Banner Advertiser

Tuesday, December 16, 2014

[mukto-mona] Fwd: প্রকাশের জন্যে- Please read



বিজয় দিবস সদ্য পেরিয়ে গেল। মানুষের আশা ছিলো বিজয় দিবসের প্রাক্কালে অন্তত: একজন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর হবে এবং বিজয় দিবস 'বিজয় উত্সবে' পরিনত হবে।
​কৃষ্ণ চন্দ্র বাউলের 'আশাপুর্ন হলোনা' গানটির কথা মনে পড়লো
। যা
​হোক, 
ডিসেম্বর বিজয়ের মাস, ডিসেম্বর যেতে আরো সময় বাকি, জনগণ আশায় বুক বেঁধে থাকুক। রায় কার্যকর হোক বা না-হোক, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজটি এখন নির্বিঘ্নে চলছে, এবারের বিজয় দিবসে এটা কম পাওনা নয়।

একজন ফটোগ্রাফার হাবীব দাবি করেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্বে ভারতের যে ১৪ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে তাদের জন্যে ঢাকায় একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হোক। তার দাবীর প্রেক্ষিতে ক'দিন আগে ফেসবুকে একজন পাকিস্তানীর দাবীর কথা মনে পড়লো।
​তিনি দাবি করেছেন, 
ভারত ও আফগানিস্তান যেভাবে পাকিস্তানকে জ্বালাচ্ছে তাতে পাকিস্তানের উচিত ঐ দু'টো দেশ দখল করে নেয়া! ব্যাটা বলে কি? ভাগ্য ভালো যে, বাংলাদেশ দখল করে নেয়ার স্বপ্ন তিনি দেখেননি!
​অথবা আমেরিকা প্রতিনিয়ত দ্রোন হামলা করছে তাই আমেরিকা দখল করার কথা বলেননি!  ​
ওই পাকিস্তানীর  স্বপ্ন যেমন 'অলীক ', হাবীবের দাবীও তেমনি 'অসার'। হাবীব ভুলে গেছেন, 'আমরা গড়তে পারিনা, ভাঙ্গতে পারি'। 'ইন্দিরামঞ্চ' আমরা বহু আগেই ভেঙ্গে দিয়েছি।

বিজয়ের মাসে কিছু সরকারী কর্মচারী খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে 'বিজয় উত্সব' করতে চেয়েছিলো। মিডিয়ায় তা প্রকাশিত হলে ওরা বেকায়দায় পড়েন। জনতার মঞ্চের কথা আমরা জানি। ঐসব কর্মকান্ড আইনানুগ কিনা তা আইনজ্ঞরা বলতে পারবেন। কিন্তু আলামত ভালো নয়! একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, সার্ক সন্মেলনের ঠিক আগে থেকে বিএনপি আন্দোলনের কথা বলছে। এর নেতারা জোরেশোরে বলতে শুরু করেন, মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে এই সরকার বিদায় নেবে, ইত্যাদি-। নিউইয়র্কের একটি সাপ্তাহিক ক'দিন আগে হেডিং করেছিল, 'কাঠমান্ডুতে হাসিনা-মোদী-নিশা বৈঠক হবে এবং তথায় নির্বাচনের জন্যে শেখ হাসিনাকে চাপ দেয়া হবে। রটনা হয়তো সত্য, কিন্তু বৈঠক হয়নি। এ কুটনৈতিক সাফল্য সরকারের এবং সহযোগিতায় মোদী। সম্ভবত: একারণে বিএনপি খুশি ছিলো এবং আওয়ামী লীগ চাপে ছিলো। ওই চাপের মুখে মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের মুখে তার ব্যক্তিত্বের সাথে বেমানান বেফাঁস মন্তব্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিস্ট মন্ত্রীকে তিরস্কৃত করেছেন; জাতি হিসাবে আমরা মর্মাহত হয়েছি। ওই বক্তব্য বেশ ক'টি ভাষায় অনুদিত হয়ে দেশে দেশে প্রচারিত হয়েছে এবং আমরা হাস্যস্পদ হয়েছি।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের বাংলা সপ্তাহিকগুলোর হেডিং ছিলো, নির্বাচন ২০১৫ না ২০১৬-তে?  মন্ত্রীরা অবশ্য সমানে বলছেন, ২০১৯-এর আগে নির্বাচন নয়।
​তবে  খবর বেরিয়াছে, শেখ হাসিনা আগাম নির্বাচন চান, প্রভাবশালী ক'জন মন্ত্রী চান না। ​
বিরোধীরা বলছেন, নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। সদ্য নারায়ণগঞ্জে খালেদা জিয়া তা-ই বলেছেন। অর্থাৎ রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে নির্বাচনী কথাবার্তায়। গত এক বছরে আমার কলামে বহুবার বলার চেষ্টা করেছি, মহাজোটের বা দেশের প্রয়োজনেই ২০১৬-তে জাতীয় নির্বাচন হবে, কারো হুমকিতে নয়। এরমধ্যে ঢাকার মেয়র নির্বাচনের কথা এসেছে। বলা হচ্ছে, জানুয়ারিতে তা হবে। মনে হয়না। তবে হবে, শিগগিরই, হয়তো মার্চ-এপ্রিলে। সরকার হাওয়া বুঝতে চাইবেন। অর্থাৎ দেশে নির্বাচনী বাতাস বইতে শুরু করবে ২০১৫-তে। জাতীয় নির্বাচন ২০১৬? ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে, আওয়ামী লীগ উত্তরবঙ্গের মানুষগুলোকে আস্থায় আনতে চাইবে। ঢাকায় মেট্রোরেল কথাবার্তা উঠবে। রাজধানীর ভোটার যানজট মুক্ত ঢাকার স্বপ্ন দেখবেন, বা এমনি আরো কত কি উঠে আসবে। অর্থাৎ সরকার ও বিরোধীরা তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে মানুষকে কাছে টানতে চাইবে। সুতরাং, নির্বাচন। আওয়ামী লীগ জিতলে ক্ষমতায় থাকবে, হারলে সরে যাবে। বিরোধী দলে থাকতে আওয়ামী লীগ ভয় পায়না, এই দলটি ক্ষমতার 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে'ও বিশ্বাসী নয়। জনগণ চাইলে জননেত্রী ক্ষমতায় থাকবেন, না চাইলে সরে যাবেন। নিজহাতে গড়া গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থা তিনি সমুন্নত রাখবেন।

হিসাবটা কি এতই সোজা? না। ২০১৫ তে চড়াই-উতরাই আমরা দেখবো। আপাতত: আমরা বিজয়মেলা দেখি। ক'দিন আগে এক সংবাদে দেখলাম, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ভে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সম্ভব হলে নেয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধ না করা অপরাধ নয়, সবার কপালে সেই সৌভাগ্য জোটেনা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া পরিচয় দেয়া, বা সুযোগ সুবিধা নেয়া অপরাধ। আইনগতভাবে না হলেও সামাজিকভাবে এদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার।একইভাবে বীরঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়াটাও সঠিক সিদ্বান্ত। আমরা ছোটবেলায় কবিগান শুনতাম, দুই কবিতে কবিতা ফাইট। গাজীর পটের মত কবিগানও বেশ মজাদার ছিলো। কবিগানের কথা মনে পড়লো, কারণ বিজয় দিবসের প্রাক্কালে আমরা আবারো শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া বক্তৃতা-ফাইট দেখলাম। খালেদা জিয়া বললেন,
​'​
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করে নাই
​'​
। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করলেন, তাহলে করেছে-টা কে? কে জিতেছেন তা বলা বাহুল্য, তবে ম্যাডাম
​বেজায় ​
ক্ষেপে গিয়ে বলেছেন,
​'​
হাসিনাকে মারার প্রয়োজন নাই, তিনি নিজ থেকেই মরবেন
​'​
। বেগম জিয়ার মেধার তারিফ করতে হয়, কারণ তিনিও জানেন 'জন্মিলে মরিতে হইবে'। শেখ হাসিনা যখন জন্মেছেন, তখন একদিন তো মরতে হবেই। কিন্তু বিএনপি নেতারা চট্টগ্রামে দেশরক্ষায় নুতন যুদ্ভের যে ডাক দিয়েছেন তা প্রনিধানযোগ্য। কারণ তাদের নেত্রী বেশ জোর দিয়েই বলেছেন, 'গজব নেমে আসবে'। মনে হচ্ছে বিএনপি নেতারা বা ম্যাডাম জনগনের ওপর ভরসায় কথা বলছেন না; তারা 'ঐশী' ঘোড়ার ওপর নির্ভরশীল। তাদের অবশ্য স্মরণ রাখা দরকার, হেফাজতকে পেটানোর সময় বা ইরাক-আফগানিস্তান যুদ্ভের সময় 'ঐশী' ঘোড়া আসেনি।
​মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এরও জবাব দিয়ে বলেছেন, '
শকুনের দোয়ায় গরু মরে না'!

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক।
নিউইয়র্ক। ১৬ডিসেম্বর ২০১৪।




__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___