জাতি হিসেবে কলঙ্কমুক্ত হচ্ছি
আবেদ খান
মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের বিচার বিলম্বে হলেও হচ্ছে। আদালতে ধারাবাহিকভাবে মামলাগুলোর আনুষ্ঠানিকতা শেষে রায় হচ্ছে। এটা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শুভ উদ্যোগ। একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী এদেশের ঘাতকচক্রের বিচার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি। সেই দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে দেরিতে হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা আদালতের রায় পাচ্ছি। অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হচ্ছে। এতে করে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, তা যেমন একদিকে পূরণ হচ্ছে, অন্যদিকে জাতি হিসেবেও আমরা কলঙ্কমুক্ত হচ্ছি। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেও যারা এতদিন বিচারের মুখোমুখি হয়নি, তাদের কাঠগড়ায় নিয়ে আসাতে পারায় আমাদের লজ্জার অংশও কমছে। যুদ্ধাপরাধীদের এই বিচার প্রক্রিয়ার ফলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ আবার একত্রিত হচ্ছে। কলঙ্কময় মানুষগুলোর শাস্তির দাবিতে মানুষ জেগে উঠছে। মানুষের এই জেগে ওঠা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতানারই বহির্প্রকাশ। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করি, সারাজীবন ধারণ করে যাব। আর এই চেতনা বাস্তবায়নের জন্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে আমি মনে করি, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী কোনো রাজনৈতিক শক্তির অবস্থান থাকতে পারে না এবং থাকতে দেয়া উচিত নয়। যারা সাংগঠনিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে এ দেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না। আর ধর্মকে পুঁজি করে তো নয়ই। সংবিধানের আলোকে সরকারকে ধর্মভিত্তিক এবং যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের রাজনীতি বন্ধের পদক্ষেপ নিতে হবে।
লেখক : সম্পাদক, প্রকাশিতব্য দৈনিক জাগরণ
- See more at: http://www.manobkantha.com/2014/11/04/197823.html#sthash.sq3XOl60.dpufমানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের বিচার বিলম্বে হলেও হচ্ছে। আদালতে ধারাবাহিকভাবে মামলাগুলোর আনুষ্ঠানিকতা শেষে রায় হচ্ছে। এটা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শুভ উদ্যোগ। একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী এদেশের ঘাতকচক্রের বিচার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি। সেই দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে দেরিতে হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা আদালতের রায় পাচ্ছি। অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হচ্ছে। এতে করে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, তা যেমন একদিকে পূরণ হচ্ছে, অন্যদিকে জাতি হিসেবেও আমরা কলঙ্কমুক্ত হচ্ছি। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেও যারা এতদিন বিচারের মুখোমুখি হয়নি, তাদের কাঠগড়ায় নিয়ে আসাতে পারায় আমাদের লজ্জার অংশও কমছে। যুদ্ধাপরাধীদের এই বিচার প্রক্রিয়ার ফলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ আবার একত্রিত হচ্ছে। কলঙ্কময় মানুষগুলোর শাস্তির দাবিতে মানুষ জেগে উঠছে। মানুষের এই জেগে ওঠা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতানারই বহির্প্রকাশ। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করি, সারাজীবন ধারণ করে যাব। আর এই চেতনা বাস্তবায়নের জন্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে আমি মনে করি, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী কোনো রাজনৈতিক শক্তির অবস্থান থাকতে পারে না এবং থাকতে দেয়া উচিত নয়। যারা সাংগঠনিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে এ দেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না। আর ধর্মকে পুঁজি করে তো নয়ই। সংবিধানের আলোকে সরকারকে ধর্মভিত্তিক এবং যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের রাজনীতি বন্ধের পদক্ষেপ নিতে হবে।
লেখক : সম্পাদক, প্রকাশিতব্য দৈনিক জাগরণ
http://www.manobkantha.com/2014/11/04/197823.html
এবার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপির অপেক্ষাজেলহত্যা দিবস পালিত : জিয়ার নির্দেশেই জেলহত্যা: আশরাফ - See more at: http://www.manobkantha.com/2014/11/04/197823.html#sthash.ToDrnBZI.dpuf
-__._,_.___