যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ২৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন মীর কাসেম
সাবেদ সাথী, নিউ ইয়র্ক থেকে
যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ২৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করেও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেন না ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মীর কাসেম আলী। ১৯৭১-এ সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বানচাল করতে আন্তর্জাতিক প্রচারণা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি তদবিরকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম শীর্ষ নেতা।
জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত মীর কাসেম আলী যুক্তরাষ্ট্রে উক্ত তদবিরকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রায় সাড়ে ২৩ মিলিয়ন ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮২ কোটি টাকা) চুক্তি করেছিলেন। চুক্তি মোতাবেক ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৩ মিলিয়ন ৫ লাখ ৩৬ হাজার মার্কিন ডলার পরিশোধ করেন তিনি। সরকারের সন্দেহ, গ্রেপ্তারের আগে তিনি ট্রাইব্যুনালবিরোধী তৎপরতা চালাতে এর চেয়েও মোটা অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।
প্রসঙ্গত, অনেক আগেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মীর কাসেম আলীর মার্কিন লবিস্ট নিয়োগের চুক্তিপত্র প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া খোদ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ওয়েবসাইটেই এ সংক্রান্ত বিবিধ নথি প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে মীর কাসেম আলীর আন্তর্জাতিক চেষ্টা-তদবিরের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা উঠলেও তাঁর আইনজীবীরা তা অস্বীকার করে আসছিলেন। মীর কাসেম আলীর যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর সমর্থকগোষ্ঠী ব্লগ, ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতেও ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ওয়েবসাইট সিনেট ডটগভ-এ অনুসন্ধান করে দেখা যায়, মীর কাসেম আলী ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর 'বাংলাদেশ ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল অপোজিশন' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে লবিং করার জন্য ওই দেশের ফার্ম 'ক্যাসেডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস'-এর কাছে নিবন্ধন করেন। গত বছর ১৩ জানুয়ারি তিনি লবিংয়ের জন্য ওই ফার্মকে ৮০ হাজার ডলার দেন। একই বছর ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় তিনি এক লাখ ডলার এবং ২৩ জুন তৃতীয় দফায় আরো এক লাখ ডলারসহ মোট দুই লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিশোধ করেন।
সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে বিতর্কিত করতে বিদেশে চক্রান্ত চলছে। লবিস্টদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ও সিনেট সদস্যদের এবং যাঁরা দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ে মার্কিন নীতি নির্ধারণ করে থাকেন, তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। এতে মানি লন্ডারিং হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বানচাল করার লক্ষ্যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগসহ নানাভাবে শত শত কোটি টাকা খরচ করেও ফাঁসির দণ্ড থেকে রেহাই পেলেন না জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী। একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি অভিযোগে গত সপ্তাহে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরো আটটি অভিযোগে তাঁকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড।
জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত মীর কাসেম আলী যুক্তরাষ্ট্রে উক্ত তদবিরকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রায় সাড়ে ২৩ মিলিয়ন ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮২ কোটি টাকা) চুক্তি করেছিলেন। চুক্তি মোতাবেক ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৩ মিলিয়ন ৫ লাখ ৩৬ হাজার মার্কিন ডলার পরিশোধ করেন তিনি। সরকারের সন্দেহ, গ্রেপ্তারের আগে তিনি ট্রাইব্যুনালবিরোধী তৎপরতা চালাতে এর চেয়েও মোটা অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।
প্রসঙ্গত, অনেক আগেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মীর কাসেম আলীর মার্কিন লবিস্ট নিয়োগের চুক্তিপত্র প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া খোদ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ওয়েবসাইটেই এ সংক্রান্ত বিবিধ নথি প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে মীর কাসেম আলীর আন্তর্জাতিক চেষ্টা-তদবিরের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা উঠলেও তাঁর আইনজীবীরা তা অস্বীকার করে আসছিলেন। মীর কাসেম আলীর যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর সমর্থকগোষ্ঠী ব্লগ, ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতেও ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ওয়েবসাইট সিনেট ডটগভ-এ অনুসন্ধান করে দেখা যায়, মীর কাসেম আলী ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর 'বাংলাদেশ ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল অপোজিশন' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে লবিং করার জন্য ওই দেশের ফার্ম 'ক্যাসেডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস'-এর কাছে নিবন্ধন করেন। গত বছর ১৩ জানুয়ারি তিনি লবিংয়ের জন্য ওই ফার্মকে ৮০ হাজার ডলার দেন। একই বছর ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় তিনি এক লাখ ডলার এবং ২৩ জুন তৃতীয় দফায় আরো এক লাখ ডলারসহ মোট দুই লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিশোধ করেন।
সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে বিতর্কিত করতে বিদেশে চক্রান্ত চলছে। লবিস্টদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ও সিনেট সদস্যদের এবং যাঁরা দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ে মার্কিন নীতি নির্ধারণ করে থাকেন, তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। এতে মানি লন্ডারিং হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বানচাল করার লক্ষ্যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগসহ নানাভাবে শত শত কোটি টাকা খরচ করেও ফাঁসির দণ্ড থেকে রেহাই পেলেন না জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী। একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি অভিযোগে গত সপ্তাহে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরো আটটি অভিযোগে তাঁকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড।
Read more at:
অঢেল অর্থ ঢেলেও পার পেলেন না মীর কাসেম | Kalantor
6 days ago - চুক্তিপত্রের কপি থেকে দেখা যায়, চুক্তি অনুযায়ী ২৫ মিলিয়ন ডলার অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়েছে মীর কাসেম আলীকে। সিটি ব্যাংক এনএ-এর মাধ্যমে ... এ ছাড়া চুক্তির বাইরে মামলা খরচসহ অন্যান্য খরচ বহন করতে আরো অর্থ দেওয়ার কথা কেসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসকে। এ নিয়ে ২০১১ সালের ২ জুন কালের কণ্ঠে আমার লেখা একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় 'যুক্তরাষ্ট্রে ১৮২ কোটি টাকায় লবিস্ট নিয়োগ মীর কাসেমের' শিরোনামে। এ বিষয়ে মীর কাসেম ... এতে অরগানাইজেশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের পে সই করেছেন জিয়াউল ইসলাম নামের একজন। আর কেসিডির পে সই ... এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে রাখা হয়। তিনি পুরো রায় ...
এই কাশেম সেই কাশেম!!! - সামহোয়্যার ইন ব্লগ
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার চালা গ্রামের পিডাব্লিউডি কর্মচারী তৈয়ব আলীর চার ছেলের মধ্যে দ্বিতীয়মীর কাশেম। ডাক নাম ... সম্প্রতি এই অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রসত্ম করতে জামাত নেতা মীর কাশেম আলী লবিস্ট নিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি কনসালটেন্সি ফার্মের সঙ্গে ২৫মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছেন।
Related:
'শয়তান.. শয়তান..'
ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি /বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
__._,_.___