পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামের ডালিম হোটেল ছিল এক ভয়াবহ নির্যাতন কেন্দ্র। আলবদর সদস্যরা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের ধরে এনে ডালিম হোটেলে আটকে রাখত। সেখানে তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হতো। কোন কোন ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে স্থাপিত এই নির্যাতন কেন্দ্রের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব ছিল মীর কাশেম আলীর। এতে প্রমাণিত হয়, ওই নির্যাতন ক্যাম্পে যারা নির্যাতিত হয়েছেন এবং যারা হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন, সবকিছুর পেছনেই মীর কাশেম মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
ট্রাইব্যুনাল পর্যবেক্ষণে বলেন, রায়ের অভিযোগ, দোষী সাব্যস্তকরণ ও শাস্তি তিনটি অংশেই ডালিম হোটেলে নির্যাতনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। নির্যাতনের আটটি অভিযোগে মীর কাশেম দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, যার প্রতিটিতে কারাদণ্ড সাজা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি যে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে, এই দুটিতেও ডালিম হোটেলে নির্যাতনের বিষয়টি ছিল। এছাড়া রায়ের পর্যবেক্ষণে যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামীকে আলবদরের স্থপতি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।
মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগ অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার। বাকি ১২টি অভিযোগ অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের। ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগের দুটিতেই তার মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মীর কাশেমের বিরুদ্ধে ১১ নম্বর অভিযোগে বলা হয় ॥ শহীদ জসিমসহ মোট ৬ জনকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যা করে লাশ গুম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষকে ধরে নিয়ে বিভিন্ন নির্যাতন কেন্দ্রে আটক রেখে নির্যাতন ও অনেককে হত্যা করে।
ওই ঘটনার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের রমজানের ঈদের দিনের পর যে কোন সময় মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে চট্টগ্রাম শহরের অজ্ঞাত স্থান থেকে আটক ও অপহরণ করে পাকিস্তানী দখলদার সেনাবাহিনীর দোসর আলবদর বাহিনীর সদস্যরা আসামি মীর কাশেম আলীর নির্দেশে ও ইঙ্গিতে তার নিয়ন্ত্রণাধীন চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকার আন্দরকিল্লাস্থ ডালিম হোটেল নির্যাতন কেন্দে নিয়ে যায়। নির্যাতন কেন্দ্রে আটক রেখে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৮ নবেম্বর আসামি মীর কাশেম আলীর নেতৃত্বে ও নির্দেশে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ডালিম হোটেলের ছাদে জসিমকে নির্যাতন করে হত্যা করে। তাদের নির্যাতনে নিহত অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনের লাশের সঙ্গে জসিমের লাশ ওইদিন সন্ধ্যা বেলা আসামির নির্দেশে ও ইঙ্গিতে তার নেতৃত্বাধীন আলবদর বাহিনীর সদস্যরা কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দিয়ে লাশ গুম করে।
১২ নম্বর অভিযোগে বলা হয় ॥ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ তিনজনকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন ও পরবর্তীতে রঞ্জিত দাস প্রকাশ লাতু ও টুন্টু সেন প্রকাশ রাজুকে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়। ১৯৭১ সালের নবেম্বর মাসের যে কোন দিন যে কোন সময় চট্টগ্রাম শহরস্থ হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় হাজারী গলির ১৩৯ নং বাসা থেকে ভিকটিম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (বর্তমানে মৃত), একই গলির ১১৪ নং বাসা থেকে রঞ্জিত দাস ওরফে লাতু ও টুন্টু সেন ওরফে রাজুকে আসামি মীর কাশেম আলীর নেতৃত্বাধীন আলবদর বাহিনীর লোকজন তারই নির্দেশে ও ইঙ্গিতে আটক ও অপহরণ করে তার নিয়ন্ত্রণাধীন চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকার আন্দরকিল্লাস্থ আলবদর বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র ডালিম হোটেলে নিয়ে যায় এবং সেখানে তারই নির্দেশে তার নেতৃত্বাধীন বদর বাহিনীর সদস্যরা তাদের নির্যাতন করে।
নির্যাতন চালানোর একপর্যায়ে ডালিম হোটেলে আটকের পরের দিন বিকেলে আসামির নির্দেশে ও ইঙ্গিতে ভিকটিম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে তারই নেতৃত্বাধীন আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ছেড়ে দিলেও অপর দু'জন লাতু ও রাজুকে ছেড়ে দেয়নি। পরবর্তীতে তাদের আসামি ও তার কর্তৃত্বাধীন আলবদর বাহিনীর সদস্যরা হত্যা করে লাশ গুম করে। ভিকটিমদের আটক করাকালে আসামি তার নেতৃত্বাধীন আলবদর বাহিনীসহ তাদের দোসর রাজাকার, আলশামস ও দখলদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে নিয়ে হাজারী লেন এলাকায় স্বর্ণের দোকানপাটসহ বিভিন্ন দোকানপাটে এবং এলাকায় স্থিত প্রায় ২৫০-৩০০টি পরিবারের প্রত্যেকের বাড়িঘরে লুটপাট চালায় ও অধিকাংশ ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আসামি তার দলবল নিয়ে এলাকায় ব্যাপক নির্যাতন চালিয়ে অধিকাংশ পরিবারকে বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিতে এবং শতাধিক পরিবারের সদস্যকে ভিটেমাটি ছেড়ে দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যেতে বাধ্য করে।
রায় শুনে মীর কাসেমের তির্যক মন্তব্য
সুলাইমান নিলয় ও কাজী শাহরিন হক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2014-11-02 15:05:34.0 BdST Updated: 2014-11-02 20:20:45.0 BdST
মানবতাবিরোধী অপরাধ
মীর কাসেমের ফাঁসির আদেশআলোকিত ডেস্ক- gxi Kv‡mg Avjxi duvwm
Avgv‡`i mgq.Kg : 02/11/2014
Bmjvgx e¨vs‡Ki mv‡eK cwiPvjK gxi Kv‡mg w`Mš— wgwWqv K‡c©v‡ik‡bi †Pqvig¨vb| IB cÖwZôv‡biB msev`cÎ ˆ`wbK bqv w`Mš— Ges †Uwjwfkb P¨v‡bj w`MšÍ †Uwjwfkb|
http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/11/02/135803.htm#.VFXIYzTF8-0
Death for QuasemBreaking
12 out of 14 charges proved; defence to appeal
RELATED NEWS
http://thedailystar.net/death-for-quasem-48513
Charges Mir Quasem found guilty for
The International Crimes Tribunal-2 has found involvement of Jamaat-e-Islami Mir Quasem Ali in 12 wartime offences...
http://thedailystar.net/charges-mir-quasem-found-guilty-for-48519
রবিবার, ২ নভেম্বর ২০১৪, ১৮ কার্তিক ১৪২১
মীর কাসেম আলীর মামলার রায় আজনিজস্ব প্রতিবেদক একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মামলার রায় আজ রোববার। গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য় করেন। এটি হবে দুই ট্রাইব্যুনালের দেয়া ১১তম রায়। ... http://www.manobkantha.com/2014/11/02/197553.html g †Z gxi Kv‡mg : ZzB ivRvKvi, ZzB ivRvKvi, duvwm PvB, duvwm PvBAvgv‡`i mgq.Kg : 02/11/2014 http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/11/02/135602.htm#.VFUyfjTF8-1 Jamaate Islami is জামাত-ই-মুনাফেক!!! |
__._,_.___