েও ভয়াবহ।" (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯১)
হরতালের ফলে যারা দিনমজুর, রোজ কামাই করে রোজ খায়, তাদের কষ্ট হয়। মু'মিন মুসলমান না নিরাপদ থাকে, না শান্তিতে থাকে। বরং কষ্টে দিনাতিপাত করে, রোগীদের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে যায়।
পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, "কোন মুসলমানকে কষ্ট দেয়া কুফরী।"
হরতাল এক ধরনের জুলুম, যা শুধু ব্যক্তি পর্যায়েই নয় বরং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও হয়।
অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, "মহান আল্লাহ পাক তিনি জালিমদেরকে পছন্দ করেন না।" (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, "তোমরা অত্যাচার করোনা এবং অত্যাচারিতও হয়োনা।" (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭৯)
যে সমস্ত জালিমরা গোমরাহীর মধ্যে দৃঢ়, তাদের প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, "আর মহান আল্লাহ পাক তিনি জালিমদেরকে হিদায়েত দেন না।" (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৬)
অর্থাৎ যে সমস্ত জালিম সম্প্রদায় তাদের জুলুমের মধ্যে দৃঢ় থাকে, তারা কখনো মহান আল্লাহ পাক উনার হিদায়েত লাভ করতে পারবে না।
মূলতঃ হরতাল-অবরোধ আর জুলুম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কাজেই যেখানে হরতাল-অবরোধ হবে, সেখানেই জুলুম হবে। জুলুম ব্যতীত কোন হরতাল-অবরোধ সংঘটিত হতে পারে না। কাজেই হরতাল-অবরোধ করা জায়িয নেই, তা সম্পূর্ণরূপে হারাম।
হরতাল যে কারণে করা হয়, অর্থাৎ অপরাধীকে শাস্তি দেয়া; তা মোটেই হয়না। বরং অপরাধী অর্থনৈতিক ও মানবিক সব দিক থেকেই বহাল তবিয়তে অবস্থান করে থাকে। কিন্তু শাস্তি ভোগ করে শুধু জনসাধারণ, যারা অপরাধী নয়। অথচ হরতালের ফলে একজনের অপরাধের শাস্তি অন্যজনকে চাপিয়ে দেয়া হয়, এটা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিধান নয়। বরং মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম হলো, "একজনের গুনাহর বোঝা অন্যজন বহন করবে না।" (পবিত্র সূরা আনয়াম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬৪)
উল্লেখ্য, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বহু দলীল রয়েছে যে, হরতাল করা জায়িয নেই। কিন্তু ৯৭ ভাগ মুসলমানের খুব কম সংখ্যকই একথা জানেন ও মানেন। অথচ হরতাল শুধু দুনিয়াবী ক্ষতিই নয় হরতাল ঈমানী ক্ষতিরও কারণ। কাজেই ৯৭ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশে হারাম হরতাল ও অবরোধ চলতে পারে না। আর যারা করে তারা মুসলমান থাকতে পারে না। যেমনটি নেই যুদ্ধাপরাধী জামাত। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে আন্দোলন ও তথাকথিত রাজনীতির দাবীদার হলেও অনেক আগেই তারা মুরতাদ হয়ে গেছে। নাঊযুবিল্লাহ!



__._,_.___

Posted by: Monsur Haider <haidermonsur@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___