স্বর্ণ চোরাচালন: বিমানের ডিজিএম-চিফ ক্যাপ্টেনসহ আটক ৫
বিমানের ডিজিএমসহ ৫ জন গ্রেফতারের পর রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিমানবন্দর দিয়ে সোনা চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এক উপমহাব্যবস্থাপকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন- বাংলাদেশ বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম, ফ্লাইট সার্ভিস) এমদাদ হোসেন, ক্যাপ্টেন আবু মোহাম্মদ আসলাম শহীদ (চিফ অব প্লানিং অ্যান্ড শিডিউলিং), ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার শিডিউলিং) তোজাম্মেল হোসেন, উত্তরার ফারহান মানি এক্সচেঞ্জের মালিক হারুন অর রশিদ এবং বিমানের ঠিকাদার মাহমুদুল হক পলাশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মিনহাজুল ইসলাম জানান, গতকাল বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম এরফান উল্লাহ প্রত্যেকের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত প্রায় বছর দুই ধরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় প্রতিদিনই সোনার চালান ধরা পড়লেও এই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কাউকে গ্রেফতার করা হলো।
শাহজালাল বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কারো সহযোগিতা ছাড়া এভাবে নিয়মিত সোনা চোরাচালান যে সম্ভব নয়- সে সন্দেহ আগে থেকেই ছিল। এসব ঘটনায় কখনো যাত্রীদের ব্যাগে বা শরীরে লুকানো অবস্থায়, আবার কখনো উড়োজাহাজের টয়লেট বা আসনের নিচে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিভিন্ন পরিমাণ সোনার বার পাওয়া যায়।
এর মধ্যে গোপন সংবাদে গত ২৬ এপ্রিল দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে (বিজি-০৫২) ১০৬ কেজি সোনা পান শাহজালাল বিমানবন্দরের শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ওই সময় আনিস নামে বাংলাদেশ বিমানের এক ম্যাকানিককে আটক করা হয়। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা আনিসকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ও আর্মড পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, সোনাসহ বিভিন্ন চোরাচালানের সঙ্গে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কয়েক প্রভাবশালী নেতাদের যোগসাজশে অবৈধ পাচারের এসব ঘটনা ঘটছে। মূলত রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এ চক্রটি অবাধে আমদানি-রফতানির মাধ্যমে পাচারের কাজ করে যাচ্ছে। কখনো কখনো এক সংস্থার লোকের সঙ্গে অন্য সংস্থার কর্মীদের 'কমিশনে বনিবনা' না হলেই ধরা পড়ছে অবৈধ চোরাচালান। আর সমঝোতায় প্রতিদিনই অসংখ্য চোরাচালান নিরাপদে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদনই অবাধে আদম, মাদক, মুদ্রা, স্বর্ণ এবং নারী ও শিশু পাচার হচ্ছে। দেশি-বিদেশি চক্র শাহজালাল বিমানবন্দরকে স্বর্ণ পাচারের সবচেয়ে নিরাপদ ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে। চক্রের মূল হোতারা সিঙ্গাপুর, দুবাই, পাকিস্তান ও ভারতে বসেই চোরাচালানের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, গত ১২ নভেম্বর দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০৪৬ নম্বর ফ্লাইট থেকে ২ কেজি ৬০০ গ্রাম স্বর্ণ ও ৬টি আইপ্যাড উদ্ধারের পর মাজহারুল আফসার ওরফে রাসেল নামের এক কেবিন ক্রুকে আটক করা হয়। তিন দিনের রিমান্ডে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আফসার জানান, বিমান অবতরণের পর কাস্টমসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে সোনা ও মুদ্রা পাচার করা হবে তার একটি নীল নকশা আগেই গ্রেফতারকৃতরা প্রণয়ন করেন। পরে পাচারকালে কেউ কাস্টমস হল, কেউ বোর্ডিং এলাকা, কেউ বিমানবন্দরের ক্যানপি এলাকা ও সর্বশেষ বিমানবন্দরের বাইরের দায়িত্ব নেন একজন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মূলত শফিউল আজম নামের এক ব্যক্তি দুবাই থেকে চোরাচালানের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন। আর পলাশ এ কাজের সমন্বয় করতেন।
অর্থ আদান প্রদানের বিষয়টি দেখতেন হারুন অর রশিদ। বিদেশ থেকে আনা চালান নির্বিঘেœ কাস্টম পার করতে বিমানের ক্যাপ্টেন থেকে শুরু করে অন্যান্য পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হতো। ঠিকাদার পলাশ বেশ প্রভাবশালী। তাকে আমরা ভোরে গ্রেফতার করি। এখনো তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি। আমাদের কাছে কিছু তথ্য আছে, আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখব।
মনিরুল জানান, বিমান বালা থেকে শুরু করে বিমানের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের নাম এসেছে তাদের তদন্তে। পলাশের স্ত্রী নিজেও একজন বিমানবালা।
এই চক্রের সঙ্গে আরো কয়েক কেবিন ক্রু জড়িত বলে তথ্য আছে পুলিশের হাতে। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েই তাদের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে চায়।
মনিরুল বলেন, গ্রেফতাররা ছাড়াও এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আরো বেশ কিছু নাম এসেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিমানবন্দর কাস্টমসের কেউ এতে জড়িত কি না জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সোনা চোরাচালান চক্রের সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগ কিংবা পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যেই থাকুক, তদন্তে প্রমাণ মিললে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
মনিরুল বলেন, দুবাইয়ে সোনা কেনায় বিধি-নিষেধ নেই। এ কারণে সেখান থেকে কিনে চোরাইপথে বাংলাদেশে সোনা পাচার করা হয়। বাংলাদেশ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং সোনার মূল গন্তব্য থাকে পাশের দেশগুলো।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভারপ্রাপ্ত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন মোসাদ্দেক আহমেদ বলেন, আমরা গণমাধ্যমের খবরে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি জানতে পেরেছি। অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
- See more at: http://www.manobkantha.com/2014/11/20/199993.html#sthash.BRL3zXHy.dpufবিমানবন্দর দিয়ে সোনা চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এক উপমহাব্যবস্থাপকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন- বাংলাদেশ বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম, ফ্লাইট সার্ভিস) এমদাদ হোসেন, ক্যাপ্টেন আবু মোহাম্মদ আসলাম শহীদ (চিফ অব প্লানিং অ্যান্ড শিডিউলিং), ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার শিডিউলিং) তোজাম্মেল হোসেন, উত্তরার ফারহান মানি এক্সচেঞ্জের মালিক হারুন অর রশিদ এবং বিমানের ঠিকাদার মাহমুদুল হক পলাশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মিনহাজুল ইসলাম জানান, গতকাল বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম এরফান উল্লাহ প্রত্যেকের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত প্রায় বছর দুই ধরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় প্রতিদিনই সোনার চালান ধরা পড়লেও এই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কাউকে গ্রেফতার করা হলো।
শাহজালাল বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কারো সহযোগিতা ছাড়া এভাবে নিয়মিত সোনা চোরাচালান যে সম্ভব নয়- সে সন্দেহ আগে থেকেই ছিল। এসব ঘটনায় কখনো যাত্রীদের ব্যাগে বা শরীরে লুকানো অবস্থায়, আবার কখনো উড়োজাহাজের টয়লেট বা আসনের নিচে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিভিন্ন পরিমাণ সোনার বার পাওয়া যায়।
এর মধ্যে গোপন সংবাদে গত ২৬ এপ্রিল দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে (বিজি-০৫২) ১০৬ কেজি সোনা পান শাহজালাল বিমানবন্দরের শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ওই সময় আনিস নামে বাংলাদেশ বিমানের এক ম্যাকানিককে আটক করা হয়। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা আনিসকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ও আর্মড পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, সোনাসহ বিভিন্ন চোরাচালানের সঙ্গে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কয়েক প্রভাবশালী নেতাদের যোগসাজশে অবৈধ পাচারের এসব ঘটনা ঘটছে। মূলত রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এ চক্রটি অবাধে আমদানি-রফতানির মাধ্যমে পাচারের কাজ করে যাচ্ছে। কখনো কখনো এক সংস্থার লোকের সঙ্গে অন্য সংস্থার কর্মীদের 'কমিশনে বনিবনা' না হলেই ধরা পড়ছে অবৈধ চোরাচালান। আর সমঝোতায় প্রতিদিনই অসংখ্য চোরাচালান নিরাপদে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদনই অবাধে আদম, মাদক, মুদ্রা, স্বর্ণ এবং নারী ও শিশু পাচার হচ্ছে। দেশি-বিদেশি চক্র শাহজালাল বিমানবন্দরকে স্বর্ণ পাচারের সবচেয়ে নিরাপদ ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে। চক্রের মূল হোতারা সিঙ্গাপুর, দুবাই, পাকিস্তান ও ভারতে বসেই চোরাচালানের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, গত ১২ নভেম্বর দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০৪৬ নম্বর ফ্লাইট থেকে ২ কেজি ৬০০ গ্রাম স্বর্ণ ও ৬টি আইপ্যাড উদ্ধারের পর মাজহারুল আফসার ওরফে রাসেল নামের এক কেবিন ক্রুকে আটক করা হয়। তিন দিনের রিমান্ডে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আফসার জানান, বিমান অবতরণের পর কাস্টমসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে সোনা ও মুদ্রা পাচার করা হবে তার একটি নীল নকশা আগেই গ্রেফতারকৃতরা প্রণয়ন করেন। পরে পাচারকালে কেউ কাস্টমস হল, কেউ বোর্ডিং এলাকা, কেউ বিমানবন্দরের ক্যানপি এলাকা ও সর্বশেষ বিমানবন্দরের বাইরের দায়িত্ব নেন একজন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মূলত শফিউল আজম নামের এক ব্যক্তি দুবাই থেকে চোরাচালানের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন। আর পলাশ এ কাজের সমন্বয় করতেন।
অর্থ আদান প্রদানের বিষয়টি দেখতেন হারুন অর রশিদ। বিদেশ থেকে আনা চালান নির্বিঘেœ কাস্টম পার করতে বিমানের ক্যাপ্টেন থেকে শুরু করে অন্যান্য পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হতো। ঠিকাদার পলাশ বেশ প্রভাবশালী। তাকে আমরা ভোরে গ্রেফতার করি। এখনো তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি। আমাদের কাছে কিছু তথ্য আছে, আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখব।
মনিরুল জানান, বিমান বালা থেকে শুরু করে বিমানের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের নাম এসেছে তাদের তদন্তে। পলাশের স্ত্রী নিজেও একজন বিমানবালা।
এই চক্রের সঙ্গে আরো কয়েক কেবিন ক্রু জড়িত বলে তথ্য আছে পুলিশের হাতে। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েই তাদের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে চায়।
মনিরুল বলেন, গ্রেফতাররা ছাড়াও এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আরো বেশ কিছু নাম এসেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিমানবন্দর কাস্টমসের কেউ এতে জড়িত কি না জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সোনা চোরাচালান চক্রের সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগ কিংবা পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যেই থাকুক, তদন্তে প্রমাণ মিললে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
মনিরুল বলেন, দুবাইয়ে সোনা কেনায় বিধি-নিষেধ নেই। এ কারণে সেখান থেকে কিনে চোরাইপথে বাংলাদেশে সোনা পাচার করা হয়। বাংলাদেশ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং সোনার মূল গন্তব্য থাকে পাশের দেশগুলো।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভারপ্রাপ্ত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন মোসাদ্দেক আহমেদ বলেন, আমরা গণমাধ্যমের খবরে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি জানতে পেরেছি। অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
__._,_.___