Banner Advertiser

Friday, November 7, 2014

[mukto-mona] গড়ে প্রতি মাসে অপরাধে জড়াচ্ছে ১০০ পুলিশ। ঘুষ-দুর্নীতির নিত্যদিনের অভিযোগ ছাপিয়ে খুন, চাঁদাবাজি, পরকীয়া, অপহরণ আর ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অপরাধও করছে তারা।এ জন্য পুলিশি ট্রেনিংয়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার বিকল্প নেই।






সমস্ত প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত পবিত্র দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যে পুলিশের কাজ করার কথা তারা নিজেরাই জড়িয়ে যাচ্ছে অপরাধ কর্মকা-ের সঙ্গে। দিন দিন বেড়েই চলেছে এই অপরাধ প্রবণতা। ঘুষ-দুর্নীতির নিত্যদিনের অভিযোগ ছাপিয়ে খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণ আর ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অপরাধে।
এমনকি পরকীয়ার মতো অনৈতিক কাজেও জড়িয়ে পড়ছে পুলিশ সদস্যরা। দেড় লক্ষাধিক সদস্যের পুলিশের এ বিশাল বাহিনী বর্তমানে বিশেষ ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে। বিশেষ করে কনস্টেবল থেকে শুরু করে এএসআই, এসআই ও পরিদর্শকরা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে বেশি। অপরাধ করে রাজনৈতিক প্রভাবে পার পেয়ে যাওয়ার কারণে তাদের দেখে অন্যরা উৎসাহিত হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতি মাসে গড়ে ১০০ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অপরাধ কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। গত দেড় বছরে অন্তত শতাধিক পুলিশ সদস্যকে ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। 
গত জুমুয়াতি অর্থাৎ জুমুয়াবার রাজধানীর ভাটারা থানার দুই এএসআই ও এক কনস্টেবল মিলে এক নারীকে দিয়ে ফাঁদ পেতে বেসরকারি এক চাকরিজীবীকে আটকে রাখে। পরে তারা ওই চাকরিজীবীর পরিবারের কাছে ফোন করে দু'লাখ টাকা দাবি করে। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি র‌্যাব সদস্যদের জানালে টাকা নেয়ার সময় র‌্যাব তাদের হাতেনাতে আটক করে। গত ২৭শে অক্টোবর বান্ধবীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে নিজের গুলিভরা সরকারি রিভলভারটি হারিয়ে ফেলে পাবনা সদর থানার এসআই জাহিদ। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। শাহ আলম নামে এক গাড়িচালকের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরে তাকে ধরে এনে দুই পায়ে গুলি করে সন্ত্রাসী বানানোর চেষ্টা করেছিল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার এসআই আনোয়ার। মিরপুরে এক ঝুট ব্যবসায়ীকে থানায় ধরে এনে এক পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে এসআই জাহিদ নামে আরেক পুলিশ কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে আগেও এক বিহারী যুবককে থানায় পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে র‌্যাব অবৈধ অস্ত্রসহ আসাদ নামে পুলিশের বিশেষ শাখার এক এসআইকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজধানীর বংশালে মকবুল নামে এক ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ওঠে। ওই ব্যবসায়ী চাঁদা আদায়ের ভিডিও রেকর্ডসহ আদালতে মামলা দায়ের করলে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা টাকা ফিরিয়ে দিয়ে মামলার হাত থেকে রক্ষা পায়।
নিরীহ মানুষকে ধরে গ্রেপ্তার ও ক্রসফায়ারে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় এখন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে যত্রতত্র। বিশেষ করে রাজনৈতিক বলয়ে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা বেশি ভারি। এসব সদস্যের চেইন অব কমান্ড ভাঙার প্রবণতাও বেশি। পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, পুলিশের অপরাধের তদন্ত বা অনুসন্ধান পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহানুভূতি লাভ করে। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না নিয়ে লঘু দ- দেয়া হয়। আর অন্য বাহিনী দিয়ে তদন্ত করালে পুলিশ তাদের তদন্তে সহযোগিতা করে না।
উল্লেখ্য সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ ধার নিয়ে বিভিন্ন দেশে পুলিশ জনগণের বন্ধু, কখনও সেবক হিসেবে কাজ করছে। জনগণ পুলিশকে বন্ধু মনে করে, কোনো সমস্যা হলে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায়। পুলিশও তাদের সাধ্য অনুযায়ী উপকার করতে চেষ্টা করে। 
অথচ বাংলাদেশের পুলিশ আর বিভিন্ন দেশের পুলিশের মধ্যে রাত আর দিন পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। আমাদের দেশে একটা কথা চালু আছে- 'বাঘে ধরলে এক ঘা, আর পুলিশে ধরলে আঠার ঘা।' বর্তমানে অধিকাংশ পুলিশের কাছ থেকে আমরা এরূপ আচরণই পাচ্ছি। পুলিশের এ ধরনের চরিত্র দেশের জনগণের কাম্য নয়। জনগণ চায় এমন পুলিশ যারা জনগণের জান-মাল রক্ষার কিন্তু এ ধরনের চরিত্র আমরা পুলিশের নিকট থেকে পাচ্ছি না কেন? কোথায় গলদ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ খুঁজে বের করে পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে তৈরি করতে হবে।
উন্নত দেশে পুলিশে নিয়োগ পাওয়া খুব কঠিন বিষয়। পুলিশ সদস্য নিয়োগ দিতে শুধু ওই পুলিশ সদস্যের স¦ভাব চরিত্রই দেখা হয়না, তার পূর্বপুরুষের খোঁজ পর্যন্ত নেয়া হয়। তার বাবা-দাদা, নানার বংশ কে কি ছিল। তাদের স¦ভাব কি ধরনের ছিল। পূর্ব পুরুষের কারো স¦ভাবে খারাপ কোনো রিপোর্ট থাকলে তাকে আর পুলিশে নিয়োগ দেয়া হয়না। কিন্তু আমাদের দেশে টাকার বিনিময়ে চোর-ডাকাতকেও পুলিশে নিয়োগ দেয়া হয়। পূর্বপুরুষের চরিত্র দেখা তো দূরের কথা- ওই পুলিশ সদস্যের স¦ভাব চরিত্রের খবর নেয়াই হয় না। রাজনৈতিক বিবেচনায় ও টাকার বিনিময়ে আমাদের দেশের পুলিশ সদস্যরা নিয়োগ পায়। তাই পুলিশ ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, রাজনীতিবাজ, সম্ভ্রমহরণকারী, লুণ্ঠনকারী হওয়াটাই তো স¦াভাবিক। এই যদি হয় পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ পদ্ধতি, তাহলে এদের কাছ থেকে তো আর আমরা ভাল কিছু আশা করতে পারি না।
পাশাপাশি উল্লেখ্য, নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও অরিয়েন্টেশন এমনভাবে হওয়া উচিত, যাতে মানবিক ও নৈতিক গুণাবলীর যথাযথ বিকাশ ঘটে।
বলাবাহুল্য, সত্যিকার নৈতিক গুণাবলীর উন্মেষ ঘটাতে হলে পুলিশ বাহিনীর ট্রেনিং ও কারিকুলামে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ অন্তর্ভুক্তির কোনো বিকল্প নেই।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ, তাওয়াজ্জুহ। 




__._,_.___

Posted by: Monsur Haider <haidermonsur@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___