Banner Advertiser

Saturday, December 13, 2014

[mukto-mona] বেদনাবিধুর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস



বেদনাবিধুর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস


লেখক ও সাংবাদিক তৈয়বুর রহমান টনি নিউ ইর্য়ক-

বিনম্র শ্রদ্ধা সকল বীর শহীদদের প্রতি… তোমাদের জানাই রক্তিম সালাম, তোমাদের এই ঋণ কোনোদিনও শোধ হবেনা।

১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকহানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।1499463_608282135875360_1630796784_n

বিনয় ও শ্রদ্ধায় জাতি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করবে। একই সঙ্গে এবারও জাতির প্রত্যাশা, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যারা হত্যা করেছে তাদের বিচারের রায কার্যকর করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে।

১৪ ডিসেম্বর জাতির জন্য একটি অত্যন্ত শোকাবহ দিন। হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী আর তাদের এদেশীয় দোসর বিশ্বাসঘাতক স্বাধীনতাবিরোধী চক্র–জামাত,আল বদর, আল শামস, রাজাকারদের নজিরবিহীন নৃশংসতা এবং এক ভয়ংকর নীলনকশা বাস্তবায়নের একটি প্রামাণ্য দলিল।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বাহ্নেই শোষক পাকিস্তানী প্রশাসন বুঝতে পেরেছিল এদেশের সহজ-সরল মানুষগুলোকে আর শাসন-শোষন করা যাবেনা।বাংঙ্গালী জেগে উঠেছে। এদেশে পাকিস্তানী স্বৈরশাসকদের পতন অনিবার্য।এটা কেবল কিছু সময়ের ব্যাপার মাত্র।এই পরাজয়কে সহজে মেনে নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। কি করেইবা হবে? সুজলা -সুফলা এই দেশটিকে শোষন করেই যে তাদের সমৃদ্ধি।

বাংগালীর এই জাগরণে এদেশের সূর্য -সন্তান বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল আলোকবর্তিকার।ভাষা-আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংগালীদের দমিয়ে রাখার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের যে কোন হীন-চক্রান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা বারবার সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।এদেশের সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন। যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

পাকিস্তানীরা যেহেতু বুঝতে পেরেছিল এদেশে তাদের দিন শেষ হয়ে আসছে তারা এদেশের মানুষকে একটা মরণ কাঁমড় দেবার জন্য মরীয়া হয়ে উঠে। তাদের এই কুৎসিত ইচ্ছায় আরো ইন্ধন যোগায় এদেশের স্বাধীনতাবিরোধী দালালচক্র।এই স্বাধীনতাবিরোধী, দেশের মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা দালালগুলো বুঝতে পেরেছিল এতদিন পাকিস্তানী প্রভুদের পা চাটার ,তাদের সাথে হাত মিলিয়ে হত্যা-ধর্ষণ-লুঠতরাজের যে জঘন্য ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে তার ফলশ্রুতিতে এদেশের মাটিতে বসবাস করা তাদের জন্যও অসম্ভব হয়ে উঠবে।কাজেই ঘাতক-দালাল চক্রের একটাই উদ্দেশ্য যেভাবে যতটুকু সম্ভব এদেশের ক্ষতি করা। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির যে কোন বিপর্যয়ে অগ্রনী ভূমিকা নিয়ে সমস্যা সমাধানের পন্থা নির্ধারণ করার যোগ্যতাসম্পন্ন ধীমান ব্যক্তিবর্গ তাদের এই ধবংস-প্রক্রিয়ার প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হন। এদেশকে মেধাশূন্য করে পঙ্গু করে ফেলার এক ভয়াবহ নীলনকশার পরিকল্পনা করে তারা ।যার ফল হবে এদেশের মানুষের জন্য মারাত্মক এবং সুদূরপ্রসারী।কোন জাতির অগ্রসরমানতা বা সার্বিক বিকাশের ধারাকে প্রতিহত করতে এর থেকে মোক্ষম অস্ত্র আর কি হতে পারে?

১৪ ডিসেম্বর দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন। বাঙ্গালী জাতির সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য হাজার হাজার শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের ওপর চালায় নির্মম-নিষ্ঠুর নির্যাতন তারপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, তাদের পরাজয় অনিবার্য। ওরা আরো মনে করেছিল যে, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে ওরা বসবাস করতে পারবে না। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করতে দেশের এসব বরেণ্য ব্যক্তিদের বাসা এবং কর্মস্থল থেকে রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই নিকট আত্মীয়রা মিরপুর ও রাজারবাগ বধ্যভূমিতে স্বজনের লাশ খুঁজে পায়। বর্বর পাক বাহিনী ও রাজাকাররা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেছিল। বুদ্ধিজীবীদের লাশজুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারো কারো শরীরে একাধিক গুলি, অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। লাশের ক্ষত চিহ্নের কারণে অনেকেই প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের প্রতি।

http://khabor.com/2014/12/13/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%80/






__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___