Banner Advertiser

Friday, November 7, 2014

[mukto-mona] জামাতে মওদুদীর হরতাল কি প্রকাশ্য আদালত অবমাননা নয়?



প্রধানমন্ত্রী কি এখনও জনগণের চাওয়া বুঝতে পারেন না?
জামাতে মওদুদীর হরতাল কি প্রকাশ্য আদালত অবমাননা নয়?
স্বঃপ্রনোদিত রুল জারি হচ্ছে না কেন?
জামাতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা ও জামাত নিষিদ্ধ হচ্ছে না কেন?

সমস্ত প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত পবিত্র দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
জাতীয় সংসদের গত অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "আইন করে হরতাল বন্ধ হবে কি-না তা দেশের জনগণের উপর নির্ভর করে। জনগণ চাইলে ও সব সংসদ সদস্য একমত হলে আইন করে হরতাল বন্ধ করা যেতে পারে। হরতাল ও আন্দোলনের নামে বীভৎস ও বিধ্বংসী কর্মকা- আমরা দেখেছি। আমরা চাইবো দেশের মানুষ সচেতন হয়ে এ সবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুক।" অর্থাৎ হিংসাত্মক হরতাল প্রতিরোধ করতে একটি বড় দল হিসেবে আওয়ামী লীগ, দলীয় প্রধান এবং সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা কোনো দায়িত্ব নিতে চান না। প্রতিরোধ করার জন্য যুদ্ধের ময়দানে ঠেলে দিতে চান সাধারণ মানুষকে। 
সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে হাজারটা স্বার্থবাদী আইন পাস করলেও হরতাল বন্ধে সরকারপক্ষ আইন পাসে উদ্যোগ নিচ্ছেনা। এটা মূলতঃ গণস্বার্থের প্রতি সরকারের চরম উদাসীনতা এবং সে সাথে গণবিচ্ছিন্নতা প্রতিভাত করে।
'হরতাল বন্ধ করতে হলে জনমত গঠন করতে হবে' -প্রধানমন্ত্রীর কথিত গণতান্ত্রিক এ ভাষ্যে যুক্তি থাকতো যদি দেশের অন্যান্য কাজগুলো কথিত গণতান্ত্রিক পন্থায় হত। মূলতঃ দেশ ও জাতির স্বার্থে কথিত অগণতান্ত্রিক পন্থায় হলেও সরকারের হরতাল বন্ধ করা উচিত। রাষ্ট্রের কল্যানের স্বার্থে আইনের মাধ্যমে হরতাল বন্ধ করা উচিত। এটা প্রধানমন্ত্রীর সরকার অনুধাবন করতে না পারলেও দেশের প্রতিটি মানুষ প্রতিক্ষণ প্রত্যাশা করে। এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও এদেশের হরতালের ক্ষতির খবর ফলাও করে প্রচার করে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত হিসাব মতে, হরতালের কারণে বিগত ২০১৩ সালে অর্থাৎ মাত্র এক বছরে প্রায় ৫৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকার (৭০০ কোটি ডলার) ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কি মনে করেন না যে, প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি এদেশের জনগণের জন্য অনেক বড় ক্ষতি? 
দেশের অর্থনীতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে আর তা আম-জনতা সহজ দৃষ্টিতে দেখবে এ কথা সরকারপ্রধানের ভাবা মানেই মূর্খামি। অপরদিকে পত্রিকার পাতায় প্রতিনিয়ত সব ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা যে হরতাল বন্ধে আইনের দাবী জানাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী কি তা দেখতে পান না? শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন, এফবিসিসিআই, ঢাকা চেম্বার, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন সমিতি, শ্রমিক সংগঠন থেকে ভিক্ষুক সংগঠন; কোনটি হরতালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানাতে বাকি রেখেছে? হরতালে তারা কত সর্বস্বান্ত হয় এটা কি প্রধানমন্ত্রী অনুধাবন করতে পারেন না? আর কতভাবে ও কিভাবে বললে উনি বুঝবেন যে জনগণ হরতালের অবলুপ্তি চায়?
প্রসঙ্গত গত ০১ নভেম্বর (২০১৪) প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "নদীভাঙনে অনেক মানুষ গৃহহারা হয়ে যায়। তারাও মানুষ। একদিকে আমরা দেখব বিশাল বিশাল অট্টালিকা। বিদেশ থেকে আনা ফার্নিচার আর ঝাড়বাতি, বিলাসবহুল জীবন যাপন। অন্যদিকে আমার দেশের মানুষ একটু মাথা গোঁজার ঠাই পাবে না। তাদেরকে রাস্তার পাড়ে বসে থাকতে হবে। রেললাইনের পাশে বস্তিতে থাকতে হবে। তাদেরকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে কেন?" 
প্রধানমন্ত্রী যদি নিজেই এ প্রশ্ন করেন তবে উত্তর দিবে কে? 
আর যে প্রধানমন্ত্রী এত বুঝেন; তিনি কি করে বুঝতে অক্ষম হন যে- হরতালের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ অনেক আগেই নিপীড়িত, নির্যাতিত, লাঞ্ছিত ও বিপর্যস্ত হয়ে আকাশ বাতাস ভারী করে হরতালকে ঘৃণাভরে না করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অজানা থাকার কথা নয় যে, দেশের ৪ কোটি শিক্ষার্থী হরতালের কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং তারা নিদারুন হাহাকার করছে। এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিদারুন করুন অবস্থা দেখেও যদি প্রধানমন্ত্রীর অন্তরে এ অনুভূতি না আসে, যে- এদেশের মানুষ হরতাল চায়না, তাহলে তা কি জনগণের সাথে উপহাস করা হবে না?
সেক্ষেত্রে জননেত্রী উপাধি ধারণ করাটা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কতটুকু শ্রেয় তা বিবেচ্য বিষয়।
প্রধানমন্ত্রীকে জনগণের দুর্ভোগের কথা কি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে? মূলত জনমানুষের নিরাপত্তা ও অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে হরতালের বিরুদ্ধে সংসদের বর্তমান অধিবেশনেই আইন করা প্রয়োজন।
অপরদিকে উল্লেখ্য, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল তাদের দ-ের বিরুদ্ধে জামাতে মওদুদীরা যে হরতালের ডাক দিয়েছে তা প্রকাশ্য আদালত অবমাননার শামিল। 
গত ছুলাছা অর্থাৎ মঙ্গলবার পবিত্র আশুরার দিনটি বাদ দিয়ে এই পুরো সপ্তাহটিই জামাতে মওদুদীর হরতালের খপ্পরে পড়েছে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে হরতাল দেয়া সুপ্রীমকোর্টের সর্বোচ্চ অবমাননা। হরতালের মাধ্যমে সংবিধানের ৩৬, ৪০, ৪২ অনুচ্ছেদের সরাসরি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। ইতোপূর্বেও একই ভাবে জামাতে মওদুদী আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হরতাল ও অন্যান্য নৈরাজ্যিক কর্মকা- পরিচালনা করেছে। সঙ্গতকারণেই তাদের বিরুদ্ধে শুধু আদালত অবমাননার অপরাধ নয়- রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলাও হওয়া উচিত। সরকারের পক্ষ থেকেই তা করা উচিত।
পর্যবেক্ষক মহল মন্তব্য করেছেন, অন্য কথায় আদালত অপমানিত হলেও জামাতে মওদুদীদের কথায় অপমানিত হয় না। 
সাবেক মন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদও বলেছেন- 'আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে জামাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে।' কিন্তু জনগণের এ প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। অথচ সংবিধান অনুযায়ী জনগণই দেশের মালিক। আর সংবিধানে রাষ্ট্রদ্বীন হিসেবে ইসলাম উনাকে গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু জামাতে মওদুদীরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ তথা হারাম এবং মুরতাদ। কাজেই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না- এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সরকারের উচিত- অবিলম্বে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামধারী কিন্তু বিরোধী ও বিদ্রোহী ধর্মব্যবসায়ী মওদুদী জামাতকে নিষিদ্ধ করা। দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধানের আলোকেই তা সম্ভব।
মূলতঃ সব সমস্যা সমাধানে চাই ছহীহ সমঝ ও সদিচ্ছা তথা সক্রিয়তা। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন নেক ছোহবত মুবারক, নেক সংস্পর্শ মুবারক তথা রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক। 




__._,_.___

Posted by: Monsur Haider <haidermonsur@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___