Banner Advertiser

Tuesday, November 4, 2014

[mukto-mona] একের পর এক রায় মনোবল ভেঙ্গে পড়েছে জামায়াতের



মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০১৪, ২০ কার্তিক ১৪২১

একের পর এক রায় মনোবল ভেঙ্গে পড়েছে জামায়াতের
বিভাষ বাড়ৈ ॥ বিএনপিসহ দেশী-বিদেশী গোষ্ঠীর আশীর্বাদে বাইরে যতই হুঙ্কার দিক না কেন ইতিহাসে সবচেয়ে সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পড়েছে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত উগ্রবাদী গোষ্ঠী জামায়াত-শিবির। আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের আদলে প্রতিষ্ঠিত হলেও জামায়াতীরা এবার অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে। নেতৃত্বে চলছে মহাসঙ্কট। যুদ্ধাপরাধসহ নানা অপকর্মের দায়ে শীর্ষ নেতারা কারান্তরীণ। গোলাম আযমসহ কয়েকজন নেতার মৃত্যুর সঙ্গে একের পর এক ফাঁসির রায়ে এ সঙ্কট ক্রমেই বাড়ছে। মামলায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় সারির অধিকাংশ নেতা দীর্ঘদিন কারাগারে আটক থাকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্তরের অনেকটা সাধারণ নেতাকর্মীরা দিচ্ছেন দলের নেতৃত্ব। যার ফলে কর্মসূচী দেয়া কিংবা অন্য কোন বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সমন্বয়ও করতে পারছে না। নেতৃত্বের সঙ্কট এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, কোন সিদ্ধান্তই এখন আর জামায়াত ঠিকভাবে নিতে পারছে না। আবার গোপন বৈঠক করে কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত নিতে চাইলেও নেতারা জড়িয়ে পড়ছেন মতবিরোধে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কোন পথে যাচ্ছে জামায়াত? রাজনৈতিক বিশ্লেষক এমনকি জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, অন্তত পাঁচটি কারণে এই মুহূর্তে জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীটি। কারণগুলো হচ্ছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে একের পর এক জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির আদেশ ও রায় কার্যকরের উদ্যোগ, তাদের গুরু গোলাম আযমের মৃত্যু, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে কয়েক হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার এবং মানবতাবিরোধিতার বিচার বন্ধে ক্রমশ বিদেশীবন্ধু রাষ্ট্রগুলোর হস্তক্ষেপ ও প্রভাব হ্রাস। নিবন্ধর বাতিলের সঙ্গে সঙ্কট আরও ঘনিভূত হয়েছে দল হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগে। শীঘ্রই বিল আকারে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদে উত্থাপনের প্রস্তুতি রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের। জনরোষের ভয়ে দীর্ঘদিনের বন্ধু বিএনপিও সেভাবে সমর্থন করছে পাড়ছে জামায়াতকে, যা জামায়াতের চিন্তার আর এক কারণ। জানা গেছে, পশ্চিমাবিশ্বের কয়েকটি দেশ ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো জামায়াতের পাশে দাঁড়িয়েছে বরাবর। পাশে আছে তুরস্ক, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ। যুদ্ধাপরাধের বিচারবন্ধে এসব দেশের ক্রমাগত চাপের পরও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অব্যাহতভাবে হচ্ছে জামায়াতের অভিযুক্ত নেতাদের শাস্তিও। বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর চাপের মুখেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্ত অবস্থানের কারণে জামায়াতের বিদেশী-চাপ কৌশল কাজে লাগেনি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরব আমিরাত সফরের পর সরকারের অবস্থান আরও কঠোর হয়ে ওঠেছে। সব মিলিয়ে বিদেশীবন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহায়তায় কাজ না হওয়ায় ভেঙে পড়েছে জামায়াতের মনোবল। চলমান সঙ্কট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে জামায়াতকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার সরকারী উদ্যোগে। এ বিষয়ে ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সরকারকে চাপও দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে জোট নেতা ও তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়াল এমপি বলেন, আমরা আশাবাদী খুব দ্রুত মন্ত্রিসভায় জামায়াতকে দল হিসেবে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হবে। এরপর সংসদে পাস হবে। সরকার আন্তরিক স্বাধীনতারবিরোধী দলকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে। আমরাও আরও সক্রিয়। এদিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের আদলে প্রতিষ্ঠিত হলেও চরম নেতৃত্ব সঙ্কটে ভেঙ্গে পড়ছে জামায়াতের সাংগঠনিক কাঠামো। জানা গেছে, জামায়াত শিবিরের কোন সিদ্ধান্তই এখন আর ঠিকভাবে নিতে পারছে না। কর্মসূীচ দিলেও আগের মতো কাজে আসছে না। গত কয়েক দিনের হরতাল ছিল নামকাওয়াস্তে।
সূত্রগুলো বলছে, বর্তমান নেতাদের মাঝে সমন্বয়হীনতায় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আর জামায়াতের সঙ্গে শিবিরের মতবিরোধে সিদ্ধান্ত নিতেও পারছে না উগ্রবাদী এ গোষ্ঠী। আছে গঠনতন্ত্র মানা নিয়েও মতবিরোধ। বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে আমির নির্বাচন পদ্ধতি স্থগিত রয়েছে। তবে গঠনতন্ত্র সংশোধনেও গঠনতান্ত্রিক শর্ত মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে শিবিরের অনেক নেতা। জানা গেছে, ২০০৯ সালের নবেম্বরে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে আমির নির্বাচিত হন মতিউর রহমান নিজামী। ২০১০-১২ সেশনের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১০ সালে তিনি গ্রেফতার হন। এরপর ভারপ্রাপ্ত আমির করা হয় নায়েবে আমির মকবুল আহমাদকে। এরপর গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতার কারণে ৬ মাসের বেশি ভারপ্রাপ্ত থাকা যায় নাÑ এমন শর্তের কারণে ২০১১ সালে বিশেষ পরিস্থিতি দেখিয়ে ফের মকবুল আহমাদের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। সর্বশেষ, ২০১২ সালের শুরুতে গঠনতান্ত্রিক নিয়ম লঙ্ঘিত হবেÑ এমন মনে করে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে জামায়াত। রুকন সম্মেলনে ব্যর্থ হয়ে 'বিশেষ পরিস্থিতি' প্রদর্শন করে মকবুল আহমাদকেই ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রাখা হয়। কিন্তু জামায়াতের আমির, নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষ প্রায় সব নেতারা বর্তমানে জেলে, ইতোপূর্বে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর এবং প্রথমে দলটির গুরুত্বপূর্ণ নায়েবে আমির অধ্যাপক একেএম নাজির আহমাদ, ওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফের মৃত্যুর পর সর্বশেষ গোলাম আযমের মৃত্যুর কারণে এই নেতৃত্বে সঙ্কটের বিষয়টি সামনে চলে আসে। নেতাকর্মীদের মনে প্রশ্ন, ধারাবাহিকভাবে প্রবীণ নেতাদের পদ শূন্য হওয়ায় কমান্ডিং নেতৃত্ব সঙ্কট তৈরি হয়েছে জামায়াতে। 
দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে সক্রিয় নেতাকর্মীরাও রয়েছেন আত্মগোপনে। দলীয় কার্যালয় দূরের কথা, বাসা-বাড়ি, ব্যক্তিগত অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোথাও একটানা অবস্থান করছেন না তারা। ঝটিকা মিছিল, ভাঙচুর ছাড়া চলছে না প্রকাশ্য কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম। নিত্যনতুন কৌশল নির্ধারণ করেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারছে না। সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে অনেকে দেশ ত্যাগ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরির জন্য পাড়ি জমাচ্ছে বলেও তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে তথ্য আসছে। আবার কেউ কেউ রাজনীতি ছেড়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি নেয়ার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়টিও ভাবিয়ে তুলেছে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বকে। কেউ এ নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে রাজি না হলেও তারা বলছেন, সঙ্কটে পড়লেও মাঠ পর্যায়ে দল ত্যাগ করে চলে যাওয়া কিংবা দলের ঘোষণার পরেও মাঠে নামেনি এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। এ অবস্থায় দলের ভবিষ্যত নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে হতাশা। সর্বশেষ তিন যুদ্ধাপরাধীর ফাসির রায়ের পর টানা কর্মসূচী চললেও হরতাল ডেকে লাপাত্তা অধিকাংশ জামায়াত-শিবির। আবার অনেক স্থানে নাশকতার চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থানে সফল হয়নি তারা। দলের নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশ আটক থাকায় এবং সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে জামায়াত ও ছাত্রশিবির এ মুহূর্তে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বলে জানিয়েছেন মাঠপর্যায়ের নেতারা। দেশের যেসব এলাকায় জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে, সেসব এলাকায়ও হরতালে দলটির তেমন তৎপরতা ছিল না। নেতৃত্ব সঙ্কটের কারণেও আন্দোলন জোরদার হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। 
এদিকে প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো মাঠপর্যায়ে নেতাকর্মীদের মাঝে নানামুখী টানাপোড়ন দিয়ে বেকায়দায় জামায়াতের 'পাওয়ার হাউজ' হিসেবে স্বীকৃত ছাত্রশিবির। শিবির অতীতে আর এত বড় সঙ্কটে পড়েনি বলেওই মনে করছে সংগঠনটির নেতারা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিবিরের উপস্থিতি এক তরফা আর নেই। চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সংগঠনটির দাপট। সেখানেও দাপট একচ্ছত্র নেই। শিবিরের মাঠ পর্যায়ে থেকে আনা নানা তথ্য ভাবিয়ে তুলেছে জামায়াত-শিবিরকেই। সূত্রগুলো বলছে, সারাদেশে শিবির করাকে এখন আর ভাল চোখে দেখছে না পরিবারগুলো। আসছে সংসার থেকেও চাপ। শিবির নেতাকর্মীদের বাবা-মা ভাই-বোনরাও আছেন আতঙ্কে। ছেলে কখন ধরা পড়ে। কখন কারাগারে যায়। কখন সংঘর্ষে পড়েÑ এই উদ্বেগ তাদের নিত্যসঙ্গী। অনেক অভিভাবকই চাইছেন তার সন্তানরা শিবির ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। 
অনেক অভিভাবক অভিযোগ করছেন, তাদের সন্তানদের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ অনেকেই জেনে গেছেন জামায়াত-শিবির যত না ইসলামী সংগঠন তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম। শিবিরের এইসব সঙ্কট নিয়ে দলের নেতারা কেউ মুখ খুলছেন না। প্রতি মুহূর্তে তারা মোবাইলের সিম বদলান ধরা পড়ার ভয়ে। থাকারও নির্দিষ্ট জায়গা নেই। পুলিশ তাদের ধরেছে। তারা যেখানে থাকতেন সেখান থেকেই। এই নিয়েও সংগঠনটির মধ্যে চলছে নানা টানাপোড়েন। শিবিরের অনেক নেতা সন্দেহ করছেন সরকার হয়ত তাদের মধ্যেই নিজেদের লোক ঢুকিয়ে দিয়েছে। তা না হলে কী করে নেতারা হুটহাট ধরা পড়েন। 
এদিকে এসব প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো সংগঠনটির রিক্রুটমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। তরুণরা নতুন করে কেউ শিবিরে যোগ দিচ্ছে না। কারণ শিবির পরিচয়টি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণ মানুষের মধ্যে শিবিরের গ্রহণযোগ্যতা এখন নেতিবাচকতার সর্বনিম্ন পর্যায়ে। গণজাগরণ মঞ্চ শিবিরকে অনেকটাই কোণঠাসা করতে পেরেছে। গণজাগরণ মঞ্চ তরুণদের মধ্যে একটি বিষয় অন্তত ছড়িয়ে দিতে পেরেছে যে, জামায়াত-শিবির এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী। এ বিষয়টিও ভাবিয়ে তুলেছে শিবিরকে।
মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০১৪, ২০ কার্তিক ১৪২১


Pig msK‡U RvgvqvZ : †Kv_vI †bB †KD!

Avgv‡`i mgq.Kg : 03/11/2014


 http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/11/03/136903.htm#.VFfOmjTF8-0


২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর। বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে জোটসঙ্গী জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী।







__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___